টয়লেট তেলেসমাতি
গোপাল ভাঁড় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে অনেকক্ষন অপেক্ষা করিয়ে ছিলেন বাঘের ভয় দেখিয়ে। পরে আর থাকতে না পেরে অস্থির হয়ে রাজা যখন বললেন, আমি বাঘকে ভয় করি না, আমাকে যেতেই হবে এবার, আমি আর পারছি না! রাজা জংগলে কাজ সেরে ফিরে এসে বলেছিলেন, গোপাল ভাঁড়, আজ বুঝতে পেরেছি কেন তুমি আমার ছেলে জন্ম নেবার দিন বলেছিলে প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে যে আনন্দ যে সুখ তা অতুলনিয়! …এসবই আমাদের জানা। কিন্তু রাজা কিভাবে ধোয়ার পানি পেয়েছিলেন তা কি জানা আছে? সেই গল্পই আজ করবো।
গ্রাম দেশে একসময় টয়লেট চাপলে লোকেরা দৌড়ুত পাশের বনে। আমার দাদী এখনো জীবিত, তার মুখেই শুনেছি, তিনি টয়লেটে দুর্গন্ধ পেতেন তাই যেতে চাইতেন না । টললেট ছিল কাঁচা ঘর এখনকার মত পাকা, এমনকি বাংলা টয়লেটেরও ব্যবস্থা ছিল না। বাইরে বনের মাঝে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফুলের সুভাসে প্রাকৃতিক কাজটি করা যায়। তখন ছিল গাছের পাতার প্রাকৃতিক টিস্যু, পানির প্রয়োজন হতো না। সেদিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র আসলে প্রাকৃতিক টিস্যু দিয়েই কাজ সেরেছিলেন। হাল আমলে ইউরোপ-আমেরিকা দেশে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তারা এখনো ধরে রেখেছেন। আবিষ্কার করেছেন আধুনিক টিস্যু যা ব্যবহার করলে পানির আর দরকার হয় না। সেই না ধোয়া ইংলিশদের আমাদের দেশের শুচিবাই মহিলারা বলতেন ম্লেচ্ছ বা অসভ্য। কারন তারা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলত না আর টিস্যু ব্যবহার করত ডান হাতে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঐ কর্মের জন্য কেবল বাম হাতটিই ব্যবহারের বিধান। পরবর্তিকালে এখানে পানির ব্যব্হার শুরু হয়। কিন্তু ম্লেচ্ছরা আমাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এখনো!
সেই পানি ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশে বদনা নামের এক পাত্র ব্যবহার হয়ে থাকে। যার দেখা পাইনি বর্তমান ভারতে। এখানে বার্মিজ মগ আর বালতিই ভরসা। তবে বদনার চেয়ে মগ-বালতিই বেশী কার্যকর বোধ হয়েছে! আসলে বদনার মুখ ছোট, পানির প্রবাহ কম, সময় লাগে বেশী। তাছাড়া এক বদনায় আসলে হয় না!
তবে জাপান দেশে টিস্যু বা হাত ধোয়া না ধোয়ার বালাই নেই। জাপানিরা ঐ কাজটি মনুষ্য কর্ম নয় বলে মনে করে। তাই পুরো কাজটি করে নেয় মেশিনে। এমনভাবে টয়লেট তৈরী করা হয় যে কমোডে বসে খালি মেশিনের বোটামে/সুইচে হাত চাপলেই খেল খতম। অটোমেটিক পানির নজেল এসে প্রয়োজন অনুসারে জোরে বা আস্তে আপনাকে পরিষ্কার করে দেবে।
বোঝা গেলতো টয়লেটের তেলেসমাতি?
গ্রাম দেশে একসময় টয়লেট চাপলে লোকেরা দৌড়ুত পাশের বনে। আমার দাদী এখনো জীবিত, তার মুখেই শুনেছি, তিনি টয়লেটে দুর্গন্ধ পেতেন তাই যেতে চাইতেন না । টললেট ছিল কাঁচা ঘর এখনকার মত পাকা, এমনকি বাংলা টয়লেটেরও ব্যবস্থা ছিল না। বাইরে বনের মাঝে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফুলের সুভাসে প্রাকৃতিক কাজটি করা যায়। তখন ছিল গাছের পাতার প্রাকৃতিক টিস্যু, পানির প্রয়োজন হতো না। সেদিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র আসলে প্রাকৃতিক টিস্যু দিয়েই কাজ সেরেছিলেন। হাল আমলে ইউরোপ-আমেরিকা দেশে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তারা এখনো ধরে রেখেছেন। আবিষ্কার করেছেন আধুনিক টিস্যু যা ব্যবহার করলে পানির আর দরকার হয় না। সেই না ধোয়া ইংলিশদের আমাদের দেশের শুচিবাই মহিলারা বলতেন ম্লেচ্ছ বা অসভ্য। কারন তারা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলত না আর টিস্যু ব্যবহার করত ডান হাতে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঐ কর্মের জন্য কেবল বাম হাতটিই ব্যবহারের বিধান। পরবর্তিকালে এখানে পানির ব্যব্হার শুরু হয়। কিন্তু ম্লেচ্ছরা আমাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এখনো!
সেই পানি ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশে বদনা নামের এক পাত্র ব্যবহার হয়ে থাকে। যার দেখা পাইনি বর্তমান ভারতে। এখানে বার্মিজ মগ আর বালতিই ভরসা। তবে বদনার চেয়ে মগ-বালতিই বেশী কার্যকর বোধ হয়েছে! আসলে বদনার মুখ ছোট, পানির প্রবাহ কম, সময় লাগে বেশী। তাছাড়া এক বদনায় আসলে হয় না!
তবে জাপান দেশে টিস্যু বা হাত ধোয়া না ধোয়ার বালাই নেই। জাপানিরা ঐ কাজটি মনুষ্য কর্ম নয় বলে মনে করে। তাই পুরো কাজটি করে নেয় মেশিনে। এমনভাবে টয়লেট তৈরী করা হয় যে কমোডে বসে খালি মেশিনের বোটামে/সুইচে হাত চাপলেই খেল খতম। অটোমেটিক পানির নজেল এসে প্রয়োজন অনুসারে জোরে বা আস্তে আপনাকে পরিষ্কার করে দেবে।
বোঝা গেলতো টয়লেটের তেলেসমাতি?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সেলিম রেজা সাগর ২৮/০৭/২০২০দারুণ
-
পুষ্পিতা পাল ১৬/০৭/২০২০Nice
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৫/০৭/২০২০Very Nice.
-
রেদোয়ান আহমেদ ০৫/০৭/২০২০বেশ মজাদার
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৭/২০২০Good