অভিমানী সেই মেয়েটি
এতটা অভিমান ও আমি ছাড়া আর কারো সাথে করে না। ওর অভিমানের সে কারণটা আমি তখন অত ভাল বুঝতাম না। আর ওযে এত বুঝত এবং আমাকেও যে কিছু একটা বোঝাতে চাইত তাও আমি বুঝতাম না। এর কিছু কারণও অবশ্য আছে। কারণটা হল ছেলেদের চেয়ে কম বয়সেই মেয়েরা পেঁকে বসে। এটা আমার মত ছোট গল্পকারের কথা নয় বরং এটা সমাজ আর মনোবিজ্ঞানীদের মতামত যা দীর্ঘ গবেষনা করে পাওয়া। যাই হোক আসল কথায় আসি- শীতের কোন এক বিকেলে আমরা রেকেট খেলছিলাম, হঠাৎ ও চিৎকার দিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ল। আমি পাগলের মত ছুটে গেলাম ওর কাছে, ও কাঁপছে, ভয়ে অনবরত। তারপর চেয়ে দেখি রক্তাক্ত ও। হ্যাঁ, পাঠক এই বার আমি বুঝলাম ও নারীর পূর্ণাঙ্গতা পেল এক রক্তাক্ত শুভ্রতার কাছে। এক শুভ্র নারীর প্রতীক ও। আজই শুরু হল ওর পবিত্র ঝর্ণাধারা। যা ওকে নদীর মত বহমান করে তুলবে। এক নব উন্মাদনায় মেতে উঠবে আর তার চিহ্ন রেখে যাবে এই গ্রহে। আর ও কত কিই যে ভাবছি।
এইবার ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ভয়ে ও অজ্ঞান হয়ে আছে। আমি লজ্জায় লাল রংয়ের খালাত ভাই হয়ে ওকে কাধেঁর উপর ফেলে এক দৌড়ে ওদের বেড রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলাম। ওর মা প্রথমে ভয় পেরেও পরে নিজেকে সামলে নিলেন। তাকে অভয় হতে দেখে আমি খানিকটা বুঝে নিলাম যে তিনিও সব কিছু ঠিকঠাক মত বুঝতে পেরেছেন। মেয়ের এই অবস্থার মাঝেও খালাম্মা আমার যন্ত নিতে ভুললেন না। আবার ওরও যত্ন নিচ্ছন যথাযথ।
তারপর আমি ওকে অজ্ঞান অবস্থায় রেখেই বাড়ি ফিরলাম। সুস্থ হয়ে ও সব শুনল। এর পর থেকে আমার দিকে ওর চাহনির ধরনটাই ছিল একটা মায়াবী রংয়ের। যার গভীরতা আমি কোন দিনও মাপিনি হৃদয় দিয়ে কিংবা শিল্পির তুলিতে একে রাখিনি সেই প্রিয় মুহুর্তগুলি যা আজ বার বার স্মরি।
উপসংহার: সেবারই ঈদে ওর সাথে দেখা করতে পারিনি। সেই অভিমানেই ওযে মুখ ফিরিয়ে নিল আমার থেকে এর পর আর কোন দিনও ওর মুখের অভিমানের ঘোমটাটা সরাতে পারিনি। আজ তার এক যুগ পুর্তি। ওর জন্য মনটা বার বার ভারী হয়ে আসে। সত্যিই ওর যে এতটা অভিমান আমার সাথে আমি বুঝতেই পারিনি। অামার উপর অভিমান করে ও আজও যোগ দেয়নি জীবন ক্যাপ্মাসের কোন স্যোশাল মিডিয়ায় কিংবা কোন লাইভ অনুষ্ঠানে। তবুও ভাল থাকুক ও। থাকুক আমার উপর অভিমান করে। কারণ এই পৃথিবীতে আমার উপর একজন অভিমান করে আছে এর চেয়ে বড় পাওযা আর কি হতে পারে?
এইবার ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ভয়ে ও অজ্ঞান হয়ে আছে। আমি লজ্জায় লাল রংয়ের খালাত ভাই হয়ে ওকে কাধেঁর উপর ফেলে এক দৌড়ে ওদের বেড রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলাম। ওর মা প্রথমে ভয় পেরেও পরে নিজেকে সামলে নিলেন। তাকে অভয় হতে দেখে আমি খানিকটা বুঝে নিলাম যে তিনিও সব কিছু ঠিকঠাক মত বুঝতে পেরেছেন। মেয়ের এই অবস্থার মাঝেও খালাম্মা আমার যন্ত নিতে ভুললেন না। আবার ওরও যত্ন নিচ্ছন যথাযথ।
তারপর আমি ওকে অজ্ঞান অবস্থায় রেখেই বাড়ি ফিরলাম। সুস্থ হয়ে ও সব শুনল। এর পর থেকে আমার দিকে ওর চাহনির ধরনটাই ছিল একটা মায়াবী রংয়ের। যার গভীরতা আমি কোন দিনও মাপিনি হৃদয় দিয়ে কিংবা শিল্পির তুলিতে একে রাখিনি সেই প্রিয় মুহুর্তগুলি যা আজ বার বার স্মরি।
উপসংহার: সেবারই ঈদে ওর সাথে দেখা করতে পারিনি। সেই অভিমানেই ওযে মুখ ফিরিয়ে নিল আমার থেকে এর পর আর কোন দিনও ওর মুখের অভিমানের ঘোমটাটা সরাতে পারিনি। আজ তার এক যুগ পুর্তি। ওর জন্য মনটা বার বার ভারী হয়ে আসে। সত্যিই ওর যে এতটা অভিমান আমার সাথে আমি বুঝতেই পারিনি। অামার উপর অভিমান করে ও আজও যোগ দেয়নি জীবন ক্যাপ্মাসের কোন স্যোশাল মিডিয়ায় কিংবা কোন লাইভ অনুষ্ঠানে। তবুও ভাল থাকুক ও। থাকুক আমার উপর অভিমান করে। কারণ এই পৃথিবীতে আমার উপর একজন অভিমান করে আছে এর চেয়ে বড় পাওযা আর কি হতে পারে?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।