প্রাণের মানুষ
প্রাণের মানুষ
জামাল উদ্দিন জীবন
তোমাকে চিনতে পারিনি এটা ঠিক নয় হয়তো বুঝতে পারছি না। কেমন যেন মিলিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে এই তুমি কি সেই তুমি? প্রশ্নটা রেখে গেলাম। যাকে চিনতে সময় নিয়েছি অনেকটা তাকে কেমন অদ্ভুত লাগে নিজের কাছে। নিজে থেকেই তোমা হতে দূরে সরে এলাম। তোমার আমার মাঝে যোজন যোজন দূরত্ব বিদ্যমান। অনেকবার চেষ্টা করেছি তাকে গুছাতে কিন্তু আরো বেশি দূরেই গেছি আমি। তোমার জীবনের আকাশে হাজারো মানুষের আনা গুনা নিত্য দিন কত শত আয়োজন হয় সুখের ঘর বুনার। রাজ্যের সুখের স্বপ্নে বিভোর অর্থ বৃত্ত প্রাচুর্য বাড়ি গাড়ি। দামী অট্টালিকার মাঝে সাধারণ মধ্য বৃত্ত একটি ছেলের ভালোবাসার মূল্য যে নগণ্য সেটা বুঝতে হয়তো কিছুটা দেরি হয়েছে আমার। অতীতের সময়টাকে সামনে টেনে এনে কি লাভ বলো বর্তমান সময়ে আমার অবস্থাটা তোমার হতে বেশ নড়বড়ে মনে হয় তাই নয় কি। জানি মানুষ বদলে যায় তুমি যে এতটা বদলে গেছো সেটা তুমিও বুঝতে পারিনি। সময়ের প্রয়োজনে কারণে অকারণে জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ বদ্লায়। কেউ বদ্লায় বাঁচার তাগিদে কেউবা সময়ের সাথে তাল মিলাতে তোমার বদল টা মনে হয় নিজের সুখ খুঁজে নিতে। ‘’সুখের লাগিয়া কান্দোরে মন সুখ হলো পর বাসি দুখের সাথে বসবাস তোমার দুখ হলো সাথী” হায়রে মানুষ ভাব তেও অবাক লাগে দিন বদলের খেলায় সুখের নতুন ভেলায়। ভাসিয়ে নিজেকে দূর অজানায় সুখের নীড় গড়তে আছে মহা ব্যস্ত। ভেবে কি দেখেছো একবার কোথায় তোমার অস্তিত্ব দাড়িয়ে আছে। বহু দিন পরে শ্রাবিন পুরোনো ডায়রির পাতা খুলে দেখছে মনে পরে কত স্মৃতি কত গান বন্ধুদের সাথে কাটানো ফেলো আসা দিন গুলির কথা।
কলেজ জীবনে তার পাশে এক মাত্র জয় সব সময় সহযোগিতার হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ হিসাবে বেশ চমৎকার ছেলে ঠিক নিজের সীমানার মধ্যে বন্দি কখনও সীমানার বাহিরে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখেনি। শ্রাবীন ওকে একটা বিপদ হতে বাঁচিয়ে ছিলো সেই হতে ওদের দুজনার বন্ধুত্বটা বেশ ভালো বলতে গেলে কলেজের সকল বন্ধুদের থেকে আলাদা। দুজনে মিলে নোট করতো পড়া লেখাটা সঠিক সময়ে করতো একটাই কারণ পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল না। বড় পরিবার তাদের সব খরচ চালিয়ে নেয়ার মত সমার্থ থাকলেও পরিবারের চাহিদা মিটাতে গিয়ে সেটা হয়ে ওঠেনি। শ্রাবিন অনেক চেষ্টা করছে একটা চাকরি যোগাড় করতে কিন্তু বিধি বাম। মামা চাচা আর অর্থের জোর না থাকলে এখন চাকরি পাওয়াটা যে সোনার হরিণ সেটা বুঝতে পারছে। জয় একটা ছোট এনজিওতে চাকরি করে তার পরিবার টাকে কোন রকমে চালিয়ে নেয়। বাবা দু বছর বয়সে মারা গেছে। দেশের বাড়িতে কিছু জমি ছিলো বাবার মৃত্যু সাথে সাথে চাচারা ভাগ বাঁটোয়ারা করে নিয়েছে। ছোট একটা বোন আছ সেও বড় হয়েছে তাকে বিয়ে শাদী দিতে হবে মা অনেক কষ্ট করে তাকে সর্বদা চেষ্টা করেছে মানুষের মত মানুষ করতে। স্নেহা সব সময় ভাইয়ের জন্য রাত জেগে বসে থাকে। অফিসের