কিছু আশা ভুল সে তো
কোনো এক শহরে এক রাজার এক রাজকন্যা ছিলো। সে কখনোই একা ঘর থেকে বের হতো না। এক কথায় ঘরের বাইরের পরিবেশটা ছিলো তার একেবারেই অজানা। একদিন হঠাৎ নিজের অজান্তে রাজ কন্যা নিজ খেয়ালে রাজ প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে পরে। সে আনমনে দুর থেকে বহুদুর হাটতে থাকে। হঠাৎ তার অবচেতন মনে চেতনা ফিরে আসে। ততক্ষনে সে অনেক দুর চলে এসেছে যার কোনো রাস্তাই সে চিনতো না। সে খুব হতাশার মধ্যে পড়ে গেলো। এদিক ওদিক করতে লাগলো। বিষয়টি একটি মেষ পালকের চোখে পড়লো। সে রাজকন্যার কাছে গেলো। এবং সে জানতে পারলো রাজকন্যা পথ হারিয়ে ফেলেছে। ততক্ষনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। মেষ পালক রাজকন্যাকে কাল রাজ দরবারে পৌছে দিবে তাই আজ সে রাজকণ্যাকে তার কুটিরে নিয়ে গেলো। সেখানে রাজকন্যা এবং মেষ পালক একা রাত কাটালো। এক রাতেই তাদের মধ্যে একটা প্রেমময় ভাব হয়ে যায়। কিন্তু সব প্রেমের কথাই যে বলা যায় না। সকাল হয়ে যায়। মেষ পালক রাজকন্যাকে রাজ প্রাসাদে পৌছে দিতে যাবে ঠিক ঐ মূহুর্তে রাজার লোকজন রাজকন্যাকে খুজতে খুজতে ঐ মেষ পালকের কুটিরে হাজির। সেখানে রাজকন্যাকে দেখে তো সবাই মেষ পালকের উপর চরাও হয়। তার কোনো কথা না শুনেই রাজকন্যার সাথে তাকেও রাজ দরবারে নিয়ে যায়। বন্দি করা হয় মেষ পালককে। সব কিছু দেখেও রাজকন্যা কিছুই বলতে পারে না। কারন রাজা যদি জানতে পারে রাজকন্যা মেষ পালকের সাথে কুটিরে পুরো রাত ছিলো তাহলে মেষ পালকের যে গর্দান কাটা যাবে। কমছে কম বেচারা বন্দি অবস্থায় বেচেঁ তো থাক। এক বছর পরে মেষ পালক ছাড়া পায় । মুক্ত হয়েই সে রাজ কন্যার সামনে আসে তার ভালোবাসার কথা বলতে। কিন্তু রাজকন্যা যে তাকে চিনতইে পারে না। রাগ দুঃখ আর ক্ষোভ নিয়ে মেষ পালক সেখান থেকে চলে যায়। আর রাজ কন্যা তার ভিতরে জ্বলে পুরে মরে কারন সে মেষ পালক কে চিনেও না চেনার ভান করেছে, রাজা তখন তারই সামনে ছিলো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১২/১১/২০১৪নাম এবং লেখকের নাম বললে ভালো লাগতো। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
-
তুহিনা সীমা ১১/১১/২০১৪একটা ইংরেজি গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা অনেকটা সেরকম মনে হচ্ছে। বাট আপনার লেখায় সত্যি অনেক সুন্দর একটা ছোট গল্প পড়লাম।
-
জমাতুল ইসলাম পরাগ ২৫/১০/২০১৪ভালোবাসার ভিত নড়বড়ে
-
আবু সঈদ আহমেদ ২৪/১০/২০১৪এই হয়।
-
আসাদুজ্জামান নূর ২১/১০/২০১৪Its awesome