জয়ীতা
প্রিয়
আজ পূর্ণিমা রাত।হাজার হাজার আকাশ প্রদীপ উড়ছে আকাশে।আজকে এই রাতে মন তোমাকে খুব কাছে পেতে চাইছে।তোমার কি মনে পড়ছে আমায়?
মনে আছে জয়ীতা আমি তোমার কাছে ছোট শিশুর মত বায়না করছিলাম।চুলামনি পূজায় যেতে।আর তুমি যেতে চাইছিলে না।যদি পাপ হয়।তুমি ভীষণ ধার্মিক ছিলে।তুমি সব সময় পাপকে ভয় পেতে।তুব তুমি সে রাতে আমার মন রাখতে চুলামনি পূজায় গেলে।
দুই জন হাঁটতে শুরু করলাম দুই জনের সাথে সাথে হাঁটছে দুই জনের ছায়া।পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় তোমাকে ভীষণ সুন্দর লাগতে ছিল।আমি তোমার মায়া মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে ছিলাম।চোখের পাতা তোমার দিক থেকে সরতে চাইছিল না।ঐ চাঁদকেও সে রাতে তুচ্ছ মনে হচ্ছিল।তোমার দিকে তাকিয়ে হাঁটতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে যেতে লাগলাম।তুমি আমাকে গাপটি মেরে ধরে পেললে।আর ধমক দিয়ে বললে সামনে তাকিয়ে হাঁটতে পার না।জানো জয়ীতা তোমার আরিয়ান এখন সামনে তাকিয়ে হাঁটে এপাশ ওপাশ তাকায় না তাকানোর প্রয়োজনও হয় না।পথ চলার সময় এখনযে তুমি আমার পাশে থাক না।।আমি কার দিকে তাকাব বলো?
তারপর দুই জন চুলামনি পূজার স্থানে পৌছে গেলাম।
কত তরুণ তরুণি প্রেমিক প্রেমিকা ফানুস কিনে তাদের মনের স্বপ্ন আশা পূর্ণ হওয়া জন্য আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছে।আমরা দুই জন শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম।জয়ীতা তুমি আমাকে জিঙ্গেস করলে আরিয়ান তুমি ফানুস উড়াবেনা।আমি চুপ করে আকাশে অন্য কারো উড়ানো আকাশ প্রদীপ এর দিকে তাকিয়ে রইলাম।তমি বুঝতে পারলে আমার কাছে ফানুস কেনার মত টাকা নাই।।তুমি নিজে একটা বড় ফানুস কিনে আনলে।আর বললে আরিয়ান প্রদিপটা জ্বালিয়ে উড়িয়ে দাও।আমি খুশিতে কেঁদে দিচ্ছিলাম তখন তুমি বললে এত ঢং দেখাবেনাতো উড়িয়ে দাও বলছি।আমি ফানুসে একটা চিরকুট বেঁধে লিখে দিয়েছিলাম হাজার বছর বাঁচতে চাই জয়ীতাকে নিয়ে।তুমি এটা দেখে হাঁসলে।আমি বললাম জয়ীতা তুমি কিছু লিখবে না।তুমি বললে আমার লেখার দরকার নাই।
আমি আর কিছু লিখতে জোর করলাম না।দুই জনে নিজেদের উড়ানো ফানুসের দিকে তাকিয়ে রইলাম।ফানুসটা কিছু দূর উড়ার পর আমার চিরকুট টা মাটিতে পড়ে গেলো এ দেখে তুমি হাঁসতে হাঁসতে শেষ হয়ে যাচ্ছিলে তোমার হাঁসি দেখে আমিও হাঁসলাম আমার চিরকুট টা আকাশ ছুঁতে পারলনা।
আমি তখন কল্পনাও করতে পারি নাই এই চিরকুটের মত আমাদের ভালবাসা চিরে পড়বে। না আমি এটা ভুল বলছি আমিতো আজো তোমাকে ভালবাসি জয়ীতা।জানো জয়ীতা সেদিন তোমার আরিয়ানের কাছে একটা ফানুস কেনার মত টাকাও ছিল না আজ আমি হাজার ফানুস কেনার মত টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম সে জায়গায়।আজ আমার সাথে ফানুস উড়াতে গিয়েছিল সজল,রাহাত,মৌমিতা,মোনিকা,চৌতি।আমি সবাইকে একটা করে ফানুস কিনে দিয়েছি।হয়ত তুমি এটা শুনে রাগ করবে আমি অযথা টাকা নষ্ট করছি।অযথা টাকা নষ্ট করা তুমি একেবারে পছন্দ করতে না। আজ আমার ফানুসটার সাথে চিরকুট বঁেধে লিখেদিয়েচি ভালো থেকো জয়ীতা।জয়ীতা জানো সজল লিখেছে মোনিকা তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই অনন্তকাল ওর লেখা চিরকুট টা আজ চিড়ে পড়ে নি আকাশ ছুঁতে পেরেছে জানো ওদের ভালবাসা বেশ জমে উঠেছে।মৌমিতা লিখলো আরিয়ান কে সুখে রাখ।আচ্ছা জয়ীতা সে এটা কেন লিখল?চৌতি, জানো জয়ীতা চৌতি কি করেছে সে তোমার আরিয়ান কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে যে মেয়েটা তোমাকে হাজার বার নিষেদ করেছিল আমার সাথে প্রেম না করতে তোমাকে বলে ছিল আমি গরিব ঘরের ছেলে আজ সে মেয়েটা আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়?আজ তোমার আরিয়ানের ভালো চাকরি হয়েছে নিজের গাড়ি হয়েছে।আসলে চৌতি আমার প্রেমে পড়ে নি আমার অর্থের প্রেমে পড়েছে।আমি তো এই গাড়ির স্বপ্ন দেখেনি কখনো আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমার জয়ীতাকে নিয়ে জ্যোৎস্না রাতে রিকশায় ছড়ে সারা শহর গুরে বেড়াব।কিন্তু ঈশ্বর তা ছায় নি।গত কাল তোমার বাবা কে দেখতে গিয়েছিলাম।জানো জয়ীতা তোমার বাবা আমাকে অনেক আদর করে তোমাদের ডয়িং রুমে বসাল আমাকে বাবা নাম দরে ডাকল।তুমি ঐ সময়টা দেখলে ভীষণ খুশি হতে।তোমার ছোট বোন নীলা আমাকে কফি এনে দিল ওদের কারো মুখে হাঁসি নেই আমায় দেখে ওদের মুখে কেন অপরাদি অপরাদির ভাব নিয়ে আসল জয়ীতা।ওনারা কি কোন অপরাদ করেছিল?আমি এক দিন তোমাকে দেখার জন্য তোমাদের বাড়ির গেইটে দাড়িয়েছিলাম তুমি আসনি তোমার বাবা এসেছিল।ওনি আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছিল ফকিরের বাচ্ছা বলে গাট দাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিল সেদিন আমি একটুও কষ্ট পাইনি ওনিতো সত্যি বলেছিল।তুুমি পর দিন অনেক কান্না কাটি করে আমার কাছে ক্ষমা চাইলে তোমার বাবার হয়ে।আর বলেছিলে আরিয়ান দেখেনিও একদিন তোমারঅনেক টাকা হবে আমি বলছি সত্যি দেখে নিও।।হে জয়ীতা বিধাতা তোমার কথা রেখেছে।আমার কথা রাখেনি আমিতো আর তোমার মত।ওত ধার্মিক ছিলাম না আমার কথা রাখবেবা কেন?জানো জয়ীতা তোমার আরিয়ান এখন হুজুরের মধুর ডাকের সাথে সাথে মসজিদে হাজির হয়।যে আরিয়ান কে তুমি নামাজ না পড়ার জন্য বকা দিতে রেগে যেতে।আজ তোমার আরিয়ান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।
হে তোমার বাবার কথা বলছিলাম তোমার বাবা আর নীলা ভালো নেই তোমাদের ছোট্ট নীলা আমি তোমাদের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদ ছিল।সেতো তোমার গল্পের সাথী ছিল তাই না জয়ীতা।তোমার আমার ভালোবাসার পুরো গল্পটা সে জানে।ওর কান্না দেখে আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না আমার বিষাদের সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ বুকে আছড়ে পড়ছিল আর দুই চোখ দিয়ে তা প্রকাশ হচ্ছিল।জয়ীতা তোমাকে ছাড়া আমরা ভালো নেই। আমাদের ছেড়ে তুমি ভালো আছ কি?
