শেষরাতের গল্প (২)
নাহ, পুলিশটি আমাকে চিনতে পারলেন না! বললেন - "আপনাকে চিনতে পাচ্ছিনা! আমি আপনার রন্টু মামা নই, আর ওই মিল্টন মামাটা কে!?"
আমি খানিক ভ্যাবাচ্যাকায় পরে গেলাম! শুনেছিলাম পুলিশের চোখ কখনো ভুল দেখে না! তাহলে কি আমিই ভুল লোককে রন্টু মামা ভাবছি!? রন্টু মামার সাথে একবারমাত্র দেখা হয়েছিলো ছোটমামার বাসায়! এই পুলিশের নেমপ্লেটে লেখা রাইসুল আজাদ। আমিতো শুধুমাত্র রন্টু মামার ডাকনামটাই জানি! আরে না, না! এই লোক রন্টু মামা নয়! তাছাড়া, তিনি যখন বলছেন যে আমাকে চিনতে পাচ্ছেন না, সেখানে আর কী করার!? রন্টু মামা হলে আমাকে অবশ্যই চিনতো!
তাকে বললামঃ
- আপনি রন্টু মামা নন! বে-শ ভালো কথা। মিল্টন নামের ব্যক্তি আমার ছোটমামা, সম্পর্কে তিনি আপনার দুলাভাই, আর আমার হবু শ্বশুর হবার কথা ছিলো! দুর্ভাগ্য, একটাও হলো না! সে যাইহোক, এবার আমাকে যেতে দিন।
* যাবেন, অবশ্যই যাবেন, তার আগে বলুন- কোথা হতে আসছেন?
- শিউলিবাড়ি থেকে
* শিউলিবাড়ি! ওটাতো বেশ্যালয়!
- জ্বি, ওটা বেশ্যালয়।
* কেন গিয়েছিলেন সেখানে?
- অন্য সকলে কি কারণে যায়!? সত্যিই আপনার আই কার্ড দেখা উচিৎ, পুলিশ কখনো এরকম বোকাবোকা প্রশ্ন করে!?
খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিলাম, কিন্তু উপস্থিত কেউই সহজভাবে নিলো না! ওদের ভাব দেখে মনে হলো আমার শরীর থেকে পচা মাছ আর আঁইশের উৎকট গন্ধ বেরুলো। এই শিউলিবাড়ি নামটা মুখে তোলামাত্রই শুরু হলো দুর্গন্ধ! যা একটু আগেও কারোর ইন্দ্রিয় স্পর্শ করেনি!! দ্বিতীয় পুলিশটি ঘৃণাসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললোঃ
* ছিঃ ছিঃ! কি জঘন্য এই সময়ের পোলাপান! ঘোর কলিযুগ স্যর, ঘোর কলিযুগ!
ওর কথায় কর্ণপাত করে এবার রাইসুল আজাদ আমাকে বললেন ঃ
* এখন কোথায় যাচ্ছেন?
- রেল স্টেশন।
* কেন?
- প্লাটফর্মে বসে থাকবো
* প্লাটফর্মে বসবেন কেন?
- প্রাইভেট বিষয়! বলা যাবেনা!!
* এখানে কোথায় থাকেন?
- মেসে থাকি, মেস লালবাগ ২নং রেলগেটে, রাতিন স্টুডেন্ট প্যালেস।
* কোন কলেজ?
- কারমাইকেল
* আই কার্ড!?
- এইযে দেখুন! (দেখালাম)
* ব্যাগে কী আছে?
- বলা যাবেনা!
* বলা যাবেনা কেন?
- ব্যাগের সবকিছু আমার, এখানে প্রাইভেসি একটা ম্যাটার! ফাঁস করা যাবেনা, ফাঁস করলে আবার কলিযুগ শুরু হতে পারে!
* পুলিশের সামনে কোন প্রাইভেসি চলে না! সে যাইহোক ব্যাগটা দিন।
- আপনি নিজের জায়গায় থাকুন, আমি নিজেই সবকিছু বের করছি।
* আচ্ছা, বের করুন।
প্রথম পুলিশটি আমার দিকে টর্চ ধরলেন। ব্যাগটা ঘাড় থেকে নামিয়ে হাটুর উপর নিলাম।
রিকশাচালকের মুখটা বেশ উজ্জ্বল, ভাবসাবে সে আমার লোক। আর পুলিশ তিনজন তীক্ষদৃষ্টিতে চেয়ে আছে- কী বের হচ্ছে!?
