ঝালমুড়ি
আমানুলের বউয়ের বাচ্চা হয় না! বহু তুকতাক, ডাক্তার, কবিরাজের শরণাপন্ন হবার পরও বিয়ের চার বছরে ফুলফল কিছুই হয় নাই! অতঃপর, ইঞ্জিনিয়ার ভাবীর পরামর্শে এই দরবেশের মাজারে মানত করেন। মানত করার পঁচিশ দিনের মাথায় স্ট্রিপটেস্টের মাধ্যমে জানা গেলো তার বউ গর্ভবতী। সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ের জন্ম দিয়েছে তার স্ত্রী। শিশুটির বর্তমান বয়স তেরো মাস, নাম মালা।
দরবেশের মাজারে মেলা বসেছে, চারিদিকে দোকানপাট, হাজারো মানুষের আগমনে মুখরিত চারিদিক। সেখানেই দেখা হলো আমানুলের। কেমন আছিস? জিজ্ঞেস করতেই মুষড়ে পড়লো। কেন, তা জানি না! তবে তার চোখেমুখে অজানা আশঙ্কা, মনের ভেতরে প্রবল ঝড়ের আভাস। কোনমতে বললো:
____ ভালো আছি। তোর খবর কি?
নিজের বিষয়ে বলছিলাম, সে শুনছিলো কিনা, ঠিক বুঝতে পাচ্ছিলাম না! হঠাৎই দাঁড়াতে বলে ঝালমুড়ি আনতে গেলো। ঝালমুড়ি আমার প্রিয়খাবারের একটি। সুযোগ পেলেই সে আমায় ঝালমুড়ি খাওয়ায়। এদিক-ওদিক মাথা ঘুরাতেই পূর্বপরিচিত বন্ধুসুলভ বড়ভাই ভুলু মিয়ার দেখা!
আরে ভুলু ভাই, কী খবর, কেমন আছেন? বলতেই তিনি গড়গড় করে বলে উঠলেন:
___ আছি ভাই, ভালো আছি, তুমি ভালো আছো তো? তোমাকে দেখে অবশ্য ভালোই লাগছে! শুধু, চেহারাটা একটু মলিন, মানে আগের তুলনায় শুকিয়ে গেছো! ডায়েট ফায়েট কন্ট্রোল করছো মনেহচ্ছে! যাইহোক - আমানুল কই, আমানুল? শুনলাম তোমার সাথেই আছে!
ভুলু মিয়ার চোখেমুখে লেপ্টে আছে তড়িঘড়ি তড়িঘড়ি একটা ভাব! কথা বলার সুযোগই দিচ্ছিলেন না! যেনো কোনকিছু ডেলিভারি দেয়ার প্রনোদিত চাপে ভুগছেন। সুযোগ পাওয়া মাত্রই উত্তর দিলাম।
--- জি, আমানুল আছে, ঝালমুড়ি আনতে গেছে। কেন, কী হয়েছে?
___ কী হয়েছেঃ আরে ভাই বিশাল একটা ঘটনা ঘটেছে! আমানুলের বউ যেই হিন্দু কবিরাজের চিকিৎসা নিতো সেই কবিরাজ মহিলাদেরকে সুকৌশলে ধর্ষণের শিকার বানাতো! তার ধর্ষণের ফসল এখন অনেক নারীর কোলে দোল খাচ্ছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ব্যাপারটা আমানকে জানানো দরকার।
ভুলু মিয়া বলার সময়ে আমানুল পেছনে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনে ফেললো। ঠোঙায়ভরা ঝালমুড়ি আমার হাতে দিয়ে উলটোপথে হনহন করে চলে গেলো। মিনিটখানেক তার যাবার পথে তাকিয়ে রইলাম। ভীড়ের মধ্যে মিশে গেলো আমানুল, তাকে আর দেখা যায় না। ভুলু মিয়া কখন চলে গেলেন? টের পাইনি।
ঝালমুড়ির ঠোঙাটা বগলদাবা করে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার পথে ভাবছি, তেল-নুন-পেঁয়াজ-মরিচে মাখিয়ে নিলে সাধারণ মুড়িও ঝালমুড়ি হয়ে ওঠে।
[ ঝালমুড়ি ]
__ রশিদ ভাই।
বিশ।এক।বিশ
দরবেশের মাজারে মেলা বসেছে, চারিদিকে দোকানপাট, হাজারো মানুষের আগমনে মুখরিত চারিদিক। সেখানেই দেখা হলো আমানুলের। কেমন আছিস? জিজ্ঞেস করতেই মুষড়ে পড়লো। কেন, তা জানি না! তবে তার চোখেমুখে অজানা আশঙ্কা, মনের ভেতরে প্রবল ঝড়ের আভাস। কোনমতে বললো:
