দোষী
দোষী
- ইন্তিখাব আলম
অনেকদিন পর কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরছি ট্রেনে, কয়েকজন বন্ধু ছিল সজ্ঞে। ট্রেন ফাঁকা থাকায় আমরা সবাই এক এক একটা সিটে জানালার ধারে বসলাম। আজকের মজার বিষয়, ট্রেনে বসে বসে ফেসবুক করছিলাম, পাসে ব্যাগ ছিল, হটাৎ একটি ছেলে এসে জিজ্ঞাসা করল, এখানে ২ ট সিট ফাকা আছে। এখানে দুই টা সিট রাখবে, আমি বললাম এইভাবে তো জাইগা রাখতে পারিনা, ,আর পূজার ছুটি তে সবাই বাড়ি ফিরছে, এখানে যে ব্যক্তি আগে আসবে সেই বসবে। না হই তুমি কিছু রেখে যাও।রাখার মত কিছু ছিলনা তার কাছে, যাই হক আমার এক বন্ধু তাকে দেখে কিরে তুই এখানে । বন্ধুর পরিচিত বলে ৩টা সিট রাখলাম। ছেলেটা যাবার সময় বলে গেল কাউকে যেন জাইগাটা না দিয়ে দেই।আমার এক বন্ধু বলল আর প্রবলেম নেই তুমি তোমার বন্ধু দের নিয়ে এস জাইগা রাখছি। সেই মত আমার ব্যাগ আর জলের বতল রাখলাম । ছেলেটা তার বন্ধুদের আনতে চলে গেল। অনেকজন জাইগা ফাঁকা আছে কি জানতে চাইলে, বলি সব বুকিং হয়েগেছে, আর ছেলেটার অপেক্ষা করতে লাগলাম। মিনিট পাঁচেক পর ছেলেটা ২ টো মেয়ে নিয়ে আমার পরের সিটে বসাল। গল্পে টুইস্ট টা এখানেই ২ জন মেয়ের মধ্যে একজন ছিল ছেলেটার gf. Gf কে ছেলেটা যা বলল আমি শুনে ত অবাক, ছেলেটা এমন বক্তব্য ছিল, যান এই ২ ট সিট তোমাদের জন্য কত কষ্ট করে পেয়েছি, পাসে একটা ব্যাগ ছিল আর কনো মতে সিট দিবে না, বলছে ওর লোক আছে,আমি বলছি তোমার লোক কই, বিনা কারনে জাইগা ঘেরা ত চলবে না,আমি কনো মতে ছাড়বোনা, সে জাইগা দিবে না, শেষ প্রযান্ত অনেক জামেলা করে এই জাইগা টা পাই। আর তোমাদের ফোনে যখন শুনলাম তোমারা জাইগা পাওনি আমার তো মাথা খারাপ। আর কনোমতে জাইগা তা ম্যানেজ করলাম, তারপর শান্তি । ছেলেটির এই কথা শুনে প্রায় হেসেই ফেললাম।আমার হাসি দেখে হয়তো মেয়ে বুঝতে পেরেছিল যে ছেলেটা বাড়িয়ে বলছে শুধু তাকে মুগ্ধ করার জন্যে। এই নিয়ে আমি আমার বন্ধুরা ফেসবুক আর whatsapp এর মাধ্যমে হাসা হাসি করতে লাগলাম। তখন কেন জানি না, আমাকে দোষী মনে হচ্ছিল।
- ইন্তিখাব আলম
অনেকদিন পর কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরছি ট্রেনে, কয়েকজন বন্ধু ছিল সজ্ঞে। ট্রেন ফাঁকা থাকায় আমরা সবাই এক এক একটা সিটে জানালার ধারে বসলাম। আজকের মজার বিষয়, ট্রেনে বসে বসে ফেসবুক করছিলাম, পাসে ব্যাগ ছিল, হটাৎ একটি ছেলে এসে জিজ্ঞাসা করল, এখানে ২ ট সিট ফাকা আছে। এখানে দুই টা সিট রাখবে, আমি বললাম এইভাবে তো জাইগা রাখতে পারিনা, ,আর পূজার ছুটি তে সবাই বাড়ি ফিরছে, এখানে যে ব্যক্তি আগে আসবে সেই বসবে। না হই তুমি কিছু রেখে যাও।রাখার মত কিছু ছিলনা তার কাছে, যাই হক আমার এক বন্ধু তাকে দেখে কিরে তুই এখানে । বন্ধুর পরিচিত বলে ৩টা সিট রাখলাম। ছেলেটা যাবার সময় বলে গেল কাউকে যেন জাইগাটা না দিয়ে দেই।আমার এক বন্ধু বলল আর প্রবলেম নেই তুমি তোমার বন্ধু দের নিয়ে এস জাইগা রাখছি। সেই মত আমার ব্যাগ আর জলের বতল রাখলাম । ছেলেটা তার বন্ধুদের আনতে চলে গেল। অনেকজন জাইগা ফাঁকা আছে কি জানতে চাইলে, বলি সব বুকিং হয়েগেছে, আর ছেলেটার অপেক্ষা করতে লাগলাম। মিনিট পাঁচেক পর ছেলেটা ২ টো মেয়ে নিয়ে আমার পরের সিটে বসাল। গল্পে টুইস্ট টা এখানেই ২ জন মেয়ের মধ্যে একজন ছিল ছেলেটার gf. Gf কে ছেলেটা যা বলল আমি শুনে ত অবাক, ছেলেটা এমন বক্তব্য ছিল, যান এই ২ ট সিট তোমাদের জন্য কত কষ্ট করে পেয়েছি, পাসে একটা ব্যাগ ছিল আর কনো মতে সিট দিবে না, বলছে ওর লোক আছে,আমি বলছি তোমার লোক কই, বিনা কারনে জাইগা ঘেরা ত চলবে না,আমি কনো মতে ছাড়বোনা, সে জাইগা দিবে না, শেষ প্রযান্ত অনেক জামেলা করে এই জাইগা টা পাই। আর তোমাদের ফোনে যখন শুনলাম তোমারা জাইগা পাওনি আমার তো মাথা খারাপ। আর কনোমতে জাইগা তা ম্যানেজ করলাম, তারপর শান্তি । ছেলেটির এই কথা শুনে প্রায় হেসেই ফেললাম।আমার হাসি দেখে হয়তো মেয়ে বুঝতে পেরেছিল যে ছেলেটা বাড়িয়ে বলছে শুধু তাকে মুগ্ধ করার জন্যে। এই নিয়ে আমি আমার বন্ধুরা ফেসবুক আর whatsapp এর মাধ্যমে হাসা হাসি করতে লাগলাম। তখন কেন জানি না, আমাকে দোষী মনে হচ্ছিল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দ্বীপদেশ ২৯/০১/২০১৭ভালোই লিখেছেন।
-
আমি-তারেক ১৬/১২/২০১৬valo..
-
দীপঙ্কর বেরা ১৫/১২/২০১৬ঠিক কথা ভাল লাগল
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ০৮/১২/২০১৬অনেকটা অসাধারন