পিয়ালের মৌ্রিতা
মধ্য বিত্ত ঘরের ছেলে পিয়াল । ভাল ছেলে হিসেবেই পরিচিত, নম্র - ভদ্র বিনয়ী এক আধটু প্রতিবাদি ও বটে। নিজের ইচ্ছাটাকে মূল্য দেয় একটু বেশি । দুই ভাই এক বোন, পিয়াল ২য় , ছোট ভাইটা অনার্স ১ম বর্ষে পড়ে আর বড় বোনটা স্বামীর সংসারে সুখেই আছেন। সব মিলিয়ে বাবা মায়ের তিনটি রত্ন বটে ।
একটু শুরু থেকে বলি। পিয়াল H.S.C পাস করে উচচ শিক্ষার জন্য ঢাকায় আসে। যথারিতি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকার একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গনিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়। শুরু হল পিয়ালের উচচ শিক্ষার ১ম ধাপ। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে পিয়াল পকেট খরচ চালানোর জন্য দু-একটা টিউশনি করা শুরু করে । ভালই কাটতে থাকে দিনগুলো । পড়ালেখা , টিউশনি আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা । আস্তে আস্তে আড্ডা কমিয়ে দিল টিউশনি হয়ে উঠল নেশা হিসেবে। কিন্তু কেন তা সে নিজেই বলতে পারল না । আগে যেখানে সে প্রতি দিন যে সময়ে আড্ডায় মজে থাকত । এখন সে সমায়ে থাকে টিউশনিতে ।
অনেক দিন পর .......সে আবিস্কার করল সে কারও প্রেমে পরেছে অথবা কাউকে ভালবাসে । সে আর কেউ না তারই ছাত্রী মৌ্রিতা । পিয়াল প্রতি দিন ভাবে সে কি ভাবে বলবে, "মৌ্রি - আমি তোমাকে ভালবাসি" যদি মৌ্রি তাকে বলে আমি আপনাকে ভালবাসি না । তাই সে প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করে আর ভাবে আজই মৌ্রিকে বলব -মৌ্রি আমি তোমায় ভালবাসি কিন্তু আর বলি বলি করে বলা হয় না । এভাবেই কেঁটে যায় অনেক দিন প্রায় ১ বছর......
দিন কাঁটছে আর পিয়াল উষ্ণ প্রেমে জ্বলছে। ভাবছে আমি বুঝি পৃথিবীর সবচেয়ে বোঁকা প্রেমিক। ভালবাসি অথচ বলতে পারি না আমি তোমাকে ভালবাসি। কি করে বলি যদি সে আমার ভালবাসা গ্রহন না করে। এই ছিল পিয়ালের মনের ভয়। কিন্তু এই পাগল প্রেমিক কখনও বুঝেনি ভালবাসা সকল ভয়ের উর্ধে। অবশেষে পিয়াল ভয় নয়, ভালবাসাকে জয় করার জন্য মৌ্রিকে তার ভালবাসার কথা জানাল। কিন্তু সে জানত না তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। সে ভেবেছিল যখন সে মৌ্রিকে বলেবেঃ -" মৌ্রি আমি তোমাকে পছন্ধ করি" তখন হয়ত মৌরি বলবে আমিও আপনাকে ভালবাসি। কিন্তু সে বলল আমি অন্য কাউকে ভালবাসি। আসলে সে কাউকেই ভালবাসত না। ওটা ছিল একটা মিথ্যা কথা। সে আরও বলল আমি কখনও আমার house teacher এর সাথে relation করব না।
পর দিন ........আমি আমাকে বাঁচানোর জন্য বললাম- দেখ আমারও প্রেমিকা আছে। তোমার কেউ আছে কিনা তা জানার জন্য একটু যাচাই করলাম। এর পরে কেঁটে গেল আরো কিছু দিন , প্রায় দেড় বছর । কিন্তু পিয়াল ভাবল ও যেহেতু teacher পছন্ধ করেনা তাহলে আমি আর ওকে পড়াব না । পরক্ষনেই মনে হলঃ আমি ওকে ভালবাসি বলে পড়াব না। কারন ও teacher কে প্রেমিক ভাবতে পারবে না। কিন্তু ওর বাবা-মা আমাকে অনেক পছন্ধ করে। তাই ভাবছিলাম কোন একটা কারন দেখিয়ে ওকে পড়ানো বন্ধ করে দেব। যেই কথা সেই কাজ। কিন্তু বিধাতা না চাইলে, কি করে আমি তা করব। আমি ওকে বললাম, দেখ মৌ্রি আমি সমায় পাচ্ছি না। তাই তোমাকে আর পরাতে পারবনা । এই বলে ওর দিকে তাকালাম। দেখলাম ওর মুখে একটা কান্না জড়ানো ভাব। আমি বুঝলাম ও- আমাকে ভালবাসে। সাথে সাথে সিদ্ধান্ত বদলে নিলাম , বললাম দেখ মৌরি আমি তোমাকে পড়াব। কারন আমি তোমাকে অনেক পছন্ধ করি, এই বলে ওদের বাসা থেকে বেরিয়ে এলাম।
রাস্তায় নেমে ফোন করলাম ওকে, ও হ্যালো বলতেই- বললাম মৌরি, আমি তোমাকে একটা কথা বলেছিলাম, তোমার কি মনে আছে তা ? ও বলল হ্যাঁ স্যার। ওকে জিজ্ঞাস করলাম তাতে কি তোমার কোন সমস্যা আছে। শুধু বলল "না স্যার"। আমি জানতাম পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন শব্দ " না "। যার মধ্যে অনেক কষ্ট লুকায়িত। কিন্তু আজ মনে হল পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর শব্দ " না "। সাথে সাথে ভাল লাগা শব্দ ভান্ডারে নিজের অজান্তেই জায়গা করে নিল "না" শব্দটি আর আমার হৃদয় ক্যানভাসে ভেসে উঠল ওর সেই কোমল মুখটি...........
যখন বাসায় ফিরলাম তখন রাত ১০:২০ মিনিট। হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া-দাওয়া করে অপেক্ষা করতে লাগলাম ওর একটা call এর আসায়। রাত ১১:৪৫ মিনিট এ একটা miss call পেলাম । দেখলাম mobile display তে Mouri student নামটি ভেসে উঠেছে। আমি ফোন করলাম ও পাশ থেকে বলল হ্যালো, সেই মিষ্টি কন্ঠ যার অধির অপেক্ষায় ছিলাম এতটা দিন। দু'জনে দু'জনের ভাললাগা ভালবাসা নিয়ে কথা বলতে লাগলাম । সময় বয়ে চলল সময়ের নিয়মে । কখন যে ঘড়িতে বেঁজে গেল ভোর ৪:০০ টা এক মুহূর্তের জন্য টের পেলাম না। দু'জনে ঘুমাতে গেলাম তার পর। এভাবে পর-পর তিন রাত চলল আমাদের ভাললাগা ভালবাসার কথা ।
এর পর দু' রাত আমাদের আর কোনো কথা হলোনা। দু'দিন পরে বিকেল ৩:৪৫ মিনিট এ গোসল শেরে এসে দেখি দু'টি miss call সাথে সাথে call back করি । ও পাশ থেকে মৌ্রি বলে আমার বান্ধবী জেলি (জেরিনা আফরিন জোলি) আপনার সাথে কথা বলবে। তার পর আমরা তিন জন একসাথে conference এ প্রায় পৌ্নে এক ঘ্নন্টা আমাদের ভালবাসার কথা ওর বান্ধবীর সাথে ভাগা-ভাগি করলাম। এর দু,দিন পর আমি ওকে call করলাম । ও বলল কিছু বলবেন? আমি বললাম - হ্যাঁ ... শোনো, কাল তোমার বাসায় আসছি, মাগরিবের পরে তোমাকে পড়াব। ও বলল দেখুন কাল আমি পড়ব না । আর শুনুন আপনি যা চাচ্ছেন তা কোন দিনই হবে না । আমি প্রশ্ন করলাম কেন? ও বলল আমি এব্যাপারে আমার মায়ের সাথে কথা বলেছি। মা বলেছে আপনাকে সে আমার বড় ভাইয়ের মত দেখে...এরই মধ্যে ওদের বাসার কলিং বেল বেঁজে উঠল, আর ও বলল রাখি বাবা এসেছেন...... অমনি কেঁটে গেল ফোন......
একটু শুরু থেকে বলি। পিয়াল H.S.C পাস করে উচচ শিক্ষার জন্য ঢাকায় আসে। যথারিতি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকার একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গনিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়। শুরু হল পিয়ালের উচচ শিক্ষার ১ম ধাপ। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে পিয়াল পকেট খরচ চালানোর জন্য দু-একটা টিউশনি করা শুরু করে । ভালই কাটতে থাকে দিনগুলো । পড়ালেখা , টিউশনি আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা । আস্তে আস্তে আড্ডা কমিয়ে দিল টিউশনি হয়ে উঠল নেশা হিসেবে। কিন্তু কেন তা সে নিজেই বলতে পারল না । আগে যেখানে সে প্রতি দিন যে সময়ে আড্ডায় মজে থাকত । এখন সে সমায়ে থাকে টিউশনিতে ।
অনেক দিন পর .......সে আবিস্কার করল সে কারও প্রেমে পরেছে অথবা কাউকে ভালবাসে । সে আর কেউ না তারই ছাত্রী মৌ্রিতা । পিয়াল প্রতি দিন ভাবে সে কি ভাবে বলবে, "মৌ্রি - আমি তোমাকে ভালবাসি" যদি মৌ্রি তাকে বলে আমি আপনাকে ভালবাসি না । তাই সে প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করে আর ভাবে আজই মৌ্রিকে বলব -মৌ্রি আমি তোমায় ভালবাসি কিন্তু আর বলি বলি করে বলা হয় না । এভাবেই কেঁটে যায় অনেক দিন প্রায় ১ বছর......
দিন কাঁটছে আর পিয়াল উষ্ণ প্রেমে জ্বলছে। ভাবছে আমি বুঝি পৃথিবীর সবচেয়ে বোঁকা প্রেমিক। ভালবাসি অথচ বলতে পারি না আমি তোমাকে ভালবাসি। কি করে বলি যদি সে আমার ভালবাসা গ্রহন না করে। এই ছিল পিয়ালের মনের ভয়। কিন্তু এই পাগল প্রেমিক কখনও বুঝেনি ভালবাসা সকল ভয়ের উর্ধে। অবশেষে পিয়াল ভয় নয়, ভালবাসাকে জয় করার জন্য মৌ্রিকে তার ভালবাসার কথা জানাল। কিন্তু সে জানত না তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। সে ভেবেছিল যখন সে মৌ্রিকে বলেবেঃ -" মৌ্রি আমি তোমাকে পছন্ধ করি" তখন হয়ত মৌরি বলবে আমিও আপনাকে ভালবাসি। কিন্তু সে বলল আমি অন্য কাউকে ভালবাসি। আসলে সে কাউকেই ভালবাসত না। ওটা ছিল একটা মিথ্যা কথা। সে আরও বলল আমি কখনও আমার house teacher এর সাথে relation করব না।
পর দিন ........আমি আমাকে বাঁচানোর জন্য বললাম- দেখ আমারও প্রেমিকা আছে। তোমার কেউ আছে কিনা তা জানার জন্য একটু যাচাই করলাম। এর পরে কেঁটে গেল আরো কিছু দিন , প্রায় দেড় বছর । কিন্তু পিয়াল ভাবল ও যেহেতু teacher পছন্ধ করেনা তাহলে আমি আর ওকে পড়াব না । পরক্ষনেই মনে হলঃ আমি ওকে ভালবাসি বলে পড়াব না। কারন ও teacher কে প্রেমিক ভাবতে পারবে না। কিন্তু ওর বাবা-মা আমাকে অনেক পছন্ধ করে। তাই ভাবছিলাম কোন একটা কারন দেখিয়ে ওকে পড়ানো বন্ধ করে দেব। যেই কথা সেই কাজ। কিন্তু বিধাতা না চাইলে, কি করে আমি তা করব। আমি ওকে বললাম, দেখ মৌ্রি আমি সমায় পাচ্ছি না। তাই তোমাকে আর পরাতে পারবনা । এই বলে ওর দিকে তাকালাম। দেখলাম ওর মুখে একটা কান্না জড়ানো ভাব। আমি বুঝলাম ও- আমাকে ভালবাসে। সাথে সাথে সিদ্ধান্ত বদলে নিলাম , বললাম দেখ মৌরি আমি তোমাকে পড়াব। কারন আমি তোমাকে অনেক পছন্ধ করি, এই বলে ওদের বাসা থেকে বেরিয়ে এলাম।
রাস্তায় নেমে ফোন করলাম ওকে, ও হ্যালো বলতেই- বললাম মৌরি, আমি তোমাকে একটা কথা বলেছিলাম, তোমার কি মনে আছে তা ? ও বলল হ্যাঁ স্যার। ওকে জিজ্ঞাস করলাম তাতে কি তোমার কোন সমস্যা আছে। শুধু বলল "না স্যার"। আমি জানতাম পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন শব্দ " না "। যার মধ্যে অনেক কষ্ট লুকায়িত। কিন্তু আজ মনে হল পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর শব্দ " না "। সাথে সাথে ভাল লাগা শব্দ ভান্ডারে নিজের অজান্তেই জায়গা করে নিল "না" শব্দটি আর আমার হৃদয় ক্যানভাসে ভেসে উঠল ওর সেই কোমল মুখটি...........
যখন বাসায় ফিরলাম তখন রাত ১০:২০ মিনিট। হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া-দাওয়া করে অপেক্ষা করতে লাগলাম ওর একটা call এর আসায়। রাত ১১:৪৫ মিনিট এ একটা miss call পেলাম । দেখলাম mobile display তে Mouri student নামটি ভেসে উঠেছে। আমি ফোন করলাম ও পাশ থেকে বলল হ্যালো, সেই মিষ্টি কন্ঠ যার অধির অপেক্ষায় ছিলাম এতটা দিন। দু'জনে দু'জনের ভাললাগা ভালবাসা নিয়ে কথা বলতে লাগলাম । সময় বয়ে চলল সময়ের নিয়মে । কখন যে ঘড়িতে বেঁজে গেল ভোর ৪:০০ টা এক মুহূর্তের জন্য টের পেলাম না। দু'জনে ঘুমাতে গেলাম তার পর। এভাবে পর-পর তিন রাত চলল আমাদের ভাললাগা ভালবাসার কথা ।
এর পর দু' রাত আমাদের আর কোনো কথা হলোনা। দু'দিন পরে বিকেল ৩:৪৫ মিনিট এ গোসল শেরে এসে দেখি দু'টি miss call সাথে সাথে call back করি । ও পাশ থেকে মৌ্রি বলে আমার বান্ধবী জেলি (জেরিনা আফরিন জোলি) আপনার সাথে কথা বলবে। তার পর আমরা তিন জন একসাথে conference এ প্রায় পৌ্নে এক ঘ্নন্টা আমাদের ভালবাসার কথা ওর বান্ধবীর সাথে ভাগা-ভাগি করলাম। এর দু,দিন পর আমি ওকে call করলাম । ও বলল কিছু বলবেন? আমি বললাম - হ্যাঁ ... শোনো, কাল তোমার বাসায় আসছি, মাগরিবের পরে তোমাকে পড়াব। ও বলল দেখুন কাল আমি পড়ব না । আর শুনুন আপনি যা চাচ্ছেন তা কোন দিনই হবে না । আমি প্রশ্ন করলাম কেন? ও বলল আমি এব্যাপারে আমার মায়ের সাথে কথা বলেছি। মা বলেছে আপনাকে সে আমার বড় ভাইয়ের মত দেখে...এরই মধ্যে ওদের বাসার কলিং বেল বেঁজে উঠল, আর ও বলল রাখি বাবা এসেছেন...... অমনি কেঁটে গেল ফোন......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অ ২৮/০৩/২০১৫সুন্দর......।
-
তুষার রায় ২৩/০৩/২০১৫এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবার শুভ কামনা লেখক
-
সবুজ আহমেদ কক্স ১৯/০৩/২০১৫মুগ্ধ হলাম পড়ে