আমার ইন্টারনেট দর্শন
ইন্টারনেট, বাংলায় অন্তর্জাল, দৈনিক জীবনযাত্রায় অধিকাংশ সময় এরই জালে জড়িয়ে থাকি। এর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় 2001 সালে যখন দেশে দেশে বার্তা রটে গেল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে ইন্টারনেটে। জানা গেল একমাত্র সাইবার ক্যাফেতে ইন্টারনেট পাওয়া যায়। সকাল 11 টার পর দশ টাকার বিনিময়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল জানা যাবে। যথা সময়ে পৌঁছে গেলাম, দীর্ঘ সর্পিল লাইন পেরিয়ে ক্যাফেতে পৌঁছে নিজস্ব রোল নম্বর জানিয়ে পরীক্ষার ফল জানাগেল….. ফল মানে পাস না ফেল আর পাশ করলে কোন বিভাগ এটুকুই, নম্বর জানা গেলনা। ও ভালো কথা ইন্টারনেট কিরকম বস্তু, খায় না মাখে, কিভাবে আসে, কোথায় যায় তার বিন্দুমাত্র বুঝতে পারিনি, প্রয়োজনও খুব একটা অনুভব করিনি।
এরপর একটা দীর্ঘ বিরতি, পরেরবার যখন ইন্টারনেটের দেখা পেলাম তখন 200৫ সাল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সবেমাত্র মাস্টার ডিগ্রি কার্যক্রমে যোগ দিয়েছি। খোঁজ পেলাম এক বিস্ময়কর যোগাযোগ ব্যবস্থার! ইমেইল…..ওয়াও….সম্পূর্ণ নতুনকে ছুঁয়ে দেখার এক আশ্চর্য সুখানুভূতি। রসায়ন বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবে অনেকগুলো কম্পিউটার, তবে ছাত্রদের জন্য মাত্র একটা বরাদ্দ। বেশ কয়েকদিনের চেষ্টায় একদিন কম্পিউটারে বসার সুযোগ এসে গেল। এক সহপাঠীর সহযোগিতায় ঝটপট একটা ইমেইল একাউন্ট খুলে ফেললাম রেডিফমেলে। তারপরই প্রথম ইমেইল করলাম আমার ওই সহপাঠীকে ওই কম্পিউটারে বসেই! আমার অ্যাকাউন্ট লগআউট করে ওর ইমেল অ্যাকাউন্ট লগইন করা হলো আর সবিস্ময় দেখলাম ওর ইনবক্সে জ্বলজ্বল করছে আমার পাঠানো ইমেল। বেশ কয়দিন এমনই চলল, একই সঙ্গে একই কম্পিউটারে বসে পারস্পারিক বার্তা বিনিময়। ক্রমশ ব্যাপারটা পানসে হয়ে এল, যতটা উৎসাহী হয়ে শুরু করেছিলাম দেখলাম এর মধ্যে তেমন কিছুই নেই।
এরপর প্রায় দীর্ঘ দু’বছরের ব্যবধান, প্রথমবার ইমেইল খুব দরকারী জিনিস হয়ে উঠলো যখন নেশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টে পাস করলাম। ততদিনে রেডিফমেলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। অগত্যা নতুন এক ইমেইল একাউন্টের দরকার পড়ল। এবারে অ্যাকাউন্ট খুললাম জি-মেলে। এরপর মাত্র দু চার মাসের ব্যবধানে মনে হলো ইন্টারনেটের থেকে জরুরী আর কিছুই নেই। অফুরন্ত তথ্যের অতুলনীয় ভান্ডার, যেন সব পেয়েছির দেশ!
ক্ষুধার্তের সামনে খাবারের থালা ধরলে সে যেমন গোগ্রাসে খেতে শুরু করে, আমাদেরও তেমনি গোগ্রাসে তথ্য গেলার শুরু। সব রকমের তথ্য: সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিজ্ঞানভিত্তিক অথবা ফালতু, কোন কিছুরই খুব একটা বাছবিচার নেই। বলা যায় না কখন কোনটা কাজে আসে! অকাজেও আসতে পারে! নিজেকে এগিয়ে রাখা, সবার থেকে এগিয়ে থাকা, সবকিছুকে ছাপিয়ে যাওয়ার অদম্য প্রয়াস!
