শেষরাতের গল্প
কি অইলো মিয়া, আহেন- কাম সারেন! ট্যাকা উসুল কইরা ফুইটা পরেন।
- না, মানে আপনার নাম কি?
অয় মিয়া, নামের লগে কাম করবাইন, নাকি নামের মানুষডার লগে!? অত গুজব করবার টাইম নাইক্যা! আহেন!!
- না, মানে- ইয়ে, মানে......!
হা হা হা হা হা....! জীবনে পয়লাবার! অত শরমের কিছু নাই- কাপড়চোপড় খুইলা লুঙ্গি পইরা নেন। শরম কাটানের ব্যবস্থা আমার জানা আছে, বাইর হওনের পর একরত্তি শরম থাইকবে না! বেবাক শরম সমুন্দুরের নোনাপানিতে ধুইয়া দিমুনে।
- আসলে যা ভাবছেন, তা নয়! আ-মি ওইসবের জন্যে এখানে আসি নি! আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চাই।
হা হা হা....! মিয়ায় কয় কি!? পাড়ার মইদ্যে আইছে - কিছু করবার জন্যে লয়! কতা কইবার জন্যি!! হা হা হা...
হুনেন মিয়া, গতর বেইচা খাই! খদ্দেরের খুশি দেওয়াই আমার কাম। কইলামই তো গুজব করনের টাইম নাই! কাম করলে করেন, নইলে ফুটেন!!
- দেখুন, আপনার সময়ের দাম আমি দিয়ে দেবো, আপনার ক্ষতি করবোনা!
অই মিয়া, বেশ্যার লগে ট্যাকার গরম দেহাইতাছেন! যেই বেশ্যাগো ইজ্জতের দাম দেওয়া তোমরা শিখো নাই, তার সময়ের দাম ক্যামনে দিবাইন!? হুনেন, বেশ্যা হইবার পারি- কিন্তু অমানুষ লই! গতর না খাটাইয়া কারোর কাছ থাইক্যা এক ট্যাকাও নেইনা!
- দেখুন, আমি একজন নবীন লেখক। আপনাদের জীবনের কাহিনীগল্প লিখতে চাই। আর তাই'ই.....
হা হা হা...! হুনো মিয়া আমাগো ছেঁড়া ফাটা জীবনের কোন কাহিনী বা গল্প নাই। কামুক পুরুষেরা নারী শইলের প্রতি আসক্ত। অরা আসে, মজা নেয়, আবার চইলেও যায়। পুরুষ আমাগো এক রাইতের নাগর, যার লগে আমাগো দেহগত বিনিময় হয়। মাইয়াগো ট্যাকা কামানের এর থাইকা সহজ রাস্তা দ্বিতীয়ত নাই।
অহন মিয়া, তুমি মজা নিবা, নাকি চইলা যাবা!? ফাও প্যাঁচাল পারোনের সময় নাই!
অগত্যা বেরিয়েই এলাম! ওই নারীর কোন গল্প শোনা হলো না!
প্রায় দুইমাস হতে চললো- গান, কবিতা, গল্প কিছুই লিখতে পাচ্ছি না! কেমন যেন ব্লক খেয়ে আছি। সবকিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে! ভাবছিলাম এক্কেবারে রিয়েলিস্টিক ঘটনাদি অবলম্বনে কিছু লিখবো। তাই এখানে আসছিলাম, কিন্তু তা আর হলো কই!?
এখন রাত্রির প্রথমভাগ! ছাত্রবাসে ফিরে যাবো!? না, যাবো না! কিছুই ভাল্লাগছেনা! পাড়া থেকে বের হয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ের দিকে হাটছি। নিয়নের আলোয় একা পথ চলতে ভালোই লাগছে। কয়েকটা কুকুর জটলা বেধে আছে। দোকানপাট সব বন্ধ, বড়বড় তালা ঝুলছে। তবে এই তালাগুলি নিরাপত্তার সবশেষ কথা নয়! নৈশপ্রহরী বেশ সজাগ, মাঝেমধ্যেই বাঁশিতে ফুঁক দিচ্ছে।
সামনের দিক থেকে একটা রিকশা আসছে। রিকশাচালককে হাঁক ছাড়লাম-
- ওই মামা যাইবা নাকি?
কই যাইবেন?
- কই যাবো! হুম, হ্যাঁ, চলো -স্টেশনে চলো।
রিকশায় উঠলাম, শহর এতটা নিস্তব্ধ হতে পারে! আগে এভাবে দেখা হয়নি!! রিকশার হুডের ধ্যাপ ধ্যাপ টাইপের শব্দ হচ্ছে। শিরশির করে হাওয়া শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে। শহরটা আজ যেন আমার একার সম্পত্তি! আমি আজ এই শহরের একচ্ছত্র অধিপতি! আর রিকশাচালক আমার সেনাপতি। হঠাৎই রিকশাটা গ্রান্ড হোটেল মোড়ে ব্রেক দিলো। রাস্তার অপরপ্রান্তে পুলিশের গাড়ি দাঁড়ানো। একজন পুলিশ রিকশাচালককে বললো-
* ওই রিকশা কই যায়?
