কবিতা -পর্ব দুই
পর্ব দুই
কবিতা
আমার প্রত্রটা খুব লম্বা তাই না। আজ আবার তোমার কাছে লিখতে বসলাম,কি লিখব ভেবে পাচ্ছি না, এখন অনেক রাত,আমি বাতায়ন খুলে যতদুর চোখ যায় চেয়ে আছি চারিদিকে আন্ধকার ,তোমাদের বাড়ির আঙিনার লাইটের ক্ষীন আলো দেখা যাচ্ছে।মাঝে মাঝে দু একটা পাখির উড়ে যাচ্ছে ডানা শব্দ শুনতে পচ্ছি।
নিরব চারিদিক নিরব কিন্ত এই নিরবতার মাঝেও আমার চোখে ঘুম নেই,তোমার কথা ভাবছি,ভাবছি কি ভাবে ভুলব তোমাকে, কি করে তুমি আমাকে ভুলে গেলে কিন্তু এই আমি আজ কতটা বছর হল তোমাকে একটি মিনিটের জন্য ভুলতে পারছি না,আর ভুলব বা কি করে,মনে পরে সেই ছোট বেলার কথা :"আমি,তুমি,অনামিকা,আলেয়া,আশা,ফয়ছাল,কাইয়ূম আমরা সভাই এক সাথে প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। তখন কি আমরা প্রেম/ভালবাসা বুঝতাম কিছুই বুঝতাম না কিন্তু আমাদের সব বন্ধু বান্ধবদের মাঝে তুমি ছিলে আমার অধিক প্রিয়। সব সময় তুমি আর আমি পাশা পাশি থাকতাম। স্কুলে ক্লাসে একই ডেক্সে পাশা-পাশি বসতাম,রাতে প্রাইভেট পড়ার সময় তুমি প্রতিদিন আমার পাশের চেয়ারে বসতে মাঝে মাঝে আমি দুষ্টমি করে তোমার কলম চুরি করে লুকিয়ে রাখতাম তুমি তখন কি করতে মনে আছে কি কবিতা?জানি না হয়ত বা তোমার মনে আছে কিন্তু মনে না থাকার ভান করে আছ।কবিতা তুমি হয়ত সব মনের মাঝে লুকিয়ে রেখেছ আমি কিন্তু পারছি না আমি লিখব, লিখব আমার জীবনের গল্পটা যাই হোক ছোট বেলার কথায় আবার ফিরে যাই" সে দিন তারিখ টা কি ছিল মনে নেই , আমাদের পাশের বাড়ির একটি আম বাগান ছিল আমরা স্কুল থেকে আসার পথে বাগান টা চোখে পরে পাকা আমের ঘ্রান নাকে আসে , তুমি সে দিন বায়না ধরলে আম পেরে দিতে কি আর করা আম গাছে উঠে আম পেরে দিলাম তোমাকে,কিন্তু গাছ থেকে যেই নামতে যাব আর নামতে পারছিলাম না হঠাঁৎ হাত ফাঁসকে নীচে পরে গেলাম। তারপর কি হয়ে ছিল তুমি ভাল করে জান, আমার হাত ভেঙে গিয়েছিল,আমি
অনেক দিন অসুস্থ ছিলাম , জানো কবিতা তুমি মাঝে মাঝে বলতে আমার কি খুব কষ্ট হয়েছিল । আমি হাসি মুখে বলতাম না,কিন্তু আমার খুব কষ্ট হত বিশেষ করে ঘুমানোর সময় ঘুমাতে কি যে কষ্ট হত তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না। কবিতা সে দিনের কষ্টের চেয়ে আজ আমি আর ও বেশি কষ্ট অনুভব করছি তোমাকে হারিয়ে এ জীবন থেকে, সবাই আছে পাশে শুধু তুমি নেই তোমার শুন্যতা আমাকে সব সময় একা করে রাখে।
চলবে
কবিতা
আমার প্রত্রটা খুব লম্বা তাই না। আজ আবার তোমার কাছে লিখতে বসলাম,কি লিখব ভেবে পাচ্ছি না, এখন অনেক রাত,আমি বাতায়ন খুলে যতদুর চোখ যায় চেয়ে আছি চারিদিকে আন্ধকার ,তোমাদের বাড়ির আঙিনার লাইটের ক্ষীন আলো দেখা যাচ্ছে।মাঝে মাঝে দু একটা পাখির উড়ে যাচ্ছে ডানা শব্দ শুনতে পচ্ছি।