তিনটা ডায়েরী, একটা মেডিসিন প্যাড, দুটো কলম, এক প্যাকেট জন প্লেয়ার, একটা লাইটার বের করে রিকশার সিটে রাখলাম। এতক্ষণ সব ঠিকই ছিলো। সবশেষে যখন একটা স্কচ মদের বোতল বের করে সামনে ধরলাম। সাথেসাথে পুলিশদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো! অন্যদিকে রিকসাচালকের চোখমুখ যেন চৈত্রের কাঠফাটা রোদে শুকিয়ে গেলো নিমিষেই! রাইসুল আজাদ আমার ডায়েরীগুলো হাতে নিয়ে দেখতে শুরু করলেন। এদিকে প্রথম পুলিশটি দাতমুখ খিচিয়ে আমাকে বললো-
* ওওওও, এইজন্যে আই কার্ড দেখতে চাও! চোরের মায়ের বড়গলা! এইবার বুঝবা বাছাধন, কয় মাঘে শীত যায়!!
আমি বললাম ঃ
- আমি চোর নই! এটা অনুমোদিত আর আমি ভ্যাট দিয়ে সরকারি বার থেকে নিয়েছি, এইযে রশিদ। কালোবাজার এর মদ আমি খাইনা!
* হাফ বোতল মদ, বাকী অর্ধেক কই?
- জ্বি, বাকী অর্ধেক ১৪ নম্বর গোডাউনে জমা করা হয়েছে!
* ১৪ নম্বর গোডাউন! সেটা কোথায়!?
- সেটা জানলে তো আর এই বয়সেও কনস্টেবল থাকতেন না! সোজা ওসির চেয়ারে বসে যেতেন। নিয়মিত মদ খান- মাথা খুলে যাবে!!
ডায়েরী দেখতে দেখতে হঠাৎই তৃতীয় পুলিশটি কেমন যেন হয়ে গেলেন! মনে হচ্ছিলো ঘটমান বিষয়াদি ওনার ভাল্লাগছেনা! ডায়েরী গুলি আমাকে ফেরত দিলো আর চরম বিরক্তি ভাব নিয়ে দ্বিতীয় পুলিশটিকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ
* মঈন সাহেব, ওর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নিয়ে ছেড়ে দিন। আর হ্যাঁ, কাগজে স্বাক্ষর নেবেন।
তিনি বাইক স্টার্ট করে চলে গেলেন। দ্বিতীয় পুলিশ, মানে মঈন সাহেব তার কর্তব্যপালনে ব্যতিব্যস্ততা দেখানো শুরুকরে কাগজকলম হাতে নিলেন, কিছুটা কর্কশতার সুরে আমাকে বললেনঃ
* নাম কি?
- ইনসান
* নামের আগে পিছে কিছু নাই!?
- না, নেই।
*
-
*
-
এভাবে একের পর এক তথ্য নিয়ে কাগজটিকে সাদাকালো বানিয়ে আমার সামনে ধরলেন স্বাক্ষরের জন্য। কাগজটি ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম এমন সময় আমাকে বললেনঃ
* মদ খাওয়া হারাম, জানো না!?
-জ্বি, জানি!
* জেনেশুনে হারাম খাও কেন!?
- ঘুষ খাওয়া হারাম! এইটা জেনেবুঝেও পুলিশ যেকারণে ঘুষ খায়, সেকারণে আমিও মদ খাই!!
রিকশাচালক আবারো প্যাডেল মারতে শুরু করলেন। খানিক পরপর পেছন ফিরে আমাকে দেখছে!
বললাম - মামা, কিছু বলবেন?
♪ না, মামা তেমন কিছু না, একনা কথা কবার চাই! যদি কিচু মনে না করেন!
- মদ খাবেন?
