শিলঙে গরমে হিমেল পরশ আর বর্ষায় ঝর্নার গান (২)
বয়ে চলেছে এলিফ্যন্ট ঝর্নার জল
শহরে ধোকার আগে রাস্তা ছোট হয়ে গেল কারন উচু পাহাড় রাস্তা বাড়ানোর কোন জায়গা নেই। দুপাশে ছড়ানো ছিটানো কাঠের বা ২/৩ তলা পাকা বাড়ি। তার মধ্যে চলছে কোন দোকান বা খাবার হোটেল। এখানে খাবারের হোটেলকে বলে ’ধাবা’। শব্দটি মোটামুটি আসামসহ গোটা উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে প্রচলিত। ইচ্ছে হলে যে কোন ধাবায় হালকা নাস্তা বা লাঞ্চ সেরে ফেলা যায়। গাড়ি পার্কিংএর বিশেষ জায়গা নেই এখানে। তাই পার্কিংএর সুবিধা দেখে থামতে হবে। ড্রাইভিংও বেশ কঠিন এখানে। ছোট রাস্তা, ৪৫ ডিগ্রীর বেশী উচু-নিচু, ১/২ নাম্বার গিয়ার দিয়ে চলে সব গাড়ি। চাকা রাস্তা থেকে নেমে গেলেই বিপদ। শিলংএ তিন চাকার অটো নেই, সব চার চাকার গাড়ি বা ট্যক্সি। শহরের ভেতর বড় বাস সার্ভিসও তেমন নেই। কিছু মাইক্রোবাস টাইপের গাড়ি চলে নির্দিষ্ট রুটে। ট্যুর স্পটে বেড়াতে গেলে চারচাকা গাড়ি রির্জাভ করা ছাড়া উপাই নেই।
শিলংএর যানজট ঢাকার মতোই বিখ্যাত। সকাল বিকাল হরদম জ্যাম । সকালে বাচ্চাদের স্কুল শুরু, দুপুরে ছুটি, বড়দের সকাল বিকাল অফিস, ট্যুরিস্টদের চাপ থাকে বারমাস। শহরের জ্যাম ঠেলে যখন এলিফ্যন্ট জলপ্রপাতে পৌছুঁলাম তখন ঘড়িতে ১০টা।
হালকা গরমের কাপড় জড়িয়ে নিয়েছি গায়। টিকেট কাউন্টারের আগেই উঠানের মতো করে একটু খোলা জায়গা যেখানে ছড়িয়ে আছে কিছু দোকান । পাশেই পার্ক এরিয়া। আমরা দোকান চোখ বুলিয়ে নিলাম। সুদৃশ্য অনেক বাহারী স্যুভেনীর সামগ্রী উপচে পড়ছে দোকানে। আমরা টিকেট নিলাম ৫০ রুপি করে। বিদেশীদের জন্য ভারতের সবখানে টিকেট একটু বেশী দাম।
এলিফ্যন্ট ফসল চোখে দেখার আগে কানে শুনলাম পানিপতনের শব্দ। পাহাড় কেটে ছোট ছোট সিড়িঁর পথ। একটু নিচে নামতেই একটু সমতল ল্যন্ডীং স্পেসএর মতন। ওখানে দাড়াতেই দেখি একটু দূরে বিপুল জলরাশি নিচে পড়ছে। সেখানে পুকুরের মতো হয়ে আবার নিচে নেমে গেছে জল। প্রথম জলপতনটিই সবচেয়ে বড়। এখানে রেলিং দেয়া আছে, যেন কোন বিপদ না হয়। অনেকের মতো আমরা্ও ছবি তুলতে লাগলাম। মূল লক্ষ্য ঝর্নার সৌন্দর্য্য ধারনে করে নিজের একটি ভালো ছবি।
র্সিঁড়ি চলে গেছে আরো নিচে। সবাই আরো নিচের দিকে হাটঁতে লাগলাম। অনেক নীচে একটি ছোট পাহাড়ি নদী দেখা যায় সেই নদীতেই জল গিয়ে মিশেছে। আরো অনেক হেঁটে নিচে নেমে আরো একটি বড় ঝর্না দেখা গেল। ঝর্নার সামনে জমা জলে অনেকে হাঁটু জলে দাড়িয়ে ছবি তুলছে। সিড়ি চলে গেছে নদী পার হয়ে ও পারে আরো একটি পার্কে। অনেক নীচে নেমেছি আর ফিরেও যেতে হবে। সময় কম, তাই আবার সিঁড়ি ধরে উঠতে লাগলাম ওপরে। মূল গেইটে পৌঁছতেই দুবার জিরিয়ে নিতে হল, ঘেমেও গেলাম। বাইরে বেরিয়ে দোকান গুলোতে ঘুরে দেখলাম হরেক রকম বাহাড়ি শো-পিস, ডেকোরেটিভ আইটেম, শিলং বা সোহরা (চেরাপুঞ্জি) লেখা চাবি রিংসহ অনেক কিছু। চেরাপঞ্জি নামের ব্যবহার খুব কম। আমার পছন্দ হলো বৌদ্ধ ধর্মীয় কিছু শো-পিস। জিনিসগুলো যেমন আকর্ষনীয় তেমন দামেও মন্দ নয়। দামাদামি বিশেষ চলে না, ২০-৫০ টাকা পযর্ন্ত হয়তো কম হতে পারে। বিক্রেতাদের ভাষাগত আড়ষ্টতার জন্য কথাও বিশেষ বলতে আগ্রহী মনে হলো না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ছাকিবুল ইসলাম (শাওন) ০৭/০৭/২০২০বাহ খুব ভালো
-
জ্যোতি রমণ বিশ্বাস ০৩/০৭/২০২০সুন্দর
-
অভিজিৎ জানা ০৩/০৭/২০২০very sorry the link is not appearing. You may read bellow blog
https://www.tarunyo.com/saikan45/blog/post20200424030040/ -
অভিজিৎ জানা ০৩/০৭/২০২০please do
-
অভিজিৎ জানা ০৩/০৭/২০২০Dear Janbax,
Please upload the corresponding photo in your Facebook account then right-click on the image and get the image link and then do what I have shown bellow
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৭/২০২০অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর লেখা ।