উপমহাদেশের কিংবদন্তী সন্ধানে।
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
-------------------------
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলেন একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত। যিনি পাল সাম্রাজ্যের অামলের একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং ধর্ম প্রচারক।তাঁর অসল নাম" চন্দ্রগর্ভ"। "দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ "তার উপাধি।
তৎকালিন বঙ্গের বিক্রমপুরে (বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের সোমপাড়া নামক গ্রামে) ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম।এই বৌদ্ধ পণ্ডিতের জন্মস্থান এখনো "নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা নামে পরিচিত।
তিনি গৌড়ীয় রাজা কল্যাণশ্রী'র মধ্যম পুত্র।তাঁর মায়ের নাম প্রভভাবতী।অতীশ দীপঙ্কর-রা ছিলেন তিন ভাই।বড়ভাই পদ্মগর্ভ এবং ছোটভাই শ্রীগর্ভ।
মায়ের কাছেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষার সূত্রপাত। তিনি ৩ বছর বয়সে সংস্কৃত পড়তে শেখা এবং ১০ বছর নাগাত ধর্মীয় রীতিনীতির মাঝে পার্থক্য নিরপন করার মতো বিরল মেধার/প্রতিভার পরিচয় দেন।
১২ বছর বয়সে তিনি নালন্দা মহাবিহার(৫ম-১৩শ খ্রি:)-এ (বর্তমান ভারতের বিহার অঞ্চলে অবস্থিত) অাচার্য বোধিভদ্র-এর নিকট হতে শ্রমন রূপে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই নামের সাথে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান যুক্ত হয়।
এর পরে প্রায় ৬ বছর তিনি বোধিভদ্র-এর গুরুদেব অবধূতিপদের নিকট হতে সকল শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করে।
পরবর্তী ৩ বছর তিনি বিক্রমশীলা বিহারের উত্তরদ্বারের দ্বারপণ্ডিত নভপাদের নিকট তন্ত্র শিক্ষা লাভ করেন।
পরবর্তীকালে মগধের ওদন্তপুরী বিহারের অাচার্য শীলরক্ষীতের কাছে উপসম্পদা দীক্ষা,পশ্চিম ভারতের কৃষ্ণগিরি বিহার হতে ধর্মীয় জ্ঞানার্জন এবং প্রখ্যাত পণ্ডিত রাহুল গুপ্তের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
বৌদ্ধ শাস্ত্রে অাধ্যাত্মিক গুহ্যাবিদ্যায় পারদর্শিতার জন্য "গুহ্যজ্ঞানবজ্র" উপাধিতে ভূষিত হন।
এরপর,প্রায় শতাধিক শিষ্যসহ ১০১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি মালয়দেশের সুবর্ণদ্বীপে (বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা) গমন করেন এবং দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর অাচার্য ধর্মপালের নিকট বৌদ্ধ দর্শনশাস্ত্রে জ্ঞানার্জন করে স্বদেশে ফিরে অাসেন এবং বিক্রমশীলা বিহারে অধ্যাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিব্বত ভ্রমণঃগুজ রাজা দ্বিতীয়া ব্যাং-ছুব-য়ে-শেম'-ওদ নাগ-ত্শো-লো-বা-ত্শুল-খ্রিম্স-র্গ্যাল-বা কয়েকজন ভিক্ষুকে দিয়ে প্রচুর উপকৌটন সহ দীপঙ্করকে তিব্বত ভ্রমণের অামন্ত্রণ জানান কিন্তু শ্রীজ্ঞান তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন এবং পরবর্তীতে গুজ রাজার পুত্র ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ ; গুং-থং-পা ও তার কয়েকজন অনুসারিকে পুনরায় দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে তিব্বত ভ্রমণের অামন্ত্রণ জানাতে পাঠায়।ঐ সময় তাঁরা দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে রাজা ব্যাং-ছুব-য়ে-শেম'-ওদ এর "কারাখালী খামাত" শাসক কতৃক বন্দী হওয়া এবং মুক্তিপণ না দিয়ে সেই অর্থ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞনকে তিব্বত ভ্রমণের অামন্ত্রণ জানাতে ব্যায় করতে বলার ঘটনা খুলে বলেন এবং এতে শ্রীজ্ঞান সন্তুষ্ট হয়।
