মতামত প্রকাশে ব্লগার ও সাংবাদিক কতটুকু নিরাপদ
আমরা যারা ব্লগার ও সাংবাদিক তারা আজ কতটুকু নিরাপদ? এমন প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশের মত দেশে খুঁজে পাওয়া কঠিন।বাংলাদেশে স্বাধীন মত প্রকাশ করলে বা ব্লগে লিখলে তাকে নাস্তিক বলা হয় আর যে সাংবাদিক সত্য প্রকাশ করবে বা সরকারের মন্ত্রী আমলার বিরুদ্ধে লিখবে তার জীবন নিরাপত্তার অভাব দেখা দিবে।
আজ কাল আমি অবসর সময় কাটাই,তাই আমার একটি কাজ বই পড়া। বিশিষ্ট কয়েক জন লেখকের বই ইদানীং পড়ছি যেমন হুমায়ুন আহমেদ,হুমায়ুন আজাদ, বিশেষ করে হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ছি ।আর কিছু বক্তব্য,ইতিহাস ,উক্তি নোট করছি,কেননা আমি একজন সাংবাদিক, কবি ,ব্লগার অধিকাংশ সময় আমার লেখা লেখি,পড়া শোনার মাধ্যমই যায়,আর আগেই বলছি এখন আমি অবসর,রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তাই দেশ ছেড়ে বিদেশে আছি, এখন আমার হাতে প্রচুর সময়। সবারই কিছু প্রিয় লেখক,কবি ইত্যাদি থাকে তাই বলে হুমায়ুন আহমেদ আমার বা হুমায়ুন আজাদ আমার প্রিয় লেখক না,তবুও আজ আমি হুমায়ুন পাঠে কেন এত মগ্ন এমন প্রশ্নের উত্তর আমি নিজেই জানি না তবে একটা বিষয় পরিষ্কার আমি কিছু খুজছি এই দুজন বিশিষ্ট লেখকের লেখার মাঝে।
আমি হুমায়ুন আহমেদের কয়েকটি উপন্যাস পরেছি, তার মধ্য উল্লেখ যুগ্য মিসির আলী,হিমু কিন্তু ঐতিহাসিক কোন উপন্যাস আমি পড়িনি ,তাই আজ বিগত প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকার সুত্র ধরে কিছু লিখার চেষ্টা করছি। আমি যার সম্পর্কে বিশেষ কোন জ্ঞান রাখি না তার সম্পর্কিত ব্যাখ্যা দেয়া কতটুকু সুভনীয় তা জানি না। আমার এই লেখায় যদি কারো মনে আগাত লাগে ক্ষমা করে দিবেন।
প্রথমেই একটা খবরের লিঙ্ক দেইঃ
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘দেয়াল’ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা
দেয়াল সম্পর্কে সামান্য তথ্যঃ
দেয়াল কী? (দেয়াল হচ্ছে একটি অপ্রকাশিত কবিতা,গল্প, উপন্যাস) কী ধরনের উপন্যাস? ঐতিহাসিক।
এটা কোন পটভূমিতে লেখা হয়েছে? এখন পর্যন্ত প্রথম আলু পত্রিকার সাহায্যে জানা গেছে এটি ৭৫-এ শেখ মুজিবের হত্যাকান্ড এবং ঐ সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পরিপেক্ষিতে লেখা উপন্যাস।ঐ উপন্যাসের দুটি অধ্যায় প্রকাশের সাথে সাথে ব্লগ জগতে নানা মুখি আলোচনা সমালোচনা এবং হুমায়ূন বক্তদের বেশ কষ্টে সময় কাটছিল।
যে যাই বলে না কেন অতপর এটা এমন কোন বিশেষ ঘটনা নয়,এটা একটি নাটক মাত্র,মুখ্য বিষয় হলো বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বাংলাদেশের পাঠক সমাজকে সঠিক তথ্য দেয়ার মহান প্রকল্পের আওতায় “দেয়াল” উপন্যাসটিকে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং আসল ইতিহাস না দেয়ার কারনে বইটিকে প্রকাশ হতে দেয়া হবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
আরেক টি বই সরকার কর্তৃক নিষদ্ধ হয়েছিল বই টি লিখেছেন হুমায়ুন আজাদ :
