গাছ নিয়ে উপকথা
হারমান হেসের গাছ নিয়ে উপকথাঃ
এক দেশে তিন ভাই ছিল। তারা পরস্পরকে ভীষন ভালোবাসতো।। এমন ভালবাসা যে তার কোন তুলনা হয়না। একদিন সন্ধ্যার সময় ছোট ভাইটি দেখলো তাদের গলিতে একজন লোক্ কে কে বা কারা ছুরিবিদ্ধ করে ফেলে রেখে গিয়েছে। লোক টি মরে পড়ে আছে।
ছোট ভাইটি ও বেচে আছে কিনা তা দেখার নানা ভাবে চেষ্টা করে। বুকের উপর কান পাতে। তো ওর কাপড় ও রক্তে মাখামাখি হয়ে যায়। ও লোকটিকে ঘাড়ে তুলে থানায় নিয়ে আসে।
ওর গায়ে রক্ত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ ওকে আটক করে। বিচারক ওকে খুনী সাব্যস্ত করে,ফাঁসির হুকুম দেয়।
এ খবর শুনে মেঝো ভাই ছুটে আসে। বলে,লোকটিকে আমি খুন করেছি, আমাকে শাস্তি দিন। বড় ভাই ছিল বিদেশে। এসব খবর শুনে সে দেশে ফিরেই বিচারক্ কে বলল , ওরা কেউ খুন করেনি। আমি খুন করেছি। আমাকে শাস্তি দিন।
বিচারক্ তো মহা বিপদে পড়লেন। কি করবেন? তিনি একটি বুদ্ধি বের করলেন, বললেন তোমরা তিনজন পরস্পরকে খুব ভালবাসো তা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু বিচার অন্য জিনিস। তোমাদেরকে আমি একটি পরীক্ষা দেবো।
বিচারক তিন ভাইকে একটি করে গাছ দিয়ে বললেন, এই গাছ তিনটি তোমরা উল্টো করে লাগাবে। মাথা থাকবে নীচের দিকে, শেকড় উপরের দিকে। যার গাছ আগে মারা যাবে, বুঝবো সেই আসামী।
তিন ভাই গাছ এনে বাড়িতে লাগায়। দিন গড়ায়, গাছ তো মরেই না, বরং বেশ সতেজ হয়ে বেড়ে ঊঠতে থাকে। গাছের মাথাগুলো পরস্পরকে জড়িয়ে থাকে।
একদিন বিচারক এসে দেখলেন। তাঁর বিস্ময়ের সীমা নেই। তিন ভাই মুক্তি পেয়ে যায়।
আসলে গাছ উলটো করে লাগালে ও বাঁচে যদি ভালবাসা থাকে।
" আমরা সবাই ভাইবোনেরা ছোটকালে আসলে খুনশুটি, মারামারি,েকে অপরের আদর, ভালবাসায় বড় হতে থাকি। তারপর কি হয় বিয়ে হয়, যার যার সংসার হয়, এক সময় সম্পত্তি ভাগাভাগি, অনেক সময় দেখা যায়, পাশাপাশি রুম, বাড়িতে থাকে কিন্তু কেউ কারো সাথে কারো কোন যোগাযোগ থাকেনা। এক জায়গায় থেকে ও তারা মনের দিক থেকে যোজন যোজন দূরে থাকে, মুখ দেখা ও হারাম হয়ে যায়। অনেক পরিবারে তো চাচাত ভাই বোনের ও কথা বলেনা। নিজের ভাই নিজের শত্রু হয়ে যায় মনের অজান্তে। কেন এমন হয়। কারন ভালবাসার অভাব থাকে। আসুন ভাই বোনেরা আমরা ভাই বোন্ দের সেই ছোট বেলার মত ভালবাসি, খোঁজ নেই। একটু ছাড় দিলে কিইবা এমন ক্ষতি হয়। হয়ত কম ভাল থাকা যায়, কিন্তু সবাই মিলে মিশে থাকলে একে অপরকে ভালবাসলে মনের দিক থেকে তো শান্তিতে থাকা যায়।"
আমি জানি হারমান হেসের গল্পটা উপকথা, আর আমাদের সময়টা বিজ্ঞানের, এখানে গাছের অজুহাত চলবে না।
" তবে ভালবাসাটাই সত্যি"।
এক দেশে তিন ভাই ছিল। তারা পরস্পরকে ভীষন ভালোবাসতো।। এমন ভালবাসা যে তার কোন তুলনা হয়না। একদিন সন্ধ্যার সময় ছোট ভাইটি দেখলো তাদের গলিতে একজন লোক্ কে কে বা কারা ছুরিবিদ্ধ করে ফেলে রেখে গিয়েছে। লোক টি মরে পড়ে আছে।
ছোট ভাইটি ও বেচে আছে কিনা তা দেখার নানা ভাবে চেষ্টা করে। বুকের উপর কান পাতে। তো ওর কাপড় ও রক্তে মাখামাখি হয়ে যায়। ও লোকটিকে ঘাড়ে তুলে থানায় নিয়ে আসে।
ওর গায়ে রক্ত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ ওকে আটক করে। বিচারক ওকে খুনী সাব্যস্ত করে,ফাঁসির হুকুম দেয়।
