লজ্জাবতি যখন বেশ্যার যন্ত্রনায়
মস্তিস্কের রক্তক্ষরনটা যেনো বেড়েই চলেছে। শরীর থেকে ও দরদর করে ঘাম ঝরছে। দেহ মন দুটোই উতলা হয়ে আছে। কোনো কিছুই যেনো ভালো লাগছে না। জীবনে বহুবার বিষন্নতায় ভুগেছি। তবে আজকরে তুলনায় আগের সব বিষন্নতা মনে হয় একত্রিত করে এই একবারের বিষন্নতার সমান হবে না। ছোট বেলায় মায়ের কাছে একটি কথা শুনেছিলাম আর সেই কথাটি কিভাবে যেনো পুরোপুরি মনের মধ্যে গেথে গিয়েছিলো। যদিও মায়ের প্রায় সব কথাই মানতে চেষ্টা করি আর ছোট বেলায় বলছি কিন্তু আমি এখনো খুব যে বড় তা কিন্তু নয়। আর মায়ের সেই গেথে যাওয়া কথাটি হল "নারী জীবন ফুলের মত, নারী জীবন ভোরের শিশিরের মত, নারীর জীবন ডিমের কুসুমের মত, নারী জীবন লজ্জাবতি গাছের মত,তবে তাই বলে ভয় পাওয়া বা থেমে যাওয়ার কিছুই নেই।" তার কথার মানেটা ছিলো নিজেকে যতটা সম্ভব নারীর মত রেখে সামনে এগিয়ে যাও। প্রয়োজনমত সবকিছুই করো তবে নিজেকে পবিত্র রেখে। আর আমিও তাই করেছিলাম। একটুও অবাধ্য হইনি মায়ের কথার। কিন্তু তবুও কেনো যেনো এই নোংরা সমাজের নোংরামি থেকে নিজেকে পুরোপুরি লুকিয়ে রাখতে পারিনি। একটা অনাকাখ্ঙিত ঝর এসে একটু কালো বাতাসের ছোয়া দিয়ে গেলো আমাকে। আমার এক কাজিন ।প্রায় আমার সম বয়সি হয়তো ২-৩ বছরের বড় হবে। মাঝে মধ্যেই আমাদের বাসায় আসতো ।আমাকে অনেক ভালো জানতো। আমাকে একদিন বলেই ফেললো সে আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি তাকে আমার পক্ষ থেকে সম্ভব না বলে দুঃখিত বলে চলে আসি। বিষয়টি মাকে বলি মা বলে ছােট খাট বিষয়গুলো নিজে নিজে সমাধান করতে শিখো এখন বড় হচ্ছো। আমি থেমে গেলাম বাট সেই কাজিন থামে নি। অনেক ভাবে আমাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করেছে। বাট আমি প্রত্যেক বারই তাকে রিফিউসড করেছি। সে থেমে যায় আর বলে আমি তো তার বোন আর সে আমার ভাই সো আমরা সেই দিক থেকে অনেক ভালো একটা রিলেশনের মধ্যে আছি সেটাতো আমরা স্বাভাবিক ভাবে কন্টিনিউ করতে পারি। এবার আর আমার কোনো আপত্তি থাকলো না। এভাবেই চলতে থাকে। আমি এখন তার সাথে স্বাবাভিক ভাবেই মিশি কথা বলি। কয়েকদিন পরে একদিন সে আমার মায়ের কাছে বলে তাদের বাড়িতে আমাকে নিয়ে যাবে আমার আপত্তি থাকা সত্তেও মায়ের কথায় আমাকে যেতে হয়। আমি তার সাথে যাই। যা ছিলো আমাদের বাড়ি থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া পরে ১৫ টাকা বাস ভাড়া। বাট সে আমাকে সিএনজি করে নিয়ে যায়।
আমি একদিন তাদের বাড়িতে থাকি। পরের দিন বিকালে সে আবার আমাকে বাড়ি পৌছে দেয় বাট তার পরিচিত এক সিএনজি এসে আমাদের কে তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায় যেই সিএনজিটি পথে প্রায় দুই ঘন্টা খারাপ থাকে। আর তাতেই ফিরতে আমাদের প্রায় সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়। বাসায় আসতে মা অনেক রাগ করেন আমাকে। বাট আমার কাজিন আমার ভাবীর সাথে কি বিষয় নিয়ে যেনো খুব রসিকতা করে। আমি তখনেও জানতাম না। সেই কাজিন সেদিন রাতেই চলে যায় আমাদের বাড়ি থেকে। আামর স্বাবাভিক জীবন