সবার থেকে এগিয়ে যাওয়া খুব সহজ নয়…….
খুব সহজে এগিয়ে যাওয়াও সহজ নয়…….
যখন তুমি সবার আগে, একলা তুমি সবার আগে….
একলা থাকার, একলা বাঁচার স্পর্ধা রাখা খুব সহজ নয় …
যদিও;
সবার থেকে এগিয়ে যাওয়ার লোভ লুকানো সহজ নয়!
এরপর একটা দীর্ঘ বিরতি, পরেরবার যখন ইন্টারনেটের দেখা পেলাম তখন 200৫ সাল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সবেমাত্র মাস্টার ডিগ্রি কার্যক্রমে যোগ দিয়েছি। খোঁজ পেলাম এক বিস্ময়কর যোগাযোগ ব্যবস্থার! ইমেইল…..ওয়াও….সম্পূর্ণ নতুনকে ছুঁয়ে দেখার এক আশ্চর্য সুখানুভূতি। রসায়ন বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবে অনেকগুলো কম্পিউটার, তবে ছাত্রদের জন্য মাত্র একটা বরাদ্দ। বেশ কয়েকদিনের চেষ্টায় একদিন কম্পিউটারে বসার সুযোগ এসে গেল। এক সহপাঠীর সহযোগিতায় ঝটপট একটা ইমেইল একাউন্ট খুলে ফেললাম রেডিফমেলে। তারপরই প্রথম ইমেইল করলাম আমার ওই সহপাঠীকে ওই কম্পিউটারে বসেই! আমার অ্যাকাউন্ট লগআউট করে ওর ইমেল অ্যাকাউন্ট লগইন করা হলো আর সবিস্ময় দেখলাম ওর ইনবক্সে জ্বলজ্বল করছে আমার পাঠানো ইমেল। বেশ কয়দিন এমনই চলল, একই সঙ্গে একই কম্পিউটারে বসে পারস্পারিক বার্তা বিনিময়। ক্রমশ ব্যাপারটা পানসে হয়ে এল, যতটা উৎসাহী হয়ে শুরু করেছিলাম দেখলাম এর মধ্যে তেমন কিছুই নেই।
এরপর প্রায় দীর্ঘ দু’বছরের ব্যবধান, প্রথমবার ইমেইল খুব দরকারী জিনিস হয়ে উঠলো যখন নেশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টে পাস করলাম। ততদিনে রেডিফমেলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। অগত্যা নতুন এক ইমেইল একাউন্টের দরকার পড়ল। এবারে অ্যাকাউন্ট খুললাম জি-মেলে। এরপর মাত্র দু চার মাসের ব্যবধানে মনে হলো ইন্টারনেটের থেকে জরুরী আর কিছুই নেই। অফুরন্ত তথ্যের অতুলনীয় ভান্ডার, যেন সব পেয়েছির দেশ!
ক্ষুধার্তের সামনে খাবারের থালা ধরলে সে যেমন গোগ্রাসে খেতে শুরু করে, আমাদেরও তেমনি গোগ্রাসে তথ্য গেলার শুরু। সব রকমের তথ্য: সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিজ্ঞানভিত্তিক অথবা ফালতু, কোন কিছুরই খুব একটা বাছবিচার নেই। বলা যায় না কখন কোনটা কাজে আসে! অকাজেও আসতে পারে! নিজেকে এগিয়ে রাখা, সবার থেকে এগিয়ে থাকা, সবকিছুকে ছাপিয়ে যাওয়ার অদম্য প্রয়াস!
সবার থেকে এগিয়ে যাওয়া খুব সহজ নয়…….
খুব সহজে এগিয়ে যাওয়াও সহজ নয়…….
যখন তুমি সবার আগে, একলা তুমি সবার আগে….
একলা থাকার, একলা বাঁচার স্পর্ধা রাখা খুব সহজ নয় …
যদিও;
সবার থেকে এগিয়ে যাওয়ার লোভ লুকানো সহজ নয়!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অভিজিৎ জানা ১৬/০৬/২০২০
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১১/০৬/২০২০ইন্টারনেটের বিশ্ব।
আমরাও আজ ইন্টারনেট এর ভেতরে ঢুকে বসে আছি, আমাদের পরিধি ও প্রাতিদিন ছোট হয়ে আসছে!