স্মৃতিচারণ
অণু গল্প: স্মৃতিচারণ
প্রায় আঠারো বছর আগের কথা। স্কুলের ক্লাশ শুরু হতে আরো প্রায় বিশ মিনিট বাকী ছিল। কাছেই নদীর ঘাঁট। বাহারি রকমের নৌকা আর ট্রলারের যাতায়াত এই নদী দিয়ে। নাজিয়া আর মেহমুদ ওরা দু'জন স্কুলের পিছনে নদীর পাড়ে দু'টি পেয়ারা গাছের মাঝে বসে গল্প করছিল। নাজিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মেয়ে আর মেহমুদ সব সময়ই ক্লাসের ফার্ষ্ট বয়। কোনো কোন পরীক্ষায় স্কুলেরভেতর সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তিরও খেতাব মেলে মেহমুদের। আর তাই নাজিয়া ঈর্ষাকাতর হয়ে মেহমুদের ভেতরের লুকায়িত সত্তাকে জানতে চেষ্টা করত। মেহমুদ এতে লজ্জা পেলেও নাজিয়া ওকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যেত গল্প করতে। আজও তাই হয়েছে। মেহমুদ যখন বইগুলো ক্লাসে রেখে একটা নোট খাতা হাতে নিয়ে ষ্টাডি করছিল ঠিক তখনই নাজিয়া পেছন থেকে এসে ওর নোট বইটা টান দিয়ে নিয়ে গেল এবং হাত ধরে বলল চল একটু গল্প করি। মেহমুদ আর না বলে পারেনি কারণ ওর হাত তখনো নাজিয়া খুব জোরে টানছিল।
নদীর ধারে বসে যথন ওরা গল্প করছিল- ঠিক সে সময়ই এক নব বধুকে নাইর করে নিয়ে যাচ্ছিল তার বাপের বাড়িতে, একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় তথা ট্রলারে করে। লাল শাড়ির আঁচলে লজ্জাজাবতীর লুকায়িত মূখখানা একটু উঁকি দিয়ে দেখতে যেন ব্যস্ত ছিল নদীর দু'ধারের সবাই। কিত্নু সেই দেখার ফাঁক দিয়েই ক্ষণিকের ভেতরেই চোখের পলকের অতীত হয়ে গেল নব-বধূর সেই ট্রলারটি। কিন্তু ট্রলারের ছেড়ে যাওয়া ঢেউয়ে নদীর দু'ধারের কলমিলতার তখনও দুলছিল। এতক্ষণ ওরা সে দৃশ্যটি দেখার পরই নাজিয়া মেহমুদের দিকে তাকিয়ে বলল- " আচ্ছা মেহমুদ, তুমি আমাকে এভাবে কবে বধু সাজিয়ে নিয়ে যাবে?" প্রশ্নটা শুনে চমকে উঠল মেহমুদ, তারপর দুষ্টামি করে বলেছিল- আমি যেদিন ট্রলার চালক হব সেদিনই না হয় তোমাকে নিয়ে যাব!
.... এরপর কিছুক্ষণ ওরা চোখে চোখ রেখে নিশ্চুপ থাকে, সেই চাহনি যেন ছিল প্রাপ্তি কিংবা অপ্রাপ্তির, চাওয়া কিংবা না চাওয়ার, কাছে আসা কিংবা দুরে চলে যাওয়ার। এরপর নাজিয়া ভাবতে থাকে মেহমুদের সেই উত্তরটা নিয়...। হঠাত নাজিয়া ভাবে মেহমুদের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা নিয়। দুষ্টামির স্বরে হলেও নাজিয়া যেন মেহমুদের চমৎকার উত্তরে একরাশ স্বান্তনা পায়, যেই স্বান্তনাটুকু ও এর আগে কোনদিন পায়নি মেহমুদের কাছ থেকে। নাজিয়া বুঝতে পারে- ''এই বুদ্ধিমত্তাই তো তোমার সম্পদ মেহমুদ, আর এ জন্যই তো তোমার প্রতি একটা টান আমার, যেটা পৃথিবীর সবচাইতে একটা আলাদা টান''। তন্ময় হয়ে নদের ধারে দু'জন আকাশের পানে তাকিয়ে ছিল কিছুক্ষণ। তখনো ওদের হাতে রাখা ছিল হাত। কিন্তু সেটা দপ্তরীর দেওয়া ক্লাস সিটিংয়ের ঘণ্টা ওদের বেশীক্ষণ স্থায়ী করে রাখতে দেয়নি। ঘন্টা শুনে ওরা তরিঘড়ি উঠে দাড়াল। এক্ষুনি ক্লাশ শুরু হবে। ওরা ধীর গতিতে ক্লাসের দিকে এগিয়ে গেল........
