প্রীতির জন্যে প্রীতি
অতি সন্তর্পণে চিরকুটটা তার হাতে গুঁজে দিয়ে বললাম, "এখন খোলারও দরকার নাই, কাউকে দেখানোরও দরকার নাই। বাসায় গিয়ে খোলবে।" হতভম্ব চোখে আমার দিকে তাকালো সে। আমার অসহায় চোখ তাকে আরও বেশী বিব্রত করলো বুঝতে পারলাম। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে দ্রুত চলে আসলাম। যে লোকটা সব সময় একটা ভারিক্কি ভাব নিয়ে থাকে, সেই লোকটা কীভাবে এমন হতে পারে !
আমার আকস্মিক নমনীয়তা তার অন্যান্য বান্ধবীদের সন্দিহান করে তোলত। ওকে প্রায়ই উত্তর দিতে হতো, "আমি কী জানি?" আসলে যা জানি, আমিই জানি। আমার চোখের অসহায়ত্ব তার নিষ্পাপ চাহনির বুঝার সক্ষমতা হয়েছিলই বা কতটুকু। আর এখনই হয়েছে কতটা! তাকে আমার কতটা চাই, কতটা ভালবাসি-- তা বুঝানোর জন্য কতই না কারিকুরি! তাতে সফল হলেম কই, যদি মান্দাতার চিরকুটের আশ্রয়ই নিতে হলো।
"ফোন ধরি না, আম্মার ফোন" সেদিন হতে শুধু ফোনটা "আম্মা"র হাতে সীমাবদ্ধ থাকে না। রাত বারোটায় যখন ছোট্ট একটা নি:শ্বাস ফেলল আমার সেলফোনটা, তখন আমার তৃষিত হৃদয়ের বুঝতে আর বাকি রইল না যে, এটা সেই ভীত হরিণীর কম্পমান হৃস্পন্দন। ছোট্ট একটা "হ্যালো" তে সে স্পন্দন যেন আমাকেও ক্ষণিকের জন্য "গম্ভীর" থেকে অসহিষ্ণু আর উচ্ছল করে তোলেছিল। তারপর নীরবতা। এই নীরবতা ভেঙে যে ধ্বনি আমাকে সচকিত করেছিল তা হৃদয় গহীনে চিরদিনের জন্য প্রতিধ্বনিত হবে, এখনও হয়, হচ্ছে বৈকি! "আপনি যে আমায় ভালবাসেন, আমি বিশ্বাস করি না।" সব জায়গায় বিশ্বস্তের পরীক্ষা নিতে হয় না। বরং পরীক্ষিত বিশ্বাসের গভীরতা বাড়ানোর জন্য যত ছল, ভান, অভিমান।
তারপর থেকে আমাকে আর কিছু বিশ্বাস করাতে হয় নি বরং নিজেকেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে বারেবার। এবং বারবার নিজেকে শান্ত করি -- "আমি পাইলাম। তাকে পাইলাম।" একটা ছোট বাচ্চা চাঁদরাতে যেমন ঈদের কাপড়- চোপড় কোলে নিয়ে ঘুমায়, আমিও তার পাঠানো এসএমএস, কথোপকথনের রেকর্ড শুনে শুনে ঘুমাই এবং ঘুমুতে যাওয়ার আগেও বিশ্বাসটাকে ঝালাই করে নিই।
প্রীতির এই প্রীতি আমাকে পথ চলতে উদ্বুদ্ধ করে, স্বপ্ন দেখায়, শক্ত হতে অনুপ্রেরণা দেয়। এইতো আজও কিছুক্ষণ আগে প্রীতির ফোন, "আজ তো তোমার প্রাইভেট ছিল, গেসলা? নাকি বাসায় খালি ঘুমাও?" আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। গাড়ির হর্ণ, রিকশার টুংটাং তাকে আশ্বস্ত করে, হ্যা সেও বিশ্বাস করে। তবুও না বুঝার ভান…
বিশ্বাস টিকিয়ে রাখার জন্য না হয় থাকলো কিছুটা অবিশ্বাস। তাতে ক্ষতি কী?