ইতি
তোমার ভালবাসার
আরিয়ান।
।।।যাত্রী।।।।
12:00---3:17pm
28:09:015
আজ পূর্ণিমা রাত।হাজার হাজার আকাশ প্রদীপ উড়ছে আকাশে।আজকে এই রাতে মন তোমাকে খুব কাছে পেতে চাইছে।তোমার কি মনে পড়ছে আমায়?
মনে আছে জয়ীতা আমি তোমার কাছে ছোট শিশুর মত বায়না করছিলাম।চুলামনি পূজায় যেতে।আর তুমি যেতে চাইছিলে না।যদি পাপ হয়।তুমি ভীষণ ধার্মিক ছিলে।তুমি সব সময় পাপকে ভয় পেতে।তুব তুমি সে রাতে আমার মন রাখতে চুলামনি পূজায় গেলে।
দুই জন হাঁটতে শুরু করলাম দুই জনের সাথে সাথে হাঁটছে দুই জনের ছায়া।পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় তোমাকে ভীষণ সুন্দর লাগতে ছিল।আমি তোমার মায়া মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে ছিলাম।চোখের পাতা তোমার দিক থেকে সরতে চাইছিল না।ঐ চাঁদকেও সে রাতে তুচ্ছ মনে হচ্ছিল।তোমার দিকে তাকিয়ে হাঁটতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে যেতে লাগলাম।তুমি আমাকে গাপটি মেরে ধরে পেললে।আর ধমক দিয়ে বললে সামনে তাকিয়ে হাঁটতে পার না।জানো জয়ীতা তোমার আরিয়ান এখন সামনে তাকিয়ে হাঁটে এপাশ ওপাশ তাকায় না তাকানোর প্রয়োজনও হয় না।পথ চলার সময় এখনযে তুমি আমার পাশে থাক না।।আমি কার দিকে তাকাব বলো?
তারপর দুই জন চুলামনি পূজার স্থানে পৌছে গেলাম।
কত তরুণ তরুণি প্রেমিক প্রেমিকা ফানুস কিনে তাদের মনের স্বপ্ন আশা পূর্ণ হওয়া জন্য আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছে।আমরা দুই জন শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম।জয়ীতা তুমি আমাকে জিঙ্গেস করলে আরিয়ান তুমি ফানুস উড়াবেনা।আমি চুপ করে আকাশে অন্য কারো উড়ানো আকাশ প্রদীপ এর দিকে তাকিয়ে রইলাম।তমি বুঝতে পারলে আমার কাছে ফানুস কেনার মত টাকা নাই।।তুমি নিজে একটা বড় ফানুস কিনে আনলে।আর বললে আরিয়ান প্রদিপটা জ্বালিয়ে উড়িয়ে দাও।আমি খুশিতে কেঁদে দিচ্ছিলাম তখন তুমি বললে এত ঢং দেখাবেনাতো উড়িয়ে দাও বলছি।আমি ফানুসে একটা চিরকুট বেঁধে লিখে দিয়েছিলাম হাজার বছর বাঁচতে চাই জয়ীতাকে নিয়ে।তুমি এটা দেখে হাঁসলে।আমি বললাম জয়ীতা তুমি কিছু লিখবে না।তুমি বললে আমার লেখার দরকার নাই।
আমি আর কিছু লিখতে জোর করলাম না।দুই জনে নিজেদের উড়ানো ফানুসের দিকে তাকিয়ে রইলাম।ফানুসটা কিছু দূর উড়ার পর আমার চিরকুট টা মাটিতে পড়ে গেলো এ দেখে তুমি হাঁসতে হাঁসতে শেষ হয়ে যাচ্ছিলে তোমার হাঁসি দেখে আমিও হাঁসলাম আমার চিরকুট টা আকাশ ছুঁতে পারলনা।
আমি তখন কল্পনাও করতে পারি নাই এই চিরকুটের মত আমাদের ভালবাসা চিরে পড়বে। না আমি এটা ভুল বলছি আমিতো আজো তোমাকে ভালবাসি জয়ীতা।জানো জয়ীতা সেদিন তোমার আরিয়ানের কাছে একটা ফানুস কেনার মত টাকাও ছিল না আজ আমি হাজার ফানুস কেনার মত টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম সে জায়গায়।আজ আমার সাথে ফানুস উড়াতে গিয়েছিল সজল,রাহাত,মৌমিতা,মোনিকা,চৌতি।আমি সবাইকে একটা করে ফানুস কিনে দিয়েছি।হয়ত তুমি এটা শুনে রাগ করবে আমি অযথা টাকা নষ্ট করছি।