শুভ জন্মদিন হেমাঙ্গ বিশ্বাস।
আজাদী হয়নি আজও তোর,
নব-বন্ধন ও শৃঙ্খলভোর,
দুঃখরাত্রি হয়নি ভোর,
আগে কদমকদম চলো জোর।
শুভ জন্মদিন হেমাঙ্গ বিশ্বাস।
হেমাঙ্গ বিশ্বাসের বাবা ছিলেন একজন ক্ষুদে জমিদার। নাম হরকুমার বিশ্বাস। মায়ের নাম সরোজিনী দেবী। হবিগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করার পর হেমাঙ্গ বিশ্বাস শ্রীহট্ট মুরারিচাঁদ কলেজে ভর্তি হন। এখানে এসে তিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে দীক্ষা নেন। তারপর ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে তাঁর। পরিণামে প্রথম কারাবরণ জোটে তাঁর। এই অবস্থায়ই যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। যাদবপুর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে কারামুক্তি ঘটে তাঁর। পরে আবার তিনি গ্রেফতার হন ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তেলেঙ্গানা বিপ্লব আন্দোলন চলাকালে। ১৯৫১ সালে তিনি মুক্তি পান। তিনি আজন্ম এবং আজীবন একজন আপসহীন শ্রেণিসচেতন প্রগতিযোদ্ধা। যৌবনের শুরুতেই তিনি জমিদারপিতার প্রজাশোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গৃহত্যাগ করেন। জীবনে গণসম্পৃক্তির সূচনা সেই তখন থেকেই। সেই সূত্র ধরেই গণসংগীতচর্চায় হাতে খড়ি। সুরেলা কণ্ঠ ও বিপ্লবী প্রতিভা তাঁকে দিয়েছিল নেতৃত্বের শিরোপা। বাংলা গণসংগীতের জগতে তিনি ছিলেন অবিসংবাদিত গণনায়ক।
নিজের জন্মমাটি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মানুষ চল্লিশের দশকের প্রথম দিকে যখন ম্যালেরিয়ার মহামারিতে উজাড় হতে থাকে, তখন তিনি তাঁর নিজের বাঁধা গান নিয়ে ছুটে গেছেন তাদের পাশে :
বাইন্যাচঙে প্রাণ বিদরায় ম্যালেরিয়া মহামারী
হাজার হাজার নরনারী মরছে অসহায়
শান্তি ভরা সুখের দেহ
শূন্য আজি নাই রে কেহ
মৃত সন্তান বুকে লইয়া কান্দে বাপমায় ॥
১৯৪৭-এর স্বাধীনতাজনিত দেশভাগের ফলে তাঁর স্বভূমি সিলেট তথা পূর্ববঙ্গ পরভূমি হয়ে যায়। এই মর্মবেদনা তাঁকে জীবনভর যন্ত্রণা দিয়েছে। তিনি গান লেখেন, ‘পদ্মা কও কও আমারে।’ এদেশের প্রতিটি প্রগতিশীল গণআন্দোলনে একাত্মতা বোধ করেছেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। বায়ান্নোর ভাষা-আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর স্মরণে লেখেন :
শোনো দেশের ভাই-ভগিনী, শোনো আচানক কাহিনী
কান্দে বাংলা জননী ঢাকা শহরে।
আমরা ভুলিনি ’৬২-এর শিক্ষাআন্দোলনের বা আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলন উপলক্ষে লেখা তাঁর গান। ১৯৮১ সালে হেমাঙ্গ বিশ্বাস তাঁর গানের দল ‘মাস সির্ঙ্গাস্’ নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সে সময় ঢাকায় তাঁকে গণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঢাকা, গাজীপুর ইত্যাদি জায়গায় গান শুনিয়ে বেড়ান তিনি। তখন থেকেই এখানকার বামপন্থী কর্মীদের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস যে অঞ্চলে জন্মেছিলেন ওই অঞ্চলে জন্মাতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস যে কলেজে পড়েছিলেন ওই কলেজের ছাত্র ছিলাম বলে বুকের মধ্য অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করতেছে।
নব-বন্ধন ও শৃঙ্খলভোর,
দুঃখরাত্রি হয়নি ভোর,
আগে কদমকদম চলো জোর।
শুভ জন্মদিন হেমাঙ্গ বিশ্বাস।