প্রায় আঠারো বছর আগের কথা। স্কুলের ক্লাশ শুরু হতে আরো প্রায় বিশ মিনিট বাকী ছিল। কাছেই নদীর ঘাঁট। বাহারি রকমের নৌকা আর ট্রলারের যাতায়াত এই নদী দিয়ে। নাজিয়া আর মেহমুদ ওরা দু'জন স্কুলের পিছনে নদীর পাড়ে দু'টি পেয়ারা গাছের মাঝে বসে গল্প করছিল। নাজিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মেয়ে আর মেহমুদ সব সময়ই ক্লাসের ফার্ষ্ট বয়। কোনো কোন পরীক্ষায় স্কুলেরভেতর সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তিরও খেতাব মেলে মেহমুদের। আর তাই নাজিয়া ঈর্ষাকাতর হয়ে মেহমুদের ভেতরের লুকায়িত সত্তাকে জানতে চেষ্টা করত। মেহমুদ এতে লজ্জা পেলেও নাজিয়া ওকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যেত গল্প করতে। আজও তাই হয়েছে। মেহমুদ যখন বইগুলো ক্লাসে রেখে একটা নোট খাতা হাতে নিয়ে ষ্টাডি করছিল ঠিক তখনই নাজিয়া পেছন থেকে এসে ওর নোট বইটা টান দিয়ে নিয়ে গেল এবং হাত ধরে বলল চল একটু গল্প করি। মেহমুদ আর না বলে পারেনি কারণ ওর হাত তখনো নাজিয়া খুব জোরে টানছিল।
নদীর ধারে বসে যথন ওরা গল্প করছিল- ঠিক সে সময়ই এক নব বধুকে নাইর করে নিয়ে যাচ্ছিল তার বাপের বাড়িতে, একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় তথা ট্রলারে করে। লাল শাড়ির আঁচলে লজ্জাজাবতীর লুকায়িত মূখখানা একটু উঁকি দিয়ে দেখতে যেন ব্যস্ত ছিল নদীর দু'ধারের সবাই। কিত্নু সেই দেখার ফাঁক দিয়েই ক্ষণিকের ভেতরেই চোখের পলকের অতীত হয়ে গেল নব-বধূর সেই ট্রলারটি। কিন্তু ট্রলারের ছেড়ে যাওয়া ঢেউয়ে নদীর দু'ধারের কলমিলতার তখনও দুলছিল। এতক্ষণ ওরা সে দৃশ্যটি দেখার পরই নাজিয়া মেহমুদের দিকে তাকিয়ে বলল- " আচ্ছা মেহমুদ, তুমি আমাকে এভাবে কবে বধু সাজিয়ে নিয়ে যাবে?" প্রশ্নটা শুনে চমকে উঠল মেহমুদ, তারপর দুষ্টামি করে বলেছিল- আমি যেদিন ট্রলার চালক হব সেদিনই না হয় তোমাকে নিয়ে যাব!
.... এরপর কিছুক্ষণ ওরা চোখে চোখ রেখে নিশ্চুপ থাকে, সেই চাহনি যেন ছিল প্রাপ্তি কিংবা অপ্রাপ্তির, চাওয়া কিংবা না চাওয়ার, কাছে আসা কিংবা দুরে চলে যাওয়ার। এরপর নাজিয়া ভাবতে থাকে মেহমুদের সেই উত্তরটা নিয়...। হঠাত নাজিয়া ভাবে মেহমুদের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা নিয়। দুষ্টামির স্বরে হলেও নাজিয়া যেন মেহমুদের চমৎকার উত্তরে একরাশ স্বান্তনা পায়, যেই স্বান্তনাটুকু ও এর আগে কোনদিন পায়নি মেহমুদের কাছ থেকে। নাজিয়া বুঝতে পারে- ''এই বুদ্ধিমত্তাই তো তোমার সম্পদ মেহমুদ, আর এ জন্যই তো তোমার প্রতি একটা টান আমার, যেটা পৃথিবীর সবচাইতে একটা আলাদা টান''। তন্ময় হয়ে নদের ধারে দু'জন আকাশের পানে তাকিয়ে ছিল কিছুক্ষণ। তখনো ওদের হাতে রাখা ছিল হাত। কিন্তু সেটা দপ্তরীর দেওয়া ক্লাস সিটিংয়ের ঘণ্টা ওদের বেশীক্ষণ স্থায়ী করে রাখতে দেয়নি। ঘন্টা শুনে ওরা তরিঘড়ি উঠে দাড়াল। এক্ষুনি ক্লাশ শুরু হবে। ওরা ধীর গতিতে ক্লাসের দিকে এগিয়ে গেল........
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
০।।০ ১৯/০৪/২০১৭
-
জয়শ্রী রায় মৈত্র ১৫/০২/২০১৭ভালো থিমে লেখা । কিন্তু শব্দ প্রয়োগ এবং পরিবেশনে আর একটু মনোযোগী হতে হবে বলে আমার ধারনা । চালিয়ে যান । শুভেচ্ছা রইল ।
-
পরশ ১৫/০২/২০১৭ভাল
-
অনাদী রহমান ১৪/০২/২০১৭ছোট বেলা মনে করিয়ে দিলেন
-
মোহাম্মদ সফিউল হক ১৩/০২/২০১৭খুব ভালো লাগলো
-
মোনালিসা ১৩/০২/২০১৭বেশ
-
মো: রিদওয়ানুল ইসলাম রিফাত ১৩/০২/২০১৭খুব ভালো লাগল
-
আব্দুল হক ১২/০২/২০১৭সুন্দর ধন্যবাদ!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০২/২০১৭গল্প না বলে স্মৃতিচারণ বলাই ভালো।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১২/০২/২০১৭পড়ুন, লিখুন আর সঙ্গে থাকুন
অণুকাব্যের
কারণ, অণুকাব্য- জীবনের কথা বলে।
ধন্যবাদ সবাইকে!
সুস্থ থাকুন সর্বদা ।। শুভ কামনা নিরন্তর...