কবিতার কথোপকথন
আকাশ: এই যে...এই লিঙ্কটাতে ক্লিক করো। এগুলো আমার
লেখা কবিতা।
নীলা: হুমম....পড়লাম।
আকাশ: পড়লাম মানে....লিঙ্কটাই তো দিলাম মাত্র!
নীলা: তোমার টাইমলাইনে আগেই পেয়েছি। তখনই পড়লাম।
ভেবেছিলাম অন্য কারো লেখা। পরে দেখি তোমার!
আকাশ: ওহ্ আচ্ছা। তাই বলো। আজ 81 তম কবিতাটা লিখলাম।
নীলা: তোমার ডায়েরিতে নাকি ব্লগ- এ?
আকাশ: ডায়েরিতে.....সবগুলো অবশ্য প্রকাশযোগ্য না। কিঞ্চিত
সেন্সরড আছে কতোগুলো।
নীলা: আচ্ছা তুমি কবিতা লিখ কবে থেকে বলোতো! আমার অনেক
আগে থেকেই মনে হতো তুমি কবিতা লিখ....একবার বোধহয়
জিজ্ঞাসাও করেছিলাম যে তুমি কবিতা লিখ নাকি....উত্তর
দাওনি সেদিন। কথা কাটিয়েছিলে।
আকাশ: না মানে আসলে আগে অনেক কম লিখতাম তো...ওটাকে ঠিক
কবিতা বলা যায় না। কিনতু তোমার কি দেখে মনে হল বলোতো?
আমি কবিতা লিখার মতো ছেলে এটাতো কেউ ভাবতেই পারেনা।
অনেকেই জিজ্ঞাসা করে হঠাৎ কবিতা লিখছি কেন?
নীলা: কেনো জানিনা....তবে আমার
মনে হয়েছে তুমি কবিতা লিখ....তবে গোপনে...কারো কাছে প্রকাশ
করো না।
আকাশ: তবেতো তোমার পর্যবেক্ষণ শক্তি অসাধারণ বলতেই হচ্ছে। ব্লগ
এ লিখা কোন কবিতাটা ভালো লেগেছে?
নীলা: বেশ কয়েকটাই....তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে "আমি এক
শব্দহীন কবিতা"। কেমন
যে লেগেছে....স্পিচলেস....মনে হচ্ছে তুমি আমার মনের
ভাবনাটা চুরি করে লিখেছ।
আকাশ: তোমাকে তো তবে অপুর
মতো করে বলতে হচ্ছে-"আমি পাইলাম...তাহারে পাইলাম"।
এতোদিনে কেউ আমার কবিতা নিয়ে কিছুটা হলেও মতামত দিলো ....
নীলা: তাই নাকি....আসলে কবিতা সবাই বুঝেনা....কবিতা সময়
নিয়ে অনুভব করতে হয়....তোমার ভাষায় বললে-"কবিতা শব্দে নয়
অনুভবে প্রকাশিত"।
আকাশ: তোমার অনুধাবন শক্তি ভালো বলতেই হচ্ছে।
নীলা: কবিতা পড়তে হলে স্পেশাল মন লাগে।
আকাশ: মনের পরিবেশ টাও গুরুত্বপূর্ণ.....তবে কবিতা লিখতে কিন্তু
কষ্ট থাকা লাগে....অপ্রকাশিত কষ্ট।
নীলা: আমিও লিখেছি কয়েকটা কবিতা। তবে কারো সাথে শেয়ার
করিনি। তুমিই প্রথম যে জানলে। ঠিক করেছি তোমায় পড়তে দেব।
তবে শর্ত আছে একটা....হাসতে পারবে না।
আকাশ: ঠিক আছে হাসবো না। আর হাসলেও তো তুমি দেখছো না তাই
না।
নীলা: যাও দিবো না । বলেই ভুল করেছি ।
আকাশ: আরে না না সত্যি হাসবো না।
নীলা: কবিতা টা লিখেছিলাম ক্লাস 10 এ থাকতে।
চাইনা তাকে নূন ভাতের নিত্য দিনের হিসেবের মাঝে বেঁধে রাখতে
চাইনা কর্তব্য পালনের মতো রুটিন মাফিক
চলা কখনোবা একঘেয়েমিতে
............
..........
............
কোমল স্মৃতি রোমন্থনে।
আকাশ: ঐ
বয়সে এতো গভীরভাবে ভালোবাসাকে উপলদ্ধি করলে কীভাবে?
ভালোলাগা কে ভালোবাসাতে রূপান্তর করার আগে এই
বোধটা থাকা খুব জরুরী।
নীলা: হুমম।
আকাশ: আমার ইচ্ছা আছে একজন পার্টনার পেলে যৌথ
কবিতা লিখবো। এক লাইন আমি পরের লাইন
সে.....এভাবে চলতে থাকবে।
নীলা: তবেতো দুজনকে সমান্তরালে ভাবতে হবে। দুজনের শব্দ চয়ন
ক্ষমতা একরকম হতে হবে।
আকাশ: তাতো অবশ্যই।
নীলা: আমার আরেকটা কবিতা দিলাম:-
সময়ের বিবর্তনে কয়লাও হীরা হয়ে যায়
সয়ের বিবর্তনে লোহাতেও কিন্তু মরিচা ধরে
পুরোনো নক্ষত্র দিন দিন উজ্জলতর হয়.....
.........
.........
.........
আকাশ: তোমায় গুরু মানছি। কঠিন অনুভব। তোমার বয়ফ্রেন্ড
যে হবে তার তো খবর আছে। এতো গভীরতার
মেয়েকে সামলানো তো যেমন তেমন ব্যাপার না। মাথায়
যদি কবিতা বোধ না থাকে তবে তোমাকে পেয়েও
পাওয়া হবেনা তার। মজার ব্যাপার কি জানো আমার যখন লেখার
নেশা উঠে তখন আমি একটানে লিখতে থাকি। যে লাইন
লেখা হয়ে যায় সেই লাইন টা আর পড়িনা। কয়েকদিন পর
কবিতা টা একসাথে পড়ি। লেখার পরপর পড়ি না।
পরে পড়লে লেখাটা অন্য কারো মনে হয়। মজা লাগে।
নীলা: আমার আবার বয়ফ্রেন্ড! আজকাল ছেলেদের মন বড়
বেশী অগভীর।
যেখানে গভীলতা পাওয়া যায়না সেখানে স্বাচ্ছন্দে ডুব দেওয়া যায়
না।আজকাল যে খরা চলছে তাতে হাঁটু মুড়ে মাথা নীচু করে ডুব
দেওয়া লাগবে।
আকাশ: ভালো বলেছ। তবে কী জানো গভীরতা খুঁজতে কিন্তু তোমায়
পানিতে নামতে হবে.....পা ভিজাতে হবে....যখন
বুঝবে না এখানে তো গভীরতা নেই তখন দেখবে অগভীরেই
অভ্যস্ততা গড়ে উঠেছে।
নীলা: তা হয়তো ঠিকই বলেছো। অগভীর
পানিতে ভিজতে শুয়ে পড়তে হবে......মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে ভিজার
সুযোগ নেই।
আকাশ: কিছু মেয়ে বৃষ্টির ফোঁটায় সিক্ত
হতে ভালোবাসে .....তুমি ভালোবাসো তরল ভালোবাসার গভীরে ডুব
দিয়ে সিক্ত হতে।
নীলা: থাক এ বিষয় টা। তোমাকে আর একটা কবিতা দেই-
A Silent consent
Next time we will meet In a moonlit night
May we talk a bit
May we sit beside
May I be with u in the seaside
May u give a lovely speech n b waiting 4 d answer
I will give u a bit sweet smile
That’s a silent acceptance of mine
I will not tell anything I will not ask anything
I will look at you keeping my eyes in yours
In a lonely place in a moonlit night witnessing the mid-night sun
and the vesper
I will only give a smile,a sweet silent consent.
A speechless love a speechless hope a speechless trust to be with
u ever n ever
You will b waiting but I will not tell anything
There’s nothing to say
There’s nothing to express
There’s nothing to ask
There’s love in knowing no answer..
আকাশ:
I can feel it
I can feel those 2
I can feel their heart..their thoughts...their feeling...their
silence...the beauty of the NO ANSWER.
You should have published it somewhere
The last line is touchy
I can just feel the poetry….thats what its written for
U better keep writing... everyone can not write....because everyone
can not think, feel and express simultaneously...
নীলা: thank you very much. এভাবে কখনো কবিতার জন্য
complement দেয়নি তো তাই একটু লজ্জা লাগছে।
আকাশ: huh huh huh. you have earned the complement.
নীলা: তোমার লেখা আমি এক নিঃশব্দ কবিতাটার জন্য একটা কমেন্ট
এসেছে মাথায়-" when silence speaks, its better to keep silence and
let silence speak......it has rich vocabulary than our lips"
আকাশ: ধন্যবাদ।
নীলা: তোমাকে কবিতাগুলো পড়তে দিলাম কেন জানো?
আকাশ: না তো।
নীলা: কারণ আমার মনে হয়েছে তুমি কবিতাগুলো বুঝবে। অনুভব
করে পড়বে। কবিতার প্রতিটা লাইন নিয়ে ভাববে।
আকাশ: আমি খুব অবাক হচ্ছি তোমার কথা শুনে। তুমি আমার মনের
ভাষা এভাবে পড়লে কীভাবে। আমি তো সবার কাছে রোবট আর
ক্যারিয়ার সেন্ট্রিক ছেলে হিসেবে পরিচিত।
আমাকে কবিতা লিখতে দেখে তো সবাই অবাক। আর
তুমি দেখছি আমাকেই অবাক করে দিলে।
নীলা: হুমম। তুমি ভিতরে আর বাহিরে যে আলাদা মানুষ
তা বুঝতে আমার ও সময় লেগেছে। অত সহজে প্রকাশিত হও
নি তুমি আমার কাছে। তোমার কবিতা গুলো আমি ভীষণ ভাবে feel
করেছি। তাই তোমার সাথে আমার গুলো শেয়ার করলাম। মনে হল
তুমি ও হয়তো আমার গুলো অনুভব করবে।
আকাশ: কবিতা লেখা আসলে নেশার মতো।
মাঝে মাঝে না লিখতে পারলে আমার হাত পা কাঁপে।
নীলা: কবিতা লিখতে কাউকে প্রচন্ড ভালোবাসতে হয় অথবা প্রচন্ড
কষ্ট পেতে হয়।
আকাশ: অথবা চরিত্রের মন পড়তে পারতে হয়....কল্পনা শক্তি প্রখর
হতে হয়।
নীলা: যার কল্পনার জগৎ যতো বড় সে ততো একা। তোমাল
ভালোবাসার যুদ্ধাপরাধী কবিতাটাও খুব ভালো লেগেছে।
আকাশ: আমার প্রিয় কবিতা ভালোবাসার ছায়াপথ। আমি খুব অনুভব
করে লিখেছি কবিতাটা।
নীলা: হুমম বোঝা যায়।
আকাশ: আসলে কবিতার সৌন্দর্য কিন্তু শুধু কবির লেখাতে না।
পাঠকের কল্পনাতেও এর সমান বিস্তৃতি। পাঠক যখন কবিতা পড়ে সেই
মুহূর্তে তার মনের অবস্থা, তার কল্পনা শক্তি সব মিলিয়েই কবিতার
সৌন্দর্য।
নীলা: ঠিক বলেছ।
আকাশ: কয়েকটা অপ্রকাশযোগ্য কবিতা লিখে ফেলেছি।
কাউকে পড়তে দিতে পারছি না। অশ্লীল ভাবতে পারে। কিন্তু
কি করব লেখা হয়ে গিয়েছে।
নীলা: হাহ হাহ। সব বিষয় নিয়ে লিখাই ভালো। তবে সব প্রকাশ
এবং সবার কাছে প্রকাশ ভালো না। ছেলেদের রোমান্টিসিজম
দেখতে ভালো লাগে। ওরা মেয়েদের চেয়ে বড় এলাকায় বিচরণ
করতে পারে।
আকাশ: তা ঠিক। মেয়ে হয়েতো তুমি আরেক মেয়ের
কথা ভেবে কবিতা লিখতে পারবে না। আর কবিত জগতের একটা বড়
অংশ জুড়েই তো নারিত্বের বন্দনা। ওটা ছেলেদের মানায়।
নীলা: তাও জানো আমি মাঝে মাঝে নিজেকে ছেলের জায়গায়
কল্পনা করে মেয়েদের নিয়ে লিখি।
আকাশ: মজা তো।
নীলা: কোন কবি টাইপের ছেলের সাথে আমার প্রেম হতো যদি খুব
মজা হতো। কিন্তু কবিরা তো সুন্দরী মেয়েদের প্রেমে পড়ে। আমার
যা চেহারা।
আকাশ: হা হা হা। একটা মেয়ে নিজের চেহারা খারাপ কখন
বলে জানো?
নীলা: কখন?
আকাশ: যখন সে জানে যে সে আসলে সুন্দর এবং সে সেটা অন্যের
মুখে শুনতে চায় তখন ।
নীলা: লজ্জা দিলা?
আকাশ: দিলাম ই না হয় একটু খানি লজ্জা........অনেক বেশী সরল
তোমার কৃত্রিমতার সজ্জা।
নীলা: হাহ হাহ।
আকাশ: শোন a girl's beauty is in her mind....but problem is that
boys try to find it in their face and after a few days get diappointed.
নীলা: আচ্ছা তিন পাতার নাকফুল কবিতায় কি তুমি তিন
পাতা বলতে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত কে বুঝিয়েছ?
আকাশ: না। মেয়েটিকে যেদিন আমার বন্ধু প্রথম দেখে সে ঐ রকমই
নাকফুল পড়েছিল। কবিতাটা আমার বন্ধুর মনের ভাব আমার ভাষায়
প্রকাশিত। কিন্তু তুমি যেভাবে কবিতাটা interpret করলে এইটাই
হলো কবিতার মজা। যে যার মতো ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে।
নীলা: যার গভীরতা যতো সে ততো বেশী রস আস্বাদন করতে পারে।
মানুষের কল্পনা করার একটা space থাকে।
আকাশ: খুব ভালো বলেছো।
নীলা: একটা ভালো কবিতা দিলাম পড়তে-
সপ্ন গুলোকে আত্মহত্যা করিয়ে নিয়ে এলাম।
একটার নাম আকাশ,একটার নাম আলো,অন্যটা তুমি।
লাল হলুদ সবুজ আমার আর একটাও স্বপ্ন নেই।
এই দেখো আমার দুহাতে আগুন,এখন আমি সমুদ্র পোড়াতে যাব।
আকাশ: তুমি লিখেছ!
নীলা: না অতোটা গভীরতা আসেনি এখনো আমার। কবির নাম রুদ্র
গোস্বামী। পরিচিত হলে জীবন দিয়ে দিতাম হয়তো তাকে পাওয়ার
জন্য।
আকাশ: তাই নাকি?
নীলা: প্রত্যেক নিঃশব্দতার একটা নিজস্ব শব্দ থাকে।
প্রত্যেক শব্দের থাকে একটি পরিণতি।
না বলে যা বলতে পেরেছি আমি; বলে তা বোঝাতে পারিনি তাকে!
এটাও তার লেখা।
আকাশ: দুঃখী কবি....অবশ্য দুঃখই তো মানুষের স্থায়ী সুখ!
নীলা: আরেকটা কবিতা পড়ে দেখ-
জানি খুব ছড়ানো সময় তোকে পাইনি।
দূর পাল্লার ট্রেনের মত তুই কিংবা, কোন ধূমকেতুর মতো;
স্থবির দৃষ্টিটা বোধের গায়ে হেলান দেবার আগেই যেন উধাও!
বুঝলাম, আগের মতই আছিস তুই।
নিজেকে গোপন রেখে প্রকাশ করিস আবছায়ার মতো-
দেখা যায়, তবু দেখিনি বললে মিথ্যে বলা হয়না।
ধূলো পড়া সময় গুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাকে।
তার ফাঁকে কিছু পুরনো সময়;
বন্ধু, তুই বললিঃ লিখছিস এখনো?
আমি বললামঃ হ্যাঁ। তুই বললিঃ ... নাহ। তুই কিছুই বলিসনি। চুপ
করে ছিলি।
কি জানি! হয়তো ভাবছিলি, এই পাগলটা এখনো পাগলামী শেখেনি!
আর আমি ভাবছিলাম- তোর কথাটা; "যত্নে থাকিস।
যতোটা যত্নে থাকলে দুঃখ পাওয়া যায়।"
আকাশ: মন খারাপ করা ভালো লাগা অনুভব করছি। অমিয় চক্রবর্তীর এই
কবিতাটা আমার ভীষণ প্রিয়-
অতন্দ্রিলা, ঘুমোওনি জানি তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে বলি,
শোনো, সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায় —সূক্ষ্মজাল রাত্রির
মশারি— কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন, আলাদা নিশ্বাসে—
এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই কী আশ্চর্য দু-জনে দু-জনা—
অতন্দ্রিলা, হঠাত্ কখন শুভ্র বিছানায় পড়ে জ্যোত্স্না,
দেখি তুমি নেই ||
নীলা: অসাধারণ একাকিত্ব কে ধারণ করে আছে কবিতাটা। দম
আটকানো একাকিত্ব।
আকাশ: আসলে অধরাকে নিয়ে কবিতা লিখা যায়।
যা তুমি পেয়ে যাবে তা নিয়ে কবিতা লেখা বোধহয় কিছুটা নিজের
সাথেই অভিনয়।
নীলা: অথবা যাকে পাওয়া হয় তাকেই বারবার নতুন করে, নতুন
রূপে পাওয়ার ইচ্ছাও কবিতা লিখার প্রেরণা হতে পারে।
আকাশ: যথার্থ বলেছো। ভাবছি তোমার
যদি আপত্তি না থাকে তবে একটা অনুমতি চাইবো।
নীলা: বলো, কীসের আবার অনুমতি।
আকাশ: তোমার আর আমার এই যে ফেসবুকীয় কথোপকথন
তা নিয়ে একটা গল্প লিখবো।
নীলা: মজা হবে.......তবে নাম আমাদের টা দিয়ো না।
আকাশ: না.......আমার নাম হবে আকাশ আর তুমি হবে নীলা....আমার
ভেতরে বেদনার রঙ নিয়ে বিস্তৃত রবে তুমি।
নীলা: তবে তাই হোক।
লেখা কবিতা।
নীলা: হুমম....পড়লাম।
আকাশ: পড়লাম মানে....লিঙ্কটাই তো দিলাম মাত্র!
নীলা: তোমার টাইমলাইনে আগেই পেয়েছি। তখনই পড়লাম।
ভেবেছিলাম অন্য কারো লেখা। পরে দেখি তোমার!
