ইন্টারনেট আসক্তি
ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে। যখন আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেই আনন্দিত থাকতে পারেন, তখন কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে বা মোবাইলে সময় নষ্ট করছেন? এই নিবন্ধনটি আপনাকে ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করবে বলেই বিশ্বাস।
এক ।। যখনই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন : একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করুন। এমনটি বলবেন না যে, আজকে আমি কেবল ১ ঘণ্টা ইন্টারনেটে কাটাব। তারপর একটানা ৪-৫ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে মনে মনে বলবেন, আমি আজকে মোটামুটি ভালো করেছি। প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ১ ঘণ্টা যথেষ্ট, খুব প্রয়োজনে ২ ঘণ্টা ব্যবহার করা যেতে পারে। মনে রাখবেন, এই বিষয়ে সতর্ক না হলে আবারও ইন্টারনেট আসক্তিতে পড়তে পারেন।
দুই ।। যদি ঘড়ি আপনাকে সময়ের মাঝে বেঁধে রাখতে না পারে : তবে একটি Parental control সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারেন, কিছু সফটওয়্যার সময় বেঁধে দেয়া (time lock) সমর্থন করে। আপনার বাসার অন্য কাউকে পাসওয়ার্ডটি সেট করতে বলুন যাতে করে শুধু জরুরি ক্ষেত্রেই আপনি এটিকে আনলক করতে পারেন, যখন ইচ্ছা তখন নয়।
তিন ।। অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্টগুলো মুছে ফেলুন : কতগুলো এমন ওয়েবসাইট আছে যাতে আপনার অ্যাকাউন্ট রাখার কোনো দরকারই নেই? ফেসবুক, মাইস্পেস, টুইটার, ইউটিউব কখনও কখনও ফেসবুক বা টুইটার অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হতে পারে এমন বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে যারা আমাদের কাছে নেই। তবে ইউটিউব, মাইস্পেস, গুগল প্লাস ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট কেবল সময়ের অপচয়ই নয় বরং আসক্তিকরও বটে। এই অ্যাকাউন্ট গুলোতে অনেক আলাপ হয়ে থাকে অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে। তারপরও যদি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে না চান তবে পেজগুলো ব্লক করে দিন।
চার ।। আপনার পেজগুলোও মুছে ফেলুন : শুধু সেই পেজগুলোই রাখুন যা আপনার কাজের জন্য দরকার। যদি ইউটিউব বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট এগুলোর জন্য নিতান্তই প্রয়োজনীয় না হয় তবে মুছে ফেলতে দ্বিধা বোধ করবেন না।
পাঁচ ।। অনলাইন কাজ ছাড়া অনেকগুলো অফলাইন কাজ রাখতে ভুলবেন না : আপনি যাতে আনন্দ পান এমন অনেক কাজ করুন। যদি আপনার কোনো শখ না থাকে তাহলে আজই খুঁজতে শুরু করুন। এছাড়া অন্যকে সাহায্য করা বা সমস্যার সমাধান দেয়া একটা অন্যতম উপায়। এটা আপনার মানসিক ও শারীরিক উভয় দিকের খেয়াল রাখে।
ছয় ।। অনলাইন বা অফলাইনে থাকা সম্পর্কে সচেতন থাকুন : আপনি কি বুঝতে পারেন না যে কখন আপনি অতিরিক্ত অনলাইনে সময় কাটাচ্ছেন? যদি তাই হয়, আপনার সমস্যা আছে!
সাত ।। আপনি জানেন যে ইন্টারনেট আসক্তি আপনার বাস্তবিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে : আপনাকে আপনার জীবনযাপন করতে হবে পুরোপুরিভাবে, কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে থেকে নয়। বিশ্বাস করতে পারেন যে প্রতিদিন ১,০০০,০০০,০০০ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তথ্যটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। আর গবেষক এবং ডাক্তাররা দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রতিদিন মানুষ এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
আট ।। তাই ইন্টারনেটকে আপনার জীবনে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া বন্ধ করুন : এমন নয় যে আপনি পুরোপুরিভাবে একে ত্যাগ করবেন বা আর কোনোদিন ব্যবহার করবেন না, আপনাকে শুধু দেখতে হবে সঠিক সময়টি। জীবনের পূর্ণতাকে অনুভব করুন। বাইরে যান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন, আশপাশে ঘুরতে যান এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপভোগ করুন। যা আপনার দৈহিক ও মানসিক উভয় দিক দিয়ে সাহায্য করবে।
নয় ।। আপনি এখন তৈরি! আপনার নিত্যদিনের কাজ করুন সতেজতার সঙ্গে। তবে অবশ্যই ইলেকট্রনিক ডিভাইস তথা ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকবেন।
