বিভ্রান্তিকর ইতিহাসঃ আদিম যুগ
আমাদের বোর্ডের বইগুলোতে ছোট বেলা থেকে শিশুদেরকে পড়ানো হয় এক বিভ্রান্তিকর ইতিহাস। শিখানো হয় 'প্রথম যুগের নাম আদিম যুগ। সে যুগে মানুষ সভ্যতা বর্জিত ছিলো, পোষাক-পরিচ্ছদ পড়ত না, বন জঙ্গলে বসবাস করতো, কোন নিয়ম কানুন মানতো না, পশুর মত শব্দ করে কথা বলতো।'
অথচ আমরা জানি, পৃথিবীতে প্রথম মানুষ ছিলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম। আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম আলাইহিস সালামের উপর ওহী নাজিল করতেন এবং সেই ওহী অনুসারে অতি সুন্দর জীবন যাপন করতেন তিনি। নবী-রাসূলদের জীবন নিয়ে রচিত 'কাসাসুল আম্বিয়া' নামক কিতাবে পাওয়া যায়, হযরত আদম আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে আসার পর উনাকে মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতি পোষাক দান করেছিলেন এবং হযরত আদম আলাইহি সালাম উক্ত জান্নাতি পোষাক পরিধান করতেন। পরবর্তীতে মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত জীবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে দিয়ে হযরত আদম আলাইহিস সালামকে পোষাক তৈরীর নিয়ম শিখিয়ে দেন। এরপর থেকে হযরত আদম আলাইহিস সালাম নিজেই নিজের পোষাক তৈরী করে পরিধান করতেন। হযরত আদম আলাইহি সালামের সময় বিয়ে- শাদী অস্তিত্বও পাওয়া যায়। কুরবাণী- রোজার অস্তিত্বও পাওয়া যায়। তাফসিরুল রুহুল বয়ান অনুসারে তিনি প্রায় ১ লক্ষ ভাষা জানতেন। তাহলে কাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, আদিম যুগের মানুষ!! কারা সভ্যতা বর্জিত ছিলো ?? কারা উলঙ্গ চলা ফেরা করত ? কারা পশুর মত কথা বলতো??
আসলে কথিত আদিম যুগের দাবিদাররা নাস্তিকদের ডারউইনবাদ তথা বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী। তারা বলতে চায়, মানুষ বানর থেকে এসেছে এবং বানরের মতই চলাফেরা করত। তাই কথিত আদিম যুগে বিশ্বাস করা কখনই ইসলাম সম্মত নয়, বরং কুফরী। তবে হ্যা, আগে থেকেই বন-জঙ্গলে এ ধরনের জাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যারা জংলী কায়দায় চলাচল করতো। আসলে তারা হচ্ছে ঐ জাতি, যারা বিভিন্ন সময় নবী রাসূলদের অস্বীকার তথা কুফরী করে বন-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিলো এবং শরীয়তবিহীনভাবে জীবন যাপন করতো। এখনও অ্যামাজন বনাঞ্চলে অনেক জাতি বাস করে যারা পোষাক পড়ে না, উলঙ্গ চলাচল করে।
তাই প্রাথমিক যুগ মানে কথিত আদিম যুগ, এ ইতিহাস গাজাখুড়ি গল্প ছাড়া অন্যকিছু নয়।
অথচ আমরা জানি, পৃথিবীতে প্রথম মানুষ ছিলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম। আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম আলাইহিস সালামের উপর ওহী নাজিল করতেন এবং সেই ওহী অনুসারে অতি সুন্দর জীবন যাপন করতেন তিনি। নবী-রাসূলদের জীবন নিয়ে রচিত 'কাসাসুল আম্বিয়া' নামক কিতাবে পাওয়া যায়, হযরত আদম আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে আসার পর উনাকে মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতি পোষাক দান করেছিলেন এবং হযরত আদম আলাইহি সালাম উক্ত জান্নাতি পোষাক পরিধান করতেন। পরবর্তীতে মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত জীবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে দিয়ে হযরত আদম আলাইহিস সালামকে পোষাক তৈরীর নিয়ম শিখিয়ে দেন। এরপর থেকে হযরত আদম আলাইহিস সালাম নিজেই নিজের পোষাক তৈরী করে পরিধান করতেন। হযরত আদম আলাইহি সালামের সময় বিয়ে- শাদী অস্তিত্বও পাওয়া যায়। কুরবাণী- রোজার অস্তিত্বও পাওয়া যায়। তাফসিরুল রুহুল বয়ান অনুসারে তিনি প্রায় ১ লক্ষ ভাষা জানতেন। তাহলে কাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, আদিম যুগের মানুষ!! কারা সভ্যতা বর্জিত ছিলো ?? কারা উলঙ্গ চলা ফেরা করত ? কারা পশুর মত কথা বলতো??
