www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পনের আগস্ট স্মরণে

সময় ছিলো সোবেহ সাদেক, কাক ডাকা ভোর, সূর্য ওঠার আগে
কেউ রয়েছে গভীর ঘুমে, কেউবা আবার ঠিক সে সময় জেগে।
শুনতে পেলো গুলির আওয়াজ, হচ্ছেটা কী? কেউ করেনি আচঁ,
গুলির বিকট শব্দে ভাঙে ঘরের কপাট, ভাঙলো ঘরের কাঁচ।
কিসের এতো হই হুলোড়? কিসের গণ্ডগোল? পড়লো ডাকাত নাকি!
ঘর থেকে বের হতেই সবার বুঝতে কি আর রইলো কারো বাকি?
ঢুকলো ঘরে হায়েনারা, একাত্তুরে চায়নি যারা স্বাধীন বাংলাদেশ,
কোনো কিছু বুঝার আগেই গুলির ঘায়ে ক’টি তাজা প্রাণের হলো শেষ।
একে একে পড়লো লুঠে জামাল, কামাল, বঙ্গমাতা, আর সুলতানা,
রক্তে ভেজা সবারই লাশ পায়ে দলে এবার দিলো একটি ঘরে হানা।
সে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো বজ্রকণ্ঠে জাতির জনক জয় বাংলা মুখে,
তোরা কারা? কাদের এমন সাহস হলো মারবি গুলি আমার বুকে?
কে শুনে কার কথা পেছন থেকে এক হায়েনা সামনে এলো তেড়ে,
মেশিন গানের ব্রাশ ফায়ারে জাতির পিতার প্রাণটা নিলো কেড়ে।
লুটিয়ে পড়েন শেখ মুজিবর ধানমণ্ডির আপন ঘরে সিঁড়ির পরে,
এমন শোকের বইবে বোঝা বাংলা মায়ের সন্তানেরা কেমন করে?
রইলো বাকি সাত বছরের খুব আদুরে ছোট্ট শিশু বাবার প্রিয় রাসেল ,
তাকে নিয়ে ঘাতকেরা খেললো আজব ইতিহাসের মর্মান্তিক খেল।
কী দোষ ছিলো তার? তার ছিলো না বাচাঁর অধিকার? তবে কেনো?
সে যে ছিলো শেখের বাচ্চা শেখ তার ছিল ঠিক এ অপরাধ যেনো।
কাঁদলো পশু, কাঁদলো পাখি, কাদঁলো গাছের লতা এবং পাতা
মীরজাফরের সীমারতুল্য এমন কাজে হেট হয়েছে জাতির মাথা।
জাতির পিতার মৃত্যুশোকে পদ্মা মেঘনা গৌরি নদী থামিয়ে দিল ঢেউ।
ইতিহাসের এই ঘটনা বাংলা মায়ের সন্তানেরা কেউ ভুলে নি কেউ?
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ১২১৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/০৮/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ভাল লাগল।
 
Quantcast