প্রতিশোধ
সবসময় প্রতিশোধ নিজেকে নিতে হয়না, কিছু প্রতিশোধ তো ঐ সৃষ্টিকর্তায় নিয়ে দেন...আর তা এতো বড় প্রতিশোধ হয় যা আমার আপনার কল্পনার অনেক উর্ধে...
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে আসুন একটা বাস্তব গল্প বলি...
সময়টা ২০১৪ আমি তখন কলেজে পড়ি আসেপাশে অনেক ক্লাসমেটের মাঝেও নিরব আর আমি অন্যদের থেকে যথেষ্ট আলাদা.. আমাদের বন্ধুত্বটা এমন ছিলো যেনো বন্ধু নয় আমরা ভাই আপন ভাই।
নিরব একদিন হঠাৎ করেই বললো ভাই আমি তো প্রেমে পড়ে গেছি। আমি বললাম ভালো তো সালা প্রেম কর,,আর তাড়াতাড়ি বিয়ে কর। অনেকদিন বিয়ে খাইনা। সেদিন দেখেছিলাম নিরবের মুখে এক ঝলক হাসি যার মূল্য এ পৃথিবীর কিছুর বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব না কারন এটা ছিলো সত্যিকারের মন থেকে দেওয়া হাসি। আমাদের বন্ধুত্ব পড়াশুনা সব চলছিলো ওদিকে নিরব চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছে। আমার ও ভালোই লাগে ওরা অনেক সুখে আছে। হঠাৎ একদিন সকালে উঠে দেখি নিরব খাটের উপর বসে কাদছে।
আমিঃ কিরে কি হইছে তোর?
নিরবঃ কোনো উত্তর দিলো না।
আমিঃআরে বলবি তো কি হইছে?? বাসায় সব ঠিক তো?
নিরবঃ রিনার সাথে ব্রেকাপ হয়ে গেছে রে..
আমি বেশ অবাক ই হলাম যে মেয়ে ওকে ছাড়া থাকতে পারেনা এক মিনিট ও সে কিভাবে ব্রেকাপ করলো..!!
আমিঃ কেনো রে?? কি করছিস তুই সত্যি করে বল।
নিরবঃ ওর ছেলে বন্ধুদের সাথে মিশতে না করেছিলাম,,আর শুধু বলেছিলাম তোমার চাকরি করা লাগবেনা। আমিই তোমাকে আয় করে খাওয়ায়াতে পারবো..। এতেই ও আমাকে ছেড়ে গেছে আর বলে গেছে ও তার বাবার স্বপ্ন ভাংতে পারবেনা।
আমিঃ হু
নিরবঃ শুধুই হু বলবি? যদি ওর এতোই বাবার স্বপ্ন নিয়ে মাথা ব্যাথা ছিলো তবে আমার জীবনে কেনো আসলো? সে তো জানতো আমি চাইনা আমার স্ত্রী চাকরি করুক... আমি তো ওর কাছে যাইনাই ঐ আসছিলো আমার কাছে ভালোবাসা চাইতে, সেই তো বলেছিল আমি তোমার মতো হতে চাই, নিজেকে বদলাতে চাই তবে আজ কেনো আমার জীবনটা নষ্ট করলো হোয়াই হোয়াই??
আমিঃ জানিনারে ভাই। ভূলে যা প্লিজ......
নিরবঃ না আমার প্রতিশোধ লাগবে,আমি প্রতিশোধ চাই...
সেদিন দেখেছিলাম নিরবের ভিতর জমে থাকা কষ্ট আর পৈশাচিকতা অনেক বুঝিয়ে নিরব কে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে ফিরিয়েছিলাম। বলেছিলাম সময়ের উপর ছেড়ে দে দেখিস তোর থেকেও বড় প্রতিশোধ নেবেন সৃষ্টিকর্তা।
গতকাল বিকেলে নিরবের সাথে হঠাৎ দেখা কথায় কথায় জানতে পারলাম রিনার বিয়ে হয়েছে সে তার স্বামীর ২য় স্ত্রী। ভালো স্টুডেন্ট হবার পর ও কোথাও চাকুরী হয়নি, যে বাবার স্বপ্নের দোহায় দিয়েছিলো যে বাবাকে আর্ন করে খাওয়ানোর অজুহাতে ছেড়ে গেছিলো। সেই বাবার ঘাড়ে উঠে বসে খাচ্ছে স্বামী ছেড়ে দিয়েছে।
শুনে আমিও অন্তর থেকে একটা পৈশাচিক আনন্দ অনুভব করছি...🙂
সত্যিই সৃষ্টিকর্তার প্রতিশোধ বড়োই অদ্ভূত। এজন্যই তো বলে নিশ্চুপতা সবচাইতে বড় প্রতিশোধ। কারন নিশ্চুপ থাকা মানুষটার প্রতিশোধ আল্লাহ নিজে নিয়ে দেন।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে আসুন একটা বাস্তব গল্প বলি...
