ভালবাসি মা তোমায়
প্রিয় মা,
দিন কত তাড়াতাড়ি চলে যায় মা!!!
পাঁচ বছর হয়ে গেল, অথচ মনে হয় এই সেদিন!!!
মনেই হয়না তুমি নেই, সব সময় মনে হয় তুমি আছ,আমাদের আশে পাশেই ঘোরাঘুরি কর।
মনে হয় বাড়ি গেলেই তোমার হাতের রান্না করা সুস্বাদু খাবার খাব।
তোমার রান্না করা খাবারের স্বাদ আমি প্রায়ই পায়।
কি মজাকরে তুমি রান্না করতে!!! এতগুলো বাচ্চার রান্না করে খাওয়াতে তোমাকে কখন ও বিরক্তি হতে দেখিনি।
বরং কেউ কোন খাবার পছন্দ না করলে তুমি তার জন্য আলাদা ব্যাবস্থা করে রাখতে।
এখন বুঝি কত ধরয ছিল তোমার!!! কি ভাবে সামলাতে মা এতগুলো ছেলে মেয়ে?
এখন বুঝি মা, মায়ের কাছে ছেলে মেয়ে কখন ও ভারী হয়না!!!
খুব মনে পরে মা সেই রাতের কথা, যে রাতে তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে!!!!
তখন রাত ৯ টা বাজে, আমি আবীরকে পড়াচ্ছি , ফোন বেজে উঠল।। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি বাংলাদেশ এর ফোন, ছোট ভাই মেজবা করেছে, “মেজ আপা মা আর নেই, তুমি আর মাকে দেখতে পেলেনা” !!! এইমাত্র মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বলেই লাইন কেটে দিল। আমার অবস্থা তখন যে কি ...। কাঁদলে ছেলে দুটোও কাঁদে। ওদের জন্য একটু পরান ভরে কাদতে ও পারছিনা। এই পরবাসে কারো সাথে সে কষ্ট শেয়ার ও করতে পারছিনা। দুই মিনিট পরপর বাড়ীতে ফোন দিচ্ছি কেউ কথা বলতে পারছেনা, সবাই শুধু কাঁদছে
কিছুক্ষণ পর আব্বা ফোন করলেন, বললেন মা তোমার মাকে আমরা ২১ তারিখ যোহর নামাজের পর দাফন করব। তুমি আমাদের পারমিশন দাও???আমি কি বলব?? আমি তো আর এই সময়ের মধ্যে যেতে পারছিনা???আমার মাকে আমি আর কোনদিন দেখতে পারবনা।
২১ তারিখ ভোরে আমি ফোনে কাঁদছিলাম, আব্বা বললেন মা তোমার মার চেহারা একদম গোলাপ ফুলের মত হয়েছে, আমরা কাদছিনা তোমার মার এই চেহারা দেখে। তুমি কেদনা তোমার মার আত্মা কষ্ট পাবে। কিন্তু আমার মন কি আর তা মানে । কি করে আমি বোঝাব আমার এই কস্ট যে আমি আমার মাকে শেষ দেখা দেখতে পারছিনা। যোহরের আযানের সময় তোমাকে যখন বাড়ী থেকে নিয়ে যায় বড় আপা ফোন দিয়ে বলল “ মাকে নিয়ে যাচ্ছে, মাকে আসসালামু আলাইকুম বল। আমি ফোনে তোমাকে আসসালামু আলাইকুম বললাম। জানিনা এতদুর থেকে তুমি আমার সালাম শুনতে পেয়েছিলে কিনা?