হেমাঙ্গ বিশ্বাসের বাবা ছিলেন একজন ক্ষুদে জমিদার। নাম হরকুমার বিশ্বাস। মায়ের নাম সরোজিনী দেবী। হবিগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করার পর হেমাঙ্গ বিশ্বাস শ্রীহট্ট মুরারিচাঁদ কলেজে ভর্তি হন। এখানে এসে তিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে দীক্ষা নেন। তারপর ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে তাঁর। পরিণামে প্রথম কারাবরণ জোটে তাঁর। এই অবস্থায়ই যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। যাদবপুর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে কারামুক্তি ঘটে তাঁর। পরে আবার তিনি গ্রেফতার হন ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তেলেঙ্গানা বিপ্লব আন্দোলন চলাকালে। ১৯৫১ সালে তিনি মুক্তি পান। তিনি আজন্ম এবং আজীবন একজন আপসহীন শ্রেণিসচেতন প্রগতিযোদ্ধা। যৌবনের শুরুতেই তিনি জমিদারপিতার প্রজাশোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গৃহত্যাগ করেন। জীবনে গণসম্পৃক্তির সূচনা সেই তখন থেকেই। সেই সূত্র ধরেই গণসংগীতচর্চায় হাতে খড়ি। সুরেলা কণ্ঠ ও বিপ্লবী প্রতিভা তাঁকে দিয়েছিল নেতৃত্বের শিরোপা। বাংলা গণসংগীতের জগতে তিনি ছিলেন অবিসংবাদিত গণনায়ক।
নিজের জন্মমাটি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মানুষ চল্লিশের দশকের প্রথম দিকে যখন ম্যালেরিয়ার মহামারিতে উজাড় হতে থাকে, তখন তিনি তাঁর নিজের বাঁধা গান নিয়ে ছুটে গেছেন তাদের পাশে :
বাইন্যাচঙে প্রাণ বিদরায় ম্যালেরিয়া মহামারী
হাজার হাজার নরনারী মরছে অসহায়
শান্তি ভরা সুখের দেহ
শূন্য আজি নাই রে কেহ
মৃত সন্তান বুকে লইয়া কান্দে বাপমায় ॥
১৯৪৭-এর স্বাধীনতাজনিত দেশভাগের ফলে তাঁর স্বভূমি সিলেট তথা পূর্ববঙ্গ পরভূমি হয়ে যায়। এই মর্মবেদনা তাঁকে জীবনভর যন্ত্রণা দিয়েছে। তিনি গান লেখেন, ‘পদ্মা কও কও আমারে।’ এদেশের প্রতিটি প্রগতিশীল গণআন্দোলনে একাত্মতা বোধ করেছেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। বায়ান্নোর ভাষা-আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর স্মরণে লেখেন :
শোনো দেশের ভাই-ভগিনী, শোনো আচানক কাহিনী
কান্দে বাংলা জননী ঢাকা শহরে।
আমরা ভুলিনি ’৬২-এর শিক্ষাআন্দোলনের বা আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলন উপলক্ষে লেখা তাঁর গান। ১৯৮১ সালে হেমাঙ্গ বিশ্বাস তাঁর গানের দল ‘মাস সির্ঙ্গাস্’ নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সে সময় ঢাকায় তাঁকে গণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঢাকা, গাজীপুর ইত্যাদি জায়গায় গান শুনিয়ে বেড়ান তিনি। তখন থেকেই এখানকার বামপন্থী কর্মীদের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস যে অঞ্চলে জন্মেছিলেন ওই অঞ্চলে জন্মাতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস যে কলেজে পড়েছিলেন ওই কলেজের ছাত্র ছিলাম বলে বুকের মধ্য অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করতেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইবনে মিজান ০৩/০২/২০১৯ভালো
-
ন্যান্সি দেওয়ান ৩১/১২/২০১৮Nice.
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩০/১২/২০১৮ভালো।
-
শেখ ফারুক হোসেন ২০/১২/২০১৮চমৎকার
-
নাসরীন আক্তার রুবি ২০/১২/২০১৮চমৎকার
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২০/১২/২০১৮Good