সন্তান দিবস l Child Day
সমাজের প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। এ সম্পর্কের ভিত কোন কোন ক্ষেত্রে মজবুত আবার কোন কোন ক্ষেত্রে অতি দূর্বলও। অন্য সকলের সাথে যেমনই হোক না কেন, পিতা-মাতা ও সন্তানের মাঝে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ দূর্বলতা মেনে নেয়া কঠিন। তা হলেও এই বাস্তবতাকেই মেনে নিতে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমাজকে। সন্তান বাবা-মায়ের কাছ থেকে ছিন্ন হয়ে পড়ে। কখনো কখনো হয়ে পড়ে অচেনাও। বাধ্য হয়ে শেষ বয়সে তাদের বরণ করতে হয় একাকিত্ব! অচেনা হওয়ার বিষয়টি একটু সরিয়ে রাখলেও বাদ-বাকি চিত্র পৃথিবীর সকল সমাজের কম-বেশি পরিলক্ষিত হয়।
মাতৃ আঁচলতো স্নেহে ভরপুর আর পিতৃ-শাসনতো সোহাগ ভরা। তবু কেন সন্তানের সাথে সম্পর্কের এই অবনতি? হয়তো অতি পিতৃ-শাসন কিংবা অপরিমিত মাতৃস্নেহ। হয়তো এর বিপরীত। হয়তো সন্তানের সঙ্গদোষ, বয়স এবং বুদ্ধির অপরিপক্কতা। হয়তো বাবা-মায়ের অসচেতনতার ফলে সন্তানের বিপথগামী হয়ে যাওয়া; যার ফলে বাবা-মায়ের পক্ষ থেকেই সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি করা। কারণ যাই হোক না কেন, বাবা- মা ও সন্তানের মাঝে সম্পর্কের এই অবনতি সুন্দর মনের মানুষের কিছুতেই কাম্য নয়। যেহেতু বাবা-মায়ের স্নেহশীলতা আর ঔদার্য অসীম, সেহেতু তাদেরকেই প্রথমে এগিয়ে এসে সম্পর্কের দূরত্বের দেয়ালে আঘাত হানা বাঞ্ছনীয়।
উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বশ্যতা স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু শান্ত-কোমল ভাষাকে তারা শ্রদ্ধা করে। তাই তাদের মেধা, চাল-চলন সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য চাই বয়স ভেদে তেমন ভাষা ও আচরণ যা তাদের মেধা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এক কথায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের মানসিক উন্নতি বিধানে সহায়তা করা।
টানাপড়েন নয়, সন্তানের (সকল বয়সের) সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক হওয়া উচিত হেমন্তের স্নিগ্ধ-কোমল পরিবেশের ন্যায়, যে সম্পর্কের ফলে সকলের মন ভরে থাকবে শিশির ভেজা হেমন্তের শুভ্রতায়। আর এ বিষয়ে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলার ষড়ঋতু হেমন্তের মধ্যবর্তী তারিখ পহেলা অগ্রহায়নকে বেছে নেয়া হয়, যা ইংরেজি হিসেবে (২০০৫ সাল) ১৫ নভেম্বর। এই ১৫ নভেম্বর তারিখকে "সন্তান দিবস" (চাইল্ড ডে) হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব রেখে ২২ জুন ২০০৫ তারিখে দৈনিক ঢাকা ও মাসিক সত্য প্রবাহ পত্রিকার জুলাই ২০০৫ সংখ্যায় আমিনুল ইসলাম মামুনের লেখা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। অতঃপর বিভিন্ন মহলের ইতিবাচক সাড়া পেয়ে দিবসটি প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে চলা।
উদ্দেশ্যেঃ
সন্তানের (সকল বয়সের) প্রতি বাবা-মায়ের অধিক সচেতন হয়ে যথাযথ স্নেহের মাধ্যমে তাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য তাদের সাথে অধিকতর সুসম্পর্ক অর্থাৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই "সন্তান দিবস" বা "চাইল্ড ডে"।
যোগাযোগঃ