আকাশ: ওহ্ আচ্ছা। তাই বলো। আজ 81 তম কবিতাটা লিখলাম।
নীলা: তোমার ডায়েরিতে নাকি ব্লগ- এ?
আকাশ: ডায়েরিতে.....সবগুলো অবশ্য প্রকাশযোগ্য না। কিঞ্চিত
সেন্সরড আছে কতোগুলো।
নীলা: আচ্ছা তুমি কবিতা লিখ কবে থেকে বলোতো! আমার অনেক
আগে থেকেই মনে হতো তুমি কবিতা লিখ....একবার বোধহয়
জিজ্ঞাসাও করেছিলাম যে তুমি কবিতা লিখ নাকি....উত্তর
দাওনি সেদিন। কথা কাটিয়েছিলে।
আকাশ: না মানে আসলে আগে অনেক কম লিখতাম তো...ওটাকে ঠিক
কবিতা বলা যায় না। কিনতু তোমার কি দেখে মনে হল বলোতো?
আমি কবিতা লিখার মতো ছেলে এটাতো কেউ ভাবতেই পারেনা।
অনেকেই জিজ্ঞাসা করে হঠাৎ কবিতা লিখছি কেন?
নীলা: কেনো জানিনা....তবে আমার
মনে হয়েছে তুমি কবিতা লিখ....তবে গোপনে...কারো কাছে প্রকাশ
করো না।
আকাশ: তবেতো তোমার পর্যবেক্ষণ শক্তি অসাধারণ বলতেই হচ্ছে। ব্লগ
এ লিখা কোন কবিতাটা ভালো লেগেছে?
নীলা: বেশ কয়েকটাই....তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে "আমি এক
শব্দহীন কবিতা"। কেমন
যে লেগেছে....স্পিচলেস....মনে হচ্ছে তুমি আমার মনের
ভাবনাটা চুরি করে লিখেছ।
আকাশ: তোমাকে তো তবে অপুর
মতো করে বলতে হচ্ছে-"আমি পাইলাম...তাহারে পাইলাম"।
এতোদিনে কেউ আমার কবিতা নিয়ে কিছুটা হলেও মতামত দিলো ....
নীলা: তাই নাকি....আসলে কবিতা সবাই বুঝেনা....কবিতা সময়
নিয়ে অনুভব করতে হয়....তোমার ভাষায় বললে-"কবিতা শব্দে নয়
অনুভবে প্রকাশিত"।
আকাশ: তোমার অনুধাবন শক্তি ভালো বলতেই হচ্ছে।
নীলা: কবিতা পড়তে হলে স্পেশাল মন লাগে।
আকাশ: মনের পরিবেশ টাও গুরুত্বপূর্ণ.....তবে কবিতা লিখতে কিন্তু
কষ্ট থাকা লাগে....অপ্রকাশিত কষ্ট।
নীলা: আমিও লিখেছি কয়েকটা কবিতা। তবে কারো সাথে শেয়ার
করিনি। তুমিই প্রথম যে জানলে। ঠিক করেছি তোমায় পড়তে দেব।
তবে শর্ত আছে একটা....হাসতে পারবে না।
আকাশ: ঠিক আছে হাসবো না। আর হাসলেও তো তুমি দেখছো না তাই
না।
নীলা: যাও দিবো না । বলেই ভুল করেছি ।
আকাশ: আরে না না সত্যি হাসবো না।
নীলা: কবিতা টা লিখেছিলাম ক্লাস 10 এ থাকতে।
চাইনা তাকে নূন ভাতের নিত্য দিনের হিসেবের মাঝে বেঁধে রাখতে
চাইনা কর্তব্য পালনের মতো রুটিন মাফিক
চলা কখনোবা একঘেয়েমিতে
............
..........
............
কোমল স্মৃতি রোমন্থনে।
আকাশ: ঐ
বয়সে এতো গভীরভাবে ভালোবাসাকে উপলদ্ধি করলে কীভাবে?
ভালোলাগা কে ভালোবাসাতে রূপান্তর করার আগে এই
বোধটা থাকা খুব জরুরী।
নীলা: হুমম।
আকাশ: আমার ইচ্ছা আছে একজন পার্টনার পেলে যৌথ
কবিতা লিখবো। এক লাইন আমি পরের লাইন
সে.....এভাবে চলতে থাকবে।
নীলা: তবেতো দুজনকে সমান্তরালে ভাবতে হবে। দুজনের শব্দ চয়ন
ক্ষমতা একরকম হতে হবে।
আকাশ: তাতো অবশ্যই।
নীলা: আমার আরেকটা কবিতা দিলাম:-
সময়ের বিবর্তনে কয়লাও হীরা হয়ে যায়
সয়ের বিবর্তনে লোহাতেও কিন্তু মরিচা ধরে
পুরোনো নক্ষত্র দিন দিন উজ্জলতর হয়.....