এক ।। যখনই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন : একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করুন। এমনটি বলবেন না যে, আজকে আমি কেবল ১ ঘণ্টা ইন্টারনেটে কাটাব। তারপর একটানা ৪-৫ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে মনে মনে বলবেন, আমি আজকে মোটামুটি ভালো করেছি। প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ১ ঘণ্টা যথেষ্ট, খুব প্রয়োজনে ২ ঘণ্টা ব্যবহার করা যেতে পারে। মনে রাখবেন, এই বিষয়ে সতর্ক না হলে আবারও ইন্টারনেট আসক্তিতে পড়তে পারেন।
দুই ।। যদি ঘড়ি আপনাকে সময়ের মাঝে বেঁধে রাখতে না পারে : তবে একটি Parental control সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারেন, কিছু সফটওয়্যার সময় বেঁধে দেয়া (time lock) সমর্থন করে। আপনার বাসার অন্য কাউকে পাসওয়ার্ডটি সেট করতে বলুন যাতে করে শুধু জরুরি ক্ষেত্রেই আপনি এটিকে আনলক করতে পারেন, যখন ইচ্ছা তখন নয়।
তিন ।। অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্টগুলো মুছে ফেলুন : কতগুলো এমন ওয়েবসাইট আছে যাতে আপনার অ্যাকাউন্ট রাখার কোনো দরকারই নেই? ফেসবুক, মাইস্পেস, টুইটার, ইউটিউব কখনও কখনও ফেসবুক বা টুইটার অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হতে পারে এমন বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে যারা আমাদের কাছে নেই। তবে ইউটিউব, মাইস্পেস, গুগল প্লাস ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট কেবল সময়ের অপচয়ই নয় বরং আসক্তিকরও বটে। এই অ্যাকাউন্ট গুলোতে অনেক আলাপ হয়ে থাকে অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে। তারপরও যদি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে না চান তবে পেজগুলো ব্লক করে দিন।
চার ।। আপনার পেজগুলোও মুছে ফেলুন : শুধু সেই পেজগুলোই রাখুন যা আপনার কাজের জন্য দরকার। যদি ইউটিউব বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট এগুলোর জন্য নিতান্তই প্রয়োজনীয় না হয় তবে মুছে ফেলতে দ্বিধা বোধ করবেন না।
পাঁচ ।। অনলাইন কাজ ছাড়া অনেকগুলো অফলাইন কাজ রাখতে ভুলবেন না : আপনি যাতে আনন্দ পান এমন অনেক কাজ করুন। যদি আপনার কোনো শখ না থাকে তাহলে আজই খুঁজতে শুরু করুন। এছাড়া অন্যকে সাহায্য করা বা সমস্যার সমাধান দেয়া একটা অন্যতম উপায়। এটা আপনার মানসিক ও শারীরিক উভয় দিকের খেয়াল রাখে।
ছয় ।। অনলাইন বা অফলাইনে থাকা সম্পর্কে সচেতন থাকুন : আপনি কি বুঝতে পারেন না যে কখন আপনি অতিরিক্ত অনলাইনে সময় কাটাচ্ছেন? যদি তাই হয়, আপনার সমস্যা আছে!
সাত ।। আপনি জানেন যে ইন্টারনেট আসক্তি আপনার বাস্তবিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে : আপনাকে আপনার জীবনযাপন করতে হবে পুরোপুরিভাবে, কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে থেকে নয়। বিশ্বাস করতে পারেন যে প্রতিদিন ১,০০০,০০০,০০০ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তথ্যটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। আর গবেষক এবং ডাক্তাররা দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রতিদিন মানুষ এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
আট ।। তাই ইন্টারনেটকে আপনার জীবনে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া বন্ধ করুন : এমন নয় যে আপনি পুরোপুরিভাবে একে ত্যাগ করবেন বা আর কোনোদিন ব্যবহার করবেন না, আপনাকে শুধু দেখতে হবে সঠিক সময়টি। জীবনের পূর্ণতাকে অনুভব করুন। বাইরে যান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন, আশপাশে ঘুরতে যান এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপভোগ করুন। যা আপনার দৈহিক ও মানসিক উভয় দিক দিয়ে সাহায্য করবে।
নয় ।। আপনি এখন তৈরি! আপনার নিত্যদিনের কাজ করুন সতেজতার সঙ্গে। তবে অবশ্যই ইলেকট্রনিক ডিভাইস তথা ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইবনে মিজান ২৮/০৭/২০১৮আপনি কত ঘন্টা সময় নেটে ব্যয় করেন?
-
শান্ত চৌধুরী ২৬/০৭/২০১৮সমসাময়িক লিখার জন্য ধন্যহাদ
-
সুশান্ত সরকার ২৬/০৭/২০১৮অনেক সুন্দর পরামর্শমূলক লেখা।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৫/০৭/২০১৮দারুণ ....
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৩/০৭/২০১৮অনেক উপকারী।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৩/০৭/২০১৮না চাইলেও পাঁচ ছয় ঘন্টা সময় ব্যয় হয়।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২২/০৭/২০১৮ভাল লাগল।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/০৭/২০১৮সবকিছুই পরিমাণমতো ভালো।