কাজ সেরে একটা টিউশনি করিয়ে বাসায় ফিরে। জাহানারা বেগম স্নেহাকে বলে তুই ঘুমিয়ে পর আমি দেখি ওকে কিছু বলতে হবে দিন দিন বেশি রাত করছে বাসায় ফিরতে। শ্রাবিন একটা চাকরির পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরবে দেখে দেওয়ালে একটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেটা পড়ে নিয়ে হাতের মোবাইল দিয়ে একটা ছবি তুলে নেয়। প্রতিনিয়ত কত জায়গায় চেষ্টা করছে কোন কাজ হয় না।
জয় সারা দিনে এত ব্যস্ত থাকে শ্রাবিনের সাথে আগের মত দেখাও হয় না। সোহেল নামের আরেকটা ছেলের সাথে একটা মোছে থাকে। সৎ মায়ের সংসারে বেশি দিন তার ঠাই হয়নি নিজের মা মারা যাবার বছর দেরেকের মাথায় বাবা আবার বিয়ে করেন সেখানে আরো দুটি সন্তান আছে রাকিব হাওলাদারের আয়ে এই সংসারটা তেমন ভালো ভাবে চলে না। বাধ্য হয়ে পরিবার হতে চলে আসে। প্রথম দিকে বেশ চল ছিলো একটা বইয়ের দোকানে চাকুরি নেয়। রাতে বাসায় ফিরে একটু বই খাতা ধরে তখন কেমন জানি ভালো লাগে না পড়তে। সারা দিনের খাটনির পরে মনকে বসানো দায় হয়ে যায় কিছুই করার নেই সামনে পরীক্ষা আছে মাকে মৃত্যুর সময় কথা দিয়েছে মানুষের মত মানুষ হবে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করবে। মায়ের আত্মা নয়তো শান্তি পাবে না। কিছু টিউশনি করায় চাকরি খোঁজে সেদিনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে। অল্প কিছু টাকায় কি করে চলে হাজার চারেক টাকা তার সম্বল সেটা দিয়ে সারা মাস চলতে হয়। কলেজে বেশ কিছু টাকা বাকি পরেছে সাথের ছেলে মেয়েরা কত রং বেংগের দিন অতিবাহিত করে। আর এখনই তাকে জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য হায়রে কপাল বিধি তুমি জান কেমন এমন হলো। পাপিয়া বড় লোক বাবার অহংকারী মেয়ে তার সাথের বন্ধুদের তার কাছে মানুষ মনে হয় না। অনেকেই ওর হতে দূরে থাকে বেতন হাতে পেয়ে কলেজের কিছু টাক পরিশোধ করে। লাইব্রেরীতে বসে কিছু প্রশ্নে নোট করছে পাপিয়া এসে বলে তুমি এখান হতে উঠে গিয়ে অন্যত্র বসো কেন? আমি আগে এসেছি কলেজে সকলের সমান অধিকার তুমি অন্যত্র গিয়ে বসো। এক দুই কথায় দুজনার মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেধে যায়। শাকিল এসে বলে কি হয়েছে তোমাদের মাঝে তারিন বলে সবটা। শাকিল বলে কেন উঠতে হবে ওকে আরো জায়গা আছে তুমি সেখানে গিয়ে বসো। এটা তোমার বাবার বাসার ড্রয়িং রুম নয় তোমার কথা মত সকলে চলবে। জয় টার কি হলো ওকে বেশ কিছু দিন হতে দেখতে পাইনি কল দিলেও ধরে না। বাসায় ফেরার পথে তারিন পাপিয়াকে তোর কলেজের কাজটা মোটেও ঠিক হয়নিরে ও তাই তুই ও দেখি ছোট লোকদের হয়ে কথা বলছিস। দেখ তুই ঠিক করে কথা বল মনে করিস না তোর একার মুখ আছে আমার মুখ বাসায় জমা রেখে এসেছি। কি বলতে চাস তুই? কিছু না তুই আর আমার সাথে মিশবি না ঠিক আছে তোর সাথে মিশতে আমার বইয়েই গেছে। কলেজ হতে ফেরার পথে শ্রাবিন তারিনের বাসার কাছ দিয়ে ফিরছে ওকে দেখে ডেকে ভিতরে আসতে বলে।