প্রায় ১৮ মাস পরে ১০৪০ খ্রিস্টাব্দে ১২ জন সহযাত্রী নিয়ে প্রায় ৬০ বছরের বৃদ্ধ অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান তিব্বতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।যাত্রাপথে নেপালরাজার অনুগ্রহে তাঁরা ১ বছর সেখানে অবস্থান করেন।
নেপাল সীমান্তের বাইরে থুঙ বিহারে অাবস্থান কালে তাঁর একজন সঙ্গী র্গ্যা-লো-ত্সা-বা-ব্র্ত্সোন-'গ্রুস-সের-গে অসুস্থ হয়ে মারা যায়।
১০৪২ খ্রিস্টাব্দে শ্রীজ্ঞান এবং তাঁর সহযাত্রীগণ তিব্বতের পশ্চিম প্রান্তের ডংরী প্রদেশে পৌছালে রাজা ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়ে তাঁদেরকে থোলিং বিহারে নিয়ে যান।এখানেই শ্রীজ্ঞান তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "বোধিপথপ্রদীপ"রচনা করেন।
তিনি ১০৪৪ খ্রিস্টাব্দে পুরঙে, ১০৪৭ খ্রিস্টাব্দে সম-য়ে বৌদ্ধবিহার এবং ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে বে-এ-বাতে উপস্থিত হন।
এসময় দীপঙ্কর তিব্বতের বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। তিনি তিব্বতী বৌদ্ধধর্মে প্রবিষ্ট তান্ত্রিক পন্থার অপসারণের চেষ্টা করে বিশুদ্ধ মহাযান মতবাদের প্রচার করেন। বোধিপথপ্রদীপ রচনাকে ভিত্তি করে তিব্বতে ব্কা'-গ্দাম্স নামে এক ধর্ম সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়।
অতীশ দীপঙ্করের এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক গ্রন্থ, অনুবাদ,এবং সম্পাদনা গ্রন্থ অাবিষ্কৃত হয়েছে।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রন্থ তৎকালিন সময়ের তিব্বতের ধর্ম,রাজনীতি,জীবনি,স্তোক্রানামা বিষয়ে রচিত যা "তাঞ্জুর" নামক এক বিশাল শাস্ত্রগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
তিব্বতি ভাষায় বৌদ্ধ শাস্ত্র,চিকিৎসা বিদ্যা ও কারিগরি বিদ্যা বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করায় তিনি "অতীশ" উপাধিতে ভূষিত হন।
অতীশ দীপঙ্কর রচিত এপর্যন্ত অাবিষ্কৃত গ্রন্থসমূহের মধ্যে বিশেষভভাবে উল্লেখযোগ্য-বোধিপথপ্রদীপ,চর্যাসংকলনপ্রদীপ, সত্যদ্বয়াবতার,মধ্যোমপদেশ,সংগ্রহগর্ভ, হৃদয়নিশ্চিন্ত,বোধিসত্ত্বমণ্যাবলি,বোধিসত্ত্বকর্মদিমার্গবতার,শরণাগতাদেশ,মহাযানপথসাধনবর্ণসংগ্রহ,শুভার্থসমুচ্চযোপদেশ,দশকুশলকর্মোপদেশ,কর্মবিহঙ্গ,সমাধিসম্ববপরিবর্ত,লোকত্তরসপ্তকবিধি,গুহ্যক্রিয়াকর্ম,চিত্তৎপাসম্বরবিধিধর্ম,শিক্ষাসমুচ্চয় অভিসময় এবং বিমলরত্নলেখনা।
এছাড়াও,ভারতীয় বিখ্যাত পণ্ডিত "হরপ্রসাদ শাস্ত্রী" এবং ইতালিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক "গ্যুসেপ তুচ্চি" তাঁর অারো অনেকগুলি গ্রন্থ অাবিষ্কার করেন।
তিব্বতে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান প্রায় ১৩ বছর অবস্থান করেন।এসময় তিব্বতের বৈরী পরিবেশে বৌদ্ধ ধর্ম সংস্কারের মতো শ্রমসাধ্য কাজ করতে করতে দীপঙ্করের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে ১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় ৭৩ বছর বয়সে তিব্বতের লাসা নগরের কাছে চে-থঙের দ্রোলমা লাখাং তারা মন্দিরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
-------------------------
