ঝগড়ার মেগা সিরিয়াল
মেয়েটা আমাকে ছাড়া আর কারও কাছে- ইংলিশ, আইসিটি আর ভূগোল পড়বে না। এক্কেবারে নাছোর বান্দা। যদিও ওর বাবা বলেছে বলে পড়াচ্ছি কিন্তু আমার মনে মনে ওকে খুব বকা দিচ্ছি। কারণটা হল ও জানত একমাত্র ওর বাবাকে দিয়ে
বলালেই আমি ওকে পড়াব। আদারওয়াইজ - নো...। আর নাছোড় বান্দাটা তাই করল, ওর বাবাকে দিয়েই বলাল। আমি যেন ওকে অন্তত ১৫ দিন হলেও মাসে পড়াই বা পড়াতে..ই হবে বলে এক অর্ডিন্যান্স জারী করা হল। ব্যস .. আমি আর তার কথা ফেলতে পারলাম না তাইতো ওকে মনে মনে গালি..ফালি আর বকা..ঝকা দিচ্ছি.. দিয়ে যাচ্ছি।
পড়ানোর ফাঁকে ওর অবজার্ভেশন ছিল আমার ঠোট আর মনের ওপরে। মেয়েেটা সহজেই আমার লিপ ল্যাংগোয়েজ আর সাইকোলোজ্যিক্যাাল ভাষা আয়ত্ত করে নিয়েছিল। আমি যে ওকে বকবো সেটা ও ধরেই নিয়েছিল। একদিন আমার মনের ভাষা জোরে উচ্চারিত হয়েছিল। সেদিন থেকেই ঝগড়ার শুরুটা.......
১) সেদিন ঝগড়ার সুরেই বলল- স্যার আপনি রাতের খাবারে ভাতের সাথে আর কি খান? আমি পেচানো সুরে উত্তরে বললাম- তুমি রাতে ভাত খাও। হা.. হা.. হা। আরে এই আমি কি রাতে ভাত খাওয়ার লোক? কোন কিছুর সঠিক উত্তর না পেলে ওর মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। সেদিও তাই হল......
২) দু'দিন যাবত কোন ঝগড়ার সুর নেই। আজ ইচ্ছে করেই আমি বললাম- "ধ্যাত তোমার মোবাইলটা না এক্কেবারে ফালতু মডেল, ওটা একেবারেই মানানসই না তোমার জন্য" অমনি সেদিনকার মতো এর মাথা এলোমেলো।
৩) "তোমার কলম ধরাটা আমার এক্কেবারেই পছন্দ না, এই যে দেখ- ঠিক আমার মত ধরবে এবং এই ভাবে লিখবে.." আজও মাথা নষ্ঠ।
৪) অনেকদিন পর আজ ওর সাথে আর ঝগড়ায় পেরে উঠলাম না। আমি পাশের একটা কলেজে গেস্ট টিচার হিসেবে ক্লাশ নেওয়ার জন্য একটা ইনভাইটেশন কার্ড পেয়েছি। পিয়ন এসে কার্ডটা ওদের বাড়িতে রেখে গেছে আমার কাছে পৌছানোর জন্য। কিন্তু কার্ডটা ও দিবে না যতদিনে ঝগড়ার কোন একটা ফয়সালা না হচ্ছে মানে ওকে আমার একটা সার্টিফিকেট দিতে হবে যে তুমিই ঝগড়ায় সেরা........
ঝগড়ার যেতার বর্ষসেরা সার্টিফিকেটও দিয়ে দিলাম। তবুও কার্ডটা ও আমাকে দিলনা। কারণ ও চায়না আমি ঐ কলেজে ক্লাশ নেই।
আবারো ঝগড়ায় পরে গেলাম। ঐ কলেজের মেয়েরা এই .. সেই আরও নাম না জানা অনেক কিছু। আমি ওর দিকে ঠায় চেয়ে থাকলাম, অপলক চোখে... এক দৃষ্টিতে,, মধুময় হয়ে.............................
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৩/০৮/২০১৮অসাধারণ লিখেছেন।