বিকাশে প্রতারণা ।। যা দেখে চলেছি
(সিজন-৩ । পর্ব-১)
কেস-এক || কোম্পানির সাথে লেনদেন করা বিটুবি নাম্বার ক্লোন করে সে নাম্বার ব্যবহার করে কল করা হয়েছে বিকাশের এজেন্ট পয়েন্টে।
- হ্যালো।
- হ্যালো।
- ঢাকা হেড অফিস থেকে কল করছে?
- না।
- ওকে, কল করবে। কোন তথ্য চাইলে তথ্য দিয়েন।
- আচ্ছা। বলেই ফোন রেখে দিল।
দুই মিনিটের মধ্যেই সেই কাঙ্ক্ষিত কল এলো।
বিকাশের এজেন্ট নিয়ে অন্য কাজের পাশাপাশি বিকাশে ব্যবসা পরিচালনা করছেন আবিদ সাহেব।
- আমি বিকাশের হেড অফিস থেকে বলছি। আপনাদের এস আর আসছে আজ?
- না।
- নিয়মিত আসে না?
- আসে।
- কখন আসে?
- দুপুরের দিকে।
- আপনাদের এরিয়া ম্যানেজার, এস আর বা অফিস থেকে কিছু বলছে যে আমি কল করবো?
- হ্যাঁ।
- কোন তথ্য গোপন করবেন না।
- ওকে।
- আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে আপনারা চাইলেও বিকাশ এজেন্ট থেকে এজেন্টে টাকা লেনদেন করতে পারেন না। এজেন্ট থেকে এজেন্টে যদি লেনদেন করতে পারেন তবে কেমন হবে?
- ভালই হয়।
- সেজন্য আমরা ফোন করে নতুন অপশন যোগ করে দিচ্ছি।
তারপর বিভিন্ন তথ্য নিয়ে এবং বিকাশ এজেন্টদের কিছু কমন ভুলের শাস্তি ইত্যাদি দেখিয়ে আবিদের ব্যক্তিগত নাম্বারে কল করে বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলে। এভাবে আবিদকে বোকা বানিয়ে প্রায় ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। আবিদ যতক্ষণে ব্যাপারটি বুঝতে পারে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আবিদ এরকম ভুল করতে পারে নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না! যে শুনছে সেই বলছে এটা কি করে সম্ভব! আবিদকে কি করে বোকা বানালো!
কেস-দুই || জহির ভাই, একটা মেসেজ এসে অটোমেটিক টাকা চলে গেছে। কি ভূতুড়ে কান্ড! যে নাম্বারে গেছে সে নাম্বারটিও বন্ধ। এ টাকা ফেরত পাবার কোন উপায় আছে?
- কি মেসেজ দিয়ে টাকা কাটলো?
আমি মেসেজটি দেখলাম। সেন্ড মানি করা হয়েছে রাত বারোটার দিকে। মেসেজ ভালো করে চেক করলাম, হ্যাঁ। এপস দিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। তাকে বললাম, এর আগে টাকা ক্যাশ করছে কই থেকে? সে যা জানালো তা হলো, স্থানীয় বাজার থেকে একদিন আগে একটি এজেন্ট পয়েন্ট থেকে টাকা তুলছে। আর সে সময় এজেন্ট পয়েন্টের লোকটি তার মোবাইলের এপসে বিকাশ নম্বরটি এড করে নিয়েছিল ক্যাশ আউটের পূর্বে।
কেস-তিন || - ভাই, আমিতো একটা বোকামি করে ফেলছি। বিকাশে প্রতারণার শিকার হলাম। বসে ছিলাম কর্মস্থলে। গ্যাজুয়েট সম্পন্ন করা বন্ধুর মত এক বড় ভাই এসে এ কথাগুলো বললেন।
জানতে চাইলাম কি হয়েছে? তিনি সংক্ষেপে যা বললেন তার মমার্থ হলো- সকাল বেলা ঢাকা থেকে তার এক ফ্রেণ্ড একটা কাজে তাকে কিছু টাকা বিকাশ করেছেন। টাকাটা ঠিক ভাবেই এসেছে। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে বিকেলে। একটা নাম্বার থেকে ফোন করে বলেছে সকালে সে ডাবল টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনি যেন একটু ব্যালেন্স চেক করে দেখেন আসছে কিনা। কথা মতো বন্ধুটি তার বিকাশ একাউন্ট চেক করে দেখেন দ্বিতীয়বার টাকাটি আসেনি। ওই লোকটি আবার ফোন করে এবং টাকা আসছে কিনা জানতে চায় এবং কৌশলে সরলমনা বন্ধু থেকে ব্যালেন্স জেনে নেয়। তারপর বলে এরি মধ্যে কোন টাকা আসলে যেন তাকে একটু জানায়।
ফোন কেটে লোকটি একটি বিকাশের মেসেজ এডিট করে পাঠিয়ে দেয় এবং আবার ফোন করে। বন্ধুটি দেখে একটা মেসেজ আসছে এবং নতুন টাকা এবং আগের টাকা সহ ব্যালেন্স যোগ হয়েছে। কিন্তু তিনি ব্যালেন্স চেক না করে সরল মনে টাকাটা পাঠিয়ে দেন। পাঠানোর পরেই নিজের ভুলটি বুঝতে পারেন। কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না।
এছাড়াও প্রতারকরা নানা উপায়ে নানা কৌশলে সরলমনা মানুষদের কথার জালে ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা পয়সা, যা পত্রিকা মারফত বা অন্যকোন ভাবে প্রায় সবাই কম বেশি জানে। কিন্তু তবুও কেন প্রতারিত হচ্ছে মানুষ? আসলে এড়ানো সম্ভব এ প্রতারণা?