অযথা টাকা নষ্ট করা তুমি একেবারে পছন্দ করতে না। আজ আমার ফানুসটার সাথে চিরকুট বঁেধে লিখেদিয়েচি ভালো থেকো জয়ীতা।জয়ীতা জানো সজল লিখেছে মোনিকা তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই অনন্তকাল ওর লেখা চিরকুট টা আজ চিড়ে পড়ে নি আকাশ ছুঁতে পেরেছে জানো ওদের ভালবাসা বেশ জমে উঠেছে।মৌমিতা লিখলো আরিয়ান কে সুখে রাখ।আচ্ছা জয়ীতা সে এটা কেন লিখল?চৌতি, জানো জয়ীতা চৌতি কি করেছে সে তোমার আরিয়ান কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে যে মেয়েটা তোমাকে হাজার বার নিষেদ করেছিল আমার সাথে প্রেম না করতে তোমাকে বলে ছিল আমি গরিব ঘরের ছেলে আজ সে মেয়েটা আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়?আজ তোমার আরিয়ানের ভালো চাকরি হয়েছে নিজের গাড়ি হয়েছে।আসলে চৌতি আমার প্রেমে পড়ে নি আমার অর্থের প্রেমে পড়েছে।আমি তো এই গাড়ির স্বপ্ন দেখেনি কখনো আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমার জয়ীতাকে নিয়ে জ্যোৎস্না রাতে রিকশায় ছড়ে সারা শহর গুরে বেড়াব।কিন্তু ঈশ্বর তা ছায় নি।গত কাল তোমার বাবা কে দেখতে গিয়েছিলাম।জানো জয়ীতা তোমার বাবা আমাকে অনেক আদর করে তোমাদের ডয়িং রুমে বসাল আমাকে বাবা নাম দরে ডাকল।তুমি ঐ সময়টা দেখলে ভীষণ খুশি হতে।তোমার ছোট বোন নীলা আমাকে কফি এনে দিল ওদের কারো মুখে হাঁসি নেই আমায় দেখে ওদের মুখে কেন অপরাদি অপরাদির ভাব নিয়ে আসল জয়ীতা।ওনারা কি কোন অপরাদ করেছিল?আমি এক দিন তোমাকে দেখার জন্য তোমাদের বাড়ির গেইটে দাড়িয়েছিলাম তুমি আসনি তোমার বাবা এসেছিল।ওনি আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছিল ফকিরের বাচ্ছা বলে গাট দাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিল সেদিন আমি একটুও কষ্ট পাইনি ওনিতো সত্যি বলেছিল।তুুমি পর দিন অনেক কান্না কাটি করে আমার কাছে ক্ষমা চাইলে তোমার বাবার হয়ে।আর বলেছিলে আরিয়ান দেখেনিও একদিন তোমারঅনেক টাকা হবে আমি বলছি সত্যি দেখে নিও।।হে জয়ীতা বিধাতা তোমার কথা রেখেছে।আমার কথা রাখেনি আমিতো আর তোমার মত।ওত ধার্মিক ছিলাম না আমার কথা রাখবেবা কেন?জানো জয়ীতা তোমার আরিয়ান এখন হুজুরের মধুর ডাকের সাথে সাথে মসজিদে হাজির হয়।যে আরিয়ান কে তুমি নামাজ না পড়ার জন্য বকা দিতে রেগে যেতে।আজ তোমার আরিয়ান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।
হে তোমার বাবার কথা বলছিলাম তোমার বাবা আর নীলা ভালো নেই তোমাদের ছোট্ট নীলা আমি তোমাদের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদ ছিল।সেতো তোমার গল্পের সাথী ছিল তাই না জয়ীতা।তোমার আমার ভালোবাসার পুরো গল্পটা সে জানে।ওর কান্না দেখে আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না আমার বিষাদের সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ বুকে আছড়ে পড়ছিল আর দুই চোখ দিয়ে তা প্রকাশ হচ্ছিল।জয়ীতা তোমাকে ছাড়া আমরা ভালো নেই। আমাদের ছেড়ে তুমি ভালো আছ কি?
ইতি
তোমার ভালবাসার
আরিয়ান।
।।।যাত্রী।।।।
12:00---3:17pm
28:09:015
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।