আসলে কথিত আদিম যুগের দাবিদাররা নাস্তিকদের ডারউইনবাদ তথা বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী। তারা বলতে চায়, মানুষ বানর থেকে এসেছে এবং বানরের মতই চলাফেরা করত। তাই কথিত আদিম যুগে বিশ্বাস করা কখনই ইসলাম সম্মত নয়, বরং কুফরী। তবে হ্যা, আগে থেকেই বন-জঙ্গলে এ ধরনের জাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যারা জংলী কায়দায় চলাচল করতো। আসলে তারা হচ্ছে ঐ জাতি, যারা বিভিন্ন সময় নবী রাসূলদের অস্বীকার তথা কুফরী করে বন-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিলো এবং শরীয়তবিহীনভাবে জীবন যাপন করতো। এখনও অ্যামাজন বনাঞ্চলে অনেক জাতি বাস করে যারা পোষাক পড়ে না, উলঙ্গ চলাচল করে।
তাই প্রাথমিক যুগ মানে কথিত আদিম যুগ, এ ইতিহাস গাজাখুড়ি গল্প ছাড়া অন্যকিছু নয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু সঈদ আহমেদ ২৬/১১/২০১৬আশা করব একদিন প্রত্নতত্ত্ববিদেরাও এর সপক্ষে প্রমাণ নিয়ে আসতে পারবেন।
-
আব্দুল্লাহ্ আল মোন্তাজীর ০৯/০৮/২০১৫এমন একটা সুন্দর প্রবন্ধ পড়ে সত্যিই আমি মুগ্ধ। আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বিধর্মীরা যে কত ভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তার কোন ইয়াত্তা নেই। এবার আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং কঠোর ভাবে এই সব বিভ্রান্তিকে বিলুপ্ত করতে হবে।
আল্লাহ্ রাব্বুল আল-আমীন যেন আপনাকে এ রকম একটা সুন্দর লেখার প্রতিদান দুনিয়া এবং আখিরাতে বহু বহুগুণ বাড়িয়ে দান করেন। আমীন!!! -
মোঃ সাইফুল ইসলাম ১৫/০৩/২০১৫অসাধারণ!
এমন সুন্দর বিশ্লষণধর্মী লেখা পড়লে আমরা যারা ইসলাম ধর্ম সম্পের্ক যতসামান্য ধারণা বহন করে পন্ডিত্যের আহমিকা প্রকাশ করি তাদের জন্য কাজে লাগবে। খুব ভাল লাগল। -
সাইদুর রহমান ১৪/০৩/২০১৫ডারউইনের মতবাদ !!
খুব সুন্দর প্রবন্ধ।
শুভেচ্ছা। -
অ ০৪/০৩/২০১৫বেশ ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
এই বিষয়টা নিয়ে অনেকবার অন্তর্দন্দ্বে ভুগেছি। -
অনিরুদ্ধ বুলবুল ০৪/০৩/২০১৫ওহ্, কবি আপনি এই পাতাতেও লিখেন! আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে। আমি আগে লিখতাম কিছুদিন গ্যাপ পড়ে গেছি। আপনার লেখাটি পড়লাম - বিবর্তনবাদ তো বিজ্ঞানস্থিত মতবাদ তা ইসলাম মানে না। কাজেই বইতে যা আছে তা বিজ্ঞানের কথা আর ইসলাম যা বলেছে তা ঐশী কিতাবের কথা। এখানে বিশ্বাস ও অস্তিত্বের টানাপোড়েন থেকেই যায়। সুতরাং বিতর্ক নিস্প্রয়োজন। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।