ও জানতে চায় তেমন কোন জরুরী প্রয়োজন তখন বলে তার কিছু নোট লাগবে বন্ধু মনে করে দিলে উপকার হবে। আমারতো সব বই কিনা হয়নি তাই সব নোট নেই আমার বই আছে তুই নিয়ে নোট করতে পারিস তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। তোমার পড়ার ক্ষতি হবে না। আচ্ছা কালকে বিকেলে তুমি কলেজ হতে ফেরার পথে অমার মেছের সামনে একটু অপেক্ষা করো আমার কাছে যে গুলি আছে তেকামাকে দিয়ে দিব। তারিন বলে কিছু মুখে দিয়ে যা নারে খাবারটা নষ্ট হবে টাকাও দিতে হবে। ঠিক বুঝলাম না তোর কথা সেটা তোরা বুঝবি না আমাদের প্রতি বেলার খাবারের জন্য টাকা দিতে হয় না খেলেও দিতে হয় কেউ না খেলে আগে বলতে হবে তখন সে সময়ের টাকাটা বেচে যাবে। ঠিক আছে অন্য দিন তোর এখানে খেয়ে যাব। স্নেহার বাসায় ফিরতে বেশ সময় লাগছে আজকে জাহানারা বেগম চিন্তায় পরে যান কি হলো কখনও তো এমনটা হয়নি। একটা বাসায় ছোট্ট বাচ্চাদের দেখা শুনার কাজ নিয়েছে এটা একটা বেবী কেয়ার সেন্টার। কলেজের পরে বেশ সময় হাতে থাকে তখন অলস ভাবে বসে না থেকে কিছু একটা করবে কিছু টাক আয় হবে সময়টাও ভালো কেটে যাবে। রাত আট টার দিকে বাসায় ফিরে স্নেহা। মা তাকে দেখে হাজারটা প্রশ্ন করে কোথায় ছিলে এত রাত কেন করলে। একটু বসতে দাও বলছি সারা দিন কত কাজ করে ফিরলাম ঘরে আসতেই তোমার এত কথা শুনতে হবে। মাকে সব কথা খুলে বলে কাজটা খারাপ না আমাদের বাসার পাশেই বলে নিয়েছে। জয় অনেক দিন পরে কলেজে এসেছে শাকিল বলে কিরে তুই তো আকাশের চাঁদ হয়ে গেছিস দেখাই পাওয়া যায় না। সব দিক মিলিয়ে সময় করতে পারি নারে। শ্রাবিন আসেনি আসে মাঝে মাঝে ওর সাথেও দেখা হয় কম চল কমন রুমে গিয়ে বসি। তারিন ও শ্রাবিনকে এক সাথে ডুকতে দেখে দুজনে আড় চোখে তাকায়। শাকিল জয়কে সেদিনের ঘোটনা সব বলে দুজনে এসে বসে ওদের সাথে। কিরে তোর কোন খবর নেই কল ধরিস না কেন? এটা আমার বন্ধু তারিন ঠিক আছে তোরা বসে গল্প কর আমার যেতে হবে কালকে ঢাকার বাহিরে যাব। পাপিয়া বসে বসে গান শুনছে তারিন শাকিল বলে চল ক্যানটিনের দিকে যাই কিছু খেতে হবে। শ্রাবিন বলে কালকে আমি আসবো না কলেজে আমার একটা ইন্টারভিউ আছে। তোমার কি বই লাগবে বলে না পরে দিলেও চলবে আজকে আগের গুলি ফটো কপি করে নিব। জয় গাড়িতে বসে পুরনো দিনের স্মৃতি গুলি মনে করছে আর ভাবছে কত সুন্দর ছিলো ছেলেবেলা কার সময়টা। পাপিয়র সাথে একটা ছবি আছে ছোট বেলার সেটা বের করে মাঝে মাঝে দেখে। বাবা মারা জবার পরে তাদের জীবনের সব কিছু কেমন বদলে গেছে। গাড়ি এসে থামে তমাল পুর। পাশেই তাদের গ্রাম রসুল পুর।
বাবার বন্ধু হায়দার আলী তার মৃত্যুর পরে তাদের কোন খোঁজ খবর নিয়ে দেখেনি। দুই বন্ধুর পাটনারশিপের ব্যাবসা ছিলো তার মাকে দূর দূর করে তারিয়ে দিয়েছে হায়দার আলী। ব্যবসায় তাদের যে অংশ ছিলো সেটাও নিজে ভোগ করে। জয় তার অফিসে একটি ফার্মের দায়িত্বে আছে ও চাচ্ছে শ্রাবিনকে নিয়ে আসবে কোন পোস্ট খালি নেই দেখে সেটা পারছে না। মিরপুর অফিসে কাজ শেষে জয় গুলশান অফিসে যাবে তখনি পাপিয়ার গাড়িটা তার সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। লোক জন জড়ো হয় ফলে সে ক্ষতি পূরণ দিতে বাধ্য হয়। বেশ কথা