আমেরিকায় কালোদের ইতিহাস
১৬২০ঃ উত্তর আমেরিকার হোয়াইট জনগন প্রথম আফ্রিকান কালো জনগণকে দাস হিসাবে বেচা কেনা শুরু করে।
১৬৪১ঃ আমেরিকা দাস রাখার জন্য নতুন আইন তৈরী করে।যে সব বাবা মা দাসদাসি তাদের ছেলে মেয়েরা ও দাস দাসী হিসাবেই বিবেচিত হবে।
১৭৭৫ঃ পেনসিলভানিয়ায় আলোচনা শুরু হয় দাসত্ব প্রথা বিলোপের জন্য। উত্তর আমেরিকার হোয়াইট জনগন চিন্তা করতে শুরু করে যে দাসত্ব প্রথা ভাল না। এবং তারা যে আফ্রিকান কালোদের উপর অমানবিক আচরন করছেন তা তারা বুঝতে পারেন।
১৮০৭ঃ সরকার নতুন আইন ঘোষণা করে, যে কেউ আমেরিকায় আর দাস দাসী আনতে পারবে না।
১৮৬১-৫ঃ আমেরিকায় সিভিল ওয়ার শুরু হয়। আব্রাহাম লিঙ্কন তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। উত্তর আমেরিকার প্রদেশগুলো দাসত্ত প্রথা বিলুপের পক্ষে, কিন্তু দক্ষিনের প্রদেশগুলো দাসত্ব প্রথা রাখার পক্ষে। আর এই নিয়ে উত্তর ও দক্ষিন প্রদেশের মধ্যে সিভিল ওয়ার শুরু হয়। এতে প্রায় ৬৫০,০০০ আমেরিকান মারা যায়। যুদ্ধে উত্তর আমেরিকার প্রদেশগুলো জয়ী হয়। প্রায় চার মিলিয়ন দাস-দাসী মুক্ত হয়।
১৮৬৫-৮ঃ দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত।
১৮৯০ঃ আইন অনুযায়ী কেউ আর দাস দাসী রাখতে পারবে না। কিন্তু নতুন আইন মানুষের ধ্যান ধারনাকে পরিবর্তন করতে পারল না। তাই তারা নতুন আইন তৈরী করল। কালো এবং সাদা মানুষের জন্য আলাদা বাস, আলাদা স্কুল, আলাদা পার্ক, আলাদা টয়লেট, এমন কি তাদের কোন কাজের ও সুবিধা ছিলনা। নতুন এই আইন কে বলা হয় “ সেগ্রেগেশন”।
১৯৫৫ঃ মন্টগোমারী বাস প্রটেস্টঃ
একজন কালো মহিল নাম রোজা মন্টগোমারীর বাসে সিট নিয়ে বসে ছিল। একজন হোয়াইট লোক তাকে সিট টা দিতে বলে। আসলে আইন ছিল যে কালো লোক অবশ্যই তাদের সিট কোন হোয়াইট লোককে দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু রোজা পারক্স বললেন না আমি আমার সিট দেবনা। পুলিশ এসে তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর আমেরিকার কালো জনগন ডিসিশান নিল তারা আর বাসে চড়বে না। ৩৮১ দিন কোন কালো লোক বাসে চড়েনি। এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলোন। এর ফলে পরবর্তীতে কালো এবং সাদারা একই বাসে, এমনকি যে কোন জায়গায় বসতে পারত।
১৯৬৩ঃ ওয়াশিংটন মার্চঃ মারটিন লুথার কিং এর নেতৃতে ২৫০,০০০ কালো এবং সাদা লোক কাজ এবং স্বাধীনতার জন্য ওয়াশিংটন ডি সি অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। মারটিন লুথার কিং ভাষণ দেন, “ আমার একটা স্বপ্ন আছে, আমরা এমন আমেরিকা চায় যেখানে মানুষের গায়ের রঙ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে না”।
১৯৬৪ঃ সিভিল রাইট এক্টস পাস হয়।কালোদের অধিকার আদায়ের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা আইন।
১৯৬৫ঃ Malcolm কে হত্যাঃ Malcolm X কালোদের অধিকার আদয়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন মুসলিম, এবং তিনি সাদা লোকদের ঘৃণা করতেন। তার আসল নাম ছিল Malcolm Little কিন্তু উনি পরিবর্তন করে নাম রাখেন Malcolm X. কারন হিসাবে তিনি বলেন “Little” হল একজন মালিকের এর নাম যিনি কালোদের দাস দাসী হিসাবে রাখতেন। তিনি সব সময় ভাবতেন হোয়াইট লোক ক্ষমতায় এবং তারা সব সময় সব কাজে তাদের নিয়ন্ত্রন করছে। ১৯৬৫ সালে তাকে হত্যা করা হয়।
১৯৬৮ঃ মারটিন লুথার কিং কে হত্যা করা হয়।
প্রথম আফ্রিকান- আমেরিকান নারী ইউ এস কংগ্রেস এ প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
২০০১ঃ কলিন পাওয়েল প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
২০০৪ঃ কন্ডলীযা রাইস প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান ওম্যান সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
২০০৮ঃ বারাক ওবামা আমেরিকার প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৬৪১ঃ আমেরিকা দাস রাখার জন্য নতুন আইন তৈরী করে।যে সব বাবা মা দাসদাসি তাদের ছেলে মেয়েরা ও দাস দাসী হিসাবেই বিবেচিত হবে।