স্বাবাভিক ভাবেই চলতে থাকে । কিন্তু ঠিক দিন পনের পর একদিন আমার হঠাৎ করে প্রচন্ড বমি এবং মাথা ব্যাথা শুরু হয়। প্রথমে সবাই স্বাবাভিক ভাবে নিলেও ভাবী হঠাৎই ঘটানার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। হঠাৎ সবাই আমাকে নিয়ে সন্দেহ শুরু করে। ভাবী সেই দিনের দেরী করার ব্যাপার টা মাকে মনে করিয়ে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। আমি আর বাসার সবাই এখন দুটি পক্ষ। আমি একদলে সবাই অন্য দলে। সবাই বাদি আমি আসামী। ভাবী আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার চেকাপ করে। রিপোর্ট আসে আমি প্রেগনেন্ট। সবাই আমাকে যে যার মত করে বলে যাচ্ছে। বেশ্যা, পতিতা। আমার শুধু দুচোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝরছে। আম কাউকেই কিছু বলতে পারছি না। কেউ কিচ্ছু বিশ্বাস করছে না। এর মধ্যেই ভাবী মাকে পরামর্শ দেয় আমার কাজিনের ব্যাপারে । সে শিক্ষিত,সুদর্শন, ভালো চাকরি করে। সব দিক থেকেই আমার জন্য যোগ্য পাত্র। আর যা কান্ড করেছি তাতে ঝামেলা না বাড়িয়ে এটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। মাও তাতে রাজি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। আমি নিশ্চুপ। কিন্তু আমার নিজের একটা প্রশ্ন বারবার উকি দিচ্ছলো যে যাই বলুক কিন্ত রিপোর্ট কি করে এলো। রিপোর্টে তো আসছে আমি প্রেগনেন্ট কিন্ত সেটা কিভাবে। আমি নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করি। ভাবীর সাথে মিল দেয়ার চেষ্টা করি। মাকে বলি মা আমার কোনো কথাই তো শুনবে না শুধু একটা অনুরোধ তুমি আমাকে একটি বার শুধু (আমার কাজিনের কথা বলি) তার সাথে দেখা করতে দাও। মা কি মনে করে যেনো রাজি হয়ে গেলেন। তাকে আমাদের বাড়ি ডাকা হলো সে আসলো। আমি ভাবীকে সব বলে রেখেছিলাম সেই মত ভাবি তাকে জিজ্ঞস করলো তার সাথে আমার কি হয়েছে? সে তো লজ্জায় শেষ পরে একদমে বলে ফেলে সেই দিন তাদের বাড়ি থেকে আসার সময় আমরা কিছু সময় তাদের একটা বন্ধুর বাড়িতে একান্তে সময় কাটিয়ে ছিলাম। ভাবীর মুখে খুশির ছাপ। মা পারলে তখনই আমাকে ঝাড়ু পেটা করে। আমি তো হতবাক। কি বলছে এই ছেলে। এটা কি করে সম্ভব। আমি যেনো আকাশ থেকে পড়লাম। নিজেকে আরেকটু শক্ত করে এবার ঘর থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে আসলাম তার হাতে দিলাম। এবার আর যাবে কোথায় সে সত্যি কথা বলে দিলো এরকম কিছুই হয়নি। আমি একটু স্বস্তি পেলাম। সাথে সাথেই সবার পাল্টা প্রশ্ন তাহলে রিপোট? এবার আমি অসহায়।
কিন্তু না এবারো আমার ই জয় হয়েছিলো। এবার আমি কাজিন কিছু না বললে ও ভাবী ঠিকই সত্যটা বলে দিয়েছেন। এটা সেই কাজিনই প্লান করে ভুল রিপোর্ট তৈরী করিয়েছিলেন।
কাজিনকে হয়তো চিরদিনের জন্য আমাদের বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভাবী হয়তো আগের থেকে ভালো হয়ে গেছে বাট একজন লজ্জাবতি নিশ্বাপ কুসুমের পতিতা আর বেশ্যা হওয়ার কষ্ট আজো আছে সমান একটুও কমেনি বরং দুঃখটা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই মা ও আমাকে অবিশ্বাস করলো?
