উড়োজাহাজ পতন
কিছুক্ষন আগে খবর পাওয়া গেল একটি উড়োজাহাজ দ্বিখন্ডিত হয়েছে ভারতের কেরালা রাজ্যে। কতজন মারা গেল বা কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা জানার আগে আমার নিজের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
উড়োজাহাজ থেকে নামার পর প্রতিবার ভাবি আর না! কিন্তু প্রয়োজন মানে না কোন আইন।
সেবার গোহাটি থেকে নেতাজী সুভাস বোসে অবতরন করবো। জাহাজে যাত্রী ২৩০ জনের মতো। সাধারন জাহাজের চেয়ে তুলনামুলক বড় জাহাজ। সন্ধ্যার কিছুপর ৭টার দিকে জাহাজটি ল্যন্ড করছিল। মাটিতে চাকা লাগার সাথে সাথে ডুম্ করে বড় শব্দ হল। আমি মাথা নিচু করে সামনের সিটের পিছনে মাথা লুকিয়ে আছি। সাধারনত যেমন শব্দ হয় তেমন বাতাসের শব্দ করতে করতে আমরা বেঁচে গেলাম। পাশের অভিজ্ঞ যাত্রীর দিকে তাকালাম। তিনিও অবাক। বলেন, আমিও কখনো এমন শব্দ শুনিনি! ভাবলাম সত্যি, এ যাত্রায় বেচে গেছি!
আরেক বার আগরতলা ল্যন্ড করতে যাবো, দেখি খুব সুন্দর ঘন মেঘের সমুদ্রে ধুকে পড়ছে জাহাজ। এতক্ষন ভালোই ছিল আকাশটা, কিন্তু মেঘের নিচে ধুকে পড়তেই কাঁপাকাঁপি শুরু করল জাহাজ। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে বাজ পড়ার শব্দ কানে লাগল। জাহাজের লাইট নিভে গেল। মাইকে পাইলটের আওয়াজ ভেসে আসল। সিট বেল্ট বাধার পূন অনুরোধ। জানলার দিকে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি পড়ছে। মেঘের উপড়ে ছিলাম তাই বোঝা যায়নি নিচে কি চলছে।
মৃত্যু ভয় গ্রাস করল প্রতিবার ল্যন্ডিংএর মতো। বাংলাদেশের বিবাড়িয়া শহরের উপর দিয়েই জাহাজ যখন নেমে এল তখন একটু বাঁচার আশা দেখা গেল। মনে হলে নিচে বুঝি একটু বাতাসের তীব্রতা কম। সময়টা সন্ধ্যা, অনেক মিট মিট করা লাইট দেখা গেল। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে ল্যান্ড করল জাহাজ। ধড়ে প্রাণ ফিরে এল অবশেষে।
উড়োজাহাজ নিয়ে আমার ধারনা:
১. রাতের বেলা টেক অফ বা ল্যান্ডিং বেশী রিস্কি।
২. বর্ষা কালে রানওয়েতে পানি থাকতে পারে। ঘূর্নিঝড় বা তীব্র বাতাস থাকে। উভয়ই বেশী রিস্কি।
৩. শীত কালে দিনের বেলা বিমান ভ্রমন সবচেয়ে নিরাপদ।
উড়োজাহাজ থেকে নামার পর প্রতিবার ভাবি আর না! কিন্তু প্রয়োজন মানে না কোন আইন।
সেবার গোহাটি থেকে নেতাজী সুভাস বোসে অবতরন করবো। জাহাজে যাত্রী ২৩০ জনের মতো। সাধারন জাহাজের চেয়ে তুলনামুলক বড় জাহাজ। সন্ধ্যার কিছুপর ৭টার দিকে জাহাজটি ল্যন্ড করছিল। মাটিতে চাকা লাগার সাথে সাথে ডুম্ করে বড় শব্দ হল। আমি মাথা নিচু করে সামনের সিটের পিছনে মাথা লুকিয়ে আছি। সাধারনত যেমন শব্দ হয় তেমন বাতাসের শব্দ করতে করতে আমরা বেঁচে গেলাম। পাশের অভিজ্ঞ যাত্রীর দিকে তাকালাম। তিনিও অবাক। বলেন, আমিও কখনো এমন শব্দ শুনিনি! ভাবলাম সত্যি, এ যাত্রায় বেচে গেছি!
আরেক বার আগরতলা ল্যন্ড করতে যাবো, দেখি খুব সুন্দর ঘন মেঘের সমুদ্রে ধুকে পড়ছে জাহাজ। এতক্ষন ভালোই ছিল আকাশটা, কিন্তু মেঘের নিচে ধুকে পড়তেই কাঁপাকাঁপি শুরু করল জাহাজ। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে বাজ পড়ার শব্দ কানে লাগল। জাহাজের লাইট নিভে গেল। মাইকে পাইলটের আওয়াজ ভেসে আসল। সিট বেল্ট বাধার পূন অনুরোধ। জানলার দিকে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি পড়ছে। মেঘের উপড়ে ছিলাম তাই বোঝা যায়নি নিচে কি চলছে।
মৃত্যু ভয় গ্রাস করল প্রতিবার ল্যন্ডিংএর মতো। বাংলাদেশের বিবাড়িয়া শহরের উপর দিয়েই জাহাজ যখন নেমে এল তখন একটু বাঁচার আশা দেখা গেল। মনে হলে নিচে বুঝি একটু বাতাসের তীব্রতা কম। সময়টা সন্ধ্যা, অনেক মিট মিট করা লাইট দেখা গেল। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে ল্যান্ড করল জাহাজ। ধড়ে প্রাণ ফিরে এল অবশেষে।
উড়োজাহাজ নিয়ে আমার ধারনা:
১. রাতের বেলা টেক অফ বা ল্যান্ডিং বেশী রিস্কি।
২. বর্ষা কালে রানওয়েতে পানি থাকতে পারে। ঘূর্নিঝড় বা তীব্র বাতাস থাকে। উভয়ই বেশী রিস্কি।
৩. শীত কালে দিনের বেলা বিমান ভ্রমন সবচেয়ে নিরাপদ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৪/০৮/২০২০যাযাকাল্লাহু খয়ের
-
জানবক্স খান ১৫/০৮/২০২০২০০ জনের মধ্যে পাইলটদ্বয় সহ ১৮ জন মৃত্যুবরন করেছেন এই উড়োজাহাজ পতনে। বাকী ১৮২ জন নব জীবন লাভ করেছেন। সবাইকে উড়োজাহাজ ভ্রমনে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাই।
-
সুব্রত ব্রহ্ম ১৪/০৮/২০২০অভিজ্ঞতার আলোকে সমৃদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ।
-
এম. মাহবুব মুকুল ১৩/০৮/২০২০দুঃসংবাদ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৯/০৮/২০২০আপনার অভিজ্ঞতা ভালো লাগলো।
-
Biswanath Banerjee ০৯/০৮/২০২০Very sad
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৮/০৮/২০২০sad news
-
ফয়জুল মহী ০৭/০৮/২০২০Very sad news