কাটা কাটি করে পাপিয়া বলে তোমাকে দেখে নিব আমি আমাকে চিন না। বাসায় ফিরেই বাবার কাছে অভিযোগ করছে সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে আমাকে সময় দাও না। আমার কিছু টাক লাগবে তখনি নিচ হতে দারোয়ান ফোন করে বলে স্যার জয় নামের একজন এসেছে আপনার সাথে দেখা করতে চায়। ওকে পাঠিয়ে দাও। মা তুমি ভিতরে যাও কিছু কাজ সেরে তোমার সাথে বসছি আমি। জয়কে প্রবেশ করতে দেখে ওর মাথায় আগুন ধরে যায় বাঁচা ধন এখানে কেন আজ তোমার এক দিন কি আমার একদিন । কাজ শেষে জয় বেড়িয়ে যায় ওর উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে যে কাজটা করে এতে ওরি ক্ষতি হয়। শাকিল প্রাই দেখে স্নেহাকে তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কলেজ হতে ফিরে ওকে পছন্দও করে নিজের মনের কথাটি বলতে পারে না।কাজ শেষে বাড়ির পথে স্নেহা বেতন পেয়েছে পাড়ার কিছু গুন্ঠালোক আগে হতেই ওকে ফলো করে আজকে বেশ নীরব ভাবছে সকলের জন্য কিছু কেনা কাটা করে বাড়ি ফিরি রিক্সা নিয়ে নিউমার্কেটে যায়।
পছন্দ মত জিনিস কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরার পথে ঘটে বিপত্তি। রতনের বাহীনি তার পথ রোধ করে আছে এক পর্যায়ে ওর হাতে ছুরিকাঘাত করে ব্যাগ সহ পালিয়ে যায়। শাকিল চিৎকার শুনে অপর দিকে হতে আসতে থাকে। যে ছেলেটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাকে কৌশলে ল্যাং মেরে ফেলে দিলে ওরে বাবাগো বলে মাটিতে পরে যায়। ব্যাগটা তার হাতে আসে রতনের সাথের ছেলেরা এসে বলে কিরে তোর মরার সাধ হয়েছে যখন এখন মর। এই বলে একটা গুলি করলে শাকিল নিচু হয়ে যায় সেটা গিয়ে লাগে পুলিশের ভ্যানে অপর দিক হতে গাড়ি এসে রাস্তা জ্যাম হয়ে যায়।ওরা পালাতে গিয়ে লোক জনের হাতে ধরা পরে। ওদেরকে পুলিশ নিয়ে যায় শাকিল হাসপাতাল হয়ে স্নেহাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। জাবর বেলা স্নেহা ওর নম্বরটি রেখে দেয়। দুজনার মাঝে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেটা জাহানারা বেগম বুঝতে পেরে জয়কে সব খুলে বলে। শ্রাবিনের চাকরিটা হয়ে যায় ও এখন আলাদা বাসা নিয়ে থাকে। তারিন অনিক দিন তার কোন খবর না পেয়ে শাকিলের কাছ হতে ঠিকানা নিয়ে ওর বাসায় গিয়ে দেখে রুমটা এলো মেলো হয়ে আছে। পড়ার টেবিলর বইয়ের ভিতরে ওর ছবি দেখতে পায় তার সাথে একটা চির কুট তাতে লেখা তুমি আমার মনের রাণী হবে। বলিতে কুণ্ঠিত মুখে তবুও দুরু দুরু কাঁপে বুক হিয়ার মাঝে তোমাকে রেখেছি যত্ন করে আমার না বলা ভালোবাসা। অন্য রুমে গিয়ে দেখে ওর ছবি বুকে নিয়ে জ্বরে আবোল তাবোল বকছে দরজার ওপাশ হতে সব কথা শুনে তারিন মনে মনে বলে একথটি আমিও তোকে বলতে চাই পারছি না লজ্জায়। ওর কপালে হাত রাখে তারিন চোখ মেলে তাকিয়ে বলে এত সময় নিলে আমাকে বুঝতে। নাগো চিনতে ও হৃদয় মাঝে রাখতে সময় নিয়েছি সারা জনমের বাঁধন বেধে।
জামাল উদ্দিন জীবন
তোমাকে চিনতে পারিনি এটা ঠিক নয় হয়তো বুঝতে পারছি না। কেমন যেন মিলিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে এই তুমি কি সেই তুমি? প্রশ্নটা রেখে গেলাম। যাকে চিনতে সময় নিয়েছি অনেকটা তাকে কেমন অদ্ভুত লাগে নিজের কাছে। নিজে থেকেই তোমা হতে দূরে সরে এলাম। তোমার আমার মাঝে যোজন যোজন দূরত্ব বিদ্যমান। অনেকবার চেষ্টা করেছি তাকে গুছাতে কিন্তু আরো বেশি দূরেই গেছি আমি। তোমার জীবনের আকাশে হাজারো মানুষের আনা গুনা নিত্য দিন কত শত আয়োজন হয় সুখের ঘর বুনার। রাজ্যের সুখের স্বপ্নে বিভোর অর্থ বৃত্ত প্রাচুর্য বাড়ি গাড়ি। দামী অট্টালিকার মাঝে সাধারণ মধ্য বৃত্ত একটি ছেলের ভালোবাসার মূল্য যে নগণ্য সেটা বুঝতে হয়তো কিছুটা দেরি হয়েছে আমার। অতীতের সময়টাকে সামনে টেনে এনে কি লাভ বলো বর্তমান সময়ে আমার অবস্থাটা তোমার হতে বেশ নড়বড়ে মনে হয় তাই নয় কি। জানি মানুষ বদলে যায় তুমি যে এতটা বদলে গেছো সেটা তুমিও বুঝতে পারিনি। সময়ের প্রয়োজনে কারণে অকারণে জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ বদ্লায়। কেউ বদ্লায় বাঁচার তাগিদে কেউবা সময়ের সাথে তাল মিলাতে তোমার বদল টা মনে হয় নিজের সুখ খুঁজে নিতে। ‘’সুখের লাগিয়া কান্দোরে মন সুখ হলো পর বাসি দুখের সাথে বসবাস তোমার দুখ হলো সাথী” হায়রে মানুষ ভাব তেও অবাক লাগে দিন বদলের খেলায় সুখের নতুন ভেলায়। ভাসিয়ে নিজেকে দূর অজানায় সুখের নীড় গড়তে আছে মহা ব্যস্ত। ভেবে কি দেখেছো একবার কোথায় তোমার অস্তিত্ব দাড়িয়ে আছে। বহু দিন পরে শ্রাবিন পুরোনো ডায়রির পাতা খুলে দেখছে মনে পরে কত স্মৃতি কত গান বন্ধুদের সাথে কাটানো ফেলো আসা দিন গুলির কথা।
কলেজ জীবনে তার পাশে এক মাত্র জয় সব সময় সহযোগিতার হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ হিসাবে বেশ চমৎকার ছেলে ঠিক নিজের সীমানার মধ্যে বন্দি কখনও সীমানার বাহিরে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখেনি। শ্রাবীন ওকে একটা বিপদ হতে বাঁচিয়ে ছিলো সেই হতে ওদের দুজনার বন্ধুত্বটা বেশ ভালো বলতে গেলে কলেজের সকল বন্ধুদের থেকে আলাদা। দুজনে মিলে নোট করতো পড়া লেখাটা সঠিক সময়ে করতো একটাই কারণ পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল না। বড় পরিবার তাদের সব খরচ চালিয়ে নেয়ার মত সমার্থ থাকলেও পরিবারের চাহিদা মিটাতে গিয়ে সেটা হয়ে ওঠেনি। শ্রাবিন অনেক চেষ্টা করছে একটা চাকরি যোগাড় করতে কিন্তু বিধি বাম। মামা চাচা আর অর্থের জোর না থাকলে এখন চাকরি পাওয়াটা যে সোনার হরিণ সেটা বুঝতে পারছে। জয় একটা ছোট এনজিওতে চাকরি করে তার পরিবার টাকে কোন রকমে চালিয়ে নেয়। বাবা দু বছর বয়সে মারা গেছে। দেশের বাড়িতে কিছু জমি ছিলো বাবার মৃত্যু সাথে সাথে চাচারা ভাগ বাঁটোয়ারা করে নিয়েছে। ছোট একটা বোন আছ সেও বড় হয়েছে তাকে বিয়ে শাদী দিতে হবে মা অনেক কষ্ট করে তাকে সর্বদা চেষ্টা করেছে মানুষের মত মানুষ করতে। স্নেহা সব সময় ভাইয়ের জন্য রাত জেগে বসে থাকে। অফিসের কাজ সেরে একটা টিউশনি করিয়ে বাসায় ফিরে। জাহানারা বেগম স্নেহাকে বলে তুই ঘুমিয়ে পর আমি দেখি ওকে কিছু বলতে হবে দিন দিন বেশি রাত করছে বাসায় ফিরতে। শ্রাবিন একটা চাকরির পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরবে দেখে দেওয়ালে একটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেটা পড়ে নিয়ে হাতের মোবাইল দিয়ে একটা ছবি তুলে নেয়। প্রতিনিয়ত কত জায়গায় চেষ্টা করছে কোন কাজ হয় না।
