www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

শিশু যৌন নির্যাতন আপনার শিশুকে কিভাবে রক্ষা করবেনঃ

ঘটনা ১ ঃ
মেয়েটার নাম মেরী (ছদ্দনাম)। মেরীর বয়স যখন চার বছর তখন ওর চাচা ওকে সবসময় কাতুকুতু দিত শরীরের যে কোন অঙ্গে। তার চাচা এটা তখনই করত যখন শুধু তারা দুইজন একটা রুমে থাকত । মেরীর বাবা মা মনে করতেন চাচা মেরীর সাথে খেলা করছে। চাচা মেরীর শরীরে  এত বেশী কাতুকাতু দিত যে  মাঝে মাঝে মেরীর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসত। এই ভাবে খেলা করতে করতে চাচা তার হাতের আঙ্গুল মেরীর শরীরের গোপন  অংশে ঢুকিয়ে দিত। মেরী ভাবত এটা একটা খেলা এবং এক্সিডেন্ট।
“মেরীর বয়স যখন ছয়, ও ওদের  পাশের বাসায় খেলতে যেত।সেই বাসায় শীলা নামে ওর এক বান্ধবী ছিল। একদিন মেরী আর শীলা  শীলাদের বেডরুমে  বসে খেলা করছে, এই সময় শীলার বাবা রুমে এসে শীলাকে বলে রান্নাঘরে যেতে। শীলা রুম থেকে বের হবার সাথে সাথে শীলার আব্বা ( যাকে মেরী কাকা বলে ডাকে )মেরীর বুকে হাত দেয়, একটু নাড়াচাড়া করে, বেচারা মেরী কিছুই বলতে পারেনা, তারপর কাকা তাকে ধাক্কা দিয়ে বালিশে শুইয়ে ফেলে। কাকার মুখে তখন হাসি। শীলা ফিরে আসার আগেই সে রুম থেকে চলে যায় ।
মেরী বাড়ি ফিরে আসে তখনি। মেরীর মা তখন রাতের খাবার বানানোর কাজে রান্নাঘরে ব্যস্ত।মেরী প্রায় কেঁদে ওর মাকে বলল, মা পাশের বাসার কাকা না আমার বুকে হাত দিয়েছে। মেরীর  মা ঘুরে মেরীর দিকে তাকাল এবং উত্তর দিল, তুমি ছোট  মানুষ, উনি তোমার সাথে খেলা করেছেন।তারপরে মেরীর মা আবার রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আর কখনই মেরীর সাথে এই নিয়ে আলোচনা করলেন না।
ঘটনা ২ঃ লীনা (ছদ্দনাম)যখন লীনার বয়স ৬ বা ৭ বছর ওদের বাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই লীনার বাবার এক ফুফাতো ভাই আসত। সেই ভাই লীনার বাবার বয়সী। ঘরে যখন ইলেক্ট্রিসিটি চলে যেত বা সবাই যখন কাজে ব্যস্ত থাকত , সে তখন লীনাকে কোলে নিয়ে বসত ,লীনার বুকে হাত দিত। অনেক সময় আইসক্রিম  বা চকলেট  কিনে দেবে বলে লীনাকে নির্জন কোন জায়গায় নিয়ে যেত।ছোট লীনা তো কিছুই বুঝতে পারতনা।লীনাকে বলা হতো এটা একটা  খেলা।আর লীনা যেন এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলে সে জন্য শাসিয়ে দিত। বেচারা লীনা বাবা মাকে বলতে ভয় পেত।
একদিন লীনার ফুফাতো বোনের বিয়ে। লীনা ওর মা বাবার সাথে গিয়েছে ওর ফুফুর বাড়ি।রাতে যখন সবাই ঘুমাতে যাবে ওর ফুফাতো ভাই যে লীনার চেয়ে অনেক  বড়, বলে লীনা আমার সাথে ঘুমাবে।কেউ কিছু মনে করলনা,কারন বিয়ে বাড়ি অনেক মানুষ, আর লীনা ছোট। লীনা ঘুমিয়ে আছে, রাতে লীনার ঘুম ভেঙ্গে গেল,দেখে ওর প্যান্ট ভেজা আর কেমন যেন ।আর লীনা আবিস্কার করল সেই ভাইয়ের শরীরের গোপন অংশ লীনার শরীরের সাথে লেগে আছে।
উপরের দুটি ঘটনাই  কাল্পনিক। আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত শিশুরা সেক্সচুয়াল এবিউজের শিকার হচ্ছে।আসুন দেখি সেক্সচুয়াল এবিউজ কি?