নারী (English: Woman "Nāree") বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের একটি নারীবাদীরচনা। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের আগামী প্রকাশন ঢাকাথেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। বঙ্গদেশে নারীবাদের সূচনা হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের[১] হাতে। এরপর তসলিমা নাসরিন বেশ কিছু ছোট কলাম রচনা করেন নারীবাদ বিষয়ে। কিন্তু কেউই নারীর বা নারীবাদের অনুপুঙ্খ বর্ণনা দেন নি বা দিতে পারেন নি। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে হুমায়ুন আজাদের নারী গ্রন্থটিই বাংলা সাহিত্যে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ নারীবাদী বই।
অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ রচিত এই পাণ্ডিত্যপূর্ণ নারীবাদী গ্রন্থ ১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। প্রায় সাড়ে চার বছর পরে ২০০০সালের ৭ মার্চ উচ্চবিচারালয় রায় প্রদান করেন যে নারীনিষিদ্ধকরণ আদেশ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর এর তিনটি সংস্করণ ও বহু পুনর্মুদ্রণ প্রকাশিত হয়।
অতএব আমাদের দেশে মত প্রকাশ বা সত্য প্রকাশ করলে হয় সরকার নতুবা দানবীয় শক্তি রুখে দেয়। কিন্ত আমারা চাই সভাই যেন স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
আজ কাল আমি অবসর সময় কাটাই,তাই আমার একটি কাজ বই পড়া। বিশিষ্ট কয়েক জন লেখকের বই ইদানীং পড়ছি যেমন হুমায়ুন আহমেদ,হুমায়ুন আজাদ, বিশেষ করে হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ছি ।আর কিছু বক্তব্য,ইতিহাস ,উক্তি নোট করছি,কেননা আমি একজন সাংবাদিক, কবি ,ব্লগার অধিকাংশ সময় আমার লেখা লেখি,পড়া শোনার মাধ্যমই যায়,আর আগেই বলছি এখন আমি অবসর,রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তাই দেশ ছেড়ে বিদেশে আছি, এখন আমার হাতে প্রচুর সময়। সবারই কিছু প্রিয় লেখক,কবি ইত্যাদি থাকে তাই বলে হুমায়ুন আহমেদ আমার বা হুমায়ুন আজাদ আমার প্রিয় লেখক না,তবুও আজ আমি হুমায়ুন পাঠে কেন এত মগ্ন এমন প্রশ্নের উত্তর আমি নিজেই জানি না তবে একটা বিষয় পরিষ্কার আমি কিছু খুজছি এই দুজন বিশিষ্ট লেখকের লেখার মাঝে।
আমি হুমায়ুন আহমেদের কয়েকটি উপন্যাস পরেছি, তার মধ্য উল্লেখ যুগ্য মিসির আলী,হিমু কিন্তু ঐতিহাসিক কোন উপন্যাস আমি পড়িনি ,তাই আজ বিগত প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকার সুত্র ধরে কিছু লিখার চেষ্টা করছি। আমি যার সম্পর্কে বিশেষ কোন জ্ঞান রাখি না তার সম্পর্কিত ব্যাখ্যা দেয়া কতটুকু সুভনীয় তা জানি না। আমার এই লেখায় যদি কারো মনে আগাত লাগে ক্ষমা করে দিবেন।
প্রথমেই একটা খবরের লিঙ্ক দেইঃ
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘দেয়াল’ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা
দেয়াল সম্পর্কে সামান্য তথ্যঃ
দেয়াল কী? (দেয়াল হচ্ছে একটি অপ্রকাশিত কবিতা,গল্প, উপন্যাস) কী ধরনের উপন্যাস? ঐতিহাসিক।
এটা কোন পটভূমিতে লেখা হয়েছে? এখন পর্যন্ত প্রথম আলু পত্রিকার সাহায্যে জানা গেছে এটি ৭৫-এ শেখ মুজিবের হত্যাকান্ড এবং ঐ সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পরিপেক্ষিতে লেখা উপন্যাস।ঐ উপন্যাসের দুটি অধ্যায় প্রকাশের সাথে সাথে ব্লগ জগতে নানা মুখি আলোচনা সমালোচনা এবং হুমায়ূন বক্তদের বেশ কষ্টে সময় কাটছিল।