.........
.........
.........
আকাশ: তোমায় গুরু মানছি। কঠিন অনুভব। তোমার বয়ফ্রেন্ড
যে হবে তার তো খবর আছে। এতো গভীরতার
মেয়েকে সামলানো তো যেমন তেমন ব্যাপার না। মাথায়
যদি কবিতা বোধ না থাকে তবে তোমাকে পেয়েও
পাওয়া হবেনা তার। মজার ব্যাপার কি জানো আমার যখন লেখার
নেশা উঠে তখন আমি একটানে লিখতে থাকি। যে লাইন
লেখা হয়ে যায় সেই লাইন টা আর পড়িনা। কয়েকদিন পর
কবিতা টা একসাথে পড়ি। লেখার পরপর পড়ি না।
পরে পড়লে লেখাটা অন্য কারো মনে হয়। মজা লাগে।
নীলা: আমার আবার বয়ফ্রেন্ড! আজকাল ছেলেদের মন বড়
বেশী অগভীর।
যেখানে গভীলতা পাওয়া যায়না সেখানে স্বাচ্ছন্দে ডুব দেওয়া যায়
না।আজকাল যে খরা চলছে তাতে হাঁটু মুড়ে মাথা নীচু করে ডুব
দেওয়া লাগবে।
আকাশ: ভালো বলেছ। তবে কী জানো গভীরতা খুঁজতে কিন্তু তোমায়
পানিতে নামতে হবে.....পা ভিজাতে হবে....যখন
বুঝবে না এখানে তো গভীরতা নেই তখন দেখবে অগভীরেই
অভ্যস্ততা গড়ে উঠেছে।
নীলা: তা হয়তো ঠিকই বলেছো। অগভীর
পানিতে ভিজতে শুয়ে পড়তে হবে......মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে ভিজার
সুযোগ নেই।
আকাশ: কিছু মেয়ে বৃষ্টির ফোঁটায় সিক্ত
হতে ভালোবাসে .....তুমি ভালোবাসো তরল ভালোবাসার গভীরে ডুব
দিয়ে সিক্ত হতে।
নীলা: থাক এ বিষয় টা। তোমাকে আর একটা কবিতা দেই-
A Silent consent
Next time we will meet In a moonlit night
May we talk a bit
May we sit beside
May I be with u in the seaside
May u give a lovely speech n b waiting 4 d answer
I will give u a bit sweet smile
That’s a silent acceptance of mine
I will not tell anything I will not ask anything
I will look at you keeping my eyes in yours
In a lonely place in a moonlit night witnessing the mid-night sun
and the vesper
I will only give a smile,a sweet silent consent.
A speechless love a speechless hope a speechless trust to be with
u ever n ever
You will b waiting but I will not tell anything
There’s nothing to say
There’s nothing to express
There’s nothing to ask
There’s love in knowing no answer..
আকাশ:
I can feel it
I can feel those 2
I can feel their heart..their thoughts...their feeling...their
silence...the beauty of the NO ANSWER.
You should have published it somewhere
The last line is touchy
I can just feel the poetry….thats what its written for
U better keep writing... everyone can not write....because everyone
can not think, feel and express simultaneously...
নীলা: thank you very much. এভাবে কখনো কবিতার জন্য
complement দেয়নি তো তাই একটু লজ্জা লাগছে।
আকাশ: huh huh huh. you have earned the complement.
নীলা: তোমার লেখা আমি এক নিঃশব্দ কবিতাটার জন্য একটা কমেন্ট
এসেছে মাথায়-" when silence speaks, its better to keep silence and
let silence speak......it has rich vocabulary than our lips"
আকাশ: ধন্যবাদ।
নীলা: তোমাকে কবিতাগুলো পড়তে দিলাম কেন জানো?
