অমরত্বের পথে মানুষ
আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী বলছেন যে, খুব শিগগিরই তারা মৃত মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে সমর্থ হবেন! এ বিষয়ে অধিক পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য ইতোমধ্যেই দেশটির সরকার প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়েছেন।
যাইহোক, বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এই অত্যাশ্চর্য বক্তব্য নিয়ে আমাদের বুদ্ধিজীবী মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়! সেই বুদ্ধিজীবী মহলে যখন আমিও একজন! তখন আলোচনার শুরুতেই বললাম -
"ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হচ্ছে, আমি এটা বিশ্বাস করি না!"😁
নিজের অবিশ্বাস প্রকাশিত হওয়ামাত্রই একজন বিশ্বাসী বন্ধু চেঁচিয়ে উঠলেন -
"দেখুন মশায়, অবিশ্বাসের কিছু নাই! যখন, বিগত শতশত বছরে বিজ্ঞানীরা কতকিছু করে দেখিয়েছেন! তখন, একজন মৃতকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া, এ আর এমন কী বড় ব্যাপার? তাছাড়া, সম্ভাবনাকে সরাসরি অস্বীকার করেন কিভাবে?"
প্রত্যুত্তরে বিনয়ের সাথে বললাম -
- "ভাইসাহেব, আমি কোনভাবেই এটা বিশ্বাস করতে পাচ্ছি না_____....!"
কথা শেষ না হতেই, বিজ্ঞানীদের প্রতি অগাধবিশ্বাসী অন্যান্য বুদ্ধিজীবী বন্ধুগনও এবার উঠেপড়ে লাগলেন! একপর্যায়ে ব্যাপারটা এমন দাঁড়ালো, যে করেই হোক ঐ বক্তব্য আমাকে বিশ্বাস করিয়েই ছাড়বেন.....!!!
কীয়েক্টাবস্থা...!?
অন্যদিকে, স্বগোত্রীয় অবিশ্বাসী বুদ্ধিজীবী বন্ধুগণ নিজের বিশ্বাসের প্রতি অবিচল থাকার জন্য ক্রমাগতই আমাকে সাহস যুগিয়ে চলেছেন এভাবে -
- " শুনুন মিজান ভাই, যার জন্ম আছে, তার মৃত্যু সুনিশ্চিত; কেননা, প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে!"
এভাবে দু'পক্ষই নানান বইপত্র - যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে লাগলেন!! একপর্যায়ে হট্টগোল বেধে গেল! কে বলছে আর কে শুনছে? একেবারে মুশকিল অবস্থা! এমতাবস্থায়, তাজ্জব বনে গিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বললাম -
"ভাই, আমি বিজ্ঞানীদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পাচ্ছি না!
ব্যস এতটুকুই!
কেন বিশ্বাস করতে পাচ্ছি না?
সেটা বলতে রাজি নই!
পাশাপাশি, আপনি কেন বিশ্বাস করছেন?
সেটা জানারও বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই!
যারযার বিশ্বাস, থাকুক তার মনে; আরে ভাই- ঐ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য সবিস্তর মন দিয়ে আমিও শুনেছি!
শোনার পর বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি, বিশ্বাস করি নি! এখন আপনারা আমাকে বিশ্বাস করাতে গিয়ে কেন গলদঘর্ম হচ্ছেন?
অগত্যা, আমাদের জীবদ্দশায় যদি কখনো ঐ বক্তব্য সত্য বলে প্রতীয়মাণ হয়, তখনতো এমনিতেই মেনে নিয়ে বলবো-
ভাইসকল, সেইদিন আপনারাই সঠিক ছিলেন!
ততক্ষণ অপেক্ষা করুন। আপাতত, এজাতীয় ব্যাপারে প্রশ্ন করা বা তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হওয়া মূর্খতা বৈ কিচ্ছু নয়! কেননা, অহেতুকী তর্ক, বির্তক, সমালোচনা চলতেই থাকবে! কোনদিনই ফল পাবেন না, যা পাবেন - তা মাকাল ফল!!
একইভাবে সমজাতীয় একটি বিষয় ধর্মবিশ্বাস বা পরকালে বিশ্বাস। যা, প্রশ্নাতীত সরল বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। বস্তুতপক্ষে, কোনকিছুকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার জন্য হাজারটা নয়, একটা কারণই যথেষ্ট! সঙ্গতকারণে, কখনোই কোনো আস্তিক বা নাস্তিককে জিজ্ঞেস করিনি-
- "সৃষ্টিকর্তার প্রতি আপনার বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কারণ কী?"
মূলত, সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করা বা কোনো ধর্মের অনুসারী হওয়া ব্যক্তির নিজস্ব বিষয়। এইজাতীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে কাউকে জিজ্ঞেস করা, যুক্তিতর্কে লিপ্ত হওয়া অথবা কাউকে নিজের বিশ্বাসের প্রতি অনুরক্ত করার পেছনে মরিয়া হবার একটিও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখি না! ধার্মিকেরা মৃত্যুর পরে জান্নাত-জাহান্নম, স্বর্গ-নরক যে যেখানে খুশি চলে যাক!!!
- এতে অবিশ্বাসীদের সমস্যা কোথায়?
ফাইনালি, যতক্ষণ শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে, ততক্ষণ-
নিজে নিরাপদ থাকুন- অন্যকে নিরাপদ রাখুন,
ভালো থাকুন সকলে - ধন্যবাদ।"
____________________
"লেখাটি সৃষ্টি করেছেন-
ইবনে মিজান
২৭ জুন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ।
____________________ কৃতজ্ঞতাঃ দীপ্তি ইসলাম
যাইহোক, বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এই অত্যাশ্চর্য বক্তব্য নিয়ে আমাদের বুদ্ধিজীবী মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়! সেই বুদ্ধিজীবী মহলে যখন আমিও একজন! তখন আলোচনার শুরুতেই বললাম -
"ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হচ্ছে, আমি এটা বিশ্বাস করি না!"😁
নিজের অবিশ্বাস প্রকাশিত হওয়ামাত্রই একজন বিশ্বাসী বন্ধু চেঁচিয়ে উঠলেন -
"দেখুন মশায়, অবিশ্বাসের কিছু নাই! যখন, বিগত শতশত বছরে বিজ্ঞানীরা কতকিছু করে দেখিয়েছেন! তখন, একজন মৃতকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া, এ আর এমন কী বড় ব্যাপার? তাছাড়া, সম্ভাবনাকে সরাসরি অস্বীকার করেন কিভাবে?"
প্রত্যুত্তরে বিনয়ের সাথে বললাম -
- "ভাইসাহেব, আমি কোনভাবেই এটা বিশ্বাস করতে পাচ্ছি না_____....!"
কথা শেষ না হতেই, বিজ্ঞানীদের প্রতি অগাধবিশ্বাসী অন্যান্য বুদ্ধিজীবী বন্ধুগনও এবার উঠেপড়ে লাগলেন! একপর্যায়ে ব্যাপারটা এমন দাঁড়ালো, যে করেই হোক ঐ বক্তব্য আমাকে বিশ্বাস করিয়েই ছাড়বেন.....!!!
কীয়েক্টাবস্থা...!?
অন্যদিকে, স্বগোত্রীয় অবিশ্বাসী বুদ্ধিজীবী বন্ধুগণ নিজের বিশ্বাসের প্রতি অবিচল থাকার জন্য ক্রমাগতই আমাকে সাহস যুগিয়ে চলেছেন এভাবে -
- " শুনুন মিজান ভাই, যার জন্ম আছে, তার মৃত্যু সুনিশ্চিত; কেননা, প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে!"
এভাবে দু'পক্ষই নানান বইপত্র - যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে লাগলেন!! একপর্যায়ে হট্টগোল বেধে গেল! কে বলছে আর কে শুনছে? একেবারে মুশকিল অবস্থা! এমতাবস্থায়, তাজ্জব বনে গিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বললাম -
"ভাই, আমি বিজ্ঞানীদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পাচ্ছি না!
ব্যস এতটুকুই!
কেন বিশ্বাস করতে পাচ্ছি না?
সেটা বলতে রাজি নই!
পাশাপাশি, আপনি কেন বিশ্বাস করছেন?
সেটা জানারও বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই!
যারযার বিশ্বাস, থাকুক তার মনে; আরে ভাই- ঐ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য সবিস্তর মন দিয়ে আমিও শুনেছি!
শোনার পর বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি, বিশ্বাস করি নি! এখন আপনারা আমাকে বিশ্বাস করাতে গিয়ে কেন গলদঘর্ম হচ্ছেন?
অগত্যা, আমাদের জীবদ্দশায় যদি কখনো ঐ বক্তব্য সত্য বলে প্রতীয়মাণ হয়, তখনতো এমনিতেই মেনে নিয়ে বলবো-
ভাইসকল, সেইদিন আপনারাই সঠিক ছিলেন!
ততক্ষণ অপেক্ষা করুন। আপাতত, এজাতীয় ব্যাপারে প্রশ্ন করা বা তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হওয়া মূর্খতা বৈ কিচ্ছু নয়! কেননা, অহেতুকী তর্ক, বির্তক, সমালোচনা চলতেই থাকবে! কোনদিনই ফল পাবেন না, যা পাবেন - তা মাকাল ফল!!
একইভাবে সমজাতীয় একটি বিষয় ধর্মবিশ্বাস বা পরকালে বিশ্বাস। যা, প্রশ্নাতীত সরল বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। বস্তুতপক্ষে, কোনকিছুকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার জন্য হাজারটা নয়, একটা কারণই যথেষ্ট! সঙ্গতকারণে, কখনোই কোনো আস্তিক বা নাস্তিককে জিজ্ঞেস করিনি-
- "সৃষ্টিকর্তার প্রতি আপনার বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কারণ কী?"
মূলত, সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করা বা কোনো ধর্মের অনুসারী হওয়া ব্যক্তির নিজস্ব বিষয়। এইজাতীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে কাউকে জিজ্ঞেস করা, যুক্তিতর্কে লিপ্ত হওয়া অথবা কাউকে নিজের বিশ্বাসের প্রতি অনুরক্ত করার পেছনে মরিয়া হবার একটিও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখি না! ধার্মিকেরা মৃত্যুর পরে জান্নাত-জাহান্নম, স্বর্গ-নরক যে যেখানে খুশি চলে যাক!!!
- এতে অবিশ্বাসীদের সমস্যা কোথায়?
ফাইনালি, যতক্ষণ শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে, ততক্ষণ-
নিজে নিরাপদ থাকুন- অন্যকে নিরাপদ রাখুন,
ভালো থাকুন সকলে - ধন্যবাদ।"
____________________
"লেখাটি সৃষ্টি করেছেন-
ইবনে মিজান
২৭ জুন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ।
____________________ কৃতজ্ঞতাঃ দীপ্তি ইসলাম
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এন এস এম মঈনুল হাসান সজল ১৫/০৯/২০১৯ইবনে মিজান, আরও সৃষ্টি করে যান
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৯/০৬/২০১৯বেশ তো!