www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সৈয়দপুর থানা দালালের আখড়া

সৈয়দপুর থানা তো নয় যেন দালালের আখড়া। অভিযাগ প্রার্থী সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। বর্তমানে থানা চত্বরে দালালদের দৌরাত্ম্য অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। থানায় সাধারণ মানুষ ডায়েরি বা মামলা দায়ের করতে গেলে দালালরা তাদের চেপে ধরেন। মামলা রেকর্ড থেকে শুরু করে সব কাজ করে দেবেন এমন আশ্বাস দিয়ে তাদেরও পকেট কাটছেন। এমন অভিযোগ থানায় আগত ভুক্তভোগীদের। দালালরা কখনো ওসি, এসআই ও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা বিচার প্রার্থীদের কাছ থেকে ছলে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে। দালালদের হয়রানিতে থানায় আগতরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও চিহ্নিত দালাল চক্রের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না ব্যবস্থা। ফলে থানাকে ঘিরে দালালদের রমরমা ব্যবসা চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, সৈয়দপুর থানায় কিছু পুলিশ কর্মকর্তা তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য দুর্নীতিকে জায়েজ করতে এলাকাভিত্তিক তাদের নিয়োজিত দালালদের মাধ্যমে সব কাজ করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ন্যায় অন্যায় যাচাইবাছাই করা হয় না। তবে থানার সব শ্রেণির পুলিশের সঙ্গে রয়েছে এসব দালালদের দারুণ সখ্য। মামলা রেকর্ড করলে একদাম, জিডি ও আপস মীমাংসায় আরেক দাম। শুরু হয় দর কষা-কষি। আপস মীমাংসার নামে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়। পরে থানার গোল ঘরে বসে শুরু হয় বিচার শালিস। বিভিন্ন পর্যায় রাজনৈতিক পাতি নেতারাও যোগ দেন শালিসে। তখন থানা চত্বর থাকে লোকে লোকারণ্য। দালালদের কাজ না থাকলেও থানার অভ্যন্তরে সবসময় ভিড় করে থাকে। সাধারণ বিচারপ্রার্থী মানুষ তাদের দ্বারা নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেকে অভিযোগ করেন, মোটা অঙ্কের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারলে তাদের মামলা রেকর্ড হয় না। মামলা হলেও আসামি ধরতে গরিমসি করা হয়। চার্জশিট নিয়েও হয়রানি করা হয়। আবার আসামি রিমান্ডের নামে চলে রমরমা ব্যবসা। তবে বেশিরভাগ মামলার চার্জশিট দেয়ার সময় কড়া চার্জশিট দেয়ার নাম করে বাদীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। আবার আসামিপক্ষের কাছ থেকেও চার্জশিট হালকা করার নামে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়া হয়।
তবে এব্যপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিরুল ইসলাম অর্থ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কোন প্রকার অর্থ নেয়া হয় না মামলা, জিডি ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে। যদি কোন অফিসার কারো কাছে এব্যপারে অর্থ নিয়ে থাকে তার অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। তিনি আরো জানান, কতিপয় ব্যক্তি রয়েছে তারা থানায় এসে নিজেকে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে ফায়দা নেয়ার চেষ্ঠা করে কিন্তু তাদেরকে প্রশয় দেয়া হয় না।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৭৯৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৫/০৪/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast