ময়না কাটার বুকে চর পর্ব ০২
ময়না কাটার বুকে চর পর্ব ০২
জামাল উদ্দিন জীবন
নদীর এই দিকটা বেশ শান্ত মনেই হয় না নদীর কোন বিরূপ চিত্র আছে। মোহন গোসল করছে হটাত কি যেন পায়ের কাছে কামড়ে ধরেছে পানির নিচে কি আছে সেটা দেখতে যায়। ডুব দিয়ে যা দেখে একটা চিৎকার দিয়ে উপরে উঠে জ্ঞান হারায়। মারিয়া প্রতি বেশি পানির জন্য ঘাটে আসে তাকে পরে থাকতে দেখে গিয়ে সকলকে খবর দেয় সেই হতে মোহন বিছানায় আর উঠে দেখেনি। কতো ফকির ডাক্তার ওঝা পীরের দর গায় মানত করেছে কোন লাভ হয়নি। শীতলা দেবীর পূজা করতে আসে নিরঞ্জন ঠাকুর সে বেশ পরোউপকারি বলে সকলে যানে। রিতা যায় ঠাকুরের হাত ধরে রিতার কান্না আমার ছেলেকে ভালো করে দাও তোমাকে নতুন থান দিব পূজা করতে সোয়া পাঁচ আনা পয়সা দিব। শোন বেটি এ কাজ আমার নয় কালি নিজে করছে তাকে খুশি করতে পারলে তোর ছেলে ঠিক হয়ে যাবে। তোকে একটা লোকের কথা বলে দেই ঠাকুর বাজার প্রতি রবি বার কালি পূজা হয় সেখানে গিয়ে দেখ মা যদি দয়া করে তোকে।
যতিন মন্ডপের কর্ণধার লোক জনের আনা গোনা বেড়াই চলেছে রিতা ছেলেটিকে নিয়ে যতিনদের পূজায় আসে লোক জন ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করতেই পারছে না। গোকুল দেখে চিনতে পারে মোহন ওর বন্ধু বেশ কিছু দিন হয় কোন খবর পাচ্ছে না। ভিড় কিছুটা কমেছে তখন কানাই শাশ্রের পণ্ডিত বলে দেখ বাপু এর চিকিৎসা আমি করতে পারবো না। রিতা অঝরে কান্না করে বাড়ি ফিরে আসার জন্য ভ্যান খুঁজছে। কিছুটা পথ আসার পরে শিরাজ পাগলকে দেখে রিতা পায়ে পরে যায়। পাগল বলে দেখি কি যেন বিড় বিড় করে কানে বলে মোহন কথা বলে পুটলি হতে গাছের শিড়রের মতো কি একটা দেয় বলে যা নিয়ে খাওয়াবি তিন দিন বলেই হাওয়া হয়ে গেলো। হালিমা খাতুন বেশ চিন্তায় আছে আইন উদ্দিন আজ বাড়ি ফেরেনি অদিতি বার বার জানতে চায় বাবার কথা কি বলবে? মেয়েকে ভেবে পাচ্ছে না। ফেরার রাস্তায় এসে বসে আছে যত দুরে চোখ যায় কাউকে দেখছে না। জহের করেহ বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে বেশ বড় কালো কি একটা যেতে দেখে দুজনে ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে ঘরে চলে আসে। হনুফা বেগম জানতে চায় কি হয়েছে? ওরা চুপ হয়ে আছে কোন কথা বলছে না। দবির মাতবর বিকেলে বাড়ি ফিরলে সব কথা খুলে বলে সব শুনে দেখি কি করা যায় দিন দিন সব দিকের অবস্থা কেমন যেন হয়ে উঠছে।
‘হায়রে মানব জনম ভুবনে শুধুই কি মিছে? করেছি কি কর্ম খানি যাবার বেলায় শূন্য হাতে নিবো বিদায় কি করলাম ধরায় এসে” পরাণ পাখি কয়না কথা মান করেছে ভারি অভিমানে আমার সঙ্গে আড়ি। অব্যক্ত কথা তুমি বুঝলে না কর্ণ কুহরে শুনলে না মনের গহীন সে ভাষা আমি বলতে কুণ্ঠিত তোমার সনে বুঝে নিয়ো মনে প্রাণে ভালোবাসি তোমাকে একাকী নীরবে। পাপিয়া জাহান অদিতি বন্ধুর প্রেম বিরহে লিখছে মনের আকুলতা সঙ্গোপনে। নদীর প্রবাহ মান জলের ধারার দিকে তাকিয়ে আঁখি জলে বোবা ভাষায়।
পুষ্প হলে থাকতাম মালা হয়ে বন্ধুর গলাতে
সৌরভে মাতোয়ারা করা ভুবন দেখবে লোকে
পাখি হলে গগনে উড়তাম ডানায় ভর করে
মনের কথা প্রাণের কথা কইতাম বন্ধুর সনে।
আমি মৎস্য হলে জলের সাথে গড়তাম মিতালী
প্রাণের সাথীরে নিশিতে প্রভাতে কোথায় হারালি?
বাঁশি হলে শখার সনে বাজতাম কতো না সুমধুর
পাগল হয়ে খুঁজতে আমায় দিবা নিশি জগত ভরে।
ভোমর হলে গুন গুন করতাম চারি দিক গুঞ্জনে
শুনতে আমার মনের ব্যাকুলতা কান পেতে নির্জনে
তরু হলে ছায়া দিব প্রশান্তিতে ভরে যায় মন প্রাণ
আমায় আরো কাছে পেতে করো নানা আয়োজন।
হিয়ার মাঝে আঁকা ছবিটা ঝাপসা ভুলেই গেলে
নিষ্ঠুর মায়া হীন মনের মন্দিরে পরে না ছায়া
দু, চোখে স্বপ্ন দিয়ে চলে যাবে আমায় ফেলে
যন্ত্রণার প্রতিধ্বনি বাজে সর্বদা মোর অন্তরে।
পারভেজ মারুফ অনিক দুষ্টর শেরোমনি টংকার রাজা সারা দিনে বিচার আচার আসে পরিবারের কাছে সবিতা হাজার বাড়ন করলেও কথা শুনে না। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি সিকিম পুরে চলে আসে। মাজাহারুল অনিক বাজার হতে বাড়িতে ফিরে সবি তাকে ডাকে কোথাও না দেখতে পেয়ে কিছুটা চিন্তায় পরে যায় কোথায় যেতে পারে? শেফালি বলে দাদা ভাবিতো তার বাবার বাড়ি গেছে।
অনিককে নিয়ে মানুষ দিন রাত এত বিচার দেয় ওকে বললেও শুনে না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল অনিক পেটের খুধায় বেশ কষ্ট পাচ্ছে মা মা বলে ডাকে কোন সারা শব্দ নেই বাবাও নেই সবাই গেলো কোথায়? আমাকে একা রেখে। সন্ধ্যার দিকে আমেনা বেগমের কাছে চুপ করে বসে আছে। কিরে কি হয়েছে দাদী মা বাবা কোথায় গেছে বলতে পারো? নারে ভাই তোর খুধা পেয়েছে না আয় আমি খেতে দিচ্ছি। রাতে রাজন এসে ডাকে কিরে অনিক ঘুমিয়ে পড়েছিস নাকি নাতো চল যাবিনা ঘোষ বাড়িতে কৃত্তন শুনতে গোবিন্দ বিমল মিন্টু সবাই এসেছে। চল যাই বলে সকলে এক সাথে হাঁটছে পথে কানাইদের আম বাগান পড়ে বলে বাবাতো বাড়িতে নেই টাকা পয়সা কিছু নেই কয়টা আম পাড়লে কেমন হয় রাতে খাওয়া যাবে। বিমল বলে ভালো কথা এখন গাছে উঠবে কে? রাজন ও গোবিন্দ গাছের কাছে আসতেই কি যেন ফোঁস করে উঠে। কি সেটা দেখার জন্য সকলে আবার যায় দেখে সাপ বলে চল জান নিয়ে পালাই আম খেতে হবে না। জেরে দৌড় সকলে। শ্যামা ও রতন হাট হতে ফিরছে ওদের এভাবে যেতে দেখে বলে কি হয়েছে ওরা বলে কাকা ওখানে দুটো কালো সাপ আমাদের তারা করছে। পাশেই মন্দির বুঝতে বাকি থাকে না মন্দিরের সাপ তোমরা বাড়ি যাও আমরা দেখছি। যা যা সময় মত দুধ কলা পেয়ে যাবি সাপ দুটো কিছুটা সময় দাড়িয়ে থেকে পরে চলে যায়।
জামাল উদ্দিন জীবন
নদীর এই দিকটা বেশ শান্ত মনেই হয় না নদীর কোন বিরূপ চিত্র আছে। মোহন গোসল করছে হটাত কি যেন পায়ের কাছে কামড়ে ধরেছে পানির নিচে কি আছে সেটা দেখতে যায়। ডুব দিয়ে যা দেখে একটা চিৎকার দিয়ে উপরে উঠে জ্ঞান হারায়। মারিয়া প্রতি বেশি পানির জন্য ঘাটে আসে তাকে পরে থাকতে দেখে গিয়ে সকলকে খবর দেয় সেই হতে মোহন বিছানায় আর উঠে দেখেনি। কতো ফকির ডাক্তার ওঝা পীরের দর গায় মানত করেছে কোন লাভ হয়নি। শীতলা দেবীর পূজা করতে আসে নিরঞ্জন ঠাকুর সে বেশ পরোউপকারি বলে সকলে যানে। রিতা যায় ঠাকুরের হাত ধরে রিতার কান্না আমার ছেলেকে ভালো করে দাও তোমাকে নতুন থান দিব পূজা করতে সোয়া পাঁচ আনা পয়সা দিব। শোন বেটি এ কাজ আমার নয় কালি নিজে করছে তাকে খুশি করতে পারলে তোর ছেলে ঠিক হয়ে যাবে। তোকে একটা লোকের কথা বলে দেই ঠাকুর বাজার প্রতি রবি বার কালি পূজা হয় সেখানে গিয়ে দেখ মা যদি দয়া করে তোকে।
যতিন মন্ডপের কর্ণধার লোক জনের আনা গোনা বেড়াই চলেছে রিতা ছেলেটিকে নিয়ে যতিনদের পূজায় আসে লোক জন ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করতেই পারছে না। গোকুল দেখে চিনতে পারে মোহন ওর বন্ধু বেশ কিছু দিন হয় কোন খবর পাচ্ছে না। ভিড় কিছুটা কমেছে তখন কানাই শাশ্রের পণ্ডিত বলে দেখ বাপু এর চিকিৎসা আমি করতে পারবো না। রিতা অঝরে কান্না করে বাড়ি ফিরে আসার জন্য ভ্যান খুঁজছে। কিছুটা পথ আসার পরে শিরাজ পাগলকে দেখে রিতা পায়ে পরে যায়। পাগল বলে দেখি কি যেন বিড় বিড় করে কানে বলে মোহন কথা বলে পুটলি হতে গাছের শিড়রের মতো কি একটা দেয় বলে যা নিয়ে খাওয়াবি তিন দিন বলেই হাওয়া হয়ে গেলো। হালিমা খাতুন বেশ চিন্তায় আছে আইন উদ্দিন আজ বাড়ি ফেরেনি অদিতি বার বার জানতে চায় বাবার কথা কি বলবে? মেয়েকে ভেবে পাচ্ছে না। ফেরার রাস্তায় এসে বসে আছে যত দুরে চোখ যায় কাউকে দেখছে না। জহের করেহ বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে বেশ বড় কালো কি একটা যেতে দেখে দুজনে ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে ঘরে চলে আসে। হনুফা বেগম জানতে চায় কি হয়েছে? ওরা চুপ হয়ে আছে কোন কথা বলছে না। দবির মাতবর বিকেলে বাড়ি ফিরলে সব কথা খুলে বলে সব শুনে দেখি কি করা যায় দিন দিন সব দিকের অবস্থা কেমন যেন হয়ে উঠছে।
‘হায়রে মানব জনম ভুবনে শুধুই কি মিছে? করেছি কি কর্ম খানি যাবার বেলায় শূন্য হাতে নিবো বিদায় কি করলাম ধরায় এসে” পরাণ পাখি কয়না কথা মান করেছে ভারি অভিমানে আমার সঙ্গে আড়ি। অব্যক্ত কথা তুমি বুঝলে না কর্ণ কুহরে শুনলে না মনের গহীন সে ভাষা আমি বলতে কুণ্ঠিত তোমার সনে বুঝে নিয়ো মনে প্রাণে ভালোবাসি তোমাকে একাকী নীরবে। পাপিয়া জাহান অদিতি বন্ধুর প্রেম বিরহে লিখছে মনের আকুলতা সঙ্গোপনে। নদীর প্রবাহ মান জলের ধারার দিকে তাকিয়ে আঁখি জলে বোবা ভাষায়।
পুষ্প হলে থাকতাম মালা হয়ে বন্ধুর গলাতে
সৌরভে মাতোয়ারা করা ভুবন দেখবে লোকে
পাখি হলে গগনে উড়তাম ডানায় ভর করে
মনের কথা প্রাণের কথা কইতাম বন্ধুর সনে।
আমি মৎস্য হলে জলের সাথে গড়তাম মিতালী
প্রাণের সাথীরে নিশিতে প্রভাতে কোথায় হারালি?
