আমারও কিছু ইচ্ছা ছিলো
(আজ ২৩ শে অক্টোবর ২০১৮,মঙ্গলবার, ৮ কার্তিক ১৪২৫ বঙ্গাব্দ)
কেনো জানি হঠাৎ ই মনে হচ্ছে কিছু নিয়ম বদলানো উচিৎ। আমি নিজেও জানি আমি আর ১০ জন থেকে কেমন জানি একটু অন্যরকম বলা যায় এক কথায় অসামাজিক ই বটে। তবুও আজ আর একটু অসামাজিক হতে ইচ্ছে হচ্ছে। ইচ্ছে করছে সমাজের আরো কিছু নিয়ম ভেংগে আমার বিয়েতে গায়ে হলুদের প্রথাটা মুছে দিতে, কেনো আমার স্ত্রীকে এক গাদা পুরুষের মধ্যে গোসল করানো হবে কেনই বা আমাকে একগাদা মহিলা এসে হলুদ মাখাবে। কেনো আমার আমার প্লেটে চাচা/মামা/বন্ধু ভাগ বসাবে? কেনো সাগরানার প্লেটে তাদের পরিবর্তে আমার স্ত্রী বসবেনা। সে যায় হোক আমি আমার বিয়েতে ইনশা আল্লাহ এর পরিবর্তন করবো,,মেয়ে পক্ষের কাছে দাবি থাকবে প্রয়োজনে আহামরি খাবার গুলো বাইরে দিয়ে যেনো আমাকে আমার স্ত্রীর সাথে অন্য মেহমানদের মতো করে সাধারন খাবার দিয়ে হলেও এক সংগে খাবার সুযোগ করে দেয়। আচ্ছা এতো পরিবর্তন যখন হবে তখন আর একটু করলে ক্ষতি কি? আমার স্ত্রীকে অন্য কেউ কেনো কোলে নিবে? প্রয়োজনে আমি কোলে নিবো। হু এটাও করা যেতেই পারে।
নীলা নীরবের ডাইরীটা উলটে পালটে পড়ছে আর রীতিমতো কাদছে। কিছুক্ষন আগেই এমন চিন্তা ধারার মানুষটাকে যাচ্ছেনা তাই বলে কতো কথায় না শুনালো সে,,আনরোমান্টিক ব্লা ব্লা ব্লা।
নীরব আর নীলার বিয়ে হয়েছে ৬ মাস হলো কিন্তু বিয়ের পরের ঝড়টা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। একজন আর একজনকে এখনো পুরোপুরি চিনে উঠতে পারেনি তাই মাঝে মাঝেই ঠুনো ঠুনি লেগেই যায়।অবশ্য নীলা বেশ অবাকই হয় নীরবকে দেখে,,ঝগড়া ঝাটি যায় হোক না কেনো নীরব চুপটি করে থাকে কোনো কথারই প্রতিবাদ করে না।
আর যখন নীলা খুব রেগে যায় নীরব আস্তে করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়,যখন ফেরে চোখ দুটি রক্ত বর্ন ধারন করে।
না আজ নীলা আর চুপ করে থাকবেনা নীরব এলে তাকে জিজ্ঞাসা করবে এতো শতো স্বপ্ন সে বুকে লালন করে কিন্তু তাকে কেনো জানায়না?
প্রায় ১ ঘন্টা পর নীরব ঘরে ঢুকে দেখে লাইট অফ নীলা ঘুমিয়ে গেছে। নীরব বিছানায় শুতেই নীলা বলে উঠল...
নীলাঃ আমি কি কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারি?
নীরবঃ জি অবশ্যই।
নীলাঃ আমি আজ আপনার বিছানার নীচে একটা ডাইরি পেয়েছি আধ পোড়ানো। এতো শতো ইচ্ছা ডাইরিতে লুকিয়ে রেখে তা পোড়াচ্ছিলেন কেনো? আর এতো সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন ছিলো আপনার তা জানান নি কেনো আমায়?
নীরবঃ সে অনেক বড় গল্প, অন্য কোনো একদিন এর জন্য না হয় তোলা থাক,, আজ ঘুমিয়ে যাও।
নীলাঃ না,আমি না শুনে ঘুমাবোনা।
নীরবঃ ঠিক আছে জিদ করছো যখন বলছি শোনো.........
অনেক ইচ্ছা ছিলো অনেক স্বপ্ন ও ছিলো আমার তবে আর ১০ জন থেকে একটু ভিন্ন,,আমি চেয়েছিলাম পুরো সমাজের না হোক আমার লাইফে কিছু পরিবর্তনের।
নীলাঃ তারপর?