যে যাই বলে না কেন অতপর এটা এমন কোন বিশেষ ঘটনা নয়,এটা একটি নাটক মাত্র,মুখ্য বিষয় হলো বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বাংলাদেশের পাঠক সমাজকে সঠিক তথ্য দেয়ার মহান প্রকল্পের আওতায় “দেয়াল” উপন্যাসটিকে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং আসল ইতিহাস না দেয়ার কারনে বইটিকে প্রকাশ হতে দেয়া হবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
আরেক টি বই সরকার কর্তৃক নিষদ্ধ হয়েছিল বই টি লিখেছেন হুমায়ুন আজাদ :
নারী (English: Woman "Nāree") বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের একটি নারীবাদীরচনা। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের আগামী প্রকাশন ঢাকাথেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। বঙ্গদেশে নারীবাদের সূচনা হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের[১] হাতে। এরপর তসলিমা নাসরিন বেশ কিছু ছোট কলাম রচনা করেন নারীবাদ বিষয়ে। কিন্তু কেউই নারীর বা নারীবাদের অনুপুঙ্খ বর্ণনা দেন নি বা দিতে পারেন নি। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে হুমায়ুন আজাদের নারী গ্রন্থটিই বাংলা সাহিত্যে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ নারীবাদী বই।
অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ রচিত এই পাণ্ডিত্যপূর্ণ নারীবাদী গ্রন্থ ১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। প্রায় সাড়ে চার বছর পরে ২০০০সালের ৭ মার্চ উচ্চবিচারালয় রায় প্রদান করেন যে নারীনিষিদ্ধকরণ আদেশ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর এর তিনটি সংস্করণ ও বহু পুনর্মুদ্রণ প্রকাশিত হয়।
অতএব আমাদের দেশে মত প্রকাশ বা সত্য প্রকাশ করলে হয় সরকার নতুবা দানবীয় শক্তি রুখে দেয়। কিন্ত আমারা চাই সভাই যেন স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রশান্ত মন্ডল ২০/০৯/২০১৫#জান ঠিক বলেছেন।
-
সূর্য মুহাম্মাদ জান ০১/০৯/২০১৫আপনে যে অভিযোগটি করেছেন যে"ব্লগে লিখলেই নাস্তিস বলা হয়"।কেনো বলে । তা কি আপনে জানেন না । তার প্রধান কারণ হলো অনেক ব্লগাররা ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় । যে বিষেয়ে বিন্দু মাত্র ঙ্গান নেই তা নিয়েই মিথ্যা লেখা লেখি করে । তবে ওদের নাস্তিক বলেবে না তো কি বলবে ।
-
রুহুল আমীন রৌদ্র. ১৪/০৮/২০১৫আগাত >আঘাত
প্রথম আলু>প্রথম আলো
ঠিক করে নিন।
দারুন লেখা। -
শ্রীতরুণ গিরি ০৫/০৮/২০১৫খুব জরুরি একটা বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ। -
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২৭/০৭/২০১৫সর্বদা সত্যের জয় হোক। শুভেচ্ছা রইলো।
-
মায়নুল হক ০৭/০৭/২০১৫সত্য কখনো চাপা থাকেনা
-
কিশোর কারুণিক ০৫/০৭/২০১৫বোবা আর কান কালা এর কোন শত্রু নেই
-
কৃশানু মাইতি ০৫/০৭/২০১৫সত্যের পথে কঠিন পাথর সর্বদাই বাষ্প হয়ে উবে যায়।তাই লেখকের কলমের কালি সত্যেরই উদঘাটন করুক, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এটাই আশা করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
-
জহরলাল মজুমদার ০৪/০৭/২০১৫ধন্যবাদ লিখে যান