ঈদের এবং পূজোর আনন্দের সাথে করনীয়
সামনেই বেশ লম্বা একটা ছুটি। উৎসবের আমেজে জীবনে তখন থাকবে না নিত্যদিনের ব্যস্ততা। তবে বিপদ-আপদ তো আসতে পারে হঠাৎ করেই। তাই আগে থেকেই কিছুটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখা ভালো। হঠাৎ অসুস্থতায় কিংবা আচমকা ঘটে যাওয়া কোনো দুর্ঘটনায় কাজে লাগতে পারে এসব ব্যবস্থা।
এ প্রসঙ্গে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, লম্বা ছুটিতে কিছু ওষুধপত্র নিজের কাছে রাখা যেতে পারে। হঠাৎ অসুস্থতায় এগুলো কাজে দেবে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সাধারণত যেসব ওষুধ দরকার হয়, সেগুলো একসঙ্গে করে গুছিয়ে রাখুন। যাতে জরুরি সময়ে হাতের কাছে পান।
যেসব অসুখ হতে পারে
এ সময়টাতে ভাইরাসজনিত কারণে জ্বর হতে পারে। খাবারজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে পেটের পীড়া। বিভিন্ন খাবার বা ধুলোবালির কারণে হতে পারে অ্যালার্জির মতো সমস্যা। অ্যাজমা রোগীদের হঠাৎ করে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হতে পারে।
যেসব ওষুধ রাখতে পারেন
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ব্যথার জন্য রাখতে পারেন ব্যথানাশক ওষুধও। প্যারাসিটামলসহ যেকোনো ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের আগে সেবন করার জন্য অ্যান্টি-আলসারেন্ট ওষুধও (সাধারণভাবে গ্যাসের ওষুধ বলে পরিচিত) রাখতে হবে। পেটের পীড়ায় ভুগলে কাজে লাগতে পারে খাওয়ার স্যালাইন। রাখতে পারেন অ্যান্টাসিড। অ্যালার্জিজনিত সমস্যার জন্য রাখতে পারেন অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ।
অ্যাজমা রোগীরা ইনহেলারসহ অন্যান্য যে ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, সেগুলো আগে থেকেই কিনে রাখুন। হঠাৎ সমস্যা হলে উপকার পাবেন। যাঁদের শ্বাসকষ্ট মারাত্মক আকার ধারণ করার ফলে প্রায়ই নেবুলাইজার ব্যবহার করতে হয়, তাঁরা নেবুলাইজারও কিনে রাখতে পারেন।
হঠাৎ দুর্ঘটনায়
হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কাজে লাগতে পারে জীবাণুনাশক ওষুধ, গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা। আজকাল জীবাণুমুক্ত গজ এবং ছোট বোতলে স্পিরিট জাতীয় পদার্থ কিনতে পাওয়া যায়। এসবও রাখতে পারেন কাছে। রান্না করতে গিয়ে বা হঠাৎ কোনো কারণে সামান্য পুড়ে গেলে কাজে লাগতে পারে পোড়াক্ষতের উপযোগী মলম। তবে বাজারের সব মলমই পোড়াক্ষতে ব্যবহার করা যায় না। এসব মলম কেনার সময় মূল উপাদানটি দেখে নিয়ে তারপর কিনুন। মলমের মূল উপাদান যদি সিলভার নাইট্রেট ক্রিম হয়ে থাকে, শুধু তাহলেই সেটি কিনুন।
প্রয়োজন আরও আছে
হঠাৎ বড় ধরনের অসুস্থতা এবং মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে হাসপাতালের ফোন নম্বর। হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ সরকারি ছুটির দিনেও খোলা থাকে। অ্যাম্বুলেন্সের ফোন নম্বরও জেনে রাখুন। আপনার এলাকায় কোন ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে, তা-ও জেনে নিন।
শিশুদের জন্য সতর্কতা
শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখুন সব সময়। তারা যেন পুকুর বা অন্য কোনো জলাশয়ের কাছে চলে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ রাখতে পারেন। অ্যালার্জির ক্ষেত্রে ওদের জন্য আছে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় সিরাপ। আগে থেকেই যেসব শিশুর ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়, তাদের জন্য কিনে রাখুন ইনহেলার। কোন কোন শিশুর স্পেসার ব্যবহার করতে হয়, যাঁদের আগে থেকে এমনটা জানা আছে, তাঁরা স্পেসারও কাছে রাখুন।
সূত্রঃ প্রথম আলো
গ্রন্থনা: রাফিয়া আলম
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও(১) ০৪/১০/২০১৪সুন্দর হয়েছে। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
-
সাইদুর রহমান ০৩/১০/২০১৪পূজোর এবং ঈদের শুভেচ্ছা।
আগাম ঈদ মোবারক। -
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৩/১০/২০১৪সবাই কে পুজা এবং ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মে বি এই ক দিন আর নেটে বসা হবে না। তাই সবাই কে অনেক মিস করেবো। সবাই অনেক ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক...............