♪ হে হে হে, হয় মামা, জেবনেও খাই নাই! আইজ একটু খাবার মন চাইছিল আরকি। তা মামা, আমার মনের চাওয়া কেমন করিয়া বুঝলেন!?
আমি চুপ করে থাকলাম, আর কিছু বললাম না। আমাদের গন্তব্য রংপুর রেলস্টেশন। জ্যোৎস্নাময় রাত, এগিয়ে চলছি। শিরশির করে বইছে হিমেল হাওয়া। শাপলাচত্বর এলেই চোখ পরে গেলো বা দিকের রাস্তাটায়। তিন চারজন লোক জটলা বেধে কি যেন করছে। স্পষ্ট দেখা গেলো না! শাপলা সিনেমা হলের বিশাল পোস্টার ঝুলছে, এতরাতে কেউ আগে সিনেমার পোস্টার দেখেনি! রিকশাওয়ালাকে থামতে বললাম। সে রিকশা থামালে স্কচের বোতলটি বের করে কিছুটা গলায় ঢেলে বাকীটা ওর হাতে দিলাম।
এখন মধ্যরাত, রিকশা চলছে। ট্রাক স্ট্যান্ড পার হয়ে খামার মোড়ের দিকে এগুচ্ছি আমরা। দুইদিকে ছোট আর মাঝারি বিল্ডিং। ঢাকা শহরের মত অত বড়বড় বিল্ডিং, রাস্তা, ইমারত, কারখানা এখানে নির্মিত না হবার কারণ কি!? ধুর, এতরাতে শহর পরিকল্পক হবার আমার কি প্রয়োজন!?
রিকশাটি এবার স্টেশন রোডে চলছে, রাস্তাটা বন্ধুর। ধ্যাপ, ধ্যাপ, লক্কড়, ঝক্কড় শব্দে এগিয়ে যাচ্ছি -নাকি পিছিয়ে যাচ্ছি বুঝতে পাচ্ছি না! তবে চাঁদ আর জোসনা একচুলও নড়ছে না, দুজনে লেপ্টে আছে আষ্টেপৃষ্ঠে, আর চলছে আমার সাথেই।
চলমান_______
আমি খানিক ভ্যাবাচ্যাকায় পরে গেলাম! শুনেছিলাম পুলিশের চোখ কখনো ভুল দেখে না! তাহলে কি আমিই ভুল লোককে রন্টু মামা ভাবছি!? রন্টু মামার সাথে একবারমাত্র দেখা হয়েছিলো ছোটমামার বাসায়! এই পুলিশের নেমপ্লেটে লেখা রাইসুল আজাদ। আমিতো শুধুমাত্র রন্টু মামার ডাকনামটাই জানি! আরে না, না! এই লোক রন্টু মামা নয়! তাছাড়া, তিনি যখন বলছেন যে আমাকে চিনতে পাচ্ছেন না, সেখানে আর কী করার!? রন্টু মামা হলে আমাকে অবশ্যই চিনতো!
তাকে বললামঃ
- আপনি রন্টু মামা নন! বে-শ ভালো কথা। মিল্টন নামের ব্যক্তি আমার ছোটমামা, সম্পর্কে তিনি আপনার দুলাভাই, আর আমার হবু শ্বশুর হবার কথা ছিলো! দুর্ভাগ্য, একটাও হলো না! সে যাইহোক, এবার আমাকে যেতে দিন।
* যাবেন, অবশ্যই যাবেন, তার আগে বলুন- কোথা হতে আসছেন?
- শিউলিবাড়ি থেকে
* শিউলিবাড়ি! ওটাতো বেশ্যালয়!
- জ্বি, ওটা বেশ্যালয়।
* কেন গিয়েছিলেন সেখানে?
- অন্য সকলে কি কারণে যায়!? সত্যিই আপনার আই কার্ড দেখা উচিৎ, পুলিশ কখনো এরকম বোকাবোকা প্রশ্ন করে!?
খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিলাম, কিন্তু উপস্থিত কেউই সহজভাবে নিলো না! ওদের ভাব দেখে মনে হলো আমার শরীর থেকে পচা মাছ আর আঁইশের উৎকট গন্ধ বেরুলো। এই শিউলিবাড়ি নামটা মুখে তোলামাত্রই শুরু হলো দুর্গন্ধ! যা একটু আগেও কারোর ইন্দ্রিয় স্পর্শ করেনি!! দ্বিতীয় পুলিশটি ঘৃণাসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললোঃ
* ছিঃ ছিঃ! কি জঘন্য এই সময়ের পোলাপান! ঘোর কলিযুগ স্যর, ঘোর কলিযুগ!
ওর কথায় কর্ণপাত করে এবার রাইসুল আজাদ আমাকে বললেন ঃ
* এখন কোথায় যাচ্ছেন?
- রেল স্টেশন।
* কেন?
- প্লাটফর্মে বসে থাকবো
* প্লাটফর্মে বসবেন কেন?
- প্রাইভেট বিষয়! বলা যাবেনা!!
* এখানে কোথায় থাকেন?
- মেসে থাকি, মেস লালবাগ ২নং রেলগেটে, রাতিন স্টুডেন্ট প্যালেস।
* কোন কলেজ?
- কারমাইকেল
* আই কার্ড!?
- এইযে দেখুন! (দেখালাম)
* ব্যাগে কী আছে?
- বলা যাবেনা!
* বলা যাবেনা কেন?
- ব্যাগের সবকিছু আমার, এখানে প্রাইভেসি একটা ম্যাটার! ফাঁস করা যাবেনা, ফাঁস করলে আবার কলিযুগ শুরু হতে পারে!
* পুলিশের সামনে কোন প্রাইভেসি চলে না! সে যাইহোক ব্যাগটা দিন।
- আপনি নিজের জায়গায় থাকুন, আমি নিজেই সবকিছু বের করছি।
* আচ্ছা, বের করুন।
প্রথম পুলিশটি আমার দিকে টর্চ ধরলেন। ব্যাগটা ঘাড় থেকে নামিয়ে হাটুর উপর নিলাম।
রিকশাচালকের মুখটা বেশ উজ্জ্বল, ভাবসাবে সে আমার লোক। আর পুলিশ তিনজন তীক্ষদৃষ্টিতে চেয়ে আছে- কী বের হচ্ছে!?
তিনটা ডায়েরী, একটা মেডিসিন প্যাড, দুটো কলম, এক প্যাকেট জন প্লেয়ার, একটা লাইটার বের করে রিকশার সিটে রাখলাম। এতক্ষণ সব ঠিকই ছিলো। সবশেষে যখন একটা স্কচ মদের বোতল বের করে সামনে ধরলাম। সাথেসাথে পুলিশদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো! অন্যদিকে রিকসাচালকের চোখমুখ যেন চৈত্রের কাঠফাটা রোদে শুকিয়ে গেলো নিমিষেই! রাইসুল আজাদ আমার ডায়েরীগুলো হাতে নিয়ে দেখতে শুরু করলেন। এদিকে প্রথম পুলিশটি দাতমুখ খিচিয়ে আমাকে বললো-
* ওওওও, এইজন্যে আই কার্ড দেখতে চাও! চোরের মায়ের বড়গলা! এইবার বুঝবা বাছাধন, কয় মাঘে শীত যায়!!
আমি বললাম ঃ
- আমি চোর নই! এটা অনুমোদিত আর আমি ভ্যাট দিয়ে সরকারি বার থেকে নিয়েছি, এইযে রশিদ। কালোবাজার এর মদ আমি খাইনা!
* হাফ বোতল মদ, বাকী অর্ধেক কই?
- জ্বি, বাকী অর্ধেক ১৪ নম্বর গোডাউনে জমা করা হয়েছে!
* ১৪ নম্বর গোডাউন! সেটা কোথায়!?
- সেটা জানলে তো আর এই বয়সেও কনস্টেবল থাকতেন না! সোজা ওসির চেয়ারে বসে যেতেন। নিয়মিত মদ খান- মাথা খুলে যাবে!!