জয় সারা দিনে এত ব্যস্ত থাকে শ্রাবিনের সাথে আগের মত দেখাও হয় না। সোহেল নামের আরেকটা ছেলের সাথে একটা মোছে থাকে। সৎ মায়ের সংসারে বেশি দিন তার ঠাই হয়নি নিজের মা মারা যাবার বছর দেরেকের মাথায় বাবা আবার বিয়ে করেন সেখানে আরো দুটি সন্তান আছে রাকিব হাওলাদারের আয়ে এই সংসারটা তেমন ভালো ভাবে চলে না। বাধ্য হয়ে পরিবার হতে চলে আসে। প্রথম দিকে বেশ চল ছিলো একটা বইয়ের দোকানে চাকুরি নেয়। রাতে বাসায় ফিরে একটু বই খাতা ধরে তখন কেমন জানি ভালো লাগে না পড়তে। সারা দিনের খাটনির পরে মনকে বসানো দায় হয়ে যায় কিছুই করার নেই সামনে পরীক্ষা আছে মাকে মৃত্যুর সময় কথা দিয়েছে মানুষের মত মানুষ হবে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করবে। মায়ের আত্মা নয়তো শান্তি পাবে না। কিছু টিউশনি করায় চাকরি খোঁজে সেদিনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে। অল্প কিছু টাকায় কি করে চলে হাজার চারেক টাকা তার সম্বল সেটা দিয়ে সারা মাস চলতে হয়। কলেজে বেশ কিছু টাকা বাকি পরেছে সাথের ছেলে মেয়েরা কত রং বেংগের দিন অতিবাহিত করে। আর এখনই তাকে জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য হায়রে কপাল বিধি তুমি জান কেমন এমন হলো। পাপিয়া বড় লোক বাবার অহংকারী মেয়ে তার সাথের বন্ধুদের তার কাছে মানুষ মনে হয় না। অনেকেই ওর হতে দূরে থাকে বেতন হাতে পেয়ে কলেজের কিছু টাক পরিশোধ করে। লাইব্রেরীতে বসে কিছু প্রশ্নে নোট করছে পাপিয়া এসে বলে তুমি এখান হতে উঠে গিয়ে অন্যত্র বসো কেন? আমি আগে এসেছি কলেজে সকলের সমান অধিকার তুমি অন্যত্র গিয়ে বসো। এক দুই কথায় দুজনার মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেধে যায়। শাকিল এসে বলে কি হয়েছে তোমাদের মাঝে তারিন বলে সবটা। শাকিল বলে কেন উঠতে হবে ওকে আরো জায়গা আছে তুমি সেখানে গিয়ে বসো। এটা তোমার বাবার বাসার ড্রয়িং রুম নয় তোমার কথা মত সকলে চলবে। জয় টার কি হলো ওকে বেশ কিছু দিন হতে দেখতে পাইনি কল দিলেও ধরে না। বাসায় ফেরার পথে তারিন পাপিয়াকে তোর কলেজের কাজটা মোটেও ঠিক হয়নিরে ও তাই তুই ও দেখি ছোট লোকদের হয়ে কথা বলছিস। দেখ তুই ঠিক করে কথা বল মনে করিস না তোর একার মুখ আছে আমার মুখ বাসায় জমা রেখে এসেছি। কি বলতে চাস তুই? কিছু না তুই আর আমার সাথে মিশবি না ঠিক আছে তোর সাথে মিশতে আমার বইয়েই গেছে। কলেজ হতে ফেরার পথে শ্রাবিন তারিনের বাসার কাছ দিয়ে ফিরছে ওকে দেখে ডেকে ভিতরে আসতে বলে।
