একজন অভয় ও গাংচিল নদী কাব্য
প্রচন্ডে গরমের রৌদ্রতাপে যেন আকাশ কাঁদে, তবুও যেন আকাশে বেয়ে খানিকটা পানি গরিয়ে পরার কোন জো নেই। নেরি কুকুরে দল যেন রক্তহীন জিহ্বা বের করে এক দিঘী পানির অপেক্ষাই প্রহর গুনছে। কাঠ ফাটা রৌদ্রুরে নগরের অলি গলির পথ জয় করে ছাতিবিহীন ঘারে ভার উবিয়ে দই নিবেন দই হাঁক ছেরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ফেরিওয়ালা। যে যার মত কর্মব্যাস্ত যেন কর্মের টানেই সবাই উম্মুখ বীরের বেশে।
ঘরিতে ঘন্টার কাটা ১২ টা ছুঁই ছুঁই ওম তুলে গা টানা দিয়ে সারা রাত জাগ্রত অভয়ের চোখ দুটি কেবল খুল্লো। বেলুকনিতে এসে বেলকুনির গ্রিলে গা এলিয়ে দিয়ে আকাশের দিকে তাকালো অভয়। প্রান ভরে রোদের গন্ধ নিচ্ছে, রোদের ও যে একটা গন্ধ থাকে অভয়ের সেটা ভালো করেই জানা। রোদের গন্ধ সবাই নিতে পারে না কিছু পাগল গোছের কবিরা পারে এই রোদের গন্ধ নিতে। শিনা টান টান করে চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রোদের গন্ধ নিতে হয়।
বলতে ভুলেই গেছি অভয়কে বন্ধু মহলে মহল্লার চেনা পরিচিত রা সবাই পাগল কবি বলেই ডাকে। এতে অভয়ের কোন ভুরুক্ষেপ নেই অভয় এই নামটাতেই যেন স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অভয় রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলো কই যাবে কোথাই যাবে তার কোন ঠাঁই ঠিকানাই তার জানা নেই। ভবঘুরেদেরও একটা ঠাই ঠিকানা থাকে, সারাদিন টই টই করে ঘোরা মহল্লার কোন চায়ের দোকানে হয়তোবা এসে সেই ঘোরা থামে আড্ডাই মেতে ওঠে। কিন্তু অভয় ভবঘুরেদেরও কাতারে নেই। কই যাবে কি করবে কোন ইয়ত্তা নেই, বাসা থেকে বের হয়েই পায়ে হাঁটা শুরু। হাঁটছে আর পাখি গুনছে, হাতে একটা খাতা আর একটা কলম শোভা পাচ্ছে। হাঁটছে আর টুক টুক করে খাতাই কি যেন টুকছে। এই হলো অভয়ের জীবন সারাদিন একাকি ঘোরা মানুষদের পর্যালোচনা করা। তাদের হাঁটা ভাবভঙ্গি, হাত নারানো কথা বলার ধরন আর কবিতার খাতায় সেগুলো নিয়ে রাজ্যের কবিতার মালা গাথা।
কবিদের নাকি বন্ধুর অভাব হয় না সবাই না মিশলেও নাকি কবিরাই মিশে যায় সবার সাথে। ধরনির, গাছপালা,, আকাশারে সীমানা পেরিয়ে মেঘমালা, পক্ষীকূল, টল টল করা নদীর পানি এসবই যেন কবিদের বন্ধু। অভয় হাঁটতে হাঁটতে একটা গাছের কাছে আসে এসে গাছের কানে কানে কি যেন ফিস ফিস করছে। এমন স্বভাবের জন্যই বুঝি অভয়কে সবাই পাগল কবি ডাকে। তো পিছন থেকে ডাক শুনতে পায় অভয়, কিরে কবি অভয় পেছন ফিরে দেখে, রুমন, শান্ত আর নাতাশা। অভয় ওদের কাছে আসে রুমন বলে কিরে গাছের কানে কানে কি ফিস ফিস করছিলি। অভয় বলে কিছু লগন থাকে যে লগনে প্রকৃতি কাঁদে গাছপালা কাঁদে। আমাদের যেমন কস্ট হলে কাঁদি তেমনি গাছকে শান্তনা দিচ্ছিলাম। হাঁসির রোল পরে গেল যেন, শান্ত বলে উঠলো কিরে আজ ঘুরে ঘুরে কবিতার খাতায় কি কবিতা লিখলি শোনাতো