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলেন একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত। যিনি পাল সাম্রাজ্যের অামলের একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং ধর্ম প্রচারক।তাঁর অসল নাম" চন্দ্রগর্ভ"। "দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ "তার উপাধি।
তৎকালিন বঙ্গের বিক্রমপুরে (বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের সোমপাড়া নামক গ্রামে) ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম।এই বৌদ্ধ পণ্ডিতের জন্মস্থান এখনো "নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা নামে পরিচিত।
তিনি গৌড়ীয় রাজা কল্যাণশ্রী'র মধ্যম পুত্র।তাঁর মায়ের নাম প্রভভাবতী।অতীশ দীপঙ্কর-রা ছিলেন তিন ভাই।বড়ভাই পদ্মগর্ভ এবং ছোটভাই শ্রীগর্ভ।
মায়ের কাছেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষার সূত্রপাত। তিনি ৩ বছর বয়সে সংস্কৃত পড়তে শেখা এবং ১০ বছর নাগাত ধর্মীয় রীতিনীতির মাঝে পার্থক্য নিরপন করার মতো বিরল মেধার/প্রতিভার পরিচয় দেন।
১২ বছর বয়সে তিনি নালন্দা মহাবিহার(৫ম-১৩শ খ্রি:)-এ (বর্তমান ভারতের বিহার অঞ্চলে অবস্থিত) অাচার্য বোধিভদ্র-এর নিকট হতে শ্রমন রূপে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই নামের সাথে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান যুক্ত হয়।
এর পরে প্রায় ৬ বছর তিনি বোধিভদ্র-এর গুরুদেব অবধূতিপদের নিকট হতে সকল শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করে।
পরবর্তী ৩ বছর তিনি বিক্রমশীলা বিহারের উত্তরদ্বারের দ্বারপণ্ডিত নভপাদের নিকট তন্ত্র শিক্ষা লাভ করেন।
পরবর্তীকালে মগধের ওদন্তপুরী বিহারের অাচার্য শীলরক্ষীতের কাছে উপসম্পদা দীক্ষা,পশ্চিম ভারতের কৃষ্ণগিরি বিহার হতে ধর্মীয় জ্ঞানার্জন এবং প্রখ্যাত পণ্ডিত রাহুল গুপ্তের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
বৌদ্ধ শাস্ত্রে অাধ্যাত্মিক গুহ্যাবিদ্যায় পারদর্শিতার জন্য "গুহ্যজ্ঞানবজ্র" উপাধিতে ভূষিত হন।
এরপর,প্রায় শতাধিক শিষ্যসহ ১০১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি মালয়দেশের সুবর্ণদ্বীপে (বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা) গমন করেন এবং দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর অাচার্য ধর্মপালের নিকট বৌদ্ধ দর্শনশাস্ত্রে জ্ঞানার্জন করে স্বদেশে ফিরে অাসেন এবং বিক্রমশীলা বিহারে অধ্যাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিব্বত ভ্রমণঃগুজ রাজা দ্বিতীয়া ব্যাং-ছুব-য়ে-শেম'-ওদ নাগ-ত্শো-লো-বা-ত্শুল-খ্রিম্স-র্গ্যাল-বা কয়েকজন ভিক্ষুকে দিয়ে প্রচুর উপকৌটন সহ দীপঙ্করকে তিব্বত ভ্রমণের অামন্ত্রণ জানান কিন্তু শ্রীজ্ঞান তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন এবং পরবর্তীতে গুজ রাজার পুত্র ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ ; গুং-থং-পা ও তার কয়েকজন অনুসারিকে পুনরায় দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে তিব্বত ভ্রমণের অামন্ত্রণ জানাতে পাঠায়।ঐ সময় তাঁরা দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে রাজা ব্যাং-ছুব-য়ে-শেম'-ওদ এর "কারাখালী খামাত" শাসক কতৃক বন্দী হওয়া এবং মুক্তিপণ না দিয়ে সেই অর্থ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞনকে তিব্বত ভ্রমণের অামন্ত্রণ জানাতে ব্যায় করতে বলার ঘটনা খুলে বলেন এবং এতে শ্রীজ্ঞান সন্তুষ্ট হয়।