তারপর একে একে আমার কাছ থেকে আপনজন গুলো হারাতে থাকলো। বাবা- মা এ পরিবর্তন আমার খুশীর জন্য মেনে নিলেও মেনে নিতে পারেনি আমার প্রেয়সী সহ আসে পাশের অনেকেই। কেউ কেউ বলেছে আমাকে পাগল,কেউ কেউ আবার বলতো আমি নাকি ন্যারো মাইন্ড এর। মেয়েদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাই ইত্যাদি। কারন আমি চেয়েছিলাম আমার স্ত্রী থাকবে পর্দায় আবৃত যাকে আমি সাজাবো আমার ঘরের সবচাইতে মূল্যবান বস্তু গুলোর মতো।
নীলাঃ তারপর?
এরপর বুঝতে পারলাম পরিবর্তন আসলে আমার একা কে দিয়ে হবে না তাই ছেড়ে দিয়েছি,,পরে নিয়েছি সমাজের শিকল এখন আমি ও এ সমাজের বন্দি। ফেলে দিয়েছলাম ডাইরিটাকে হয়তো মা ভেবেছে প্রয়োজনীয় কিছু তাই আবার তুলে রেখেছে।অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে যাও।
নীলা ঃ ঠিক আছে তুমিও ঘুমিয়ে যাও।
পরের দিন সকালের ঘুম ভাংলো নীরবের কপালে নীলার ছোট চুম্বনে। নীরবের কাছে কেনো জানি মনে হচ্ছে নীলার মাঝে পরিবর্তন এসেছে। এবং দেখা গেলো সত্যিই তাই সকালে খাবার নিয়ে বায়না করলো সে নীরবের সাথে একই প্লেটে খাবে,,যে মেয়ে আগে শুধু বাজার থেকে কি আনতে হবে সে জন্য ফোন দিতো এখন সে মাঝে মাঝেই ছোট্ট করে টেক্সট দেয়,,রাতে নীরবের কোলে মাথা রেখে চাঁদ দেখে,,দুজনে একটি বালিশে ঘুমায়। এখন তাদের মধ্যে দারুন মিল,,যেনো দুনিয়াতে এক খন্ড জান্নাত।
হঠাৎ এক রাতে নীলা ঘুমানোর আগে বললো শোনেন যদি কেউ আপনার এমন ইচ্ছা গুলোকে সমর্থন দেবার সৎ সাহস না দেখিয়ে থাকে তবে সে হতোভাগা। দয়া করে কখনো কষ্ট পাবেন না।
প্রতিউত্তরে নীরবের ঠোটের কোনে ভেসে ঊঠল এক চিলতে হাসি। যার অর্থ বের করা বেশ কঠিন।
কেনো জানি হঠাৎ ই মনে হচ্ছে কিছু নিয়ম বদলানো উচিৎ। আমি নিজেও জানি আমি আর ১০ জন থেকে কেমন জানি একটু অন্যরকম বলা যায় এক কথায় অসামাজিক ই বটে। তবুও আজ আর একটু অসামাজিক হতে ইচ্ছে হচ্ছে। ইচ্ছে করছে সমাজের আরো কিছু নিয়ম ভেংগে আমার বিয়েতে গায়ে হলুদের প্রথাটা মুছে দিতে, কেনো আমার স্ত্রীকে এক গাদা পুরুষের মধ্যে গোসল করানো হবে কেনই বা আমাকে একগাদা মহিলা এসে হলুদ মাখাবে। কেনো আমার আমার প্লেটে চাচা/মামা/বন্ধু ভাগ বসাবে? কেনো সাগরানার প্লেটে তাদের পরিবর্তে আমার স্ত্রী বসবেনা। সে যায় হোক আমি আমার বিয়েতে ইনশা আল্লাহ এর পরিবর্তন করবো,,মেয়ে পক্ষের কাছে দাবি থাকবে প্রয়োজনে আহামরি খাবার গুলো বাইরে দিয়ে যেনো আমাকে আমার স্ত্রীর সাথে অন্য মেহমানদের মতো করে সাধারন খাবার দিয়ে হলেও এক সংগে খাবার সুযোগ করে দেয়। আচ্ছা এতো পরিবর্তন যখন হবে তখন আর একটু করলে ক্ষতি কি? আমার স্ত্রীকে অন্য কেউ কেনো কোলে নিবে? প্রয়োজনে আমি কোলে নিবো। হু এটাও করা যেতেই পারে।
নীলা নীরবের ডাইরীটা উলটে পালটে পড়ছে আর রীতিমতো কাদছে। কিছুক্ষন আগেই এমন চিন্তা ধারার মানুষটাকে যাচ্ছেনা তাই বলে কতো কথায় না শুনালো সে,,আনরোমান্টিক ব্লা ব্লা ব্লা।
নীরব আর নীলার বিয়ে হয়েছে ৬ মাস হলো কিন্তু বিয়ের পরের ঝড়টা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। একজন আর একজনকে এখনো পুরোপুরি চিনে উঠতে পারেনি তাই মাঝে মাঝেই ঠুনো ঠুনি লেগেই যায়।অবশ্য নীলা বেশ অবাকই হয় নীরবকে দেখে,,ঝগড়া ঝাটি যায় হোক না কেনো নীরব চুপটি করে থাকে কোনো কথারই প্রতিবাদ করে না।
আর যখন নীলা খুব রেগে যায় নীরব আস্তে করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়,যখন ফেরে চোখ দুটি রক্ত বর্ন ধারন করে।
না আজ নীলা আর চুপ করে থাকবেনা নীরব এলে তাকে জিজ্ঞাসা করবে এতো শতো স্বপ্ন সে বুকে লালন করে কিন্তু তাকে কেনো জানায়না?