নতুন চাঁদের আলো
(একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন)
১০২৫/৪, মেরাজ নগর, শ্যামপুর
ঢাকা-১৩৬২
চলনালাপনীঃ ০১৭১২৭০১৬২৩
E-mail: [email protected]
মাতৃ আঁচলতো স্নেহে ভরপুর আর পিতৃ-শাসনতো সোহাগ ভরা। তবু কেন সন্তানের সাথে সম্পর্কের এই অবনতি? হয়তো অতি পিতৃ-শাসন কিংবা অপরিমিত মাতৃস্নেহ। হয়তো এর বিপরীত। হয়তো সন্তানের সঙ্গদোষ, বয়স এবং বুদ্ধির অপরিপক্কতা। হয়তো বাবা-মায়ের অসচেতনতার ফলে সন্তানের বিপথগামী হয়ে যাওয়া; যার ফলে বাবা-মায়ের পক্ষ থেকেই সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি করা। কারণ যাই হোক না কেন, বাবা- মা ও সন্তানের মাঝে সম্পর্কের এই অবনতি সুন্দর মনের মানুষের কিছুতেই কাম্য নয়। যেহেতু বাবা-মায়ের স্নেহশীলতা আর ঔদার্য অসীম, সেহেতু তাদেরকেই প্রথমে এগিয়ে এসে সম্পর্কের দূরত্বের দেয়ালে আঘাত হানা বাঞ্ছনীয়।
উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বশ্যতা স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু শান্ত-কোমল ভাষাকে তারা শ্রদ্ধা করে। তাই তাদের মেধা, চাল-চলন সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য চাই বয়স ভেদে তেমন ভাষা ও আচরণ যা তাদের মেধা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এক কথায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের মানসিক উন্নতি বিধানে সহায়তা করা।
টানাপড়েন নয়, সন্তানের (সকল বয়সের) সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক হওয়া উচিত হেমন্তের স্নিগ্ধ-কোমল পরিবেশের ন্যায়, যে সম্পর্কের ফলে সকলের মন ভরে থাকবে শিশির ভেজা হেমন্তের শুভ্রতায়। আর এ বিষয়ে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলার ষড়ঋতু হেমন্তের মধ্যবর্তী তারিখ পহেলা অগ্রহায়নকে বেছে নেয়া হয়, যা ইংরেজি হিসেবে (২০০৫ সাল) ১৫ নভেম্বর। এই ১৫ নভেম্বর তারিখকে "সন্তান দিবস" (চাইল্ড ডে) হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব রেখে ২২ জুন ২০০৫ তারিখে দৈনিক ঢাকা ও মাসিক সত্য প্রবাহ পত্রিকার জুলাই ২০০৫ সংখ্যায় আমিনুল ইসলাম মামুনের লেখা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। অতঃপর বিভিন্ন মহলের ইতিবাচক সাড়া পেয়ে দিবসটি প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে চলা।
উদ্দেশ্যেঃ
সন্তানের (সকল বয়সের) প্রতি বাবা-মায়ের অধিক সচেতন হয়ে যথাযথ স্নেহের মাধ্যমে তাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য তাদের সাথে অধিকতর সুসম্পর্ক অর্থাৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই "সন্তান দিবস" বা "চাইল্ড ডে"।
যোগাযোগঃ
নতুন চাঁদের আলো
(একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন)
১০২৫/৪, মেরাজ নগর, শ্যামপুর
ঢাকা-১৩৬২
চলনালাপনীঃ ০১৭১২৭০১৬২৩
E-mail: [email protected]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৭/০২/২০১৫সুন্দর সচেতন ময়লক লেখা। ভালো বাসা রইলো।
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ১৫/১১/২০১৩good Idea
-
Înšigniã Āvî ১৫/১১/২০১৩খুব ভাল লিখেছেন
-
রাশেদ আহমেদ শাওন ১৫/১১/২০১৩এতো দিবস পালন করে কি হবে?
যথার্থ শিক্ষা দরকার সন্তানদের