আমার আকস্মিক নমনীয়তা তার অন্যান্য বান্ধবীদের সন্দিহান করে তোলত। ওকে প্রায়ই উত্তর দিতে হতো, "আমি কী জানি?" আসলে যা জানি, আমিই জানি। আমার চোখের অসহায়ত্ব তার নিষ্পাপ চাহনির বুঝার সক্ষমতা হয়েছিলই বা কতটুকু। আর এখনই হয়েছে কতটা! তাকে আমার কতটা চাই, কতটা ভালবাসি-- তা বুঝানোর জন্য কতই না কারিকুরি! তাতে সফল হলেম কই, যদি মান্দাতার চিরকুটের আশ্রয়ই নিতে হলো।
"ফোন ধরি না, আম্মার ফোন" সেদিন হতে শুধু ফোনটা "আম্মা"র হাতে সীমাবদ্ধ থাকে না। রাত বারোটায় যখন ছোট্ট একটা নি:শ্বাস ফেলল আমার সেলফোনটা, তখন আমার তৃষিত হৃদয়ের বুঝতে আর বাকি রইল না যে, এটা সেই ভীত হরিণীর কম্পমান হৃস্পন্দন। ছোট্ট একটা "হ্যালো" তে সে স্পন্দন যেন আমাকেও ক্ষণিকের জন্য "গম্ভীর" থেকে অসহিষ্ণু আর উচ্ছল করে তোলেছিল। তারপর নীরবতা। এই নীরবতা ভেঙে যে ধ্বনি আমাকে সচকিত করেছিল তা হৃদয় গহীনে চিরদিনের জন্য প্রতিধ্বনিত হবে, এখনও হয়, হচ্ছে বৈকি! "আপনি যে আমায় ভালবাসেন, আমি বিশ্বাস করি না।" সব জায়গায় বিশ্বস্তের পরীক্ষা নিতে হয় না। বরং পরীক্ষিত বিশ্বাসের গভীরতা বাড়ানোর জন্য যত ছল, ভান, অভিমান।
তারপর থেকে আমাকে আর কিছু বিশ্বাস করাতে হয় নি বরং নিজেকেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে বারেবার। এবং বারবার নিজেকে শান্ত করি -- "আমি পাইলাম। তাকে পাইলাম।" একটা ছোট বাচ্চা চাঁদরাতে যেমন ঈদের কাপড়- চোপড় কোলে নিয়ে ঘুমায়, আমিও তার পাঠানো এসএমএস, কথোপকথনের রেকর্ড শুনে শুনে ঘুমাই এবং ঘুমুতে যাওয়ার আগেও বিশ্বাসটাকে ঝালাই করে নিই।
প্রীতির এই প্রীতি আমাকে পথ চলতে উদ্বুদ্ধ করে, স্বপ্ন দেখায়, শক্ত হতে অনুপ্রেরণা দেয়। এইতো আজও কিছুক্ষণ আগে প্রীতির ফোন, "আজ তো তোমার প্রাইভেট ছিল, গেসলা? নাকি বাসায় খালি ঘুমাও?" আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। গাড়ির হর্ণ, রিকশার টুংটাং তাকে আশ্বস্ত করে, হ্যা সেও বিশ্বাস করে। তবুও না বুঝার ভান…
বিশ্বাস টিকিয়ে রাখার জন্য না হয় থাকলো কিছুটা অবিশ্বাস। তাতে ক্ষতি কী?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবিদ আল আহসান ২৪/০৯/২০১৪হ্যা সুন্দর
-
মনিরুজ্জামান শুভ্র ২৩/০৯/২০১৪খুব ভাল লাগলো ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৩/০৯/২০১৪অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আমার খুব মনে ধরেছে।