প্রায় ১৮ মাস পরে ১০৪০ খ্রিস্টাব্দে ১২ জন সহযাত্রী নিয়ে প্রায় ৬০ বছরের বৃদ্ধ অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান তিব্বতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।যাত্রাপথে নেপালরাজার অনুগ্রহে তাঁরা ১ বছর সেখানে অবস্থান করেন।
নেপাল সীমান্তের বাইরে থুঙ বিহারে অাবস্থান কালে তাঁর একজন সঙ্গী র্গ্যা-লো-ত্সা-বা-ব্র্ত্সোন-'গ্রুস-সের-গে অসুস্থ হয়ে মারা যায়।
১০৪২ খ্রিস্টাব্দে শ্রীজ্ঞান এবং তাঁর সহযাত্রীগণ তিব্বতের পশ্চিম প্রান্তের ডংরী প্রদেশে পৌছালে রাজা ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়ে তাঁদেরকে থোলিং বিহারে নিয়ে যান।এখানেই শ্রীজ্ঞান তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "বোধিপথপ্রদীপ"রচনা করেন।
তিনি ১০৪৪ খ্রিস্টাব্দে পুরঙে, ১০৪৭ খ্রিস্টাব্দে সম-য়ে বৌদ্ধবিহার এবং ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে বে-এ-বাতে উপস্থিত হন।
এসময় দীপঙ্কর তিব্বতের বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। তিনি তিব্বতী বৌদ্ধধর্মে প্রবিষ্ট তান্ত্রিক পন্থার অপসারণের চেষ্টা করে বিশুদ্ধ মহাযান মতবাদের প্রচার করেন। বোধিপথপ্রদীপ রচনাকে ভিত্তি করে তিব্বতে ব্কা'-গ্দাম্স নামে এক ধর্ম সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়।
অতীশ দীপঙ্করের এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক গ্রন্থ, অনুবাদ,এবং সম্পাদনা গ্রন্থ অাবিষ্কৃত হয়েছে।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রন্থ তৎকালিন সময়ের তিব্বতের ধর্ম,রাজনীতি,জীবনি,স্তোক্রানামা বিষয়ে রচিত যা "তাঞ্জুর" নামক এক বিশাল শাস্ত্রগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
তিব্বতি ভাষায় বৌদ্ধ শাস্ত্র,চিকিৎসা বিদ্যা ও কারিগরি বিদ্যা বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করায় তিনি "অতীশ" উপাধিতে ভূষিত হন।
অতীশ দীপঙ্কর রচিত এপর্যন্ত অাবিষ্কৃত গ্রন্থসমূহের মধ্যে বিশেষভভাবে উল্লেখযোগ্য-বোধিপথপ্রদীপ,চর্যাসংকলনপ্রদীপ, সত্যদ্বয়াবতার,মধ্যোমপদেশ,সংগ্রহগর্ভ, হৃদয়নিশ্চিন্ত,বোধিসত্ত্বমণ্যাবলি,বোধিসত্ত্বকর্মদিমার্গবতার,শরণাগতাদেশ,মহাযানপথসাধনবর্ণসংগ্রহ,শুভার্থসমুচ্চযোপদেশ,দশকুশলকর্মোপদেশ,কর্মবিহঙ্গ,সমাধিসম্ববপরিবর্ত,লোকত্তরসপ্তকবিধি,গুহ্যক্রিয়াকর্ম,চিত্তৎপাসম্বরবিধিধর্ম,শিক্ষাসমুচ্চয় অভিসময় এবং বিমলরত্নলেখনা।
এছাড়াও,ভারতীয় বিখ্যাত পণ্ডিত "হরপ্রসাদ শাস্ত্রী" এবং ইতালিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক "গ্যুসেপ তুচ্চি" তাঁর অারো অনেকগুলি গ্রন্থ অাবিষ্কার করেন।
তিব্বতে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান প্রায় ১৩ বছর অবস্থান করেন।এসময় তিব্বতের বৈরী পরিবেশে বৌদ্ধ ধর্ম সংস্কারের মতো শ্রমসাধ্য কাজ করতে করতে দীপঙ্করের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে ১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় ৭৩ বছর বয়সে তিব্বতের লাসা নগরের কাছে চে-থঙের দ্রোলমা লাখাং তারা মন্দিরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অনির্বাণ সূর্যকান্ত ২৪/০৮/২০১৭
-
কামরুজ্জামান সাদ ২১/০৮/২০১৭তথ্যবহুল
অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভালবাসা জানবেন।