প্রিয়ার চিঠি ১
কতকাল চিঠি লেখা হয় না তোমায়
ভাবছো ভুলে গেছি তোমাকে?
আড়মোড়া দিয়ে হাই তোলে যখন চোখ খুলি,
দেয়ালে টাঙানো ফ্রেমে বাধা তোমার
সেই হাসিমাখা মুখ, যেনো বলছে শুভ প্রভাত।
ওয়াশ রুমের লুকিং গ্লাসে
চোখ পড়তেই ভেসে আসে তোমারই ছবি।
ক্যাসে সাজানো শেম্পু, লোশন,শেভিং ফোম
সবকিছু যেনো বলছে- শামু ,বড্ড খিদে পেয়েছে
প্রাতঃরাশ অপেক্ষা করেছ টেবিলে। তোমার চেয়ারটা না
এখনো খালি পড়ে থাকে কেউ বসে না সচেতনভাবে।
মাঝেমধ্যে আমাদের বাবুটা বসে পড়ে ; যদিও
উত্তরাধিকার দাবির বয়েস এখনো হয় নি তার।
বছর পূর্ণ হয়ে আর ক'টা মাস।
সারাটা দিন মোবাইল হাতে খেলা করে ।
কখনো কখনো হ্যালো বাবা বলে,
কথা বলতে থাকে নিজে নিজেই।
দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখে সারাটা দিন এঘর ওঘর।
আমাদের মা মনি দাগ দিয়ে চলে ক্যালেন্ডারের পাতায়
মাস পেরিয়ে দিনের হিশেব শেষ করে
কখন ফিরবে আমাদের মাঝে! তার প্রিয় আব্বু।
নাস্তার টেবিলে বসে প্রায়শঃ ভুলে যাই প্লেটের যা কিছু।
চামচ হাতে চোখ আটকায় সামনের বুকশেল্ফ।
থড়ে থড়ে সাজানো বইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে
যেনো দেখতে পাই তোমাকে।
তোমার লেখা কবিতা থেকে আবৃত্তি করে শোনায় জিনান
সময়ের কোনো এক অবসরে, ঠিক তোমারই মতো।
আমি তন্ময় হয়ে শুনতে থাকি কবিতার প্রতিটি লাইন।
তোমার মেয়ে কী বলে জানো? সেও না কি কবি হবে।
কবিতা লিখবে মানুষের জন্যে, মানবতার জন্যে।
আজ এ পর্যন্তই থাক। কথা হবে রাতের স্বপ্নে ঘুমের গভীরে।
ভাবছো ভুলে গেছি তোমাকে?
আড়মোড়া দিয়ে হাই তোলে যখন চোখ খুলি,
দেয়ালে টাঙানো ফ্রেমে বাধা তোমার
সেই হাসিমাখা মুখ, যেনো বলছে শুভ প্রভাত।
ওয়াশ রুমের লুকিং গ্লাসে
চোখ পড়তেই ভেসে আসে তোমারই ছবি।
ক্যাসে সাজানো শেম্পু, লোশন,শেভিং ফোম
সবকিছু যেনো বলছে- শামু ,বড্ড খিদে পেয়েছে
প্রাতঃরাশ অপেক্ষা করেছ টেবিলে। তোমার চেয়ারটা না
এখনো খালি পড়ে থাকে কেউ বসে না সচেতনভাবে।
মাঝেমধ্যে আমাদের বাবুটা বসে পড়ে ; যদিও
উত্তরাধিকার দাবির বয়েস এখনো হয় নি তার।
বছর পূর্ণ হয়ে আর ক'টা মাস।
সারাটা দিন মোবাইল হাতে খেলা করে ।
কখনো কখনো হ্যালো বাবা বলে,
কথা বলতে থাকে নিজে নিজেই।
দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখে সারাটা দিন এঘর ওঘর।
আমাদের মা মনি দাগ দিয়ে চলে ক্যালেন্ডারের পাতায়
মাস পেরিয়ে দিনের হিশেব শেষ করে
কখন ফিরবে আমাদের মাঝে! তার প্রিয় আব্বু।
নাস্তার টেবিলে বসে প্রায়শঃ ভুলে যাই প্লেটের যা কিছু।
চামচ হাতে চোখ আটকায় সামনের বুকশেল্ফ।
থড়ে থড়ে সাজানো বইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে
যেনো দেখতে পাই তোমাকে।
তোমার লেখা কবিতা থেকে আবৃত্তি করে শোনায় জিনান
সময়ের কোনো এক অবসরে, ঠিক তোমারই মতো।
আমি তন্ময় হয়ে শুনতে থাকি কবিতার প্রতিটি লাইন।
তোমার মেয়ে কী বলে জানো? সেও না কি কবি হবে।
কবিতা লিখবে মানুষের জন্যে, মানবতার জন্যে।
আজ এ পর্যন্তই থাক। কথা হবে রাতের স্বপ্নে ঘুমের গভীরে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সহিদুল হক ০৫/১০/২০১৩নদীর স্রোতের মতোই মসৃণ ভাবে এগিয়ে চলে সুন্দর কবিতাটি।
-
ইব্রাহীম রাসেল ০৪/১০/২০১৩প্রিয়ার সব চিঠি ফাস করে দেবে বুঝি
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৪/১০/২০১৩হঠাৎই নির্বাত হৃদয়ে যেন সুশীতল বায়ুর আভাস।যতটুকু পড়েছি ততই হৃদয় নিংড়ে গেল।ধন্যবাদ কবি।মন ছুঁয়ে গেল।
-
Înšigniã Āvî ০৪/১০/২০১৩অসাধারণ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ০৪/১০/২০১৩অসাধারণ অভিব্যক্তি মর্মে বেজে উঠেছে
-
মুকিত ০৪/১০/২০১৩ভালো লাগলো। প্রিয়জন হারানো কষ্ট ফুটিয়ে তোলার প্রয়াসে সার্থক কবি।