সেক্সচুয়াল এবিউজ হল  বয়স্ক, পূর্ণবয়স্ক এবং প্রভাবশালী কোন ব্যাক্তি তার যৌন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য শিশুকে ব্যবহার করে। এর মধ্যে পড়ে শরীরের গোপন অঙ্গসমুহ ( যেমন স্তন, নিতম্ব, যৌনাঙ্গ)।এছাড়া শিশুকে ইন্টারনেটে বা মোবাইলে অশ্লীলছবি দেখানো ,শিশুর সাথে এইসব নিয়ে আলোচনা ও শিশুর যৌন নির্যাতনের নির্যাতনের মধ্যে পড়ে।
সাধারনত শিশু এবিউজ হয় কাছের  এবং পরিবারে মানুষ দারা। এটা হতে পারে চাচাত ভাই, মামাতো  ভাই, ফুফাতো ভাই, বা মা বা বাবার দিকের কোন আত্মীয়। যেটা বাবা মা কখন ও কল্পনা করতে পারেনা যে তার দারা এটা ঘটতে পারে। হয়ত বা সে বয়সে অনেক বড়। একটা ৫, ৬, ৭ বছরের বাচ্চাকে কোলে তুলে নিল, বলল আমার কাছে ঘুমাও, বা আজকে পুটুস আমার কাছে ঘুমাক, এই ভাবে শুরু হয়। শিশুকে বলা হয় এটা খেলা, বা কোন টাকা বা চকলেট আইসক্রিম এর লোভ দেখিয়ে কাজটা সেরে ফেলে। শিশু ভাবে এটা খেলা তাই সে কিছু মনে করেনা এবং বাবা মাকে ও বলেনা। আর একটা কথা অনেক সময় এই বড় মানুষেরা দেখা যায় কিছু কিনে দেবে বলে বাইরে নিয়ে যায় এবং বাইরের যে কোন স্থানে সে তার কাজটা শেষ করে ফেলে, এবং শিশুকে বলে বাড়ির কাউকে না বলতে, হয়তবা ওনেক সময় ভয় দেখায় বা বলে বেশী বেশী চকলেট, আইসক্রিম কিনে দিব, সেই জন্য হয়ত শিশু বাড়িতে কিছু বলেনা।
অনেক সময় আমরা বাবা মা কিন্তু নির্যাতনকারীর  এর কাছে ঠেলে দিই নিজেদের অজান্তে। যেমন বাচ্চাকে বলি তুমি যদি চাচুকে বা ভাইয়াকে কিস না করও তাহলে তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। বাচ্চাকে কখনই ফোরস করা ঠিক না যদি সে নিজে থেকে কারো  আদর করতে না চায়। এই থেকে বাচ্চাটা শেখে যে চাচুকে আদর দেওয়া যায়। তাই পরে যখন এ জাতীয় ঘটনার শিকার হয়, তখন ওর মনে হতে পারে বাবা মা তো আদর করতে বলেছিল।
ছোটবেলা তেই কম বেশি অনেক মেয়েই তাদের পরিচিত কিংবা কাছের আত্মীয় দ্বারাই sexually abused হয়। আর ওই বয়সে তারা সেটা বুঝতে পারেনা, এটাই স্বাভাবিক , আদর ভেবে তারা ভুল বুঝে! good touch আর bad touch এর পার্থক্য ধরতে পারেনা। আর যারা পারেও তারা ভয়ে কারো সাথে শেয়ার করতে পারেনা! কাকে বলবে, কিভাবে বলবে! এ ব্যাপারে  অনেক বিষয়ের সাথে সাথে শিশু মেয়ে বাচ্চার সাথে বাসায় কে থাকে এমনকি সেই মেয়ে শিশু অনেক ছোট হলেও তার পোশাকের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়।দুঃখের কথা, এমন কাছের আত্মীয়ও অনেক সময় এমন কাজ করে যে শেয়ার করাও যায় না! আল্লাহ সবার সন্তান এবং পরিবারকে হেফাযত করুন।
কিভাবে আপনার শিশুকে এবিউজের হাত থেকে রক্ষা করবেন?