অভয় আকাশের দিকে তাকিয়ে যেন কিছু লাইন বলতে থাকলো।
দুর্বার লগণে যেন বিজয়ের হাতছানি।
পথের দুরত্ব হাঁসির ছলে যেন লুটিয়ে পরে পদমস্তকে।
ভুবনজয়ী হাঁসির মিছিলে হার মানে পরাজয়ের খাতা।
প্রকৃতির কান্না চিনতে হবে সভ্যতাকে।
সভ্যতার পরাজয়ে বহুবার বহুবছর ধরে আমি নির্বাক।
মসৃণ পায়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার তৈরি পায়ের বেরি।
ছিরে ফেলে বিজয়ীর বেসে জয় করতে হবে সভ্যতা।
লগন তবে এসে গেছে জয় হবেই এবার সভ্যতার।
লাইনগুলো বলা শেষে কে কি বুঝলো কে জানে, তিনজনই বলে উঠলো। বাহ্ অভয় দেখিস একদিন তুই অনেক বরো কবি হবি রে, লাইমলাইটে তোকে নিয়ে আলোচনা হবে। তোর কবিতার প্রতিটা লাইন মানুষের হৃদয় কারবে দেখিস। অভয় চুপ করে থাকে কিছু বলে না ওদের থেকে বিদায় নেয় অভয়।
হাঁটতে থাকে অভয় শহরের রাস্তার বুক চিরে, হাঁটতে হাঁটতে যেন ক্লান্ত অভয়। দুপুরের ঠাডা পরা রোদ, অভয় মনে মনে ভাবলো নদীর পারে গেলে মন্দ হয় না। নদীর টল টল করা পানির সাথে খানিকটা গল্প করা যাবে ক্ষন। অভয় যে ছোট্ট শহরে থাকে সেই শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে একটা নদী। নদী না প্রেমের প্রতিমুর্তি বলা মসকিল। ছোট্ট একটা নদী একদম পরিচ্ছন্ন পানি যেন বুক ভর্তি করে ভালোবাসা জমা করে নিয়ে আছে। উজার করে ঢেলে দেওয়ার জন্য। নদীটা যেন মিস্টি মাখা পানির হালকা স্রোতের শব্দে বারংবার বলতে থাকে, কোথাই তুমি গাংচিল এসো না আমার বুকে। এসে তৃষ্ঞা মেটাও তোমার রাজ্যজয়ী পা টা ভেজাও। অভয় হাঁটতে হাঁটতে নদীর পারে আসে এসে যেন অভয়ের মুখে বাঁকা ঠোঁটের কোনে একনিমিশেই একটা হাঁসি ফুটে উঠলো। অভয়ের যখন খুব খারাপ লাগে কিংবা যখন খুব ভালো লাগে তখনই নদীর পারে আসে। এসে বসে থেকে নদীর টল মল করা পানির সাথে মনের অব্যক্ত কথন গুলো শেয়ার করে। অভয় নদীর পারে বসে টল মল করার পানির দিকে চেয়ে আছে। হঠাৎ মৃদু হাঁসির শব্দ শুনতে পারে মুখ টা তুলে তাকিয়ে দেখে, একটা মেয়ে নদীর পারের ছোট ছোট বুনো গাছের উপর বসা ফড়িং ধরে আবার আকাশে ছেরে দিচ্ছে আর হাঁসছে। অভয় সোজা উঠে দারায় মেয়েটার কাছে গিয়ে বলে, এই যে শুনুন এভাবে ফড়িং ধরছেন কেন। জানেন না ফড়িং ধরতে হয় না মেয়েটা যেন আচমকা থমকে গেল কোন কথা নেই মুখে। অভয় তার বক্তিতা দেওয়া শুরু করলো, এই কাজে অভয় খুব পটু। বলতে শুরু করলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা
ঘরিতে ঘন্টার কাটা ১২ টা ছুঁই ছুঁই ওম তুলে গা টানা দিয়ে সারা রাত জাগ্রত অভয়ের চোখ দুটি কেবল খুল্লো। বেলুকনিতে এসে বেলকুনির গ্রিলে গা এলিয়ে দিয়ে আকাশের দিকে তাকালো অভয়। প্রান ভরে রোদের গন্ধ নিচ্ছে, রোদের ও যে একটা গন্ধ থাকে অভয়ের সেটা ভালো করেই জানা। রোদের গন্ধ সবাই নিতে পারে না কিছু পাগল গোছের কবিরা পারে এই রোদের গন্ধ নিতে। শিনা টান টান করে চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রোদের গন্ধ নিতে হয়।
বলতে ভুলেই গেছি অভয়কে বন্ধু মহলে মহল্লার চেনা পরিচিত রা সবাই পাগল কবি বলেই ডাকে। এতে অভয়ের কোন ভুরুক্ষেপ নেই অভয় এই নামটাতেই যেন স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অভয় রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলো কই যাবে কোথাই যাবে তার কোন ঠাঁই ঠিকানাই তার জানা নেই। ভবঘুরেদেরও একটা ঠাই ঠিকানা থাকে, সারাদিন টই টই করে ঘোরা মহল্লার কোন চায়ের দোকানে হয়তোবা এসে সেই ঘোরা থামে আড্ডাই মেতে ওঠে। কিন্তু অভয় ভবঘুরেদেরও কাতারে নেই। কই যাবে কি করবে কোন ইয়ত্তা নেই, বাসা থেকে বের হয়েই পায়ে হাঁটা শুরু। হাঁটছে আর পাখি গুনছে, হাতে একটা খাতা আর একটা কলম শোভা পাচ্ছে। হাঁটছে আর টুক টুক করে খাতাই কি যেন টুকছে। এই হলো অভয়ের জীবন সারাদিন একাকি ঘোরা মানুষদের পর্যালোচনা করা। তাদের হাঁটা ভাবভঙ্গি, হাত নারানো কথা বলার ধরন আর কবিতার খাতায় সেগুলো নিয়ে রাজ্যের কবিতার মালা গাথা।
কবিদের নাকি বন্ধুর অভাব হয় না সবাই না মিশলেও নাকি কবিরাই মিশে যায় সবার সাথে। ধরনির, গাছপালা,, আকাশারে সীমানা পেরিয়ে মেঘমালা, পক্ষীকূল, টল টল করা নদীর পানি এসবই যেন কবিদের বন্ধু। অভয় হাঁটতে হাঁটতে একটা গাছের কাছে আসে এসে গাছের কানে কানে কি যেন ফিস ফিস করছে। এমন স্বভাবের জন্যই বুঝি অভয়কে সবাই পাগল কবি ডাকে। তো পিছন থেকে ডাক শুনতে পায় অভয়, কিরে কবি অভয় পেছন ফিরে দেখে, রুমন, শান্ত আর নাতাশা। অভয় ওদের কাছে আসে রুমন বলে কিরে গাছের কানে কানে কি ফিস ফিস করছিলি। অভয় বলে কিছু লগন থাকে যে লগনে প্রকৃতি কাঁদে গাছপালা কাঁদে। আমাদের যেমন কস্ট হলে কাঁদি তেমনি গাছকে শান্তনা দিচ্ছিলাম। হাঁসির রোল পরে গেল যেন, শান্ত বলে উঠলো কিরে আজ ঘুরে ঘুরে কবিতার খাতায় কি কবিতা লিখলি শোনাতো
অভয় আকাশের দিকে তাকিয়ে যেন কিছু লাইন বলতে থাকলো।
দুর্বার লগণে যেন বিজয়ের হাতছানি।
পথের দুরত্ব হাঁসির ছলে যেন লুটিয়ে পরে পদমস্তকে।
