পুলিশ জনগণের বন্ধু (অভিজ্ঞতা থেকে)
বেশ কিছুদিন ব্যস্ততা শেষ করে আজ একটু ফ্রি হয়ে চলে এলাম ব্লগ বাড়িতে। নিজের সন্তানতুল্য প্রিয় ‘মাসিক কিশোর সাহিত্য’ পত্রিকাটির মার্চ সংখ্যার সম্পাদনা করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও সামাজিক কার্যক্রমের ব্যস্ততা আর অসুস্ততার মাঝেই কাটিয়েছি। পত্রিকাটিও পৌঁছে গেছে তার ফ্যানদের হাতে। নিজের মাঝে কিছুটা প্রশান্তি পাচ্ছি। আবার কষ্টও লাগছে কিছু ব্যাপারে। সেগুলোই শেয়ার করি- যেহেতু ব্লগ শেয়ার করার জায়গা।
নিঃস্বার্থ মানব সেবায় কয়েকজন তরুণ উদ্যামী কিশোর-যুবকদের সমন্বয়ে আমরা গড়ে তুলেছিলাম ‘রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম’ নামে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন। ফোরামটি সাধ্যমত সামাজিক পরিবর্তন ও আত্মমানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছে। কিন্তু এই ফোরামের স্বেচ্ছাসেবিদের হয়রানী করা হচ্ছে বার বার। আমার প্রিয় ভাই, বন্ধু (উনি টম-আমি জেরি) আমার সিনিয়র সহ সভাপতিকে আটক করেছে পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে। সকালে তার ছোট বোনের পতিকে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে বিনা অপরাধে সন্দেহজনক তুলে আনে যৌথ বাহিনী। দুপুরে তাকে দেখতে ও খাবার নিয়ে ছোট বোনের দেবর ও বন্ধুটি থানায় যায়। কিন্তু পুলিশ সেখানে তাদের আটকে রাখে। এই খবরটি শোনামাত্র বুকের বামপাশটায় একটা কামড় দেয়। চোখ দু’টি ছল ছল করে উঠে। কি করা যায় ভাবতে ভাবতে নানা ভাবে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে জরুরী আইনে জেলে পাঠায় প্রশাসন। ভাবতেই কষ্ট হয় এরা জনগণের বন্ধু! আমার বন্ধুটির জন্য দোয়া করবেন।
এর আগেও কয়েকবার গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে মানসিক হয়রানী হতে হয় অরাজনৈতিক ফোরামটির সভাপতি হিসেবে আমাকে, গত সেশনের অর্থ সম্পাদক ও বর্তমান নির্বাচিত সেক্রেটারিকে। যারা সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে যায়, কুলুষিত সমাজকে পরিবর্তন করেতে যায়, নিঃস্বার্থ মানব সেবা করতে যায় তারাই বিপদে পড়তে হয়। হয়তো এতেও রাজনীতিবিদদের হাত থাকতে পারে। তাদের এমন ধারণা হওয়াটা হয়তো অযৌক্তিক হবে না, এই তরুণ-যুবকরা যদি সংঘবদ্ধ হয়ে কোন সামাজিক আন্দোলন করে বা উদ্যোগ গ্রহণ করে তবে তাদের পক্ষে সেটা বাস্তবায়ন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে, (কথিত) রাজনীতিবিদরা জনগণের সামনে ‘উন্নয়ন করবে’ মর্মে মূলা ঝুলাতে পারবে না- যাতে ভোট নিজের দিকে নেওয়া যায়।
আমি তাদেরকে একটা কথাই বলবো- “তরুণ-যুবকরা হচ্ছে একটি শক্তি। এরা চাইলে যে কোন বিপ্লব সাধন করে ফেলতে পারে তাদের অদম্য ইচ্ছে, সাহসের জোরে। তাদের রয়েছে তারুণ্যের শক্তি, যে শক্তির কাছে মাথা নত করবে সবাই।”
“মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম একবার দোয়া করেছিলেন, আল্লাহ! ইসলামের জন্য আবু জেহেল বা উমরকে কবুল করে ইসলামের শক্তিকে বাড়িয়ে দিন। সে সময় আল্লাহ বৃদ্ধ আবু জেহেলকে কবুল না করে যুবক উমর রাদিয়াল্লাহু অ-তায়ালাকে কবুল করেছেন ইসলামের খেদমতের জন্য।”