ও জানতে চায় তেমন কোন জরুরী প্রয়োজন তখন বলে তার কিছু নোট লাগবে বন্ধু মনে করে দিলে উপকার হবে। আমারতো সব বই কিনা হয়নি তাই সব নোট নেই আমার বই আছে তুই নিয়ে নোট করতে পারিস তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। তোমার পড়ার ক্ষতি হবে না। আচ্ছা কালকে বিকেলে তুমি কলেজ হতে ফেরার পথে অমার মেছের সামনে একটু অপেক্ষা করো আমার কাছে যে গুলি আছে তেকামাকে দিয়ে দিব। তারিন বলে কিছু মুখে দিয়ে যা নারে খাবারটা নষ্ট হবে টাকাও দিতে হবে। ঠিক বুঝলাম না তোর কথা সেটা তোরা বুঝবি না আমাদের প্রতি বেলার খাবারের জন্য টাকা দিতে হয় না খেলেও দিতে হয় কেউ না খেলে আগে বলতে হবে তখন সে সময়ের টাকাটা বেচে যাবে। ঠিক আছে অন্য দিন তোর এখানে খেয়ে যাব। স্নেহার বাসায় ফিরতে বেশ সময় লাগছে আজকে জাহানারা বেগম চিন্তায় পরে যান কি হলো কখনও তো এমনটা হয়নি। একটা বাসায় ছোট্ট বাচ্চাদের দেখা শুনার কাজ নিয়েছে এটা একটা বেবী কেয়ার সেন্টার। কলেজের পরে বেশ সময় হাতে থাকে তখন অলস ভাবে বসে না থেকে কিছু একটা করবে কিছু টাক আয় হবে সময়টাও ভালো কেটে যাবে। রাত আট টার দিকে বাসায় ফিরে স্নেহা। মা তাকে দেখে হাজারটা প্রশ্ন করে কোথায় ছিলে এত রাত কেন করলে। একটু বসতে দাও বলছি সারা দিন কত কাজ করে ফিরলাম ঘরে আসতেই তোমার এত কথা শুনতে হবে। মাকে সব কথা খুলে বলে কাজটা খারাপ না আমাদের বাসার পাশেই বলে নিয়েছে। জয় অনেক দিন পরে কলেজে এসেছে শাকিল বলে কিরে তুই তো আকাশের চাঁদ হয়ে গেছিস দেখাই পাওয়া যায় না। সব দিক মিলিয়ে সময় করতে পারি নারে। শ্রাবিন আসেনি আসে মাঝে মাঝে ওর সাথেও দেখা হয় কম চল কমন রুমে গিয়ে বসি। তারিন ও শ্রাবিনকে এক সাথে ডুকতে দেখে দুজনে আড় চোখে তাকায়। শাকিল জয়কে সেদিনের ঘোটনা সব বলে দুজনে এসে বসে ওদের সাথে। কিরে তোর কোন খবর নেই কল ধরিস না কেন? এটা আমার বন্ধু তারিন ঠিক আছে তোরা বসে গল্প কর আমার যেতে হবে কালকে ঢাকার বাহিরে যাব। পাপিয়া বসে বসে গান শুনছে তারিন শাকিল বলে চল ক্যানটিনের দিকে যাই কিছু খেতে হবে। শ্রাবিন বলে কালকে আমি আসবো না কলেজে আমার একটা ইন্টারভিউ আছে। তোমার কি বই লাগবে বলে না পরে দিলেও চলবে আজকে আগের গুলি ফটো কপি করে নিব। জয় গাড়িতে বসে পুরনো দিনের স্মৃতি গুলি মনে করছে আর ভাবছে কত সুন্দর ছিলো ছেলেবেলা কার সময়টা। পাপিয়র সাথে একটা ছবি আছে ছোট বেলার সেটা বের করে মাঝে মাঝে দেখে। বাবা মারা জবার পরে তাদের জীবনের সব কিছু কেমন বদলে গেছে। গাড়ি এসে থামে তমাল পুর। পাশেই তাদের গ্রাম রসুল পুর।
বাবার বন্ধু হায়দার আলী তার মৃত্যুর পরে তাদের কোন খোঁজ খবর নিয়ে দেখেনি। দুই বন্ধুর পাটনারশিপের ব্যাবসা ছিলো তার মাকে দূর দূর করে তারিয়ে দিয়েছে হায়দার আলী। ব্যবসায় তাদের যে অংশ ছিলো সেটাও নিজে ভোগ করে। জয় তার অফিসে একটি ফার্মের দায়িত্বে আছে ও চাচ্ছে শ্রাবিনকে নিয়ে আসবে কোন পোস্ট খালি নেই দেখে সেটা পারছে না। মিরপুর অফিসে কাজ শেষে জয় গুলশান অফিসে যাবে তখনি পাপিয়ার গাড়িটা তার সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। লোক জন জড়ো হয় ফলে সে ক্ষতি পূরণ দিতে বাধ্য হয়। বেশ কথা কাটা কাটি করে পাপিয়া বলে তোমাকে দেখে নিব আমি আমাকে চিন না। বাসায় ফিরেই বাবার কাছে অভিযোগ করছে সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে আমাকে সময় দাও না। আমার