মা,মনে আছে ,তুমি প্রতিদিন সকালে নামায পড়ে দুরুদে হাজারী পড়তে, আর বলতে “ যদি এই দোয়া কোন মৃত ব্যাক্তির কবরের কাছে গিয়ে তিন বার পাঠ করলে ঐ ব্যাক্তির ৮০ বছরের কবর আযাব আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন “।
তুমি আর ও বলতে কোন সন্তান যদি এই দুরদ শরীফ একুশ বার পাঠ করে মৃত মা-বাবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে তাহলে আল্লাহ সেই মা-বাবার কবরেশান্তি সান করবেন এবং এক হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত তাঁদের কবরের নিকট এসে আল্লাহ তায়ালার নিকট গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করতে থাকবে”।
মা,আমি প্রতিদিন দুরুদে হাজারী পড়ি আর আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য দোয়া করি, আমার বিশ্বাস তোমরা কবরে শান্তিতে আছ।
মা,আমরা সব ভাই বোনই সব সময় নামায পড়ে তোমাদের জন্য দোয়া করি!!!! সব সময় পড়ি “ রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানিস সাগীরা”। মা আমার বিশ্বাস ছোটকালে তুমি আমাদের যে ভাবে লালন পালন করতে, আল্লাহ ও তোমাকে সেই ভাবে লালন পালন করবেন।
মা সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়, আজ ৫ বছর হল তুমি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু দেখ মা তুমিসব সময় আমাদের সাথে আছো।মনে পড়ে তোমার হাসি, কেমন করে তুমি বসতে, কেমন করে হাটতে, কেমন করে কথা বলতে, সব মনে পরে মা। সব সময় তোমাকে মনে পড়ে। কত কস্ট করেছ মা আমাদের জন্য, এতগুলো ছেলে মেয়ে মানুষ করতে গিয়ে কোনদিন নিজের দিকে তাকাও নি। তাই তো তুমি তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে। আর আমাদের ছেড়ে চলে ও গেলে তাড়াতাড়ি। মা তোমার জন্য কিছুই করতে পারিনি। ক্ষমা করে দিও মা। যদি আরেকবার তোমাকে পেতাম তাহলে পরান ভরে তোমাকে বলতাম, “ অনেক অনেক অনেক ভালবাসি মা তোমায়”।
দিন কত তাড়াতাড়ি চলে যায় মা!!!
পাঁচ বছর হয়ে গেল, অথচ মনে হয় এই সেদিন!!!
মনেই হয়না তুমি নেই, সব সময় মনে হয় তুমি আছ,আমাদের আশে পাশেই ঘোরাঘুরি কর।
মনে হয় বাড়ি গেলেই তোমার হাতের রান্না করা সুস্বাদু খাবার খাব।
তোমার রান্না করা খাবারের স্বাদ আমি প্রায়ই পায়।
কি মজাকরে তুমি রান্না করতে!!! এতগুলো বাচ্চার রান্না করে খাওয়াতে তোমাকে কখন ও বিরক্তি হতে দেখিনি।
বরং কেউ কোন খাবার পছন্দ না করলে তুমি তার জন্য আলাদা ব্যাবস্থা করে রাখতে।
এখন বুঝি কত ধরয ছিল তোমার!!! কি ভাবে সামলাতে মা এতগুলো ছেলে মেয়ে?
এখন বুঝি মা, মায়ের কাছে ছেলে মেয়ে কখন ও ভারী হয়না!!!
খুব মনে পরে মা সেই রাতের কথা, যে রাতে তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে!!!!
তখন রাত ৯ টা বাজে, আমি আবীরকে পড়াচ্ছি , ফোন বেজে উঠল।। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি বাংলাদেশ এর ফোন, ছোট ভাই মেজবা করেছে, “মেজ আপা মা আর নেই, তুমি আর মাকে দেখতে পেলেনা” !!! এইমাত্র মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বলেই লাইন কেটে দিল। আমার অবস্থা তখন যে কি ...। কাঁদলে ছেলে দুটোও কাঁদে। ওদের জন্য একটু পরান ভরে কাদতে ও পারছিনা। এই পরবাসে কারো সাথে সে কষ্ট শেয়ার ও করতে পারছিনা। দুই মিনিট পরপর বাড়ীতে ফোন দিচ্ছি কেউ কথা বলতে পারছেনা, সবাই শুধু কাঁদছে
কিছুক্ষণ পর আব্বা ফোন করলেন, বললেন মা তোমার মাকে আমরা ২১ তারিখ যোহর নামাজের পর দাফন করব। তুমি আমাদের পারমিশন দাও???আমি কি বলব?? আমি তো আর এই সময়ের মধ্যে যেতে পারছিনা???আমার মাকে আমি আর কোনদিন দেখতে পারবনা।
২১ তারিখ ভোরে আমি ফোনে কাঁদছিলাম, আব্বা বললেন মা তোমার মার চেহারা একদম গোলাপ ফুলের মত হয়েছে, আমরা কাদছিনা তোমার মার এই চেহারা দেখে। তুমি কেদনা তোমার মার আত্মা কষ্ট পাবে। কিন্তু আমার মন কি আর তা মানে । কি করে আমি বোঝাব আমার এই কস্ট যে আমি আমার মাকে শেষ দেখা দেখতে পারছিনা। যোহরের আযানের সময় তোমাকে যখন বাড়ী থেকে নিয়ে যায় বড় আপা ফোন দিয়ে বলল “ মাকে নিয়ে যাচ্ছে, মাকে আসসালামু আলাইকুম বল। আমি ফোনে তোমাকে আসসালামু আলাইকুম বললাম। জানিনা এতদুর থেকে তুমি আমার সালাম শুনতে পেয়েছিলে কিনা?