নিঃস্বার্থ মানব সেবায় কয়েকজন তরুণ উদ্যামী কিশোর-যুবকদের সমন্বয়ে আমরা গড়ে তুলেছিলাম ‘রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম’ নামে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন। ফোরামটি সাধ্যমত সামাজিক পরিবর্তন ও আত্মমানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছে। কিন্তু এই ফোরামের স্বেচ্ছাসেবিদের হয়রানী করা হচ্ছে বার বার। আমার প্রিয় ভাই, বন্ধু (উনি টম-আমি জেরি) আমার সিনিয়র সহ সভাপতিকে আটক করেছে পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে। সকালে তার ছোট বোনের পতিকে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে বিনা অপরাধে সন্দেহজনক তুলে আনে যৌথ বাহিনী। দুপুরে তাকে দেখতে ও খাবার নিয়ে ছোট বোনের দেবর ও বন্ধুটি থানায় যায়। কিন্তু পুলিশ সেখানে তাদের আটকে রাখে। এই খবরটি শোনামাত্র বুকের বামপাশটায় একটা কামড় দেয়। চোখ দু’টি ছল ছল করে উঠে। কি করা যায় ভাবতে ভাবতে নানা ভাবে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে জরুরী আইনে জেলে পাঠায় প্রশাসন। ভাবতেই কষ্ট হয় এরা জনগণের বন্ধু! আমার বন্ধুটির জন্য দোয়া করবেন।
এর আগেও কয়েকবার গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে মানসিক হয়রানী হতে হয় অরাজনৈতিক ফোরামটির সভাপতি হিসেবে আমাকে, গত সেশনের অর্থ সম্পাদক ও বর্তমান নির্বাচিত সেক্রেটারিকে। যারা সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে যায়, কুলুষিত সমাজকে পরিবর্তন করেতে যায়, নিঃস্বার্থ মানব সেবা করতে যায় তারাই বিপদে পড়তে হয়। হয়তো এতেও রাজনীতিবিদদের হাত থাকতে পারে। তাদের এমন ধারণা হওয়াটা হয়তো অযৌক্তিক হবে না, এই তরুণ-যুবকরা যদি সংঘবদ্ধ হয়ে কোন সামাজিক আন্দোলন করে বা উদ্যোগ গ্রহণ করে তবে তাদের পক্ষে সেটা বাস্তবায়ন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে, (কথিত) রাজনীতিবিদরা জনগণের সামনে ‘উন্নয়ন করবে’ মর্মে মূলা ঝুলাতে পারবে না- যাতে ভোট নিজের দিকে নেওয়া যায়।
আমি তাদেরকে একটা কথাই বলবো- “তরুণ-যুবকরা হচ্ছে একটি শক্তি। এরা চাইলে যে কোন বিপ্লব সাধন করে ফেলতে পারে তাদের অদম্য ইচ্ছে, সাহসের জোরে। তাদের রয়েছে তারুণ্যের শক্তি, যে শক্তির কাছে মাথা নত করবে সবাই।”
“মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম একবার দোয়া করেছিলেন, আল্লাহ! ইসলামের জন্য আবু জেহেল বা উমরকে কবুল করে ইসলামের শক্তিকে বাড়িয়ে দিন। সে সময় আল্লাহ বৃদ্ধ আবু জেহেলকে কবুল না করে যুবক উমর রাদিয়াল্লাহু অ-তায়ালাকে কবুল করেছেন ইসলামের খেদমতের জন্য।”
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৩/০৩/২০১৫ভালো লাগলো
-
জাফর পাঠান ০২/০৩/২০১৫খুব সুন্দর সমসাময়িক কথামালা । অভিনন্দন রেখে গেলাম । ভালো থাকুন সতত।
-
অ ০২/০৩/২০১৫বাংলাদেশের পুলিশের কথা বলে আর লাভ নাই দাদা ।
তারা পৃথিবীর সব পুলিশ বাহিনী থেকে শীর্ষে । তবে কিসের জন্য সেটা ভাবার বিষয় । -
হোসাইন ফরহাদ ০১/০৩/২০১৫এক সময় ছিল যখন পুলিশ কে বন্ধুর মতই মনে হত কিন্তু এখন দেখলেই ভয় করে না জানি অজ্ঞাত মামলায় আটক করে।
-
মোঃ সাইফুল ইসলাম ০১/০৩/২০১৫ভাই কাল শাহাবাগে এক বিপ্লবীকে দেখলাম। অল্প রশি ওয়ালা খুঁটির গবাদি পশুর মত। ভাল লাগল না। এই বিপ্লবীর কথা মানুষ কত রং ঢং করল। অথচ তার কর্মসূচীতে আজ মাত্র ৮/১০ বেশ হবে না। তারুণ্যের মূল শক্তি হৃদয়ের লালিত আদর্শ বিক্রি করলে খালি টিউবের মত পরিত্যাক্ত হতে হয়।