৫, ৬ বছর বয়স থেকেই শিশুকে বুঝাতে হবে যে শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় কেউ যেন হাত না দেয়, আর দিলে সে যেন তার মাকে বলে, বা জোরে শব্দ করে ওঠে। এবং কেউ যদি এটা করে সেটা যে যে খুবই খারাপ তা তাকে বুঝাতে হবে, এবং সে যত চকলেট আর আইসক্রিম দিক না কেন তার কাছে যাবেনা, এই কথা বুঝাতে হবে।  তাই মা বাবাকে শিশুকে বুঝাতে হবে এবং চোখে  চোখে রাখতে হবে। বিশেষ করে বাড়ীতে মেহমান আসলে, কোন বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে গেলে, কারো বাড়িতে রাত কাটালে, এই দিকে বাবা মা অবশ্যই খেয়াল রাখবে যে শিশু যেন বাবা মা ছাড়া আর কারো কাছে না ঘুমায়।
আমদের বাচ্চাদেরকে ভাল , খারাপ স্পর্শ, এবং সেকচুয়াল ব্যাপারটা বুঝাতে হবে। তাহলে ওরা নিজেরা নিজেদের রক্ষা করা শিখবে। আমরা ওদের সাথে কথায় কথায় বলতে পারি ভাল স্পর্শ মানুষকে আনন্দ দেয়, হাসায়। কেউ যদি জোরে ধাক্কা দেয় বা স্পর্শ করে তাহলে তুমি ব্যথা পেতে পার। আর সেক্সচুয়াল টাচ একেবারেই আলাদা।এখেত্রে আমরা শরীরের কিছু গোপন অংশ ওদের কে খেলার ভেতর দিয়ে বলতে পারি, আমরা এই অংশ গুলো ঢেকে  রাখি, এবং এই জায়গা গুলো তুমি কাউকে স্পর্শ করতে দেবেনা। আর যদি কেঊ জোড় করে তাহলে আম্মুকে বলবে। ওদের কে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে আস আমরা গেম খেলি, যদি কেউ তোমার পেট ধরে এটা কি ভাল না খারাপ স্পর্শ, যদি আঙ্কেল তোমাকে কোলে বসায় এবং আদর করে এটা খারাপ না ভাল, যদি টিচার তোমাকে প্যান্ট খুলতে বলে এটা ভাল না খারাপ স্পর্শ। মোট কথা ওদের সাথে ফ্রী  হতে হবে এবং এই উত্তর গুলো দেবার জন্য উৎসাহ যোগাতে হবে। যাতে ওরা বোঝে ভাল আর খারাপ স্পর্শ কি? মা বাবাকে বাচ্চার সাথে ভাল যোগাযোগ রাখতে হবে, আর এ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।আর ওদের বুঝাতে হবে যে শিশুরা যদি বাবা মাকে এই সম্পর্কে  বলে তাহলে তাদের মারধর করা হবেনা।
শিশুর সাথে বন্ধুর মত মিশতে  হবে, ওকে জিজ্ঞাসা করতে হবে সারাদিন ও স্কুলে কি করল , কার সাথে খেলল, কোন বন্ধু কেমন, এ ব্যাপারে ও ধারনা রাখতে হবে।
আর যদি এবিউজ  হয়ে যায় তাহলে বাচ্চাকে বুঝাতে হবে যে এতে ওর কোন দোষ নেই, এর জন্য ও দায়ী না, ও ওর বাবা মাকে বলে ভাল করেছে। বাচ্চাদের সাথে বাবা মায়ের সম্পর্ক এমন হওয়া  উচিৎ যাতে শিশুরা যে কোন কথা শেয়ার করতে সঙ্কোচবোধ না করে,আর এই  বিষয়ে বাচ্চাদের কাছ থেকে সামান্যতম  ইঙ্গিত পেলে অত্যন্ত গুরুত্তের সাথে নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ইনভেস্টিগেট করতে হবে। মোটকথা বাচ্চা যেন মা বাবাকে বিশ্বাস করে এবং অনুভব করতে পারে যে মা বাবা তাদের পাশে আছে সব সময়।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ২১১৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/১১/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • আমি একটা কথা বার বারই বলে আসছি ব্লগ হবে আমাদের ভালো মন্দ আর সচেতনাতার অন্যতম বাহক। আমাদের প্রতিবাদের মাধ্যম হবে কলম। সেই দিক থেকে লেখাটি ১০০% সার্থক। দুর হোক সকল অন্যায়। শুভ কামনা আপনার জন্য।
    • ইসমাত ইয়াসমিন ১২/১১/২০১৪
      খালুর গল্পঃ
      কে যেন বলেছিল গল্পটা!!!
