চশমাবাহাদুর ও অন্যান্য
বেশ কয়েকটি জায়গায় বেড়ানোর খাতিরে নানাবিধ অভিজ্ঞতার মধ্যে মজার অভিজ্ঞতাও হয়েছে...এখন ভেবে যা খুব ভালো লাগে, এট-লিস্ট একটু পারি ।
২০১০ ভুটান
ফুটশিলিং, ভুটানের ইমিগ্রেশান অফিস। বিশাল ভিড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত, চোখ ছানাবড়া.. সময়ের নামে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে অনবড়ত, মনে মনে গেয়ে চলেছি আরেকটু ছোটবেলায় শেখা সেই গানটা -'মেরা নাম্বার কাব আয়েগা' বা একটু চেঞ্জ কোরে 'হামারা নাম্বার...' ।
তো ঘণ্টাখানেক সেই নামতা জপার পর আমাদের সময় এলো, ফটোজেনিক ফেস না নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোস(pose) ও স্টার না হয়েও অটোগ্রাফ দেবার পালা আমাদের শেষ.... এবার বাবার সময়।
সব ঠিকঠাক চলছে খালি অটোগ্রাফটা বাকি, এমন সময়...
ওহ, গড !!! অটোগ্রাফ দেবার স্টাইলে ওয়েবক্যাম ছিটকে পড়েছে, কোনোক্রমে ঝুলে আছে, আর বোধহয় ভুটান যাবার পারমিট পাওয়া যাবে না........
এখন ২০১৪য় বলতেই পারি যে ভুটানের লোকেরা অতি অতি ভদ্র, শান্ত তাই সেদিন কোনো ঝামেলাই হয়নি আর ভুটানে যেতে পেরেছিলাম ও ঘটনাটা মনে পড়লে বেশ হাসিখুশি থাকি।
২০১৩ সিমলা
সাইটসিনে বেরিয়েছি, কোনো সিন ক্রিয়েট না করে মাথায় গজায়নি যখন 'শিং', ড্রাইভারের কথা শুনছি মন দিয়ে। গন্তব্য 'শ্রী হনুমান মন্দির', 'গ্রীন-ভ্যালি' পেরোনোর পর ড্রাইভারজী আমাদের সতর্ক করলেন যে ওখানে 'তাদের' উত্পাত লক্ষ্যণীয় তাই আমরা যেন কোনো চশমা না পড়ি আর সানগ্লাস্সতো নয়ই। তো যাই হোক এইভাবে ওখানে পৌছে তার নমুনা সাথে সাথে প্রত্যক্ষ করলাম । দেখিকী এক হনু, সরি
:( তেনার এক চ্যালা বেশ উত্পাত করছে, একজনের ব্যাগ ধরে টানছে। সে বেচারী খুব ভয় পেয়ে ব্যাগটা দিয়েছে।
একি !! সেই চ্যালা যথারীতি ব্যাগের চেন খুলে একটা খাতা বার করলো এবং পাতা ওল্টাতে লাগলো... এগিয়ে গিয়ে বুঝলাম সেটি খুব সম্ভবত জীবন বিজ্ঞানের খাতা, ভারতের জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে ও বোধহয় ফ্যামিলি প্লানিং এর কথা ভাবছে....
এবং কিছুক্ষণ পড়ার পর যথারীতি ফেরত দিয়ে দিচ্ছে ও আবার নিচ্ছে, বেশ একটা খেলা মনে হচ্ছে, এই ফাঁকে ছবি তুলতে ক্যামেরার জন্য যেই পকেটে হাত দিয়েছি সাথে সাথে আমাকে তাড়া... পালাবার জায়গা নেয়, কী দেওয়া যায় ভাবতে ভাবতে পকেট থাকা দুটো লজেন্স দিলাম, সাথে সাথে আবার সেই ব্যাগের কাছে চলে গেলো, আর সাহস করে ছবি তোলা হয়নি।
আমাদের মত মানুষদের থেকে ও অনেক বিজ্ঞ, তাই ওর নাম রাখলাম চশমাবাহাদুর ।
২০১০ ভুটান
ফুটশিলিং, ভুটানের ইমিগ্রেশান অফিস। বিশাল ভিড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত, চোখ ছানাবড়া.. সময়ের নামে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে অনবড়ত, মনে মনে গেয়ে চলেছি আরেকটু ছোটবেলায় শেখা সেই গানটা -'মেরা নাম্বার কাব আয়েগা' বা একটু চেঞ্জ কোরে 'হামারা নাম্বার...' ।
তো ঘণ্টাখানেক সেই নামতা জপার পর আমাদের সময় এলো, ফটোজেনিক ফেস না নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোস(pose) ও স্টার না হয়েও অটোগ্রাফ দেবার পালা আমাদের শেষ.... এবার বাবার সময়।
সব ঠিকঠাক চলছে খালি অটোগ্রাফটা বাকি, এমন সময়...
