এল এক্স ওয়াই
এল.এক্স॰ওয়াই (L.X.Y) [২য় পর্ব ]
_______________________
২৪ ডিসেম্বর, ২০০৪
এদিকে সকাল থেকে বেশ মনমরা হয়ে আছে অরিজীত, ২৪ ঘণ্টা আর বাকি তার জন্মদিনের, এখনো জানে না সে কী হতে চলেছে.. 'নীলতারা' তাকে দিয়ে কী করাতে চলেছে, মনে হয় না এই জন্মদিন সে পার করতে পারবে ।মনে পড়ে তার পুরানো সব কথা....
সে বরাবরই খুব সাধারণ ছাত্র ছিল.. যদিও লাক বা ভাগ্য বলে কিছু তার এই সংক্ষিপ্ত জীবনে এখনো সঙ্গী হয়নি, ১ নাম্বারের জন্য অনার্স না পাওয়া অনারেবেল না হয়া, টেনেটুনে গ্রাজুয়েশান পাস করা.. কী করে বিশ্বাস করবে ভাগ্যকে । তারপর জায়গায় জায়গায় একটু চাকরীর জন্য খোজ, সবার উত্তর - এম.বি.এ রাই বসে আছে..... সেখানে তুমি..,
এরমভাবে সে আর কতদিন সহ্য করবে....... এবার আত্মহত্যাই করবে । ঠিক তখনই কাগজের বিজ্ঞাপনে....... উচ্চমাধ্যমিক/ সাধারণ গ্রাজুয়েট পাস, চাকরী খুজছেন, চলে আসুন এখানে.. ~নীলতারা~ ১৬/বি রাসেল স্ট্রীট ।
তারপর যথারীতি সেখানে পৌছে যাওয়া এবং চাকরিটা পেয়ে যাওয়া । জীবনের সব থেকে বেশি খুশির দিন ছিল সেটা, লোককে বুঝিয়ে ভজিয়ে ইনভেসমেন্ট করানো তাদের কোম্পানীতে.. কাজটা বেশ কঠিন লাগতো প্রথম প্রথম কিন্তু একবছরের মধ্যে প্রমোশন সহ সব থেকে উঁচু পদে বসে সে কথা আর মনে হয় না বরং মনে হয় তার কমিউনিকেশান স্কিল বেশ ভালোই ছিল না হলে সে এতো সহজে সে এই পদে আসতে পার্ট না, তার সাথেই জয়েন করা সত্যদা ও লাবণ্যকে তো খুঁজে পাওয়াই যায় না, ওরা বোধহয় অন্য কোনও চাকরী জয়েন করেছে, এই কোম্পানীর মাইনেপত্তর বেশ ভালোই......তাহলে !! দরকার কী অন্যকে নিয়ে ভেবে,
কিন্তু শেষ ৬মাসে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে.. নীলতারা এখন এই দেশের এলিট কোম্পানীর মধ্যে অন্যতম । কী করে নীলতারা প্রভাব খাটায় সে বেশ বোঝে, কিন্তু আরও অনেক বিশাল কমপ্যাক্ট কোনও প্লান আছে এদের.... যেটা হয়ত আমূলভাবে পরিবর্তন করে দেবে সবকিছু শেষ করে দেবে সব অর্থনীতির চেনা ছন্দ ।
আর এই প্লানে সেও সামিল হতে চলেছে.... কী করবে তার আর কোনও উপায় নেই, এই জেনে কী আগেই সরে গেছিলো সত্যদা ও লাবণ্য, নাকি ওদের সরিয়ে.... !! তাকে জানতেই হবে আর জানতে হবে ওদের পুরো প্লানটা........ তাহলে সে হয়ত কিছুটা বাচতে পারে নাকি সেই সব কিছুই শেষ করবে ।
সে একেক সময় ভাবে.. শেষ তিনদিন আরও বেশি করে ভাবছে কেন তার ২৫শে ডিসেম্বর জন্ম হয়েছে সে কী সব কিছুর বিনাশ করতে জন্মেছে নাকি ধ্বংসের হাত থেকে সব কিছুকে বাচতে !!