বাঁশি হলে শখার সনে বাজতাম কতো না সুমধুর
পাগল হয়ে খুঁজতে আমায় দিবা নিশি জগত ভরে।
ভোমর হলে গুন গুন করতাম চারি দিক গুঞ্জনে
শুনতে আমার মনের ব্যাকুলতা কান পেতে নির্জনে
তরু হলে ছায়া দিব প্রশান্তিতে ভরে যায় মন প্রাণ
আমায় আরো কাছে পেতে করো নানা আয়োজন।
হিয়ার মাঝে আঁকা ছবিটা ঝাপসা ভুলেই গেলে
নিষ্ঠুর মায়া হীন মনের মন্দিরে পরে না ছায়া
দু, চোখে স্বপ্ন দিয়ে চলে যাবে আমায় ফেলে
যন্ত্রণার প্রতিধ্বনি বাজে সর্বদা মোর অন্তরে।
পারভেজ মারুফ অনিক দুষ্টর শেরোমনি টংকার রাজা সারা দিনে বিচার আচার আসে পরিবারের কাছে সবিতা হাজার বাড়ন করলেও কথা শুনে না। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি সিকিম পুরে চলে আসে। মাজাহারুল অনিক বাজার হতে বাড়িতে ফিরে সবি তাকে ডাকে কোথাও না দেখতে পেয়ে কিছুটা চিন্তায় পরে যায় কোথায় যেতে পারে? শেফালি বলে দাদা ভাবিতো তার বাবার বাড়ি গেছে।
অনিককে নিয়ে মানুষ দিন রাত এত বিচার দেয় ওকে বললেও শুনে না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল অনিক পেটের খুধায় বেশ কষ্ট পাচ্ছে মা মা বলে ডাকে কোন সারা শব্দ নেই বাবাও নেই সবাই গেলো কোথায়? আমাকে একা রেখে। সন্ধ্যার দিকে আমেনা বেগমের কাছে চুপ করে বসে আছে। কিরে কি হয়েছে দাদী মা বাবা কোথায় গেছে বলতে পারো? নারে ভাই তোর খুধা পেয়েছে না আয় আমি খেতে দিচ্ছি। রাতে রাজন এসে ডাকে কিরে অনিক ঘুমিয়ে পড়েছিস নাকি নাতো চল যাবিনা ঘোষ বাড়িতে কৃত্তন শুনতে গোবিন্দ বিমল মিন্টু সবাই এসেছে। চল যাই বলে সকলে এক সাথে হাঁটছে পথে কানাইদের আম বাগান পড়ে বলে বাবাতো বাড়িতে নেই টাকা পয়সা কিছু নেই কয়টা আম পাড়লে কেমন হয় রাতে খাওয়া যাবে। বিমল বলে ভালো কথা এখন গাছে উঠবে কে? রাজন ও গোবিন্দ গাছের কাছে আসতেই কি যেন ফোঁস করে উঠে। কি সেটা দেখার জন্য সকলে আবার যায় দেখে সাপ বলে চল জান নিয়ে পালাই আম খেতে হবে না। জেরে দৌড় সকলে। শ্যামা ও রতন হাট হতে ফিরছে ওদের এভাবে যেতে দেখে বলে কি হয়েছে ওরা বলে কাকা ওখানে দুটো কালো সাপ আমাদের তারা করছে। পাশেই মন্দির বুঝতে বাকি থাকে না মন্দিরের সাপ তোমরা বাড়ি যাও আমরা দেখছি। যা যা সময় মত দুধ কলা পেয়ে যাবি সাপ দুটো কিছুটা সময় দাড়িয়ে থেকে পরে চলে যায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১৮/০৮/২০২১অপূর্ব