ডায়েরী দেখতে দেখতে হঠাৎই তৃতীয় পুলিশটি কেমন যেন হয়ে গেলেন! মনে হচ্ছিলো ঘটমান বিষয়াদি ওনার ভাল্লাগছেনা! ডায়েরী গুলি আমাকে ফেরত দিলো আর চরম বিরক্তি ভাব নিয়ে দ্বিতীয় পুলিশটিকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ
* মঈন সাহেব, ওর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নিয়ে ছেড়ে দিন। আর হ্যাঁ, কাগজে স্বাক্ষর নেবেন।
তিনি বাইক স্টার্ট করে চলে গেলেন। দ্বিতীয় পুলিশ, মানে মঈন সাহেব তার কর্তব্যপালনে ব্যতিব্যস্ততা দেখানো শুরুকরে কাগজকলম হাতে নিলেন, কিছুটা কর্কশতার সুরে আমাকে বললেনঃ
* নাম কি?
- ইনসান
* নামের আগে পিছে কিছু নাই!?
- না, নেই।
*
-
*
-
এভাবে একের পর এক তথ্য নিয়ে কাগজটিকে সাদাকালো বানিয়ে আমার সামনে ধরলেন স্বাক্ষরের জন্য। কাগজটি ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম এমন সময় আমাকে বললেনঃ
* মদ খাওয়া হারাম, জানো না!?
-জ্বি, জানি!
* জেনেশুনে হারাম খাও কেন!?
- ঘুষ খাওয়া হারাম! এইটা জেনেবুঝেও পুলিশ যেকারণে ঘুষ খায়, সেকারণে আমিও মদ খাই!!
রিকশাচালক আবারো প্যাডেল মারতে শুরু করলেন। খানিক পরপর পেছন ফিরে আমাকে দেখছে!
বললাম - মামা, কিছু বলবেন?
♪ না, মামা তেমন কিছু না, একনা কথা কবার চাই! যদি কিচু মনে না করেন!
- মদ খাবেন?
♪ হে হে হে, হয় মামা, জেবনেও খাই নাই! আইজ একটু খাবার মন চাইছিল আরকি। তা মামা, আমার মনের চাওয়া কেমন করিয়া বুঝলেন!?
আমি চুপ করে থাকলাম, আর কিছু বললাম না। আমাদের গন্তব্য রংপুর রেলস্টেশন। জ্যোৎস্নাময় রাত, এগিয়ে চলছি। শিরশির করে বইছে হিমেল হাওয়া। শাপলাচত্বর এলেই চোখ পরে গেলো বা দিকের রাস্তাটায়। তিন চারজন লোক জটলা বেধে কি যেন করছে। স্পষ্ট দেখা গেলো না! শাপলা সিনেমা হলের বিশাল পোস্টার ঝুলছে, এতরাতে কেউ আগে সিনেমার পোস্টার দেখেনি! রিকশাওয়ালাকে থামতে বললাম। সে রিকশা থামালে স্কচের বোতলটি বের করে কিছুটা গলায় ঢেলে বাকীটা ওর হাতে দিলাম।
এখন মধ্যরাত, রিকশা চলছে। ট্রাক স্ট্যান্ড পার হয়ে খামার মোড়ের দিকে এগুচ্ছি আমরা। দুইদিকে ছোট আর মাঝারি বিল্ডিং। ঢাকা শহরের মত অত বড়বড় বিল্ডিং, রাস্তা, ইমারত, কারখানা এখানে নির্মিত না হবার কারণ কি!? ধুর, এতরাতে শহর পরিকল্পক হবার আমার কি প্রয়োজন!?
রিকশাটি এবার স্টেশন রোডে চলছে, রাস্তাটা বন্ধুর। ধ্যাপ, ধ্যাপ, লক্কড়, ঝক্কড় শব্দে এগিয়ে যাচ্ছি -নাকি পিছিয়ে যাচ্ছি বুঝতে পাচ্ছি না! তবে চাঁদ আর জোসনা একচুলও নড়ছে না, দুজনে লেপ্টে আছে আষ্টেপৃষ্ঠে, আর চলছে আমার সাথেই।
চলমান_______
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জে আলম দোলন ৩০/০৮/২০১৮ভালো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/০৮/২০১৮পড়ছি।
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৬/০৮/২০১৮Nice.
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৪/০৮/২০১৮ভালো লাগলো।ধন্যবাদ লেখক বন্ধু।