কোটা আন্দোলনের যৌক্তিকতা এবং আন্দোলন নস্যাৎ
১. যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমাদের গ্রামে কারা কারা যুদ্ধ করেছিল তা আমার বাবা দেখেছে, আমার ভাই দেখেছে, আমার মা দেখেছে তাই আমার শুনা মতে, জানা মতে, আমাদের গ্রাম এবং তার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর এক তৃতীয়াংশ মুক্তিযোদ্ধা ভূয়া। ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে আর এই তাদের সন্তাদের জন্য কোটা মানা যায় না! মানা যায় না।
যে দেশ চলে প্রবাসী এবং গার্মেন্টস কর্মীদের পরিশ্রমের উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে সেদেশে তাদের সন্তানদের কোটা নেই কেন? প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ প্রবাসীদের রেমিটেন্স যোদ্ধা বলা হয়।
বাংলাদেশে দুই ক্যাটাগরির কোটা তথা- ১. উপজাতি কোটা, ২. প্রতিবন্ধী কোটা, রেখে সকল কোটা বাতিল করাটাই শ্রেয় বলে আমি মনে করি। তাহলে বৈষম্য দূর হয়ে সাম্যের জয়গান হবে। মেধাবীরা নিজেদের পাচার করবে না উন্নত দেশে।
যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের একাংশ মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেনি কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে জীবনের বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ অর্ন্তভূক্ত সকল দেশই যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু ঐসব দেশে কোনো মুক্তিযোদ্ধা কোটা নেই। যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যদা দেওয়া হয়ে বিভিন্ন ভাবে।
সুতরাং আমার দেশে যারা যুদ্ধ করেনি কিন্তু ভূয়া কাগজপত্রসহ ক্ষমতা বা টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা ট্যাগ লাগিয়ে সরকারকে বোকা বানিয়ে সুবিধা গ্রহণ করছে তাদের সন্তানদের জন্য কোটা কিসের? বাতিল করা হোক কোটা। সাম্যের বৈষম্য দূর করে গড়া হোক স্মার্ট বাংলাদেশ।
২. কোটা সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু নিজেকে রাজাকার দাবী করে কোটামুক্ত করতে চাই না। পাকিস্তান শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানীদের জন্য কোনো তেমন কোটা ছিল না। শতকরা ২০% পূর্ব পাকিস্তান তথা বাঙালীরা সরকারি কাজ পেত। সে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়াই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল।
এই আন্দোলনে বিএনপির বামহাত ঢুকেছে, জামাতী ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে। এরা নিজেরা রাজনৈতিক পঙ্গু তাই কিছু করতে পারে না বলে এইদিক সেদিক হাত মারিয়ে বেড়াচ্ছে। এরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কোমলমতি ও মেধাবী ছাত্রদের অন্তরে দেশপ্রেম ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছিলো, এখনো করে যাচ্ছে।
যারা প্রকৃত মেধাবী তারা কখনো স্বাধীনতার বিরোধী চেতনা নিয়ে এই স্বাধীনতার অস্বীকার করবে না, স্লোগানও দিবে না। সুতরাং যারা দেশ বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে তারা কখনো সংস্কার চাইনি, তারা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে মাঠে নেমেছিল যা এখন প্রতীয়মান। আর বিএনপি’র বাম হাত ঢুকিয়ে দেওয়া এবং জামাতীর ল্যাং মারার কারণে কোটা আন্দোলন নস্যাৎ হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আমি আগেও বলছি, এখনও বলছি, কোটা সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু রাজাকারী মনোভাব নিয়ে পাকিস্তান সমর্থন করে নয়।
যে দেশ চলে প্রবাসী এবং গার্মেন্টস কর্মীদের পরিশ্রমের উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে সেদেশে তাদের সন্তানদের কোটা নেই কেন? প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ প্রবাসীদের রেমিটেন্স যোদ্ধা বলা হয়।
বাংলাদেশে দুই ক্যাটাগরির কোটা তথা- ১. উপজাতি কোটা, ২. প্রতিবন্ধী কোটা, রেখে সকল কোটা বাতিল করাটাই শ্রেয় বলে আমি মনে করি। তাহলে বৈষম্য দূর হয়ে সাম্যের জয়গান হবে। মেধাবীরা নিজেদের পাচার করবে না উন্নত দেশে।
যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের একাংশ মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেনি কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে জীবনের বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ অর্ন্তভূক্ত সকল দেশই যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু ঐসব দেশে কোনো মুক্তিযোদ্ধা কোটা নেই। যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যদা দেওয়া হয়ে বিভিন্ন ভাবে।
সুতরাং আমার দেশে যারা যুদ্ধ করেনি কিন্তু ভূয়া কাগজপত্রসহ ক্ষমতা বা টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা ট্যাগ লাগিয়ে সরকারকে বোকা বানিয়ে সুবিধা গ্রহণ করছে তাদের সন্তানদের জন্য কোটা কিসের? বাতিল করা হোক কোটা। সাম্যের বৈষম্য দূর করে গড়া হোক স্মার্ট বাংলাদেশ।
২. কোটা সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু নিজেকে রাজাকার দাবী করে কোটামুক্ত করতে চাই না। পাকিস্তান শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানীদের জন্য কোনো তেমন কোটা ছিল না। শতকরা ২০% পূর্ব পাকিস্তান তথা বাঙালীরা সরকারি কাজ পেত। সে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়াই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল।
এই আন্দোলনে বিএনপির বামহাত ঢুকেছে, জামাতী ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে। এরা নিজেরা রাজনৈতিক পঙ্গু তাই কিছু করতে পারে না বলে এইদিক সেদিক হাত মারিয়ে বেড়াচ্ছে। এরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কোমলমতি ও মেধাবী ছাত্রদের অন্তরে দেশপ্রেম ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছিলো, এখনো করে যাচ্ছে।
যারা প্রকৃত মেধাবী তারা কখনো স্বাধীনতার বিরোধী চেতনা নিয়ে এই স্বাধীনতার অস্বীকার করবে না, স্লোগানও দিবে না। সুতরাং যারা দেশ বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে তারা কখনো সংস্কার চাইনি, তারা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে মাঠে নেমেছিল যা এখন প্রতীয়মান। আর বিএনপি’র বাম হাত ঢুকিয়ে দেওয়া এবং জামাতীর ল্যাং মারার কারণে কোটা আন্দোলন নস্যাৎ হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আমি আগেও বলছি, এখনও বলছি, কোটা সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু রাজাকারী মনোভাব নিয়ে পাকিস্তান সমর্থন করে নয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ফরিদুল ইসলাম ৩০/১০/২০২৪অসাধারণ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১২/০৯/২০২৪সঠিক
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৮/০৯/২০২৪আমরা এক জাতি এক ভাষা এক দেশ
কোন কোটা লাগতো না -
বেধাতেই সবকিছু করলেই ভাল হতো -
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ০৭/০৯/২০২৪সুন্দর বলেছেন।