প্রায় ১ ঘন্টা পর নীরব ঘরে ঢুকে দেখে লাইট অফ নীলা ঘুমিয়ে গেছে। নীরব বিছানায় শুতেই নীলা বলে উঠল...
নীলাঃ আমি কি কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারি?
নীরবঃ জি অবশ্যই।
নীলাঃ আমি আজ আপনার বিছানার নীচে একটা ডাইরি পেয়েছি আধ পোড়ানো। এতো শতো ইচ্ছা ডাইরিতে লুকিয়ে রেখে তা পোড়াচ্ছিলেন কেনো? আর এতো সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন ছিলো আপনার তা জানান নি কেনো আমায়?
নীরবঃ সে অনেক বড় গল্প, অন্য কোনো একদিন এর জন্য না হয় তোলা থাক,, আজ ঘুমিয়ে যাও।
নীলাঃ না,আমি না শুনে ঘুমাবোনা।
নীরবঃ ঠিক আছে জিদ করছো যখন বলছি শোনো.........
অনেক ইচ্ছা ছিলো অনেক স্বপ্ন ও ছিলো আমার তবে আর ১০ জন থেকে একটু ভিন্ন,,আমি চেয়েছিলাম পুরো সমাজের না হোক আমার লাইফে কিছু পরিবর্তনের।
নীলাঃ তারপর?
তারপর একে একে আমার কাছ থেকে আপনজন গুলো হারাতে থাকলো। বাবা- মা এ পরিবর্তন আমার খুশীর জন্য মেনে নিলেও মেনে নিতে পারেনি আমার প্রেয়সী সহ আসে পাশের অনেকেই। কেউ কেউ বলেছে আমাকে পাগল,কেউ কেউ আবার বলতো আমি নাকি ন্যারো মাইন্ড এর। মেয়েদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাই ইত্যাদি। কারন আমি চেয়েছিলাম আমার স্ত্রী থাকবে পর্দায় আবৃত যাকে আমি সাজাবো আমার ঘরের সবচাইতে মূল্যবান বস্তু গুলোর মতো।
নীলাঃ তারপর?
এরপর বুঝতে পারলাম পরিবর্তন আসলে আমার একা কে দিয়ে হবে না তাই ছেড়ে দিয়েছি,,পরে নিয়েছি সমাজের শিকল এখন আমি ও এ সমাজের বন্দি। ফেলে দিয়েছলাম ডাইরিটাকে হয়তো মা ভেবেছে প্রয়োজনীয় কিছু তাই আবার তুলে রেখেছে।অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে যাও।
নীলা ঃ ঠিক আছে তুমিও ঘুমিয়ে যাও।
পরের দিন সকালের ঘুম ভাংলো নীরবের কপালে নীলার ছোট চুম্বনে। নীরবের কাছে কেনো জানি মনে হচ্ছে নীলার মাঝে পরিবর্তন এসেছে। এবং দেখা গেলো সত্যিই তাই সকালে খাবার নিয়ে বায়না করলো সে নীরবের সাথে একই প্লেটে খাবে,,যে মেয়ে আগে শুধু বাজার থেকে কি আনতে হবে সে জন্য ফোন দিতো এখন সে মাঝে মাঝেই ছোট্ট করে টেক্সট দেয়,,রাতে নীরবের কোলে মাথা রেখে চাঁদ দেখে,,দুজনে একটি বালিশে ঘুমায়। এখন তাদের মধ্যে দারুন মিল,,যেনো দুনিয়াতে এক খন্ড জান্নাত।
হঠাৎ এক রাতে নীলা ঘুমানোর আগে বললো শোনেন যদি কেউ আপনার এমন ইচ্ছা গুলোকে সমর্থন দেবার সৎ সাহস না দেখিয়ে থাকে তবে সে হতোভাগা। দয়া করে কখনো কষ্ট পাবেন না।
প্রতিউত্তরে নীরবের ঠোটের কোনে ভেসে ঊঠল এক চিলতে হাসি। যার অর্থ বের করা বেশ কঠিন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জুয়েল কুমার রায় ০১/০৬/২০২০খুব ভালো উপস্থাপ।
-
কুমারেশ সরদার ১৯/০৫/২০২০শাবাশ!
-
ইসমাইল জসীম ১৯/০৫/২০২০চমৎকার গল্পটি। ভালো লাগলো।
-
মোঃ মাহামুদুল হাসান ১৯/০৫/২০২০অসাধারণ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৮/০৫/২০২০spellbound
-
ফয়জুল মহী ১৮/০৫/২০২০লেখা পড়ে বিমোহিত হলাম।