      কার মুখে যেন শুনেছিলাম??/
      না, কে বলেছিল তা মনে পড়ছে না।গল্পটা মনে পড়ছে।
      বিয়ে বাড়ির গল্প। খালাতো বোনের বিয়েতে প্রচুর মানুষজন হয়েছে বাড়িতে।
      কিশোরী মেয়েটি মায়ের সঙ্গে এসেছে বিয়েতে।রাতের বেলা সবারই শোয়ার জায়গা হয়েছে, শুধু মেয়েটি জায়গা পাচ্ছেনা।
      শীতের দিন।
      কিশোরীর ছোট খালু ঘরের কোনে লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে।
      কিশোরীর মা বললেন, "তুই গিয়ে খালুর সঙ্গে শো"।
      খালুর কোন আপত্তি নেই। খালু হচ্ছে বাপের মত।
      সেও মমত্তমাখা গলায় বলল, না না কোন সমস্যা নেই।
      এসো এসো। ঢুকে যাও লেপের তলায়।
      ঘুমাও আমার সঙ্গে।
      কিশোরী নিশ্চিন্তে খালুর লেপের তলায় ঢুকল।
      সকাল্ বেলা মনটা তার খারাপ।মুখটা বিষণ্ণ হয়ে আছে। রাতে ভাল ঘুম না হওয়ার চিহ্ন চোখে মুখে।
      দেখে মা বলল, কি রে এমন দেখাচ্ছে কেন তোকে?খালুর সঙ্গে শুয়েছিস? ভাল ঘুম হয়নি?
      মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মেয়ে বলে, "মেয়েদের আবার খালু কি"?
      পাদতীকাঃ "আমাদের চারপাশেই অনেক খালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, আপনার বাচ্চাদের সাবধানে রাখুন"।
  • আমি এসব নিয়ে আগে ফেইসবুকে লেখা-লেখি করতাম । এই ব্লগে ও লেখার ইচ্ছে ছিল আর আপনি ঠিক তাই লিখে দিয়েছেন যা আমি চাচ্ছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি এরকম আরো লেখা পাবো। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ শিশুরাই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। আর আপনি যেসব ঘটনা বলেছেন এমন অনেক ঘটঅনা আমি শুনেছি। আসলে এ কাজগুলো কাছের মানুষদের দ্বারাই হয়। অনেক সময় জানার পরও কিছু বলা যায়না। আর ভিক্টিমকে অনেক সময় এই কষ্ঠ বয়ে বেড়াতে হয় সারাজীবন।
    • ইসমাত ইয়াসমিন ১৬/১১/২০১৩
      দাদা, এতদিন পর তুমি এলে, তা ও ভাল যে ফিরে এসেছ আমাদের মাঝে। তোমার কমেন্ট টা মিস করছিলাম। ভাল লাগল তোমার কমেন্ট পেয়ে, তুমি ও আর একটা লেখ এ নিয়ে, আসলে এ সব ঘটনা বাস্তব। তাই আমাদের মা বাবাকে আরো বেশী সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ তোমাকে, শুভকামনা রইল।
      • মেডিকেল ক্যাম্পেইন নিয়ে এত ব্যাস্ত ছিলাম যে সারা দিনে শুধু রাত ১২ টায় খাওয়া হত তারপর ঘুম ব্লগে আসার সময় পাইনি। আমাকে মিস করেছেন জেনে ভাল লাগল :) । আর আমার আসলে এ বিষয়টা নিয়ে মাঠে কাজ করার ইচ্ছা । এমনকি আমিও যে এর ভিক্টিম তা স্বীকার করতে ও আমার লজ্জা নেই , যদি এ ঘটনা শেয়ার করার কারনে একজন মানুষ সচেতন হয় আর একটি হলেও শিশু আমার কারনে রক্ষা পায়। যাই হোক এ বিষয়ে আপনার লেখাটা অসাধারন হয়েছে আমি হলে এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারতামনা। আশা করি আপনি আরো লিখবেন এসব বিষয়ে।
  • সবার মধ্যে নৈতিকতা শিক্ষা জরুরী
    • ইসমাত ইয়াসমিন ১২/১১/২০১৩
      ঠিক তাই। ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
  • suman ১২/১১/২০১৩
    একটি সামগ্রিক লেখা ...অভিভাবকদের জন্যে জরুরী...লেখক কে অস্ংখ্য ধন্যবাদ এই মানবিক বিষয়টির ব্যাপারে সচেতন করার জন্যে ...