আমি একদিন তাদের বাড়িতে থাকি। পরের দিন বিকালে সে আবার আমাকে বাড়ি পৌছে দেয় বাট তার পরিচিত এক সিএনজি এসে আমাদের কে তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায় যেই সিএনজিটি পথে প্রায় দুই ঘন্টা খারাপ থাকে। আর তাতেই ফিরতে আমাদের প্রায় সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়। বাসায় আসতে মা অনেক রাগ করেন আমাকে। বাট আমার কাজিন আমার ভাবীর সাথে কি বিষয় নিয়ে যেনো খুব রসিকতা করে। আমি তখনেও জানতাম না। সেই কাজিন সেদিন রাতেই চলে যায় আমাদের বাড়ি থেকে। আামর স্বাবাভিক জীবন স্বাবাভিক ভাবেই চলতে থাকে । কিন্তু ঠিক দিন পনের পর একদিন আমার হঠাৎ করে প্রচন্ড বমি এবং মাথা ব্যাথা শুরু হয়। প্রথমে সবাই স্বাবাভিক ভাবে নিলেও ভাবী হঠাৎই ঘটানার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। হঠাৎ সবাই আমাকে নিয়ে সন্দেহ শুরু করে। ভাবী সেই দিনের দেরী করার ব্যাপার টা মাকে মনে করিয়ে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। আমি আর বাসার সবাই এখন দুটি পক্ষ। আমি একদলে সবাই অন্য দলে। সবাই বাদি আমি আসামী। ভাবী আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার চেকাপ করে। রিপোর্ট আসে আমি প্রেগনেন্ট। সবাই আমাকে যে যার মত করে বলে যাচ্ছে। বেশ্যা, পতিতা। আমার শুধু দুচোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝরছে। আম কাউকেই কিছু বলতে পারছি না। কেউ কিচ্ছু বিশ্বাস করছে না। এর মধ্যেই ভাবী মাকে পরামর্শ দেয় আমার কাজিনের ব্যাপারে । সে শিক্ষিত,সুদর্শন, ভালো চাকরি করে। সব দিক থেকেই আমার জন্য যোগ্য পাত্র। আর যা কান্ড করেছি তাতে ঝামেলা না বাড়িয়ে এটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। মাও তাতে রাজি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। আমি নিশ্চুপ। কিন্তু আমার নিজের একটা প্রশ্ন বারবার উকি দিচ্ছলো যে যাই বলুক কিন্ত রিপোর্ট কি করে এলো। রিপোর্টে তো আসছে আমি প্রেগনেন্ট কিন্ত সেটা কিভাবে। আমি নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করি। ভাবীর সাথে মিল দেয়ার চেষ্টা করি। মাকে বলি মা আমার কোনো কথাই তো শুনবে না শুধু একটা অনুরোধ তুমি আমাকে একটি বার শুধু (আমার কাজিনের কথা বলি) তার সাথে দেখা করতে দাও। মা কি মনে করে যেনো রাজি হয়ে গেলেন। তাকে আমাদের বাড়ি ডাকা হলো সে আসলো। আমি ভাবীকে সব বলে রেখেছিলাম সেই মত ভাবি তাকে জিজ্ঞস করলো তার সাথে আমার কি হয়েছে? সে তো লজ্জায় শেষ পরে একদমে বলে ফেলে সেই দিন তাদের বাড়ি থেকে আসার সময় আমরা কিছু সময় তাদের একটা বন্ধুর বাড়িতে একান্তে সময় কাটিয়ে ছিলাম। ভাবীর মুখে খুশির ছাপ। মা পারলে তখনই আমাকে ঝাড়ু পেটা করে। আমি তো হতবাক। কি বলছে এই ছেলে। এটা কি করে সম্ভব। আমি যেনো আকাশ থেকে পড়লাম। নিজেকে আরেকটু শক্ত করে এবার ঘর থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে আসলাম তার হাতে দিলাম। এবার আর যাবে কোথায় সে সত্যি কথা বলে দিলো এরকম কিছুই হয়নি। আমি একটু স্বস্তি পেলাম। সাথে সাথেই সবার পাল্টা প্রশ্ন তাহলে রিপোট? এবার আমি অসহায়।
কিন্তু না এবারো আমার ই জয় হয়েছিলো। এবার আমি কাজিন কিছু না বললে ও ভাবী ঠিকই সত্যটা বলে দিয়েছেন। এটা সেই কাজিনই প্লান করে ভুল রিপোর্ট তৈরী করিয়েছিলেন।
কাজিনকে হয়তো চিরদিনের জন্য আমাদের বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভাবী হয়তো আগের থেকে ভালো হয়ে গেছে বাট একজন লজ্জাবতি নিশ্বাপ কুসুমের পতিতা আর বেশ্যা হওয়ার কষ্ট আজো আছে সমান একটুও কমেনি বরং দুঃখটা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই মা ও আমাকে অবিশ্বাস করলো?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ শফিকুল ইসলাম মোল্লা (সজীব) ২৩/১১/২০১৪
-
তুহিনা সীমা ১৯/১১/২০১৪মেয়েদের কে এখনো অনেক ক্ষেত্রে মেয়ে মানুষ হয়ে বাচঁতে হয় এটা খুব দুঃখ জনক। গল্পটি ভালো লিখেছেন................
-
একনিষ্ঠ অনুগত ১৫/১১/২০১৪অনেক কিছুই বলার আছে... কিন্তু শোনার মতো যে কেউ নেই...
এক হাতে কি তালি বাজে... কম পক্ষে দুই হাত লাগে... হাতের সংখ্যা যত বেশী শব্দ তত বেশী...
খুবই সুন্দর উপাস্থাপনা