____ ভালো আছি। তোর খবর কি?
নিজের বিষয়ে বলছিলাম, সে শুনছিলো কিনা, ঠিক বুঝতে পাচ্ছিলাম না! হঠাৎই দাঁড়াতে বলে ঝালমুড়ি আনতে গেলো। ঝালমুড়ি আমার প্রিয়খাবারের একটি। সুযোগ পেলেই সে আমায় ঝালমুড়ি খাওয়ায়। এদিক-ওদিক মাথা ঘুরাতেই পূর্বপরিচিত বন্ধুসুলভ বড়ভাই ভুলু মিয়ার দেখা!
আরে ভুলু ভাই, কী খবর, কেমন আছেন? বলতেই তিনি গড়গড় করে বলে উঠলেন:
___ আছি ভাই, ভালো আছি, তুমি ভালো আছো তো? তোমাকে দেখে অবশ্য ভালোই লাগছে! শুধু, চেহারাটা একটু মলিন, মানে আগের তুলনায় শুকিয়ে গেছো! ডায়েট ফায়েট কন্ট্রোল করছো মনেহচ্ছে! যাইহোক - আমানুল কই, আমানুল? শুনলাম তোমার সাথেই আছে!
ভুলু মিয়ার চোখেমুখে লেপ্টে আছে তড়িঘড়ি তড়িঘড়ি একটা ভাব! কথা বলার সুযোগই দিচ্ছিলেন না! যেনো কোনকিছু ডেলিভারি দেয়ার প্রনোদিত চাপে ভুগছেন। সুযোগ পাওয়া মাত্রই উত্তর দিলাম।
--- জি, আমানুল আছে, ঝালমুড়ি আনতে গেছে। কেন, কী হয়েছে?
___ কী হয়েছেঃ আরে ভাই বিশাল একটা ঘটনা ঘটেছে! আমানুলের বউ যেই হিন্দু কবিরাজের চিকিৎসা নিতো সেই কবিরাজ মহিলাদেরকে সুকৌশলে ধর্ষণের শিকার বানাতো! তার ধর্ষণের ফসল এখন অনেক নারীর কোলে দোল খাচ্ছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ব্যাপারটা আমানকে জানানো দরকার।
ভুলু মিয়া বলার সময়ে আমানুল পেছনে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনে ফেললো। ঠোঙায়ভরা ঝালমুড়ি আমার হাতে দিয়ে উলটোপথে হনহন করে চলে গেলো। মিনিটখানেক তার যাবার পথে তাকিয়ে রইলাম। ভীড়ের মধ্যে মিশে গেলো আমানুল, তাকে আর দেখা যায় না। ভুলু মিয়া কখন চলে গেলেন? টের পাইনি।
ঝালমুড়ির ঠোঙাটা বগলদাবা করে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার পথে ভাবছি, তেল-নুন-পেঁয়াজ-মরিচে মাখিয়ে নিলে সাধারণ মুড়িও ঝালমুড়ি হয়ে ওঠে।
[ ঝালমুড়ি ]
__ রশিদ ভাই।
বিশ।এক।বিশ
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Rabia Onti ২৮/০১/২০২০সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ২৪/০১/২০২০সুন্দর লেখনী, ভালো লাগলো ।