অনেকাংশেই সম্ভব কিছু সিম্পল ব্যপার অনুসরণ করেই। আসুন জেনে নিই।
★ মোবাইলে কথা বা নির্দেশনা শুনে কোন প্রদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
★ হেড অফিসের নাম দিয়ে ফোন কলে সংখ্যা টিপতে বললে টিপবেন না। মুলত হেড অফিস থেকে আপনাকে জীবনও কল করবে না।
★ লটারি জিতেছেন বলে কেউ টাকা চাইলে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
★ আপনার টাকা দ্বিগুণ তিনগুণ করে দেওয়ার লোভে পড়বেন না।
★ কারো সাথে পিন নাম্বার শেয়ার করবেন না।
★ ফোনে কাউকে ব্যালেন্স বলবেন না।
★ কোন টাকার মেসেজ আসলে মিলিয়ে নিন-
* প্রেরকঃ অনেক সময় bkesh বা অন্য কোন নাম ব্যবহার করে মেসেজ করে থাকে।
* তারিখ ও সময় মিলিয়ে নিন।
* টাকার পরিমান ও আপনার ব্যালেন্স মিলিয়ে নিন।
* ব্যালেন্স চেক করুন।
* পূর্বের ব্যালেন্স এবং বর্তমান ব্যালেন্স মিলিয়ে নিন।
★ আপনি ক্যাশ আউট করতে গেলে কেউ যদি তার মোবাইলের এপস ব্যবহার করে টাকা নেয় তবে যত দ্রুত সম্ভব পিন চেঞ্জ করুন। নয়তো ভূত আপনার ব্যালেন্স খেয়ে ফেলবে।
★ সন্দেহজনক কোন লেনদেন করবেন না।
★ প্রয়োজনে বিকাশের হেল্প নাম্বারে কল করুন।
কেস-এক || কোম্পানির সাথে লেনদেন করা বিটুবি নাম্বার ক্লোন করে সে নাম্বার ব্যবহার করে কল করা হয়েছে বিকাশের এজেন্ট পয়েন্টে।
- হ্যালো।
- হ্যালো।
- ঢাকা হেড অফিস থেকে কল করছে?
- না।
- ওকে, কল করবে। কোন তথ্য চাইলে তথ্য দিয়েন।
- আচ্ছা। বলেই ফোন রেখে দিল।
দুই মিনিটের মধ্যেই সেই কাঙ্ক্ষিত কল এলো।
বিকাশের এজেন্ট নিয়ে অন্য কাজের পাশাপাশি বিকাশে ব্যবসা পরিচালনা করছেন আবিদ সাহেব।
- আমি বিকাশের হেড অফিস থেকে বলছি। আপনাদের এস আর আসছে আজ?
- না।
- নিয়মিত আসে না?
- আসে।
- কখন আসে?
- দুপুরের দিকে।
- আপনাদের এরিয়া ম্যানেজার, এস আর বা অফিস থেকে কিছু বলছে যে আমি কল করবো?
- হ্যাঁ।
- কোন তথ্য গোপন করবেন না।
- ওকে।
- আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে আপনারা চাইলেও বিকাশ এজেন্ট থেকে এজেন্টে টাকা লেনদেন করতে পারেন না। এজেন্ট থেকে এজেন্টে যদি লেনদেন করতে পারেন তবে কেমন হবে?
- ভালই হয়।
- সেজন্য আমরা ফোন করে নতুন অপশন যোগ করে দিচ্ছি।
তারপর বিভিন্ন তথ্য নিয়ে এবং বিকাশ এজেন্টদের কিছু কমন ভুলের শাস্তি ইত্যাদি দেখিয়ে আবিদের ব্যক্তিগত নাম্বারে কল করে বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলে। এভাবে আবিদকে বোকা বানিয়ে প্রায় ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। আবিদ যতক্ষণে ব্যাপারটি বুঝতে পারে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আবিদ এরকম ভুল করতে পারে নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না! যে শুনছে সেই বলছে এটা কি করে সম্ভব! আবিদকে কি করে বোকা বানালো!
কেস-দুই || জহির ভাই, একটা মেসেজ এসে অটোমেটিক টাকা চলে গেছে। কি ভূতুড়ে কান্ড! যে নাম্বারে গেছে সে নাম্বারটিও বন্ধ। এ টাকা ফেরত পাবার কোন উপায় আছে?
- কি মেসেজ দিয়ে টাকা কাটলো?