মা,মনে আছে ,তুমি প্রতিদিন সকালে নামায পড়ে দুরুদে হাজারী পড়তে, আর বলতে “ যদি এই দোয়া কোন মৃত ব্যাক্তির কবরের কাছে গিয়ে তিন বার পাঠ করলে ঐ ব্যাক্তির ৮০ বছরের কবর আযাব আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন “।
তুমি আর ও বলতে কোন সন্তান যদি এই দুরদ শরীফ একুশ বার পাঠ করে মৃত মা-বাবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে তাহলে আল্লাহ সেই মা-বাবার কবরেশান্তি সান করবেন এবং এক হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত তাঁদের কবরের নিকট এসে আল্লাহ তায়ালার নিকট গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করতে থাকবে”।
মা,আমি প্রতিদিন দুরুদে হাজারী পড়ি আর আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য দোয়া করি, আমার বিশ্বাস তোমরা কবরে শান্তিতে আছ।
মা,আমরা সব ভাই বোনই সব সময় নামায পড়ে তোমাদের জন্য দোয়া করি!!!! সব সময় পড়ি “ রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানিস সাগীরা”। মা আমার বিশ্বাস ছোটকালে তুমি আমাদের যে ভাবে লালন পালন করতে, আল্লাহ ও তোমাকে সেই ভাবে লালন পালন করবেন।
মা সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়, আজ ৫ বছর হল তুমি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু দেখ মা তুমিসব সময় আমাদের সাথে আছো।মনে পড়ে তোমার হাসি, কেমন করে তুমি বসতে, কেমন করে হাটতে, কেমন করে কথা বলতে, সব মনে পরে মা। সব সময় তোমাকে মনে পড়ে। কত কস্ট করেছ মা আমাদের জন্য, এতগুলো ছেলে মেয়ে মানুষ করতে গিয়ে কোনদিন নিজের দিকে তাকাও নি। তাই তো তুমি তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে। আর আমাদের ছেড়ে চলে ও গেলে তাড়াতাড়ি। মা তোমার জন্য কিছুই করতে পারিনি। ক্ষমা করে দিও মা। যদি আরেকবার তোমাকে পেতাম তাহলে পরান ভরে তোমাকে বলতাম, “ অনেক অনেক অনেক ভালবাসি মা তোমায়”।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবিদ আল আহসান ০৩/১২/২০১৪অসাধারণ লিখা। আসলে লিখকটা যদি আমার আপন বোন হতো তাহলে জীবনটা ধন্য হতো মনে হচ্ছে
-
হাবীব উল্লাহ ০৫/০৬/২০১৪মাকে নিয়ে আমার কিছু কবিতা পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো...।।
http://www.bangla-kobita.com/habibullah/ -
কবি মোঃ ইকবাল ০৭/০৫/২০১৪মা'কে নিয়ে লেখা মানেই অসাধারণ।
-
সহিদুল হক ১৯/০২/২০১৪খুব ভাল লাগলো লেখাটি।
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৭/০২/২০১৪সত্য কথা মাকে ছাড়া
ভালোবাসা যায়
শুভ কামনা