গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা রাজনৈতিক বক্তৃতাও সাহিত্যের অন্তর্ভূক্ত
একটি গণতান্ত্রিক দেশ সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয় যদি সেটি প্রকৃতভাবে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা থাকলে তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও মানসম্মত নেতা। যেই নেতার ভাবনা থাকবে আত্মকেন্দ্রিক নয় বরং রাষ্ট্র কেন্দ্রিক। যার ভাবনা থাকবে গণমানুষের কল্যান নিয়ে, যিনি শুধু দেশের শান্তির বার্তাবাহকই নন বরং বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখতে যিনি বদ্ধ পরিকর তিনিউ হচ্ছেন প্রকৃত নেতা। নির্বাচিত হওয়ার পর যিনি নিজেকে জনগণের খাদেম ভাবতে পারবেন, যিনি নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে নিয়ে কোন অভাবী মায়ের অভাব কিংবা দুঃখ মোচন করতে পারবেন তিনিই প্রকৃত নেতা। পক্ষান্তরে যারা গণমানুষের দুঃখ শুনবেন না, বিরোধীদলের প্রতি দমন-পীড়ন নিতীর মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থেকে জনসেবা নয় বরং আত্মসেবায় ব্যস্ত, নিজ দলের জন্য ব্যস্ত, এই ধরনের ক্ষমতালোভী একনায়কতন্ত্র ভাবাপন্ন নেতা বা শাসক এরা কখনোই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনা। এদের অত্যাচারের ভয়ে মানুষ মুখ খুলে না কিন্তু তারা মনে করে যে জনগণ আমাদের পক্ষেই রয়েছে। তারাই এমনই ক্ষমতা পিপাসু যে তারা বুঝতেই চায়না যে- এই ধরেনর নীরবতাও এক ধরনের প্রতিবাদ তথা গণপ্রতিবাদ। পরিবারের কর্তা পরিবারের যতই কল্যাণ কামনা করুক না কেন সে যদি কারো পরামর্শ না নিয়ে এককভাবে তার ইচ্ছামত বা খেয়াল খুশি মত পরিবারের যতই উন্নতি করুক না কেন, তাতে পরিবারের লোকজন আসলে তার প্রতি খুশি নয়। কারণ ঐ একটাই- মুখ চেপে ধরে মাথায় তেল দিলে তাতে কোন কাজে আসেনা। একটি দেশও ঠিক ওরকমেরই। অবশ্য এর কিন্তু একটি কারণ আছে। আর সেটি হল হল আমরা মুক্তমনা গনতন্ত্রকামী মানুষ।
পশ্চাত্যে দেখা যায় যে একজন দক্ষ নেতার (ORATION) রজনৈতিক বক্তৃতা বা বিবৃতিও সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত হয় কারণ তার সে বক্তব্যে থাকে দেশপ্রেম, ধর্ম ও নৈতিকতা, আদর্শবাদ, সৃষ্টিশীলতা, আধ্যাত্মিকতা, বদ্যানতা, শিক্ষনীয় আর উন্নয়নের অবশ্যম্ভাবী ধারনা। সেখানে এমন কোন ধারনা দেওয়া হয় না যে এটি কররে আমরা জনগণের বাহবা পাব। বরং তাদের বক্তৃতার প্রতিটি লাইনে থাকে সৃষ্টিশীলতা আর গবেষনার প্রয়োগ। যা একটি থেকে অপরটি সবসময়ই আলাদা হয়। পক্ষান্তরে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ নেতারাও কোন বিবৃতি প্রদানকালে উপরোক্ত কোন বিষয়ের ধারনা না দিয়েই বরং বিরোধী দলের যত দোষ আছে তার একটা ফিরিস্তি মুখস্ত পাঠ করা হয়। আর তা প্রত্যেকটি বক্তৃতাতেই এক হয়ে থাকে। যা আমরা প্রথমবার শোনার পরে আর শুনতে চাই না্ ঐ একই কারণে কারণ ঐ একই বক্তব্য।
আসুন, আমি বা আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি আর নাই পারি, ক্ষমতায় আসলেও টিকে থাকতে পারি আর নাই পারি, আমাদের বক্তব্যে এমন কিছু সৃষ্টিশীলতা থাকুক যা যুগ যুগ প্রেরণা যোগাবে মানুষের মনে, আর তখনই এটা সাহিত্যের একটি শাখা হয়ে বেঁচে থাকবে আজীবন।
পশ্চাত্যে দেখা যায় যে একজন দক্ষ নেতার (ORATION) রজনৈতিক বক্তৃতা বা বিবৃতিও সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত হয় কারণ তার সে বক্তব্যে থাকে দেশপ্রেম, ধর্ম ও নৈতিকতা, আদর্শবাদ, সৃষ্টিশীলতা, আধ্যাত্মিকতা, বদ্যানতা, শিক্ষনীয় আর উন্নয়নের অবশ্যম্ভাবী ধারনা। সেখানে এমন কোন ধারনা দেওয়া হয় না যে এটি কররে আমরা জনগণের বাহবা পাব। বরং তাদের বক্তৃতার প্রতিটি লাইনে থাকে সৃষ্টিশীলতা আর গবেষনার প্রয়োগ। যা একটি থেকে অপরটি সবসময়ই আলাদা হয়। পক্ষান্তরে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ নেতারাও কোন বিবৃতি প্রদানকালে উপরোক্ত কোন বিষয়ের ধারনা না দিয়েই বরং বিরোধী দলের যত দোষ আছে তার একটা ফিরিস্তি মুখস্ত পাঠ করা হয়। আর তা প্রত্যেকটি বক্তৃতাতেই এক হয়ে থাকে। যা আমরা প্রথমবার শোনার পরে আর শুনতে চাই না্ ঐ একই কারণে কারণ ঐ একই বক্তব্য।
আসুন, আমি বা আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি আর নাই পারি, ক্ষমতায় আসলেও টিকে থাকতে পারি আর নাই পারি, আমাদের বক্তব্যে এমন কিছু সৃষ্টিশীলতা থাকুক যা যুগ যুগ প্রেরণা যোগাবে মানুষের মনে, আর তখনই এটা সাহিত্যের একটি শাখা হয়ে বেঁচে থাকবে আজীবন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ আল-আমিন সাব্বির ০১/০৩/২০১৭খুব ভাল
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২৭/০২/২০১৭ভালো প্রত্যাশা।