স্রোতহীন কথার নদী
তিনি আমার প্রিয় মানুষদের মধ্যে একজন। তাঁর সাথে কথা বলে যে অনাবিল আনন্দ পাওয়া যায় তা আর কারো সাথে কথা বলে পাওয়া যায় না। বেশ কিছুদিন পর আজ আবার উনি আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন। আমি স্বভাবতই খুশি হলাম। কুশলাদি জিজ্ঞাসা শেষে এক পর্যায়ে আমি বললাম-
ভাই! আপনার সাথে অনেক দিন ধরে বাংলাদেশের
রাজনীতি নিয়ে কোন আলাপ সালাপ হয় না। আজকে আমাদের
আলোচনার বিষয়
হোক বাংলাদেশের
রাজনীতি।
আপনার কি মত?
উনি দীর্ঘশ্বাস
ছেড়ে জবাব দিলেন-
না ভাই! বাংলাদেশের
রাজনীতি নিয়ে আলাপ করার কোন
রুচি আর আমার
মধ্যে অবশিষ্ট্য নাই।
দেশের সব কিছু
নষ্টের দখলে চলে গেছে। রাজনীতি এখন চরম দুর্গন্ধযুক্ত । ওটা নিয়ে যত
নাড়াচাড়া করা হবে ততই দুর্গন্ধ ছড়াবে।
তার চেয় আমরা বরং অন্য কিছু
নিয়ে আলোচনা করি।
আমি উত্সাহ
না হারিয়ে বললাম-
ঠিক আছে। তাই
হোক।
আমরা তাহলে আমাদের ধর্মীয়
বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি?
দেখলাম উনার
দীর্ঘশ্বাসটা এবার
দ্বিগুণ দীর্ঘ হল।উনি বললেন- এই
বিষয় নিয়েও
আলোচনা করতে আমার যথেষ্ট
আপত্তি আছে। এই
বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু
করলে হয়তো একটু
পর দেখা যাবে
আপনিই আমাকে কাফের বলে ফতোয়া দিতে শুরু
করেছেন কিংবা আমিই
আপনাকে কাফের
বলছি। বেহুদা তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ
কি?
আলোচনার
আরো অনেক বিষয়
রয়েছে। আমরা না হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
এবার আমার উত্সাহ
কিছুটা ভাঁটা পড়লো।
তবুও হাল
ছেড়ে না দিয়ে বললাম- ঠিকাছে আমরা না হয়
আমাদের সাহিত্য
সংস্কৃতি এসব
নিয়ে আলোচনা করতে পারি।
এবার উনি আমার
দিকে বেশ হতাশ
চোখে তাকালেন।
তারপর কিছু সময়
নীরব থেকে বলতে শুরু করলেন- ভাই!
আমাদের সাহিত্য
কি আর সাহিত্য
আছে? যখন
দেখি সাহিত্যিকরা সাহিত্যের
নামে একটা শ্রেণীর
গোলামি করাকে নিজের একমাত্র দায়িত্ব মনে করে।
তখন এটা নিয়ে বলার আর
কি থাকতে পারে?
আর আমাদের
নিজস্ব সংস্কৃতিটা কি সেটা তো আমরা নিজেরাই
জানিনা। সংস্কৃতির
নামে আমরা যা করছি তা তো পার্শ্ববর্তী একটি দেশের অন্ধ অনুকরণ ছাড়া কিছুই নয়। এক
নাগাড়ে কথাগুলো বলে উনি একটু
থামলেন! তারপর
আবার আমাকে বললেন-
আমি খুবই দুঃখিত।
তুমি এই বিষয়গুলো বাদ অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলাপ
শুরু কর প্লিজ!
এবার আমি বেশ
বড়সড় একটা ধাক্কা খেলাম। আমার
মাথায় তখনও অনেক বিষয় কিলবিল করছে কিন্তু সে সব বিষয়
নিয়ে কথা বলার
কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পেলাম
না। আমার কেবলই
মনে হতে লাগলো আমাদের কথা বলার দিন ফুরিয়েছে।
আমরা দুজন
কথা বলতে পছন্দ
করা মানুষ চুপচাপ
বসে থাকি।
সময় গড়িয়ে যেতে থাকে। একটা সময়
উনি বিদায়
নিয়ে চলে যান।
কিন্তু আমি তখনও
বসে বসে ভাবি এই
তো সেদিনও এই
লোকটার সাথে আলাপ হয়েছে আমার। নানা যুক্তি তর্ক শেষে একটা উপসংহারে এসে উপনীত হতে পেরেছি। স্বপ্লালু
চোখে তাকিয়েছি ভবিষ্যতের দিকে! স্বপ্ন দেখছি একদিন
বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর সেরা দেশ আর
বাংলাদেশের মানুষ
পাবে পৃথিবীর
সেরা জাতির
স্বীকৃতি। কিন্তু আজ আর আমাদের এই রঙ্গীন স্বপ্নগুলো দেখা হলনা!
শুধু কি আজই হল
না? নাকি আর কোন দিনই
দেখা হবে না?
প্রশ্নগুলোর উত্তর
মিলাতে পারিনা কিছুতে। তবে বিশ্বাস করি প্রশ্নগুলোর
কার্যকারিতা ফুরাবে দ্রুতই।
ভাই! আপনার সাথে অনেক দিন ধরে বাংলাদেশের
রাজনীতি নিয়ে কোন আলাপ সালাপ হয় না। আজকে আমাদের
আলোচনার বিষয়
হোক বাংলাদেশের
রাজনীতি।
আপনার কি মত?
উনি দীর্ঘশ্বাস
ছেড়ে জবাব দিলেন-
না ভাই! বাংলাদেশের
রাজনীতি নিয়ে আলাপ করার কোন
রুচি আর আমার
মধ্যে অবশিষ্ট্য নাই।
দেশের সব কিছু
নষ্টের দখলে চলে গেছে। রাজনীতি এখন চরম দুর্গন্ধযুক্ত । ওটা নিয়ে যত
নাড়াচাড়া করা হবে ততই দুর্গন্ধ ছড়াবে।
তার চেয় আমরা বরং অন্য কিছু
নিয়ে আলোচনা করি।
আমি উত্সাহ
না হারিয়ে বললাম-
ঠিক আছে। তাই
হোক।
আমরা তাহলে আমাদের ধর্মীয়
বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি?
দেখলাম উনার
দীর্ঘশ্বাসটা এবার
দ্বিগুণ দীর্ঘ হল।উনি বললেন- এই
বিষয় নিয়েও
আলোচনা করতে আমার যথেষ্ট
আপত্তি আছে। এই
বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু
করলে হয়তো একটু
পর দেখা যাবে
আপনিই আমাকে কাফের বলে ফতোয়া দিতে শুরু
করেছেন কিংবা আমিই
আপনাকে কাফের
বলছি। বেহুদা তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ
কি?
আলোচনার
আরো অনেক বিষয়
রয়েছে। আমরা না হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
এবার আমার উত্সাহ
কিছুটা ভাঁটা পড়লো।
তবুও হাল
ছেড়ে না দিয়ে বললাম- ঠিকাছে আমরা না হয়
আমাদের সাহিত্য
সংস্কৃতি এসব
নিয়ে আলোচনা করতে পারি।
এবার উনি আমার
দিকে বেশ হতাশ
চোখে তাকালেন।
তারপর কিছু সময়
নীরব থেকে বলতে শুরু করলেন- ভাই!
আমাদের সাহিত্য
কি আর সাহিত্য
আছে? যখন
দেখি সাহিত্যিকরা সাহিত্যের
নামে একটা শ্রেণীর
গোলামি করাকে নিজের একমাত্র দায়িত্ব মনে করে।
তখন এটা নিয়ে বলার আর
কি থাকতে পারে?
আর আমাদের
নিজস্ব সংস্কৃতিটা কি সেটা তো আমরা নিজেরাই
জানিনা। সংস্কৃতির
নামে আমরা যা করছি তা তো পার্শ্ববর্তী একটি দেশের অন্ধ অনুকরণ ছাড়া কিছুই নয়। এক
নাগাড়ে কথাগুলো বলে উনি একটু
থামলেন! তারপর
আবার আমাকে বললেন-
আমি খুবই দুঃখিত।
তুমি এই বিষয়গুলো বাদ অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলাপ
শুরু কর প্লিজ!
এবার আমি বেশ
বড়সড় একটা ধাক্কা খেলাম। আমার
মাথায় তখনও অনেক বিষয় কিলবিল করছে কিন্তু সে সব বিষয়
নিয়ে কথা বলার
কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পেলাম
না। আমার কেবলই
মনে হতে লাগলো আমাদের কথা বলার দিন ফুরিয়েছে।
আমরা দুজন
কথা বলতে পছন্দ
করা মানুষ চুপচাপ
বসে থাকি।
সময় গড়িয়ে যেতে থাকে। একটা সময়
উনি বিদায়
নিয়ে চলে যান।
কিন্তু আমি তখনও
বসে বসে ভাবি এই
তো সেদিনও এই
লোকটার সাথে আলাপ হয়েছে আমার। নানা যুক্তি তর্ক শেষে একটা উপসংহারে এসে উপনীত হতে পেরেছি। স্বপ্লালু
চোখে তাকিয়েছি ভবিষ্যতের দিকে! স্বপ্ন দেখছি একদিন
বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর সেরা দেশ আর
বাংলাদেশের মানুষ
পাবে পৃথিবীর
সেরা জাতির
স্বীকৃতি। কিন্তু আজ আর আমাদের এই রঙ্গীন স্বপ্নগুলো দেখা হলনা!
শুধু কি আজই হল
না? নাকি আর কোন দিনই
দেখা হবে না?
প্রশ্নগুলোর উত্তর
মিলাতে পারিনা কিছুতে। তবে বিশ্বাস করি প্রশ্নগুলোর
কার্যকারিতা ফুরাবে দ্রুতই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জমাতুল ইসলাম পরাগ ১০/১১/২০১৪
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৮/১১/২০১৪এখানেই শেষ নয়। এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে। আমরা পিছিয়ে গেলে যে সমাধার হবে না। এক এক করে না পিছিয়ে বরং কোনো না কোনো ভাবে আমাদের উচিৎ প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ গড়ে তোলা।
সালাম ও শুভেচ্ছা রইল। ভালো লাগা রেখে গেলাম।
আশার আলো ওঠুক জ্বলে সব হৃদয়ে।