১৭৭৫ঃ পেনসিলভানিয়ায় আলোচনা শুরু হয় দাসত্ব প্রথা বিলোপের জন্য। উত্তর আমেরিকার হোয়াইট জনগন চিন্তা করতে শুরু করে যে দাসত্ব প্রথা ভাল না। এবং তারা যে আফ্রিকান কালোদের উপর অমানবিক আচরন করছেন তা তারা বুঝতে পারেন।
১৮০৭ঃ সরকার নতুন আইন ঘোষণা করে, যে কেউ আমেরিকায় আর দাস দাসী আনতে পারবে না।
১৮৬১-৫ঃ আমেরিকায় সিভিল ওয়ার শুরু হয়। আব্রাহাম লিঙ্কন তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। উত্তর আমেরিকার প্রদেশগুলো দাসত্ত প্রথা বিলুপের পক্ষে, কিন্তু দক্ষিনের প্রদেশগুলো দাসত্ব প্রথা রাখার পক্ষে। আর এই নিয়ে উত্তর ও দক্ষিন প্রদেশের মধ্যে সিভিল ওয়ার শুরু হয়। এতে প্রায় ৬৫০,০০০ আমেরিকান মারা যায়। যুদ্ধে উত্তর আমেরিকার প্রদেশগুলো জয়ী হয়। প্রায় চার মিলিয়ন দাস-দাসী মুক্ত হয়।
১৮৬৫-৮ঃ দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত।
১৮৯০ঃ আইন অনুযায়ী কেউ আর দাস দাসী রাখতে পারবে না। কিন্তু নতুন আইন মানুষের ধ্যান ধারনাকে পরিবর্তন করতে পারল না। তাই তারা নতুন আইন তৈরী করল। কালো এবং সাদা মানুষের জন্য আলাদা বাস, আলাদা স্কুল, আলাদা পার্ক, আলাদা টয়লেট, এমন কি তাদের কোন কাজের ও সুবিধা ছিলনা। নতুন এই আইন কে বলা হয় “ সেগ্রেগেশন”।
১৯৫৫ঃ মন্টগোমারী বাস প্রটেস্টঃ
একজন কালো মহিল নাম রোজা মন্টগোমারীর বাসে সিট নিয়ে বসে ছিল। একজন হোয়াইট লোক তাকে সিট টা দিতে বলে। আসলে আইন ছিল যে কালো লোক অবশ্যই তাদের সিট কোন হোয়াইট লোককে দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু রোজা পারক্স বললেন না আমি আমার সিট দেবনা। পুলিশ এসে তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর আমেরিকার কালো জনগন ডিসিশান নিল তারা আর বাসে চড়বে না। ৩৮১ দিন কোন কালো লোক বাসে চড়েনি। এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলোন। এর ফলে পরবর্তীতে কালো এবং সাদারা একই বাসে, এমনকি যে কোন জায়গায় বসতে পারত।
১৯৬৩ঃ ওয়াশিংটন মার্চঃ মারটিন লুথার কিং এর নেতৃতে ২৫০,০০০ কালো এবং সাদা লোক কাজ এবং স্বাধীনতার জন্য ওয়াশিংটন ডি সি অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। মারটিন লুথার কিং ভাষণ দেন, “ আমার একটা স্বপ্ন আছে, আমরা এমন আমেরিকা চায় যেখানে মানুষের গায়ের রঙ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে না”।
১৯৬৪ঃ সিভিল রাইট এক্টস পাস হয়।কালোদের অধিকার আদায়ের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা আইন।
১৯৬৫ঃ Malcolm কে হত্যাঃ Malcolm X কালোদের অধিকার আদয়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন মুসলিম, এবং তিনি সাদা লোকদের ঘৃণা করতেন। তার আসল নাম ছিল Malcolm Little কিন্তু উনি পরিবর্তন করে নাম রাখেন Malcolm X. কারন হিসাবে তিনি বলেন “Little” হল একজন মালিকের এর নাম যিনি কালোদের দাস দাসী হিসাবে রাখতেন। তিনি সব সময় ভাবতেন হোয়াইট লোক ক্ষমতায় এবং তারা সব সময় সব কাজে তাদের নিয়ন্ত্রন করছে। ১৯৬৫ সালে তাকে হত্যা করা হয়।
১৯৬৮ঃ মারটিন লুথার কিং কে হত্যা করা হয়।
প্রথম আফ্রিকান- আমেরিকান নারী ইউ এস কংগ্রেস এ প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
২০০১ঃ কলিন পাওয়েল প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
২০০৪ঃ কন্ডলীযা রাইস প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান ওম্যান সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
২০০৮ঃ বারাক ওবামা আমেরিকার প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ১৭/১১/২০১৩অনেক তথ্যবহুল একটি পোস্ট । অনেক শুভ কামনা।
-
ফুয়াদ ১৭/১১/২০১৩অন্যভাবে যদি চিন্তা করি যে যা সম্ভব হয়েছে তা মার্কিন মুল্লুকেই সম্ভব হয়েছে...কালোদের আদি নিবাসে মানবতা সম্মান পায়নি আ...আমরা সহ।
-
সুলতান মাহমুদ ১৭/১১/২০১৩ধন্যবাদ লেখককে
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ১৬/১১/২০১৩অনেক তথ্য পেলাম যা আগে জানতামনা ভাল লাগল
-
Înšigniã Āvî ১৬/১১/২০১৩অনেক কিছু জানলাম
-
রাখাল ১৬/১১/২০১৩অসভ্যতা আর বর্বরতায় সভ্যরায় সেরা !