www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হাসি আনোয়ার স্যার আর জগলুর কাহিনী



বছরের মাঝখানে এই স্কুলে কাউকে কোনদিন ভর্তি নিতে দেখে নাই জগলু। কিন্তু আজ ক্লাসে একটা নতুন মেয়ে দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের দিকে তেমন একটা তায়না না জগলু। তবুও ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে সবার নাম ওর মুখস্ত রাখতে হয়। যদিও না রাখলেও চলত কিন্তু ঐ যে আনোয়ার স্যারের হুলিয়া জারি করা আছে- আমি আসার আগে কেউ কথা বললে তার নাম লিষ্ট করে রাখতেই হবে ক্লাস ক্যাপ্টেনকে।

তার (আনোয়ার স্যারের) ক্লাসে আসতে স্বভাবতই একটু লেট হয়। পেটের পীড়ায় ভূগছে লোকটা তবুও লেইজার টাইমে পুরি, সিঙ্গারার দোকানে না গিয়ে পারেই না। আজও আনোয়ার স্যারের দেরী। না, আর কোথাও যায়নি সে। ক্লাসে আসতে দেরী হলেই বুঝতে হবে সে স্কুলের দক্ষিণ পাশের নির্জন টয়লেটিটতে সময় কাটাচ্ছে স্যার। কিন্তু এসেই তো লিষ্ট চাইবে কারণ প্রতিদিনের চেয়েও আজকের ক্লাসে সবচে বেশি গন্ডগোল এবং শব্দ দূষণ হয়েছে। সবচে বেশি কথা বলছে ঐ নতূন মেয়েটা। কি মুশকিল! মেয়েটার নামও জানে না জগলু। নতূন মেয়েটা ছাড়া আর যারা কথা বলেছে সবার নাম ইতোমধ্যে  জগলুর লিষ্টে উঠে গেছে। একমাত্র ঐ শালির নামই বাদ আছে।

কিন্তু ওর নামটা কি?
জগলু জিজ্ঞেস করে-''এই মানিক ঐ নতুন তোতলা মেয়েটার নাম কিরে"? মানিক লিমার কাছে ওর নাম জিজ্ঞস করে জানতে পারে ওর নাম হাসি। জগলু চট করে হাসির নামটা ক্লাসে কথা বলাদের লিষ্টে লিখতে লিখতেই আনোয়ার স্যারের প্রবেশ ক্লা্স কক্ষে। আনোয়ার স্যার আসতেই জগলু তার লিষ্টা ধরিয়ে দিল স্যারের হাতে।
কিন্তুু আনোয়ার স্যারের আজকের ভাবসাবটা একটু অন্যরকম। এরকম নতুন মেয়ের আগমন ঘটরেই তার স্বভাব পাল্টে যায়। ভাবখানা যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়।

(নতুন মিষ্টি মেয়ে) হাসির নাম লিষ্টে দেখেই হাসিকে স্যার জিজ্ঞেস করল- "তুমি কি কথা বলেছ সোনা?'' হাসি বলল- 'না স্যার জগলুই তো কথা বলেছ, আমাকে তোতলা বলেছে', স্যার আমাকে কি তোতলা মনে হয় আপনার? তাও ছেলেটা আমাকে তোতলা বলেছে, আমাকে অপমান করেছ'। জগলুর মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। কি করবে জগলু দিশা পাচ্ছে না। মনে মনে ভাবছে আরে শালী আমি কোন মেয়ের সাথে কথা বলেল সে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করে। আরে এই জগলু কোন ফালতু জগলু না যে তোর সাথে গায়ে পরে ঝগড়া করতে যাবে। শালী, তোর নাম হাসি না হয়ে কেন যে খাসী হল না আল্লা-মাবুদই জানে। আরে গায়ে পরে যদি ঝগড়াই করতাম তাহলে ঐ লিমার সাথেই করতাম। তোর মত হাসির সাতে না, শালী! লিমার দিকে তাকালেই কেমন চোখমারা শুরু করে আর উড়ন্ত চুমু দিতেই থাকে। আমি সাথে সাথে চোখ সরিয়ে ফেলি, এর নাম হল জগলু। কিন্তু শালী লিমার একটাই সমস্যা ওর একটা চোখ ট্যারা। কার দিকে তাকিয়ে ও এসব কিছু করে সেটা শালা বোঝার কোন উপায় নেই। তাই ওরে পাত্তা দেই না। যদি কিছুদিন এমন করার পরে ও বলেই ফেলে এই জগলু ওগুলো (চোখ মারা আর উড়ন্ত চুমু) আমি তোকে দেই নাই, তোর পাশেরডারে দিসি! তাইলে তো মাগার আরো বিপদ বাড়বে ছাড়া কমবে নাহ। যাক বাবা, তাই আমি ওরে তেমন একটা পাত্তাও দেই না, আবার গায়ে পরে ঝগড়া করি না। কিন্তু শালী হাসি না খাসী, আজকা আইসাই এই জগলুর বিরুদ্ধে নালিশ? নারে এটা মেনে নিস নারে জগলু। একটি উচিত শিক্ষা দে ওই শালীরে। কারণ আজকের সমাজে এইসব হাসী আর আনোয়ার স্যারদের কারনেই ঘটছে অবাঞ্ছিত যতসব বিপদ আর নষ্ট হচ্ছে অনেক নিস্পাপ জীবন।....

এসব ভাবতেই আনোয়ার স্যার জগলুর দিকে তেড়ে আসে, এবং জগলুর এই টুক মনে আছে আজ যেই কয়বার ঐ শালী হাসির নাম আস্তে এবং জোড়ে সব মিলিয়ে উচ্চারণ করেছে ঠিক সেই কয়টা বেতের বাড়িই খেতে হয়েছে জগলুকে। কিন্তু এই হারামি, আনোয়াইর্রা (স্যার আনোয়ার) শালা এতে তোর কি লাভ হল। হাসির মিষ্ট কথায় গরে গিয়ে নিজের ভাবকানা প্রকাশ করার জন্য আমার পিঠে বেতের চারান দিলি, শালা তোর পেটের পীড়া কোন দিনও ভাল অইবো না মনে রাখিস। আরে এই জগলু তোরে বদ-দোয়া করলে একদিন তোর স্থান অইবো টয়লেটের পাশেই হারামি, হারামির ঘরের হারামি। শালা লুচ্চার বাচ্চা, হাসির বয়সি নিজের মেয়ে থাকতেও শালা ওর দিকে অন্য নজরে তাকাইসে, ওর কথায় আমারে মারছে, এই পিঠ ফুলাইয়া দিছে। শালা আনোয়াইর্রার বাচ্চা যেদিন তুই ওর যাঁতাকলে পিষ্ট হবি সেই দিন, সেইদিনই এই জগলুর যাতনার কথা তুই বুঝবি। .....



চলমান উপন্যাস
সঙ্গে থাকার জন্য সকল বন্ধুদেরকে ধন্যবাদ।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ১৫০৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৪/০৫/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast