কবিতা পর্ব তিন
পর্ব ৩
কবিতা
তোমাকে আজ খুব মনে পরছে,আজ ১৬/০৬ এই দিন টা আমার কাছে খুব স্বরণী,কেননা এই দিনে তোমার কাছে আমার জীবনের প্রথম প্রেম পত্র লিখি।তোমাকে যে দিন প্রেম প্রত্র লিখি তখন আমরা ক্লাস নাইনে । কিভাবে লিখব সেদিনের প্রেম প্রত্রটা আমি কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না,একটি পত্র লিখতে গিয়ে আমি কি না করেছিলাম,তা আজও মনে হলে হাঁসি পায়।কি দিয়ে শুরু করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। ও ভুলেই গেছি তোমাকে সেই ছোট্র বেলা অর্থাৎ তুমি যখন খেলার সাথি ছিলে তখন থেকে তোমাকে আশা নামে ডাকতাম। তারও একটা কারন আছে এশার আজান পড়লে বলতে আশার আজান পড়ছে আমাকে বাড়ি নিয়ে দাও,সেই থেকে তোমাকে আশা বলে ডাকতাম। যাই হোক সে পত্র হুবহ তুলে ধরলাম:
প্রিয়তমা আশা,
পত্রের প্রথমে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমার লাল গোলাপের শুভেচ্ছা নিও।
পরসংবাদ তোমাকে একটি কথা বলতে চাই,কিভাবে বলবো তা ভেবে পাচ্ছিনা,সব সময় তোমার পাশা পাশি থাকি কিন্ত মুখে বলতে পারছি না "আমি তোমাকে ভালবাসি "I LOVE YOU.
আশা যদি তুমি আমাকে ভালবাস না তবে আমার একটাই অনুরুধ এই পত্রটা তুমি ছিঁড়ে ফেলে দিও আর আমাকে ক্ষমা করে দিও ।
তোমার উত্তরের অপেক্ষায় রহিলাম ।
ইতি
তোমারই = J
তোমাকে কি ভাবে পত্রটা দিব, ভেবে পাচ্ছিলাম না, সব সময় দু জন এক সাথে খেলা ধুলা, পড়া লেখা করি এবং তোমাদের বাডিতে যাই, তোমার মা কে খালামনি ডাকি,ভয় হচ্ছিল যদি তুমি আমাকে ভালবাস না তাহলে কি ভাবে পরবর্তিতে তোমার সামনে দাঁড়াবো তোমাকে এই লজ্জিত মুখ দেখাব,নিজেকে তখন খুব অসহায় মনে হবে।তবু ও পরের দিন স্কুল থেকে ফেরার পথে তোমার হাতে পত্রটা দেই তখন তুমি কি বলছিলে মনে আছে কি? মনে করে দেখ হায়তো তোমার মনে পরে যেতে পারে! থাক আমিই বলছি , সে দিন তুমি বলেছিলে পত্র দিচ্ছ কেন মুখে বলতে পার না, তোমার পত্রের উত্তর দেবনা যতদিন না তুমি মুখে বলছ। আমি কিছু বলিনি সে দিন শুধু বোবার মত মাটির দিকে মাথা নত করে রেখেছিলাম,কেন যেন আমার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিল না।আমার পা চলছিল না, আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, তুমি তখন চলে গিয়েছিলে।কবিতা আমার পত্রটা পড়ছ কি না জানিনা, আর হয়ত এখন আমার কথা ভাববার মত সময় তোমার কাছে নেই,তবু আমি লিখছি কেন না আমি যে তোমাকে ভুলতে পারছি না আর পারবোই বা কি করে তোমাকে ভালোবেসে আমি তোমার মজনু হতে পারিনি এটা আমার ব্যর্থতা আমি হয়েছি তোমারই দেবদাস,আমার ললাটে তোমাকে পাওয়া হলো না আর হবেই বা কি করে আমি তো তোমার থেকে অনেক দুরে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু তোমার সাথে তো সবসময় যোগাযোগ রেখেছি, আমিতো তোমাকে ভুলিনি, প্রতিদিন তোমার সাথে একবার না হয় কথা হত কিন্ত একবার ও বলিনি তুমি চলে যাবে,আমার কি দুষ ছিল, কি কারনে আমার পৃথিবী থেকে চলে গেলে তা আজও জানতে পারলাম না, মানুষ যে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তা তোমাকে না দেখলে আমি কখনো বুঝতাম না,তোমার জন্য আজ আমার দেশ ত্যাগ,তুমিই আমাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যাবার জন্য বলেছিলে আমি তাই করেছিলাম কিন্ত কি লাভ হল বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে ফিরে এসে যে তোমাকে পেলাম না, আজ আমি তোমার কথা ভাবি এত ভালবাসার পরেও কি ভাবে আমার সাথে ছলনা করলে কি এমন কমতি ছিল আমার মাঝে যে আমি তোমার যোগ্য ছিলাম না, কবিতা এখন কত সুখে আছ আমাকে ভুলে কার জন্য তোমার ভালোবাসা , আমি কি যে আবুল তাবুল বলছি তাই না ভাবছ পাগল হয়ে গেলাম না কি ?না আমি পাগল হব কেন? কখনও না, কি জানি পাগল তো নিজেকে কখনো পাগল বলে না। ওহ! কি যেন লিখতে গিয়ে কি লিখছি মুল কথায় আসি:-সেদিন রাতে তুমি পড়ার টেবিলে বসে
আগামী পর্বে চলবে
কবিতা
তোমাকে আজ খুব মনে পরছে,আজ ১৬/০৬ এই দিন টা আমার কাছে খুব স্বরণী,কেননা এই দিনে তোমার কাছে আমার জীবনের প্রথম প্রেম পত্র লিখি।তোমাকে যে দিন প্রেম প্রত্র লিখি তখন আমরা ক্লাস নাইনে । কিভাবে লিখব সেদিনের প্রেম প্রত্রটা আমি কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না,একটি পত্র লিখতে গিয়ে আমি কি না করেছিলাম,তা আজও মনে হলে হাঁসি পায়।কি দিয়ে শুরু করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। ও ভুলেই গেছি তোমাকে সেই ছোট্র বেলা অর্থাৎ তুমি যখন খেলার সাথি ছিলে তখন থেকে তোমাকে আশা নামে ডাকতাম। তারও একটা কারন আছে এশার আজান পড়লে বলতে আশার আজান পড়ছে আমাকে বাড়ি নিয়ে দাও,সেই থেকে তোমাকে আশা বলে ডাকতাম। যাই হোক সে পত্র হুবহ তুলে ধরলাম:
প্রিয়তমা আশা,
পত্রের প্রথমে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমার লাল গোলাপের শুভেচ্ছা নিও।
পরসংবাদ তোমাকে একটি কথা বলতে চাই,কিভাবে বলবো তা ভেবে পাচ্ছিনা,সব সময় তোমার পাশা পাশি থাকি কিন্ত মুখে বলতে পারছি না "আমি তোমাকে ভালবাসি "I LOVE YOU.