আকাশ: না তো।
নীলা: কারণ আমার মনে হয়েছে তুমি কবিতাগুলো বুঝবে। অনুভব
করে পড়বে। কবিতার প্রতিটা লাইন নিয়ে ভাববে।
আকাশ: আমি খুব অবাক হচ্ছি তোমার কথা শুনে। তুমি আমার মনের
ভাষা এভাবে পড়লে কীভাবে। আমি তো সবার কাছে রোবট আর
ক্যারিয়ার সেন্ট্রিক ছেলে হিসেবে পরিচিত।
আমাকে কবিতা লিখতে দেখে তো সবাই অবাক। আর
তুমি দেখছি আমাকেই অবাক করে দিলে।
নীলা: হুমম। তুমি ভিতরে আর বাহিরে যে আলাদা মানুষ
তা বুঝতে আমার ও সময় লেগেছে। অত সহজে প্রকাশিত হও
নি তুমি আমার কাছে। তোমার কবিতা গুলো আমি ভীষণ ভাবে feel
করেছি। তাই তোমার সাথে আমার গুলো শেয়ার করলাম। মনে হল
তুমি ও হয়তো আমার গুলো অনুভব করবে।
আকাশ: কবিতা লেখা আসলে নেশার মতো।
মাঝে মাঝে না লিখতে পারলে আমার হাত পা কাঁপে।
নীলা: কবিতা লিখতে কাউকে প্রচন্ড ভালোবাসতে হয় অথবা প্রচন্ড
কষ্ট পেতে হয়।
আকাশ: অথবা চরিত্রের মন পড়তে পারতে হয়....কল্পনা শক্তি প্রখর
হতে হয়।
নীলা: যার কল্পনার জগৎ যতো বড় সে ততো একা। তোমাল
ভালোবাসার যুদ্ধাপরাধী কবিতাটাও খুব ভালো লেগেছে।
আকাশ: আমার প্রিয় কবিতা ভালোবাসার ছায়াপথ। আমি খুব অনুভব
করে লিখেছি কবিতাটা।
নীলা: হুমম বোঝা যায়।
আকাশ: আসলে কবিতার সৌন্দর্য কিন্তু শুধু কবির লেখাতে না।
পাঠকের কল্পনাতেও এর সমান বিস্তৃতি। পাঠক যখন কবিতা পড়ে সেই
মুহূর্তে তার মনের অবস্থা, তার কল্পনা শক্তি সব মিলিয়েই কবিতার
সৌন্দর্য।
নীলা: ঠিক বলেছ।
আকাশ: কয়েকটা অপ্রকাশযোগ্য কবিতা লিখে ফেলেছি।
কাউকে পড়তে দিতে পারছি না। অশ্লীল ভাবতে পারে। কিন্তু
কি করব লেখা হয়ে গিয়েছে।
নীলা: হাহ হাহ। সব বিষয় নিয়ে লিখাই ভালো। তবে সব প্রকাশ
এবং সবার কাছে প্রকাশ ভালো না। ছেলেদের রোমান্টিসিজম
দেখতে ভালো লাগে। ওরা মেয়েদের চেয়ে বড় এলাকায় বিচরণ
করতে পারে।
আকাশ: তা ঠিক। মেয়ে হয়েতো তুমি আরেক মেয়ের
কথা ভেবে কবিতা লিখতে পারবে না। আর কবিত জগতের একটা বড়
অংশ জুড়েই তো নারিত্বের বন্দনা। ওটা ছেলেদের মানায়।
নীলা: তাও জানো আমি মাঝে মাঝে নিজেকে ছেলের জায়গায়
কল্পনা করে মেয়েদের নিয়ে লিখি।
আকাশ: মজা তো।
নীলা: কোন কবি টাইপের ছেলের সাথে আমার প্রেম হতো যদি খুব
মজা হতো। কিন্তু কবিরা তো সুন্দরী মেয়েদের প্রেমে পড়ে। আমার
যা চেহারা।
আকাশ: হা হা হা। একটা মেয়ে নিজের চেহারা খারাপ কখন
বলে জানো?
নীলা: কখন?
আকাশ: যখন সে জানে যে সে আসলে সুন্দর এবং সে সেটা অন্যের
মুখে শুনতে চায় তখন ।
নীলা: লজ্জা দিলা?
আকাশ: দিলাম ই না হয় একটু খানি লজ্জা........অনেক বেশী সরল
তোমার কৃত্রিমতার সজ্জা।
নীলা: হাহ হাহ।
আকাশ: শোন a girl's beauty is in her mind....but problem is that
boys try to find it in their face and after a few days get diappointed.
নীলা: আচ্ছা তিন পাতার নাকফুল কবিতায় কি তুমি তিন
পাতা বলতে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত কে বুঝিয়েছ?
আকাশ: না। মেয়েটিকে যেদিন আমার বন্ধু প্রথম দেখে সে ঐ রকমই
নাকফুল পড়েছিল। কবিতাটা আমার বন্ধুর মনের ভাব আমার ভাষায়
প্রকাশিত। কিন্তু তুমি যেভাবে কবিতাটা interpret করলে এইটাই
হলো কবিতার মজা। যে যার মতো ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে।
নীলা: যার গভীরতা যতো সে ততো বেশী রস আস্বাদন করতে পারে।
মানুষের কল্পনা করার একটা space থাকে।
আকাশ: খুব ভালো বলেছো।
নীলা: একটা ভালো কবিতা দিলাম পড়তে-
সপ্ন গুলোকে আত্মহত্যা করিয়ে নিয়ে এলাম।
একটার নাম আকাশ,একটার নাম আলো,অন্যটা তুমি।
লাল হলুদ সবুজ আমার আর একটাও স্বপ্ন নেই।
এই দেখো আমার দুহাতে আগুন,এখন আমি সমুদ্র পোড়াতে যাব।
আকাশ: তুমি লিখেছ!