ভুবনজয়ী হাঁসির মিছিলে হার মানে পরাজয়ের খাতা।
প্রকৃতির কান্না চিনতে হবে সভ্যতাকে।
সভ্যতার পরাজয়ে বহুবার বহুবছর ধরে আমি নির্বাক।
মসৃণ পায়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার তৈরি পায়ের বেরি।
ছিরে ফেলে বিজয়ীর বেসে জয় করতে হবে সভ্যতা।
লগন তবে এসে গেছে জয় হবেই এবার সভ্যতার।
লাইনগুলো বলা শেষে কে কি বুঝলো কে জানে, তিনজনই বলে উঠলো। বাহ্ অভয় দেখিস একদিন তুই অনেক বরো কবি হবি রে, লাইমলাইটে তোকে নিয়ে আলোচনা হবে। তোর কবিতার প্রতিটা লাইন মানুষের হৃদয় কারবে দেখিস। অভয় চুপ করে থাকে কিছু বলে না ওদের থেকে বিদায় নেয় অভয়।
হাঁটতে থাকে অভয় শহরের রাস্তার বুক চিরে, হাঁটতে হাঁটতে যেন ক্লান্ত অভয়। দুপুরের ঠাডা পরা রোদ, অভয় মনে মনে ভাবলো নদীর পারে গেলে মন্দ হয় না। নদীর টল টল করা পানির সাথে খানিকটা গল্প করা যাবে ক্ষন। অভয় যে ছোট্ট শহরে থাকে সেই শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে একটা নদী। নদী না প্রেমের প্রতিমুর্তি বলা মসকিল। ছোট্ট একটা নদী একদম পরিচ্ছন্ন পানি যেন বুক ভর্তি করে ভালোবাসা জমা করে নিয়ে আছে। উজার করে ঢেলে দেওয়ার জন্য। নদীটা যেন মিস্টি মাখা পানির হালকা স্রোতের শব্দে বারংবার বলতে থাকে, কোথাই তুমি গাংচিল এসো না আমার বুকে। এসে তৃষ্ঞা মেটাও তোমার রাজ্যজয়ী পা টা ভেজাও। অভয় হাঁটতে হাঁটতে নদীর পারে আসে এসে যেন অভয়ের মুখে বাঁকা ঠোঁটের কোনে একনিমিশেই একটা হাঁসি ফুটে উঠলো। অভয়ের যখন খুব খারাপ লাগে কিংবা যখন খুব ভালো লাগে তখনই নদীর পারে আসে। এসে বসে থেকে নদীর টল মল করা পানির সাথে মনের অব্যক্ত কথন গুলো শেয়ার করে। অভয় নদীর পারে বসে টল মল করার পানির দিকে চেয়ে আছে। হঠাৎ মৃদু হাঁসির শব্দ শুনতে পারে মুখ টা তুলে তাকিয়ে দেখে, একটা মেয়ে নদীর পারের ছোট ছোট বুনো গাছের উপর বসা ফড়িং ধরে আবার আকাশে ছেরে দিচ্ছে আর হাঁসছে। অভয় সোজা উঠে দারায় মেয়েটার কাছে গিয়ে বলে, এই যে শুনুন এভাবে ফড়িং ধরছেন কেন। জানেন না ফড়িং ধরতে হয় না মেয়েটা যেন আচমকা থমকে গেল কোন কথা নেই মুখে। অভয় তার বক্তিতা দেওয়া শুরু করলো, এই কাজে অভয় খুব পটু। বলতে শুরু করলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৪/০৭/২০১৭Good.
-
মোনালিসা ০৯/০৭/২০১৭বেশ ভাল লিখেছেন
-
ইস্তামুল হাসান ৩০/০৬/২০১৭অসংখ্য ধন্যবাদ
-
মোনালিসা ৩০/০৬/২০১৭খুব ভাল
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ৩০/০৬/২০১৭অনেক ভালোলাগা।
-
আব্দুল হক ৩০/০৬/২০১৭সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ!!