মামায় স্টেশন যাইবে, স্টেশন যাইতেছি স্যর।
রিকশাচালকের কথা শেষ না হতেই দুইজন পুলিশ রাস্তা পার হয়ে রিকশার সামনে এসে দাঁড়ালো। একজন পুলিশ আমাকে বলল-
* বাড়ি কোথায়?
আমি কিছু বলছি না! চুপ করে থাকলাম।
* ব্যাগে কী আছে?
আমি এবারো চুপ!
দ্বিতীয়জন পুলিশ এবার সামনে এলো -
* ওই কথা কানে যায়না! কথার উত্তর দিচ্ছিস না কেন!?
এবার আমি দ্বিতীয়জনকে উদ্দেশ্য করে বললাম -
- আপনার আই কার্ড দেখান!?
* এই কেন, আই কার্ড কেন!?
- আপনি আসল পুলিশ নাকি নকল সেটা বুঝতে হবে তো! আসল পুলিশ তুইতোকারি করে না! আই কার্ড দেখান!?
এবার প্রথম পুলিশ সামনে এলো -
* পুলিশের সাথে মশকরা করা হচ্ছে!?
- ভুল বুঝবেন না! আজ সকালেই টিভিতে দেখলাম, ভুয়া পুলিশের খপ্পরে পরে ব্যবসায়ী গুম! সন্দেহ অমূলক নয়।
আমাদের কথা চলছিলো, এমন সময় আরেকজন পুলিশ মোটরবাইক নিয়ে একদম রিকশার সামনে এসে দাঁড়ালো -
* এই কি হয়েছে এখানে?
প্রথম পুলিশ তাকে সব বলছিলো। এদিকে আমার কেনজানি বাইকে আসা পুলিশটাকে চেনা চেনা লাগছে! দ্বিতীয় পুলিশের হাতে থাকা টর্চ লাইট চেয়ে নিয়ে এই নতুন পুলিশের মুখে লাইট জ্বালিয়ে ধরলাম!
প্রথম পুলিশ বলছে- এই তোর এতবড় সাহস!
ওর কথা শেষ না হতেই আমি বললাম -
- রন্টু মামা! তুমি কোতোয়ালি থানায়! কবে আসছো? আরে মামা আমি মিল্টন মামার ভাগ্নে, তোমার সাথে ঢাকায় দেখা হয়েছিলো, মামার বাসায়, মিরপুর ১০ নম্বরে!
লাইটটা এবার নিজের মুখের দিকে ধরে বললাম--
- দেখোতো মামা চিনতে পারো কি?
চলমান _____
- না, মানে আপনার নাম কি?
অয় মিয়া, নামের লগে কাম করবাইন, নাকি নামের মানুষডার লগে!? অত গুজব করবার টাইম নাইক্যা! আহেন!!
- না, মানে- ইয়ে, মানে......!
হা হা হা হা হা....! জীবনে পয়লাবার! অত শরমের কিছু নাই- কাপড়চোপড় খুইলা লুঙ্গি পইরা নেন। শরম কাটানের ব্যবস্থা আমার জানা আছে, বাইর হওনের পর একরত্তি শরম থাইকবে না! বেবাক শরম সমুন্দুরের নোনাপানিতে ধুইয়া দিমুনে।
- আসলে যা ভাবছেন, তা নয়! আ-মি ওইসবের জন্যে এখানে আসি নি! আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চাই।
হা হা হা....! মিয়ায় কয় কি!? পাড়ার মইদ্যে আইছে - কিছু করবার জন্যে লয়! কতা কইবার জন্যি!! হা হা হা...
হুনেন মিয়া, গতর বেইচা খাই! খদ্দেরের খুশি দেওয়াই আমার কাম। কইলামই তো গুজব করনের টাইম নাই! কাম করলে করেন, নইলে ফুটেন!!
- দেখুন, আপনার সময়ের দাম আমি দিয়ে দেবো, আপনার ক্ষতি করবোনা!
অই মিয়া, বেশ্যার লগে ট্যাকার গরম দেহাইতাছেন! যেই বেশ্যাগো ইজ্জতের দাম দেওয়া তোমরা শিখো নাই, তার সময়ের দাম ক্যামনে দিবাইন!? হুনেন, বেশ্যা হইবার পারি- কিন্তু অমানুষ লই! গতর না খাটাইয়া কারোর কাছ থাইক্যা এক ট্যাকাও নেইনা!
- দেখুন, আমি একজন নবীন লেখক। আপনাদের জীবনের কাহিনীগল্প লিখতে চাই। আর তাই'ই.....
হা হা হা...! হুনো মিয়া আমাগো ছেঁড়া ফাটা জীবনের কোন কাহিনী বা গল্প নাই। কামুক পুরুষেরা নারী শইলের প্রতি আসক্ত। অরা আসে, মজা নেয়, আবার চইলেও যায়। পুরুষ আমাগো এক রাইতের নাগর, যার লগে আমাগো দেহগত বিনিময় হয়। মাইয়াগো ট্যাকা কামানের এর থাইকা সহজ রাস্তা দ্বিতীয়ত নাই।
অহন মিয়া, তুমি মজা নিবা, নাকি চইলা যাবা!? ফাও প্যাঁচাল পারোনের সময় নাই!