সময়টা ২০১৪ আমি তখন কলেজে পড়ি আসেপাশে অনেক ক্লাসমেটের মাঝেও নিরব আর আমি অন্যদের থেকে যথেষ্ট আলাদা.. আমাদের বন্ধুত্বটা এমন ছিলো যেনো বন্ধু নয় আমরা ভাই আপন ভাই।
নিরব একদিন হঠাৎ করেই বললো ভাই আমি তো প্রেমে পড়ে গেছি। আমি বললাম ভালো তো সালা প্রেম কর,,আর তাড়াতাড়ি বিয়ে কর। অনেকদিন বিয়ে খাইনা। সেদিন দেখেছিলাম নিরবের মুখে এক ঝলক হাসি যার মূল্য এ পৃথিবীর কিছুর বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব না কারন এটা ছিলো সত্যিকারের মন থেকে দেওয়া হাসি। আমাদের বন্ধুত্ব পড়াশুনা সব চলছিলো ওদিকে নিরব চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছে। আমার ও ভালোই লাগে ওরা অনেক সুখে আছে। হঠাৎ একদিন সকালে উঠে দেখি নিরব খাটের উপর বসে কাদছে।
আমিঃ কিরে কি হইছে তোর?
নিরবঃ কোনো উত্তর দিলো না।
আমিঃআরে বলবি তো কি হইছে?? বাসায় সব ঠিক তো?
নিরবঃ রিনার সাথে ব্রেকাপ হয়ে গেছে রে..
আমি বেশ অবাক ই হলাম যে মেয়ে ওকে ছাড়া থাকতে পারেনা এক মিনিট ও সে কিভাবে ব্রেকাপ করলো..!!
আমিঃ কেনো রে?? কি করছিস তুই সত্যি করে বল।
নিরবঃ ওর ছেলে বন্ধুদের সাথে মিশতে না করেছিলাম,,আর শুধু বলেছিলাম তোমার চাকরি করা লাগবেনা। আমিই তোমাকে আয় করে খাওয়ায়াতে পারবো..। এতেই ও আমাকে ছেড়ে গেছে আর বলে গেছে ও তার বাবার স্বপ্ন ভাংতে পারবেনা।
আমিঃ হু
নিরবঃ শুধুই হু বলবি? যদি ওর এতোই বাবার স্বপ্ন নিয়ে মাথা ব্যাথা ছিলো তবে আমার জীবনে কেনো আসলো? সে তো জানতো আমি চাইনা আমার স্ত্রী চাকরি করুক... আমি তো ওর কাছে যাইনাই ঐ আসছিলো আমার কাছে ভালোবাসা চাইতে, সেই তো বলেছিল আমি তোমার মতো হতে চাই, নিজেকে বদলাতে চাই তবে আজ কেনো আমার জীবনটা নষ্ট করলো হোয়াই হোয়াই??
আমিঃ জানিনারে ভাই। ভূলে যা প্লিজ......
নিরবঃ না আমার প্রতিশোধ লাগবে,আমি প্রতিশোধ চাই...
সেদিন দেখেছিলাম নিরবের ভিতর জমে থাকা কষ্ট আর পৈশাচিকতা অনেক বুঝিয়ে নিরব কে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে ফিরিয়েছিলাম। বলেছিলাম সময়ের উপর ছেড়ে দে দেখিস তোর থেকেও বড় প্রতিশোধ নেবেন সৃষ্টিকর্তা।
গতকাল বিকেলে নিরবের সাথে হঠাৎ দেখা কথায় কথায় জানতে পারলাম রিনার বিয়ে হয়েছে সে তার স্বামীর ২য় স্ত্রী। ভালো স্টুডেন্ট হবার পর ও কোথাও চাকুরী হয়নি, যে বাবার স্বপ্নের দোহায় দিয়েছিলো যে বাবাকে আর্ন করে খাওয়ানোর অজুহাতে ছেড়ে গেছিলো। সেই বাবার ঘাড়ে উঠে বসে খাচ্ছে স্বামী ছেড়ে দিয়েছে।
শুনে আমিও অন্তর থেকে একটা পৈশাচিক আনন্দ অনুভব করছি...🙂
সত্যিই সৃষ্টিকর্তার প্রতিশোধ বড়োই অদ্ভূত। এজন্যই তো বলে নিশ্চুপতা সবচাইতে বড় প্রতিশোধ। কারন নিশ্চুপ থাকা মানুষটার প্রতিশোধ আল্লাহ নিজে নিয়ে দেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৭/১০/২০২০খুব সুন্দর