আশা যদি তুমি আমাকে ভালবাস না তবে আমার একটাই অনুরুধ এই পত্রটা তুমি ছিঁড়ে ফেলে দিও আর আমাকে ক্ষমা করে দিও ।
তোমার উত্তরের অপেক্ষায় রহিলাম ।
ইতি
তোমারই = J
তোমাকে কি ভাবে পত্রটা দিব, ভেবে পাচ্ছিলাম না, সব সময় দু জন এক সাথে খেলা ধুলা, পড়া লেখা করি এবং তোমাদের বাডিতে যাই, তোমার মা কে খালামনি ডাকি,ভয় হচ্ছিল যদি তুমি আমাকে ভালবাস না তাহলে কি ভাবে পরবর্তিতে তোমার সামনে দাঁড়াবো তোমাকে এই লজ্জিত মুখ দেখাব,নিজেকে তখন খুব অসহায় মনে হবে।তবু ও পরের দিন স্কুল থেকে ফেরার পথে তোমার হাতে পত্রটা দেই তখন তুমি কি বলছিলে মনে আছে কি? মনে করে দেখ হায়তো তোমার মনে পরে যেতে পারে! থাক আমিই বলছি , সে দিন তুমি বলেছিলে পত্র দিচ্ছ কেন মুখে বলতে পার না, তোমার পত্রের উত্তর দেবনা যতদিন না তুমি মুখে বলছ। আমি কিছু বলিনি সে দিন শুধু বোবার মত মাটির দিকে মাথা নত করে রেখেছিলাম,কেন যেন আমার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিল না।আমার পা চলছিল না, আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, তুমি তখন চলে গিয়েছিলে।কবিতা আমার পত্রটা পড়ছ কি না জানিনা, আর হয়ত এখন আমার কথা ভাববার মত সময় তোমার কাছে নেই,তবু আমি লিখছি কেন না আমি যে তোমাকে ভুলতে পারছি না আর পারবোই বা কি করে তোমাকে ভালোবেসে আমি তোমার মজনু হতে পারিনি এটা আমার ব্যর্থতা আমি হয়েছি তোমারই দেবদাস,আমার ললাটে তোমাকে পাওয়া হলো না আর হবেই বা কি করে আমি তো তোমার থেকে অনেক দুরে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু তোমার সাথে তো সবসময় যোগাযোগ রেখেছি, আমিতো তোমাকে ভুলিনি, প্রতিদিন তোমার সাথে একবার না হয় কথা হত কিন্ত একবার ও বলিনি তুমি চলে যাবে,আমার কি দুষ ছিল, কি কারনে আমার পৃথিবী থেকে চলে গেলে তা আজও জানতে পারলাম না, মানুষ যে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তা তোমাকে না দেখলে আমি কখনো বুঝতাম না,তোমার জন্য আজ আমার দেশ ত্যাগ,তুমিই আমাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যাবার জন্য বলেছিলে আমি তাই করেছিলাম কিন্ত কি লাভ হল বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে ফিরে এসে যে তোমাকে পেলাম না, আজ আমি তোমার কথা ভাবি এত ভালবাসার পরেও কি ভাবে আমার সাথে ছলনা করলে কি এমন কমতি ছিল আমার মাঝে যে আমি তোমার যোগ্য ছিলাম না, কবিতা এখন কত সুখে আছ আমাকে ভুলে কার জন্য তোমার ভালোবাসা , আমি কি যে আবুল তাবুল বলছি তাই না ভাবছ পাগল হয়ে গেলাম না কি ?না আমি পাগল হব কেন? কখনও না, কি জানি পাগল তো নিজেকে কখনো পাগল বলে না। ওহ! কি যেন লিখতে গিয়ে কি লিখছি মুল কথায় আসি:-সেদিন রাতে তুমি পড়ার টেবিলে বসে
আগামী পর্বে চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কিশোর কারুণিক ০৫/০৭/২০১৫চলবে?
-
জহরলাল মজুমদার ২৩/০৬/২০১৫মন্দ না
-
মোবারক হোসেন ২২/০৬/২০১৫VERY FINE
-
জে এস সাব্বির ২২/০৬/২০১৫সাচ্চা প্রেমের পরিণতিটা হয়ত এরকমই হয় ,সবসময় ।