বৃষ্টি নাচন
আকাশটা মেঘলা। মনের আকাশের অবস্থাও তেমন উজ্জ্বল নয়। কালো মেঘের আনাগোনা না থাকলেও ধুসর মেঘের আনাগোনা চলছে মনের আকাশে। বাইরের আকাশে বর্ষা নামবে। এই বুঝি নামল। কিন্তু মনের আকাশটা থমথমে, বৃষ্টি নামার কোন সম্ভাবনা নেই। আকাশের বুক চিরে বৃষ্টির ধারা বইতে শুরু করল। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইল অপু। পাশের বাসার ছাদে কে যেন বৃষ্টিতে ভিজছে। আমারও স্বাধ জাগল বৃষ্টিতে ভিজব। চলে গেলাম ছাদে।
বেশ শীতল বৃষ্টির ফোটাগুলো। একটু শীত শীত অনুভব হচ্ছে। আকাশ পানে তাকালাম। হা করে বৃষ্টির পানি খাব বলে । দু- চার ফোটা মুখে পড়ছে বাকি সব বাহিরে। প্রান পন চেষ্টা করলাম বেশি পরিমান ফোটা মুখে তোলার জন্য। এ যেন হাজার বছরের পিপাসা সিক্ত পথিকের সামান্য জলে পরিপূর্ন পিপাসা নিবারনের বৃথা চেষ্টা মাত্র।
ব্যর্থ হয়ে চোখ খুলে সামনে তাকালাম। পাশের ছাদে মেয়েটি নাচছে, বৃষ্টি ভিজে নাচছে। আমি নির্বাক দর্শক। শুধু দেখছি । বাহবা দেবার মত সুযোগও নেই। কারন পাশের বাড়ির ছাদ একটু দূরে একশ থেকে দেড়শ গজ হবে। তবে নিজে নিজে মেয়েটার প্রশংসা করতে ভুলাম না। মেয়েটা নাচছে আর সারা ছাদ ছুটে বাড়াচ্ছে। মুক্ত আকাশে মুক্ত পাখির ডানা মেলে উরার স্বাধ নিচ্ছে। বেশ ইচ্ছে হল ওর মত আকাশে উড়ার। আমিও ছাদের এপাশ থেকে ওপাশ পাখির মত ডানা মেলে উড়তে শুরু কলাম। বেশ ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে আমিও বুঝি পাখির মত আকাশে উড়ছি। আর মন থেকে আর একবার প্রশংসা করলাম এত সুন্দর একটা খেলার ধারনা দেবার জন্য।
কিন্তু মেয়েটি আর নাচছে না, ছাদের কোনে দাঁড়িয়ে আমার ছেলেমিপনা দেখছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে থেমে গেলাম বেশ লজ্জাও পেলাম বটে। দ্বিতীয় বার তাকাতেই ভেংচি কেটে হেসে ফেলল। আর অমনি নাচা শুরু করল আপন মনে। আকাশের রিমিঝিমি বৃষ্টি সে নাচের ছন্দ, বিদ্যুৎ ঝলকানি সে নাচের উল্লাস, মেঘের গর্জন সে নাচের বাহবা আর আমি একা তার দর্শক। আমি মুগ্ধ – অপলক নয়িনে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ ই নাচন থেমে গেল। আমি হতাশ হলাম ... কেন এ নাচন থামল?
মেয়েটি আকাশ পানে তাকাল আর হা করে বৃষ্টির পানি খাওয়ার খেলায় মেতে উঠল। হাতের ইশারায় আমাকেও বললঃ- এস আজ খেলি দু’জনে বৃষ্টির সাথে। দেখি কে পারে তাকে কত আপন করিতে।
আমি পেরেছিলাম কতটুকু তা জানিনি কখনও। তবে তুমি যে বৃষ্টিকে আপন করে নিয়েছিলে তাতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিলনা।
তবে বৃষ্টিকে নয় তোমাকেই আপন ভাবতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও পারিনি। কারন কিছুটা সময় পরেই তোমাকে ডেকে নিয়ে গেল ছাদ থেকে। আর শিক্ত করে গেলে আমার হৃদয়টাকে। বৃষ্টি যেমন শিক্ত করে মাটিকে। তার পরে মিলিয়ে যায় আকাশে। তুমিও তেমনি মিলিয়ে গেলে।
আর বৃষ্টি আসেনি। তোমার দেখা মেলেনি। হয়নি বৃষ্টি নাচন। যে বৃষ্টিতে তুমি নেচেছিলে......।।
আমি আজও মেঘলা আকাশে ছাদে উঠি। বৃষ্টি আসে কিন্তু নাচেনা কেউ পাশের ছাদে। হয় না বৃষ্টির পানিতে পিপাসা মেটানোর বৃথা চেষ্টা। আপন মনে দাঁড়িয়ে থাকি এই বুঝি আসবে তুমি...............
বেশ শীতল বৃষ্টির ফোটাগুলো। একটু শীত শীত অনুভব হচ্ছে। আকাশ পানে তাকালাম। হা করে বৃষ্টির পানি খাব বলে । দু- চার ফোটা মুখে পড়ছে বাকি সব বাহিরে। প্রান পন চেষ্টা করলাম বেশি পরিমান ফোটা মুখে তোলার জন্য। এ যেন হাজার বছরের পিপাসা সিক্ত পথিকের সামান্য জলে পরিপূর্ন পিপাসা নিবারনের বৃথা চেষ্টা মাত্র।
ব্যর্থ হয়ে চোখ খুলে সামনে তাকালাম। পাশের ছাদে মেয়েটি নাচছে, বৃষ্টি ভিজে নাচছে। আমি নির্বাক দর্শক। শুধু দেখছি । বাহবা দেবার মত সুযোগও নেই। কারন পাশের বাড়ির ছাদ একটু দূরে একশ থেকে দেড়শ গজ হবে। তবে নিজে নিজে মেয়েটার প্রশংসা করতে ভুলাম না। মেয়েটা নাচছে আর সারা ছাদ ছুটে বাড়াচ্ছে। মুক্ত আকাশে মুক্ত পাখির ডানা মেলে উরার স্বাধ নিচ্ছে। বেশ ইচ্ছে হল ওর মত আকাশে উড়ার। আমিও ছাদের এপাশ থেকে ওপাশ পাখির মত ডানা মেলে উড়তে শুরু কলাম। বেশ ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে আমিও বুঝি পাখির মত আকাশে উড়ছি। আর মন থেকে আর একবার প্রশংসা করলাম এত সুন্দর একটা খেলার ধারনা দেবার জন্য।
কিন্তু মেয়েটি আর নাচছে না, ছাদের কোনে দাঁড়িয়ে আমার ছেলেমিপনা দেখছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে থেমে গেলাম বেশ লজ্জাও পেলাম বটে। দ্বিতীয় বার তাকাতেই ভেংচি কেটে হেসে ফেলল। আর অমনি নাচা শুরু করল আপন মনে। আকাশের রিমিঝিমি বৃষ্টি সে নাচের ছন্দ, বিদ্যুৎ ঝলকানি সে নাচের উল্লাস, মেঘের গর্জন সে নাচের বাহবা আর আমি একা তার দর্শক। আমি মুগ্ধ – অপলক নয়িনে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ ই নাচন থেমে গেল। আমি হতাশ হলাম ... কেন এ নাচন থামল?
মেয়েটি আকাশ পানে তাকাল আর হা করে বৃষ্টির পানি খাওয়ার খেলায় মেতে উঠল। হাতের ইশারায় আমাকেও বললঃ- এস আজ খেলি দু’জনে বৃষ্টির সাথে। দেখি কে পারে তাকে কত আপন করিতে।
আমি পেরেছিলাম কতটুকু তা জানিনি কখনও। তবে তুমি যে বৃষ্টিকে আপন করে নিয়েছিলে তাতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিলনা।
তবে বৃষ্টিকে নয় তোমাকেই আপন ভাবতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও পারিনি। কারন কিছুটা সময় পরেই তোমাকে ডেকে নিয়ে গেল ছাদ থেকে। আর শিক্ত করে গেলে আমার হৃদয়টাকে। বৃষ্টি যেমন শিক্ত করে মাটিকে। তার পরে মিলিয়ে যায় আকাশে। তুমিও তেমনি মিলিয়ে গেলে।
আর বৃষ্টি আসেনি। তোমার দেখা মেলেনি। হয়নি বৃষ্টি নাচন। যে বৃষ্টিতে তুমি নেচেছিলে......।।
আমি আজও মেঘলা আকাশে ছাদে উঠি। বৃষ্টি আসে কিন্তু নাচেনা কেউ পাশের ছাদে। হয় না বৃষ্টির পানিতে পিপাসা মেটানোর বৃথা চেষ্টা। আপন মনে দাঁড়িয়ে থাকি এই বুঝি আসবে তুমি...............
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এম এস সজীব ৩০/০৪/২০১৫মনে সাড়া জাগল
-
অ ২৯/০৪/২০১৫দারুন অনুভূতিময় ।