অগত্যা বেরিয়েই এলাম! ওই নারীর কোন গল্প শোনা হলো না!
প্রায় দুইমাস হতে চললো- গান, কবিতা, গল্প কিছুই লিখতে পাচ্ছি না! কেমন যেন ব্লক খেয়ে আছি। সবকিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে! ভাবছিলাম এক্কেবারে রিয়েলিস্টিক ঘটনাদি অবলম্বনে কিছু লিখবো। তাই এখানে আসছিলাম, কিন্তু তা আর হলো কই!?
এখন রাত্রির প্রথমভাগ! ছাত্রবাসে ফিরে যাবো!? না, যাবো না! কিছুই ভাল্লাগছেনা! পাড়া থেকে বের হয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ের দিকে হাটছি। নিয়নের আলোয় একা পথ চলতে ভালোই লাগছে। কয়েকটা কুকুর জটলা বেধে আছে। দোকানপাট সব বন্ধ, বড়বড় তালা ঝুলছে। তবে এই তালাগুলি নিরাপত্তার সবশেষ কথা নয়! নৈশপ্রহরী বেশ সজাগ, মাঝেমধ্যেই বাঁশিতে ফুঁক দিচ্ছে।
সামনের দিক থেকে একটা রিকশা আসছে। রিকশাচালককে হাঁক ছাড়লাম-
- ওই মামা যাইবা নাকি?
কই যাইবেন?
- কই যাবো! হুম, হ্যাঁ, চলো -স্টেশনে চলো।
রিকশায় উঠলাম, শহর এতটা নিস্তব্ধ হতে পারে! আগে এভাবে দেখা হয়নি!! রিকশার হুডের ধ্যাপ ধ্যাপ টাইপের শব্দ হচ্ছে। শিরশির করে হাওয়া শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে। শহরটা আজ যেন আমার একার সম্পত্তি! আমি আজ এই শহরের একচ্ছত্র অধিপতি! আর রিকশাচালক আমার সেনাপতি। হঠাৎই রিকশাটা গ্রান্ড হোটেল মোড়ে ব্রেক দিলো। রাস্তার অপরপ্রান্তে পুলিশের গাড়ি দাঁড়ানো। একজন পুলিশ রিকশাচালককে বললো-
* ওই রিকশা কই যায়?
মামায় স্টেশন যাইবে, স্টেশন যাইতেছি স্যর।
রিকশাচালকের কথা শেষ না হতেই দুইজন পুলিশ রাস্তা পার হয়ে রিকশার সামনে এসে দাঁড়ালো। একজন পুলিশ আমাকে বলল-
* বাড়ি কোথায়?
আমি কিছু বলছি না! চুপ করে থাকলাম।
* ব্যাগে কী আছে?
আমি এবারো চুপ!
দ্বিতীয়জন পুলিশ এবার সামনে এলো -
* ওই কথা কানে যায়না! কথার উত্তর দিচ্ছিস না কেন!?
এবার আমি দ্বিতীয়জনকে উদ্দেশ্য করে বললাম -
- আপনার আই কার্ড দেখান!?
* এই কেন, আই কার্ড কেন!?
- আপনি আসল পুলিশ নাকি নকল সেটা বুঝতে হবে তো! আসল পুলিশ তুইতোকারি করে না! আই কার্ড দেখান!?
এবার প্রথম পুলিশ সামনে এলো -
* পুলিশের সাথে মশকরা করা হচ্ছে!?
- ভুল বুঝবেন না! আজ সকালেই টিভিতে দেখলাম, ভুয়া পুলিশের খপ্পরে পরে ব্যবসায়ী গুম! সন্দেহ অমূলক নয়।
আমাদের কথা চলছিলো, এমন সময় আরেকজন পুলিশ মোটরবাইক নিয়ে একদম রিকশার সামনে এসে দাঁড়ালো -
* এই কি হয়েছে এখানে?
প্রথম পুলিশ তাকে সব বলছিলো। এদিকে আমার কেনজানি বাইকে আসা পুলিশটাকে চেনা চেনা লাগছে! দ্বিতীয় পুলিশের হাতে থাকা টর্চ লাইট চেয়ে নিয়ে এই নতুন পুলিশের মুখে লাইট জ্বালিয়ে ধরলাম!
প্রথম পুলিশ বলছে- এই তোর এতবড় সাহস!
ওর কথা শেষ না হতেই আমি বললাম -
- রন্টু মামা! তুমি কোতোয়ালি থানায়! কবে আসছো? আরে মামা আমি মিল্টন মামার ভাগ্নে, তোমার সাথে ঢাকায় দেখা হয়েছিলো, মামার বাসায়, মিরপুর ১০ নম্বরে!
লাইটটা এবার নিজের মুখের দিকে ধরে বললাম--
- দেখোতো মামা চিনতে পারো কি?
চলমান _____
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৬/০৮/২০১৮Good...
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২১/০৮/২০১৮দারুন লাগলো দাদা।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২১/০৮/২০১৮বেশ!