(ক্রমশ)
(সম্পুর্ন কল্পকাহিনী, বাস্তবের সাথে কোনও যোগ নেই)
_______________________
২৪ ডিসেম্বর, ২০০৪
এদিকে সকাল থেকে বেশ মনমরা হয়ে আছে অরিজীত, ২৪ ঘণ্টা আর বাকি তার জন্মদিনের, এখনো জানে না সে কী হতে চলেছে.. 'নীলতারা' তাকে দিয়ে কী করাতে চলেছে, মনে হয় না এই জন্মদিন সে পার করতে পারবে ।মনে পড়ে তার পুরানো সব কথা....
সে বরাবরই খুব সাধারণ ছাত্র ছিল.. যদিও লাক বা ভাগ্য বলে কিছু তার এই সংক্ষিপ্ত জীবনে এখনো সঙ্গী হয়নি, ১ নাম্বারের জন্য অনার্স না পাওয়া অনারেবেল না হয়া, টেনেটুনে গ্রাজুয়েশান পাস করা.. কী করে বিশ্বাস করবে ভাগ্যকে । তারপর জায়গায় জায়গায় একটু চাকরীর জন্য খোজ, সবার উত্তর - এম.বি.এ রাই বসে আছে..... সেখানে তুমি..,
এরমভাবে সে আর কতদিন সহ্য করবে....... এবার আত্মহত্যাই করবে । ঠিক তখনই কাগজের বিজ্ঞাপনে....... উচ্চমাধ্যমিক/ সাধারণ গ্রাজুয়েট পাস, চাকরী খুজছেন, চলে আসুন এখানে.. ~নীলতারা~ ১৬/বি রাসেল স্ট্রীট ।
তারপর যথারীতি সেখানে পৌছে যাওয়া এবং চাকরিটা পেয়ে যাওয়া । জীবনের সব থেকে বেশি খুশির দিন ছিল সেটা, লোককে বুঝিয়ে ভজিয়ে ইনভেসমেন্ট করানো তাদের কোম্পানীতে.. কাজটা বেশ কঠিন লাগতো প্রথম প্রথম কিন্তু একবছরের মধ্যে প্রমোশন সহ সব থেকে উঁচু পদে বসে সে কথা আর মনে হয় না বরং মনে হয় তার কমিউনিকেশান স্কিল বেশ ভালোই ছিল না হলে সে এতো সহজে সে এই পদে আসতে পার্ট না, তার সাথেই জয়েন করা সত্যদা ও লাবণ্যকে তো খুঁজে পাওয়াই যায় না, ওরা বোধহয় অন্য কোনও চাকরী জয়েন করেছে, এই কোম্পানীর মাইনেপত্তর বেশ ভালোই......তাহলে !! দরকার কী অন্যকে নিয়ে ভেবে,
কিন্তু শেষ ৬মাসে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে.. নীলতারা এখন এই দেশের এলিট কোম্পানীর মধ্যে অন্যতম । কী করে নীলতারা প্রভাব খাটায় সে বেশ বোঝে, কিন্তু আরও অনেক বিশাল কমপ্যাক্ট কোনও প্লান আছে এদের.... যেটা হয়ত আমূলভাবে পরিবর্তন করে দেবে সবকিছু শেষ করে দেবে সব অর্থনীতির চেনা ছন্দ ।
আর এই প্লানে সেও সামিল হতে চলেছে.... কী করবে তার আর কোনও উপায় নেই, এই জেনে কী আগেই সরে গেছিলো সত্যদা ও লাবণ্য, নাকি ওদের সরিয়ে.... !! তাকে জানতেই হবে আর জানতে হবে ওদের পুরো প্লানটা........ তাহলে সে হয়ত কিছুটা বাচতে পারে নাকি সেই সব কিছুই শেষ করবে ।
সে একেক সময় ভাবে.. শেষ তিনদিন আরও বেশি করে ভাবছে কেন তার ২৫শে ডিসেম্বর জন্ম হয়েছে সে কী সব কিছুর বিনাশ করতে জন্মেছে নাকি ধ্বংসের হাত থেকে সব কিছুকে বাচতে !!
(ক্রমশ)
(সম্পুর্ন কল্পকাহিনী, বাস্তবের সাথে কোনও যোগ নেই)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সালমান মাহফুজ ১৯/০৯/২০১৩ব্যতিক্রম গল্প ! তবে যতি ছিহ্ন, বাক্যগঠনের ক্ষেত্রে আরো মনযোগীতা থাকলে আরো সুখপাঠ্য হতে পারত ।