এ খবর শুনে মেঝো ভাই ছুটে আসে। বলে,লোকটিকে আমি খুন করেছি, আমাকে শাস্তি দিন। বড় ভাই ছিল বিদেশে। এসব খবর শুনে সে দেশে ফিরেই বিচারক্ কে বলল , ওরা কেউ খুন করেনি। আমি খুন করেছি। আমাকে শাস্তি দিন।
বিচারক্ তো মহা বিপদে পড়লেন। কি করবেন? তিনি একটি বুদ্ধি বের করলেন, বললেন তোমরা তিনজন পরস্পরকে খুব ভালবাসো তা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু বিচার অন্য জিনিস। তোমাদেরকে আমি একটি পরীক্ষা দেবো।
বিচারক তিন ভাইকে একটি করে গাছ দিয়ে বললেন, এই গাছ তিনটি তোমরা উল্টো করে লাগাবে। মাথা থাকবে নীচের দিকে, শেকড় উপরের দিকে। যার গাছ আগে মারা যাবে, বুঝবো সেই আসামী।
তিন ভাই গাছ এনে বাড়িতে লাগায়। দিন গড়ায়, গাছ তো মরেই না, বরং বেশ সতেজ হয়ে বেড়ে ঊঠতে থাকে। গাছের মাথাগুলো পরস্পরকে জড়িয়ে থাকে।
একদিন বিচারক এসে দেখলেন। তাঁর বিস্ময়ের সীমা নেই। তিন ভাই মুক্তি পেয়ে যায়।
আসলে গাছ উলটো করে লাগালে ও বাঁচে যদি ভালবাসা থাকে।
" আমরা সবাই ভাইবোনেরা ছোটকালে আসলে খুনশুটি, মারামারি,েকে অপরের আদর, ভালবাসায় বড় হতে থাকি। তারপর কি হয় বিয়ে হয়, যার যার সংসার হয়, এক সময় সম্পত্তি ভাগাভাগি, অনেক সময় দেখা যায়, পাশাপাশি রুম, বাড়িতে থাকে কিন্তু কেউ কারো সাথে কারো কোন যোগাযোগ থাকেনা। এক জায়গায় থেকে ও তারা মনের দিক থেকে যোজন যোজন দূরে থাকে, মুখ দেখা ও হারাম হয়ে যায়। অনেক পরিবারে তো চাচাত ভাই বোনের ও কথা বলেনা। নিজের ভাই নিজের শত্রু হয়ে যায় মনের অজান্তে। কেন এমন হয়। কারন ভালবাসার অভাব থাকে। আসুন ভাই বোনেরা আমরা ভাই বোন্ দের সেই ছোট বেলার মত ভালবাসি, খোঁজ নেই। একটু ছাড় দিলে কিইবা এমন ক্ষতি হয়। হয়ত কম ভাল থাকা যায়, কিন্তু সবাই মিলে মিশে থাকলে একে অপরকে ভালবাসলে মনের দিক থেকে তো শান্তিতে থাকা যায়।"
আমি জানি হারমান হেসের গল্পটা উপকথা, আর আমাদের সময়টা বিজ্ঞানের, এখানে গাছের অজুহাত চলবে না।
" তবে ভালবাসাটাই সত্যি"।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ১৩/১১/২০১৪
-
একনিষ্ঠ অনুগত ১৩/১১/২০১৪আমি তো অনেকটা সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়ে ছিলাম উল্টো করে লাগিয়ে দেখেই নিব গাছ মরে কি না... (গল্পের কথা সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে) কিন্তু ইচ্ছাটা এখন রেখে দিলাম (নিজস্ব পর্যবেক্ষণের জন্য)
বিশ্বাস এবং ভালোবাসা হল সম্পর্কের ভিত... কমতি হলেই গভীরতা কমতে থাকে।।
বেশ ভালো বলেছেন।। -
প্রবাসী পাঠক ১২/১১/২০১৪চমতকার শিক্ষণীয় গল্প।
কেমন আছেন আপু? হঠাৎ করে এই ব্লগে ঘুরতে এসে আপনার পোস্ট দেখলাম। তাই লগ ইন করলাম। নিয়মিত হচ্ছেন নাকি আবার?
শুভ কামনা রইল। -
অগ্নিপক্ষ ১২/১১/২০১৪সুন্দর গল্প।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ১২/১১/২০১৪খুবই সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তবে যুগ বাস্তবতায় এসব এখন আর মানুষের অনুভূতিকে নাড়া দিতে পারে না।
ভাল থাকুন। শুভরাত্রি। -
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১২/১১/২০১৪অত্যন্ত সুন্দর লাগলো আপনার প্রথম গল্পটি। আর গল্পের মোড়ালটি সত্যি অনেক সত্য। সবার উচিৎ পরিবার পরিজনকে নিয়ে সুখী থাকা। সেলুট আপনাকে সেলুট আপনার লেখাকে।
এই ব্লগে এখন আর লেখা হয় না আমার। সামহোয়্যার ইন ব্লগে নিয়মিত লিখছি। তবু মাঝে মাঝে ঘুরে যাই এখানে। পুরাতন কারো লেখা দেখলে লগ ইন করি।