নীলা: না অতোটা গভীরতা আসেনি এখনো আমার। কবির নাম রুদ্র
গোস্বামী। পরিচিত হলে জীবন দিয়ে দিতাম হয়তো তাকে পাওয়ার
জন্য।
আকাশ: তাই নাকি?
নীলা: প্রত্যেক নিঃশব্দতার একটা নিজস্ব শব্দ থাকে।
প্রত্যেক শব্দের থাকে একটি পরিণতি।
না বলে যা বলতে পেরেছি আমি; বলে তা বোঝাতে পারিনি তাকে!
এটাও তার লেখা।
আকাশ: দুঃখী কবি....অবশ্য দুঃখই তো মানুষের স্থায়ী সুখ!
নীলা: আরেকটা কবিতা পড়ে দেখ-
জানি খুব ছড়ানো সময় তোকে পাইনি।
দূর পাল্লার ট্রেনের মত তুই কিংবা, কোন ধূমকেতুর মতো;
স্থবির দৃষ্টিটা বোধের গায়ে হেলান দেবার আগেই যেন উধাও!
বুঝলাম, আগের মতই আছিস তুই।
নিজেকে গোপন রেখে প্রকাশ করিস আবছায়ার মতো-
দেখা যায়, তবু দেখিনি বললে মিথ্যে বলা হয়না।
ধূলো পড়া সময় গুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাকে।
তার ফাঁকে কিছু পুরনো সময়;
বন্ধু, তুই বললিঃ লিখছিস এখনো?
আমি বললামঃ হ্যাঁ। তুই বললিঃ ... নাহ। তুই কিছুই বলিসনি। চুপ
করে ছিলি।
কি জানি! হয়তো ভাবছিলি, এই পাগলটা এখনো পাগলামী শেখেনি!
আর আমি ভাবছিলাম- তোর কথাটা; "যত্নে থাকিস।
যতোটা যত্নে থাকলে দুঃখ পাওয়া যায়।"
আকাশ: মন খারাপ করা ভালো লাগা অনুভব করছি। অমিয় চক্রবর্তীর এই
কবিতাটা আমার ভীষণ প্রিয়-
অতন্দ্রিলা, ঘুমোওনি জানি তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে বলি,
শোনো, সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায় —সূক্ষ্মজাল রাত্রির
মশারি— কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন, আলাদা নিশ্বাসে—
এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই কী আশ্চর্য দু-জনে দু-জনা—
অতন্দ্রিলা, হঠাত্ কখন শুভ্র বিছানায় পড়ে জ্যোত্স্না,
দেখি তুমি নেই ||
নীলা: অসাধারণ একাকিত্ব কে ধারণ করে আছে কবিতাটা। দম
আটকানো একাকিত্ব।
আকাশ: আসলে অধরাকে নিয়ে কবিতা লিখা যায়।
যা তুমি পেয়ে যাবে তা নিয়ে কবিতা লেখা বোধহয় কিছুটা নিজের
সাথেই অভিনয়।
নীলা: অথবা যাকে পাওয়া হয় তাকেই বারবার নতুন করে, নতুন
রূপে পাওয়ার ইচ্ছাও কবিতা লিখার প্রেরণা হতে পারে।
আকাশ: যথার্থ বলেছো। ভাবছি তোমার
যদি আপত্তি না থাকে তবে একটা অনুমতি চাইবো।
নীলা: বলো, কীসের আবার অনুমতি।
আকাশ: তোমার আর আমার এই যে ফেসবুকীয় কথোপকথন
তা নিয়ে একটা গল্প লিখবো।
নীলা: মজা হবে.......তবে নাম আমাদের টা দিয়ো না।
আকাশ: না.......আমার নাম হবে আকাশ আর তুমি হবে নীলা....আমার
ভেতরে বেদনার রঙ নিয়ে বিস্তৃত রবে তুমি।
নীলা: তবে তাই হোক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৮/১০/২০১৩সুনিপুণ স্বচ্ছ ভাষায় চমৎকার একটি লেখা। খুবই ভালো লাগলো। যদিও অনেক বড়। তবে গল্প চমৎকার। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ০৭/১০/২০১৩বলতেই হবে ভিন্ন স্বাদের লেখা
-
সাদিয়া ০৭/১০/২০১৩অসাধারণ
-
suman ০৭/১০/২০১৩দারন ...।খুব enjoy পুরো গল্পটা ....আরো লেখা চাই ...আরো ...
-
রোদের ছায়া ০৭/১০/২০১৩এই কথোপকথন দেখি থামেই না । কিছুটা পড়লাম । পড়ে বাকি পড়ে নিব। ভালোই লাগছিলো পড়তে । চালিয়ে জান।
-
Înšigniã Āvî ০৭/১০/২০১৩darun darun darun