আমি মেসেজটি দেখলাম। সেন্ড মানি করা হয়েছে রাত বারোটার দিকে। মেসেজ ভালো করে চেক করলাম, হ্যাঁ। এপস দিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। তাকে বললাম, এর আগে টাকা ক্যাশ করছে কই থেকে? সে যা জানালো তা হলো, স্থানীয় বাজার থেকে একদিন আগে একটি এজেন্ট পয়েন্ট থেকে টাকা তুলছে। আর সে সময় এজেন্ট পয়েন্টের লোকটি তার মোবাইলের এপসে বিকাশ নম্বরটি এড করে নিয়েছিল ক্যাশ আউটের পূর্বে।
কেস-তিন || - ভাই, আমিতো একটা বোকামি করে ফেলছি। বিকাশে প্রতারণার শিকার হলাম। বসে ছিলাম কর্মস্থলে। গ্যাজুয়েট সম্পন্ন করা বন্ধুর মত এক বড় ভাই এসে এ কথাগুলো বললেন।
জানতে চাইলাম কি হয়েছে? তিনি সংক্ষেপে যা বললেন তার মমার্থ হলো- সকাল বেলা ঢাকা থেকে তার এক ফ্রেণ্ড একটা কাজে তাকে কিছু টাকা বিকাশ করেছেন। টাকাটা ঠিক ভাবেই এসেছে। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে বিকেলে। একটা নাম্বার থেকে ফোন করে বলেছে সকালে সে ডাবল টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনি যেন একটু ব্যালেন্স চেক করে দেখেন আসছে কিনা। কথা মতো বন্ধুটি তার বিকাশ একাউন্ট চেক করে দেখেন দ্বিতীয়বার টাকাটি আসেনি। ওই লোকটি আবার ফোন করে এবং টাকা আসছে কিনা জানতে চায় এবং কৌশলে সরলমনা বন্ধু থেকে ব্যালেন্স জেনে নেয়। তারপর বলে এরি মধ্যে কোন টাকা আসলে যেন তাকে একটু জানায়।
ফোন কেটে লোকটি একটি বিকাশের মেসেজ এডিট করে পাঠিয়ে দেয় এবং আবার ফোন করে। বন্ধুটি দেখে একটা মেসেজ আসছে এবং নতুন টাকা এবং আগের টাকা সহ ব্যালেন্স যোগ হয়েছে। কিন্তু তিনি ব্যালেন্স চেক না করে সরল মনে টাকাটা পাঠিয়ে দেন। পাঠানোর পরেই নিজের ভুলটি বুঝতে পারেন। কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না।
এছাড়াও প্রতারকরা নানা উপায়ে নানা কৌশলে সরলমনা মানুষদের কথার জালে ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা পয়সা, যা পত্রিকা মারফত বা অন্যকোন ভাবে প্রায় সবাই কম বেশি জানে। কিন্তু তবুও কেন প্রতারিত হচ্ছে মানুষ? আসলে এড়ানো সম্ভব এ প্রতারণা?
অনেকাংশেই সম্ভব কিছু সিম্পল ব্যপার অনুসরণ করেই। আসুন জেনে নিই।
★ মোবাইলে কথা বা নির্দেশনা শুনে কোন প্রদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
★ হেড অফিসের নাম দিয়ে ফোন কলে সংখ্যা টিপতে বললে টিপবেন না। মুলত হেড অফিস থেকে আপনাকে জীবনও কল করবে না।
★ লটারি জিতেছেন বলে কেউ টাকা চাইলে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
★ আপনার টাকা দ্বিগুণ তিনগুণ করে দেওয়ার লোভে পড়বেন না।
★ কারো সাথে পিন নাম্বার শেয়ার করবেন না।
★ ফোনে কাউকে ব্যালেন্স বলবেন না।
★ কোন টাকার মেসেজ আসলে মিলিয়ে নিন-
* প্রেরকঃ অনেক সময় bkesh বা অন্য কোন নাম ব্যবহার করে মেসেজ করে থাকে।
* তারিখ ও সময় মিলিয়ে নিন।
* টাকার পরিমান ও আপনার ব্যালেন্স মিলিয়ে নিন।
* ব্যালেন্স চেক করুন।
* পূর্বের ব্যালেন্স এবং বর্তমান ব্যালেন্স মিলিয়ে নিন।
★ আপনি ক্যাশ আউট করতে গেলে কেউ যদি তার মোবাইলের এপস ব্যবহার করে টাকা নেয় তবে যত দ্রুত সম্ভব পিন চেঞ্জ করুন। নয়তো ভূত আপনার ব্যালেন্স খেয়ে ফেলবে।
★ সন্দেহজনক কোন লেনদেন করবেন না।
★ প্রয়োজনে বিকাশের হেল্প নাম্বারে কল করুন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২২/০৯/২০১৮
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১১/০৯/২০১৮সচেতন হওয়ার দারুণ টিপস॥
ভাল লাগলো। ধন্যবাদ। -
মো: শরীফ হোসেন ১০/০৯/২০১৮ঠিক তাই
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১০/০৯/২০১৮হু, সবখানে আজ প্রতারণা।
রু
ণ!