নিরব চারিদিক নিরব কিন্ত এই নিরবতার মাঝেও আমার চোখে ঘুম নেই,তোমার কথা ভাবছি,ভাবছি কি ভাবে ভুলব তোমাকে, কি করে তুমি আমাকে ভুলে গেলে কিন্তু এই আমি আজ কতটা বছর হল তোমাকে একটি মিনিটের জন্য ভুলতে পারছি না,আর ভুলব বা কি করে,মনে পরে সেই ছোট বেলার কথা :"আমি,তুমি,অনামিকা,আলেয়া,আশা,ফয়ছাল,কাইয়ূম আমরা সভাই এক সাথে প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। তখন কি আমরা প্রেম/ভালবাসা বুঝতাম কিছুই বুঝতাম না কিন্তু আমাদের সব বন্ধু বান্ধবদের মাঝে তুমি ছিলে আমার অধিক প্রিয়। সব সময় তুমি আর আমি পাশা পাশি থাকতাম। স্কুলে ক্লাসে একই ডেক্সে পাশা-পাশি বসতাম,রাতে প্রাইভেট পড়ার সময় তুমি প্রতিদিন আমার পাশের চেয়ারে বসতে মাঝে মাঝে আমি দুষ্টমি করে তোমার কলম চুরি করে লুকিয়ে রাখতাম তুমি তখন কি করতে মনে আছে কি কবিতা?জানি না হয়ত বা তোমার মনে আছে কিন্তু মনে না থাকার ভান করে আছ।কবিতা তুমি হয়ত সব মনের মাঝে লুকিয়ে রেখেছ আমি কিন্তু পারছি না আমি লিখব, লিখব আমার জীবনের গল্পটা যাই হোক ছোট বেলার কথায় আবার ফিরে যাই" সে দিন তারিখ টা কি ছিল মনে নেই , আমাদের পাশের বাড়ির একটি আম বাগান ছিল আমরা স্কুল থেকে আসার পথে বাগান টা চোখে পরে পাকা আমের ঘ্রান নাকে আসে , তুমি সে দিন বায়না ধরলে আম পেরে দিতে কি আর করা আম গাছে উঠে আম পেরে দিলাম তোমাকে,কিন্তু গাছ থেকে যেই নামতে যাব আর নামতে পারছিলাম না হঠাঁৎ হাত ফাঁসকে নীচে পরে গেলাম। তারপর কি হয়ে ছিল তুমি ভাল করে জান, আমার হাত ভেঙে গিয়েছিল,আমি
অনেক দিন অসুস্থ ছিলাম , জানো কবিতা তুমি মাঝে মাঝে বলতে আমার কি খুব কষ্ট হয়েছিল । আমি হাসি মুখে বলতাম না,কিন্তু আমার খুব কষ্ট হত বিশেষ করে ঘুমানোর সময় ঘুমাতে কি যে কষ্ট হত তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না। কবিতা সে দিনের কষ্টের চেয়ে আজ আমি আর ও বেশি কষ্ট অনুভব করছি তোমাকে হারিয়ে এ জীবন থেকে, সবাই আছে পাশে শুধু তুমি নেই তোমার শুন্যতা আমাকে সব সময় একা করে রাখে।
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জহরলাল মজুমদার ০২/০৭/২০১৫চলবে হয়ে যাক।
-
নিরঝরা ১৯/০৬/২০১৫পত্র বৈচিত্র. ভালোলাগলো
-
মো: হাবিবুর রহমান বাবলু ১৯/০৬/২০১৫ভাল।
-
মোবারক হোসেন ১৮/০৬/২০১৫পত্র মানেই মনের মানচিত্র।এখানে মধুময় স্মৃতি কথা
কয়।ভাল লাগলো। -
আহমাদ মাগফুর ১৪/০৬/২০১৫হুম, আবেগমাখা পত্র!
-
তরীকুল ইসলাম সৈকত ১৩/০৬/২০১৫খোলা চিঠি...