  • সায়েম খান ১২/১১/২০১৩
    খাটি কথা বলেছেন। আমাদের দেশে অধিকাংশ যৌন নির্যাতনই কাছের মানুষদের দ্বারা সংঘটিত। এ ব্যপারে প্রতিটি অভিভাবককে সচেতন থাকতে হবে।
    • ইসমাত ইয়াসমিন ১২/১১/২০১৩
      কাছের মানুষ দারাই কিন্তু নির্যাতন হয়, কারন তাদের ঘরে অবাধ যাতায়াত থাকে। আর একটা ব্যাপার আমাদের ঘরে যাদের ছেলে সন্তান আছে তাদেরকে আমাদের বুঝাতে হবে যে, অবশ্যই তারা যেমন করে তার শরীরকে সম্মান করে, তেমন করে যেন অন্য মেয়ের প্রতি সেরকম সম্মান প্রদর্শন করে। শিক্ষাটা ঘর থেকেই দিয়ে দিতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইল।
  • ফুয়াদ ১২/১১/২০১৩
    বিষয়টা অত্যন্ত জটিল। যে কম বয়সে এসব শুরু হয় সে বয়সে শিশু কিছু বুঝতে শিখে না। শিশুর সাথে আলাপ করতে চাইলে সে ভয় পেয়ে যেতে পারে যা তার সামনের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্হ করবে।মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাকে অত্যন্ত সাবধানে এগুতে হবে।
    • ইসমাত ইয়াসমিন ১২/১১/২০১৩
      ফুয়াদ ভাই, বযাপারটা আসলেই জটিল, সত্যি কথা বলেছে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য খুব কৌশলে আগাতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট এর জন্য।
  • প্রবাসী পাঠক ১১/১১/২০১৩
    খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে কোন আলোচনা আমাদের সমাজে অনেকটা নিষিদ্ধ বিষয়। বাইরের দেশে যেখানে স্কুলের পাঠ্যসূচীতেই শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টা শেখান হয়, সেখানে আমাদের দেশে এই বিষয়ে আলোচনা এখন নিষিদ্ধ পর্যায়ে রেখেছি। তবে আশার কথা হচ্ছে ইদানিং কিছুটা হলেও আমরা আমাদের জরতা ভাঙতে পেরেছি। প্রতিটা পরিবার থেকেই তাদের সন্তানদের সাথে শারীরিক ও শারীরিক সম্পর্কের ব্যপারে খোলা মেলা আলোচনা করা , যাতে তারা কোন ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বড় না হয়। সচেতনতাই হতে পারে এই সমস্যার থেকে উত্তরনের পথ।
    • ইসমাত ইয়াসমিন ১২/১১/২০১৩
      প্রবাসী পাঠক ভাই, আসলেই বাইরের স্কুলে কিন্তু এ বিষয়ে শেখানো হয়। আমি দেখতে পাচ্ছি আমার ছেলে ১২ বছর বয়স, ও আস্তে আস্তে সবকিছু শিখে যাচ্ছে, এবং এটা স্কুল থেকেই শিখছে, বেশীর ভাগ শেখে ওরা কৌতুক এর মাধ্যমে, আর বিজ্ঞানের ক্লাস এ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্ট এর জন্য। শুভকামনা রইল।
  • জহির রহমান ১১/১১/২০১৩
    এই পোস্টটি আমার কাজে লাগবে। ধন্যবাদ আপু এই বিষয়টা নিয়ে এতো সুন্দর ভাবে আলোচনা করার জন্য। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা আপনার জন্য।
    • ইসমাত ইয়াসমিন ১২/১১/২০১৩
      জহির তোমার যদি এতটুকু কাজে লাগে তাহলে আমার ভাল লাগবে। আমাদের আসলে সবাইকে এই ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। তোমার জন্য ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।
  • রোদের ছায়া ১১/১১/২০১৩
    খুব জরুরি পোস্ট । ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য ।
 
Quantcast