ওহ, গড !!! অটোগ্রাফ দেবার স্টাইলে ওয়েবক্যাম ছিটকে পড়েছে, কোনোক্রমে ঝুলে আছে, আর বোধহয় ভুটান যাবার পারমিট পাওয়া যাবে না........
এখন ২০১৪য় বলতেই পারি যে ভুটানের লোকেরা অতি অতি ভদ্র, শান্ত তাই সেদিন কোনো ঝামেলাই হয়নি আর ভুটানে যেতে পেরেছিলাম ও ঘটনাটা মনে পড়লে বেশ হাসিখুশি থাকি।
২০১৩ সিমলা
সাইটসিনে বেরিয়েছি, কোনো সিন ক্রিয়েট না করে মাথায় গজায়নি যখন 'শিং', ড্রাইভারের কথা শুনছি মন দিয়ে। গন্তব্য 'শ্রী হনুমান মন্দির', 'গ্রীন-ভ্যালি' পেরোনোর পর ড্রাইভারজী আমাদের সতর্ক করলেন যে ওখানে 'তাদের' উত্পাত লক্ষ্যণীয় তাই আমরা যেন কোনো চশমা না পড়ি আর সানগ্লাস্সতো নয়ই। তো যাই হোক এইভাবে ওখানে পৌছে তার নমুনা সাথে সাথে প্রত্যক্ষ করলাম । দেখিকী এক হনু, সরি
:( তেনার এক চ্যালা বেশ উত্পাত করছে, একজনের ব্যাগ ধরে টানছে। সে বেচারী খুব ভয় পেয়ে ব্যাগটা দিয়েছে।
একি !! সেই চ্যালা যথারীতি ব্যাগের চেন খুলে একটা খাতা বার করলো এবং পাতা ওল্টাতে লাগলো... এগিয়ে গিয়ে বুঝলাম সেটি খুব সম্ভবত জীবন বিজ্ঞানের খাতা, ভারতের জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে ও বোধহয় ফ্যামিলি প্লানিং এর কথা ভাবছে....
এবং কিছুক্ষণ পড়ার পর যথারীতি ফেরত দিয়ে দিচ্ছে ও আবার নিচ্ছে, বেশ একটা খেলা মনে হচ্ছে, এই ফাঁকে ছবি তুলতে ক্যামেরার জন্য যেই পকেটে হাত দিয়েছি সাথে সাথে আমাকে তাড়া... পালাবার জায়গা নেয়, কী দেওয়া যায় ভাবতে ভাবতে পকেট থাকা দুটো লজেন্স দিলাম, সাথে সাথে আবার সেই ব্যাগের কাছে চলে গেলো, আর সাহস করে ছবি তোলা হয়নি।
আমাদের মত মানুষদের থেকে ও অনেক বিজ্ঞ, তাই ওর নাম রাখলাম চশমাবাহাদুর ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেনেসাঁ সাহা ১৯/১১/২০১৪বাহ॥ দারূণ মজার তো।
-
আবু সঈদ আহমেদ ০৯/০৭/২০১৪x-)
-
Înšigniã Āvî ১৬/০৫/২০১৪সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৬/০৫/২০১৪বাহ! বাহ্! সাবাস!
অসাধারণ অভিজ্ঞতা। -
রেজাউর রাতুল ২৯/০৪/২০১৪আগামী বছর আমাদের শিলিগুড়ি যাবার ইচ্ছা আছে । এখন আল্লাহ্ ভরসা যেতে পারি কিনা !
-
অনিত্য ২৫/০৪/২০১৪আপনাকে অভিনন্দন
-
পল্লব ২৩/০৪/২০১৪সুন্দর অভিজ্ঞতা... পুরস্কার পাওয়ার জন্য অভিনন্দন আপনাকে...
-
প্রবাসী পাঠক ২৯/০৩/২০১৪চশমাবাহাদুর!!!!
হা হা হা হা ! ভাল নাম। -
আহমেদ রব্বানী ২৯/০৩/২০১৪আপনার মজার অভিজ্ঞতা ভাল লাগল অভি দা।