কিছু টাক লাগবে তখনি নিচ হতে দারোয়ান ফোন করে বলে স্যার জয় নামের একজন এসেছে আপনার সাথে দেখা করতে চায়। ওকে পাঠিয়ে দাও। মা তুমি ভিতরে যাও কিছু কাজ সেরে তোমার সাথে বসছি আমি। জয়কে প্রবেশ করতে দেখে ওর মাথায় আগুন ধরে যায় বাঁচা ধন এখানে কেন আজ তোমার এক দিন কি আমার একদিন । কাজ শেষে জয় বেড়িয়ে যায় ওর উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে যে কাজটা করে এতে ওরি ক্ষতি হয়। শাকিল প্রাই দেখে স্নেহাকে তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কলেজ হতে ফিরে ওকে পছন্দও করে নিজের মনের কথাটি বলতে পারে না।কাজ শেষে বাড়ির পথে স্নেহা বেতন পেয়েছে পাড়ার কিছু গুন্ঠালোক আগে হতেই ওকে ফলো করে আজকে বেশ নীরব ভাবছে সকলের জন্য কিছু কেনা কাটা করে বাড়ি ফিরি রিক্সা নিয়ে নিউমার্কেটে যায়।
পছন্দ মত জিনিস কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরার পথে ঘটে বিপত্তি। রতনের বাহীনি তার পথ রোধ করে আছে এক পর্যায়ে ওর হাতে ছুরিকাঘাত করে ব্যাগ সহ পালিয়ে যায়। শাকিল চিৎকার শুনে অপর দিকে হতে আসতে থাকে। যে ছেলেটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাকে কৌশলে ল্যাং মেরে ফেলে দিলে ওরে বাবাগো বলে মাটিতে পরে যায়। ব্যাগটা তার হাতে আসে রতনের সাথের ছেলেরা এসে বলে কিরে তোর মরার সাধ হয়েছে যখন এখন মর। এই বলে একটা গুলি করলে শাকিল নিচু হয়ে যায় সেটা গিয়ে লাগে পুলিশের ভ্যানে অপর দিক হতে গাড়ি এসে রাস্তা জ্যাম হয়ে যায়।ওরা পালাতে গিয়ে লোক জনের হাতে ধরা পরে। ওদেরকে পুলিশ নিয়ে যায় শাকিল হাসপাতাল হয়ে স্নেহাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। জাবর বেলা স্নেহা ওর নম্বরটি রেখে দেয়। দুজনার মাঝে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেটা জাহানারা বেগম বুঝতে পেরে জয়কে সব খুলে বলে। শ্রাবিনের চাকরিটা হয়ে যায় ও এখন আলাদা বাসা নিয়ে থাকে। তারিন অনিক দিন তার কোন খবর না পেয়ে শাকিলের কাছ হতে ঠিকানা নিয়ে ওর বাসায় গিয়ে দেখে রুমটা এলো মেলো হয়ে আছে। পড়ার টেবিলর বইয়ের ভিতরে ওর ছবি দেখতে পায় তার সাথে একটা চির কুট তাতে লেখা তুমি আমার মনের রাণী হবে। বলিতে কুণ্ঠিত মুখে তবুও দুরু দুরু কাঁপে বুক হিয়ার মাঝে তোমাকে রেখেছি যত্ন করে আমার না বলা ভালোবাসা। অন্য রুমে গিয়ে দেখে ওর ছবি বুকে নিয়ে জ্বরে আবোল তাবোল বকছে দরজার ওপাশ হতে সব কথা শুনে তারিন মনে মনে বলে একথটি আমিও তোকে বলতে চাই পারছি না লজ্জায়। ওর কপালে হাত রাখে তারিন চোখ মেলে তাকিয়ে বলে এত সময় নিলে আমাকে বুঝতে। নাগো চিনতে ও হৃদয় মাঝে রাখতে সময় নিয়েছি সারা জনমের বাঁধন বেধে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৮/১০/২০২১সুন্দর
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৬/১০/২০২১অপূর্ব
-
এস এম শাহনূর ০১/১০/২০২১সুন্দর।
-
বিধান চন্দ্র ধর ২৮/০৯/২০২১চালিয়ে যান
-
ফয়জুল মহী ২৭/০৯/২০২১বেশ ভালো লেগেছে।l
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৭/০৯/২০২১Very Nice