একটি ভুল হাজার শিক্ষার সমান ।
সাধারণত মানুষ আত্মহত্যা কেন করে..!
1.প্রেমে ধোকা খেলে ।
2.পরীক্ষায় ফেল করলে ।
3.বাড়িতে স্বামী/ স্ত্রীর নিয়মিত অত্যাচার সহ্য করলে ।
4.কারোর দ্বারা ব্ল্যাকমেল হলে ।
.....ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে আত্মহত্যার অনেক কারণ চোখে পড়বে ।
এদের মধ্যে কিছু কিছু আত্মহত্যা ইচ্ছাকৃত হয়,কিছু হয় অনিচ্ছাকৃত, আবার কিছু হয় বাধ্যবাধকতার জন্য ।
কেউ কেউ এই প্রয়াসে সফল হয়, আবার কেউ কেউ অসফল হয় ।
আমার আত্মহত্যার বিভাগ টা হয়তো 2 নং বিভাগের অন্তর্গতই হবে । মানে অনিচ্ছাকৃত ও অসফল । আর কারণ টাও ছিল সবচেয়ে আলাদা প্রকৃতির । পৃথিবীতে এই কারনের জন্য যে কেউ এতটা সতর্কতার সাথে আত্মহত্যা করতে যাবে সেটা আমিই নিজেই এই প্রথম জানলাম ।
দিনের সময় তখন প্রায় 10 টা হবে । পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফিরছি । গমনের মাধ্যম ট্রেন । প্রতিবারের মতো এবারেও আমার নির্দিষ্ট গন্তব্য স্টেশন "বারুইপাড়া" -এর 4 নং প্ল্যাটফর্মে নেমে ব্যাগের ভিতর থেকে water bottle টা বের করে আমি ও আমার সাথে থাকা দুজন বন্ধু একটু জল খেয়ে নিলাম । বেস কিছুক্ষণ প্ল্যাটফর্মেই কাটালাম ।ইতিমধ্যেই কখনও যে 2 নং স্টেশনে "বারুইপাড়া লোকাল" এসে দাঁড়িয়েছিল তা চোখে পড়েনি তখনও । কিছুক্ষণ পরে প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে রীতিমতো লাইন অতিক্রম করে আমরা চললাম অটো ধরার উদ্দেশ্যে । ইতিমধ্যেই আমার সাথে সাক্ষাত্ হল আমার স্কুল জীবনের আরও দুই বন্ধুর সাথে । বেস কিছুদিন পর দেখা হবার জন্য একটু বেশি সময় ধরেই তাদের সাথে কথা বলছিলাম । অটো তখন নিজের স্ট্যান্ডেই দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু আমরা কেউই সেদিকের লক্ষ্যে বিশেষ জোর দিলাম না । গল্প করতে লাগলাম, হঠাত্ আমার স্বরণে এল আমি আমার water bottle টা প্ল্যাটফর্মেই ফেলে এসেছি । যেই মনে হওয়া সেই ছোটা 4 নং প্ল্যাটফর্মের দিকে । ঠিক 2 নং প্ল্যাটফর্মের লাইনে পা রেখেছি ঠিক এমন সময় বামদিকে চোখ যেতেই লক্ষ করলাম 2 নং প্ল্যাটফর্মের ট্রেনটা চলমান হয়ে গেছে । আর এই মুহূর্তে তার সাথে আমর দূরত্ব 1/2 হাতের থেকেও কম । অতি পরিচিত এই বিপদের সম্মুখীন হওয়ামাত্র আমার সারা শরীরে এমন ভাবে এক প্রকার শিহরণ খেলে গেল যার জন্য আমার সারা শরীর এক মূহূর্তে অবশ হয়ে গেল । ছুটে পালানোর শক্তি তো থাকলই না, উপরন্তু সেই মুহূর্তেই পড়ে গেলাম একদম ট্রেনের সামনে । এবার একটু চেতনা ফিরেছে বটে, কিন্তু তখন আমার হাতে উঠে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে ছুটে পালানোর মতো সময় ছিল না। তাই ট্রেনের সামনে শুয়েই লাইন বরাবর গড়িয়ে গড়িয়ে পিছনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলাম । ট্রেনের গতি তখনও বেস কম ছিল । ট্রেন এই গতিতে সামনের দিকে এগোচ্ছে আমি আমি পিছোচ্ছি গড়িয়ে গড়িয়ে । এই মৃত্যু সংকটের সময়েও আমার মনে আমায় নিয়ে একটি হাস্যকর অনুভূতির উৎপত্তি হল । নিজেকে মনে হল সার্কাসের খেলা দেখানো অসহায় ঘোড়া । ট্রেনটি ছিল আমার রিং-মাস্টার ।আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলি ছিল, সব কিছু দেখেও সার্কাসের চারিপাশে চুপচাপ বসে মজা নিতে থাকা প্রকৃত স্বার্থপর জানোয়ারের দল । যাই হোক এইভাবে বেস কিছু পথ গেলাম । তারপর দেখলাম ট্রেনটি হঠাত্ দাঁড়িয়ে গেল । কারণটা বোঝার প্রয়াস করলাম না । দ্রুত সেখান থেকে উঠে ছুটে গিয়ে উঠলাম 4 নং প্ল্যাটফর্মে । সেখানে একটু বসব ভাবলাম, কিন্তু কিন্তু কিছু জ্ঞানিগুনি ব্যক্তির জ্ঞান প্রদর্শনীর জন্য বিরক্ত হয়ে সেখান থেকে উঠে আসতে হল । আসার আগে তাদের একজনের গালে সশব্দে জোরে একটা চড় লাগিয়ে অতি ভদ্র ভাষায় তাদের জানিয়ে দিয়ে এলাম যে তারা বিপদের সম্মুখীন হওয়া মানুষকে নিজের জ্ঞান বিলিয়ে না বেরিয়ে যেন তাদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ।
সেদিন কোনও ভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পেরে নিজেকে একটু শান্ত করলাম । পরের দিন বাজারে গিয়ে জানতে পারলাম আমার গতকালের বীরত্বের কারণে আমি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছি । তবে আমার জনপ্রিয়তার আসল কারনটা জানতে পারলাম বাবুদার সেলুনে বসে । আমার জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ ছিল এই, আমি গতকাল যে জ্ঞানী ব্যক্তিটির গালে থাপ্পড় লাগিয়েছিলাম, তার এক পরিচিত ব্যক্তি ছিল সেই ট্রেনটিতে । আমার এই করুন অবস্থা দেখে এই জ্ঞানি ব্যক্তিটি তাঁকে ফোন করে গাড়ির চেন টানতে বলেন । আর সেই কারণেই ট্রেনটি তখন থেমে যায়, আর আমি উদ্ধার হই মৃত্যুর হাত থেকে ।
1.প্রেমে ধোকা খেলে ।
2.পরীক্ষায় ফেল করলে ।
3.বাড়িতে স্বামী/ স্ত্রীর নিয়মিত অত্যাচার সহ্য করলে ।
4.কারোর দ্বারা ব্ল্যাকমেল হলে ।
.....ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে আত্মহত্যার অনেক কারণ চোখে পড়বে ।
এদের মধ্যে কিছু কিছু আত্মহত্যা ইচ্ছাকৃত হয়,কিছু হয় অনিচ্ছাকৃত, আবার কিছু হয় বাধ্যবাধকতার জন্য ।
কেউ কেউ এই প্রয়াসে সফল হয়, আবার কেউ কেউ অসফল হয় ।
আমার আত্মহত্যার বিভাগ টা হয়তো 2 নং বিভাগের অন্তর্গতই হবে । মানে অনিচ্ছাকৃত ও অসফল । আর কারণ টাও ছিল সবচেয়ে আলাদা প্রকৃতির । পৃথিবীতে এই কারনের জন্য যে কেউ এতটা সতর্কতার সাথে আত্মহত্যা করতে যাবে সেটা আমিই নিজেই এই প্রথম জানলাম ।
দিনের সময় তখন প্রায় 10 টা হবে । পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফিরছি । গমনের মাধ্যম ট্রেন । প্রতিবারের মতো এবারেও আমার নির্দিষ্ট গন্তব্য স্টেশন "বারুইপাড়া" -এর 4 নং প্ল্যাটফর্মে নেমে ব্যাগের ভিতর থেকে water bottle টা বের করে আমি ও আমার সাথে থাকা দুজন বন্ধু একটু জল খেয়ে নিলাম । বেস কিছুক্ষণ প্ল্যাটফর্মেই কাটালাম ।ইতিমধ্যেই কখনও যে 2 নং স্টেশনে "বারুইপাড়া লোকাল" এসে দাঁড়িয়েছিল তা চোখে পড়েনি তখনও । কিছুক্ষণ পরে প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে রীতিমতো লাইন অতিক্রম করে আমরা চললাম অটো ধরার উদ্দেশ্যে । ইতিমধ্যেই আমার সাথে সাক্ষাত্ হল আমার স্কুল জীবনের আরও দুই বন্ধুর সাথে । বেস কিছুদিন পর দেখা হবার জন্য একটু বেশি সময় ধরেই তাদের সাথে কথা বলছিলাম । অটো তখন নিজের স্ট্যান্ডেই দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু আমরা কেউই সেদিকের লক্ষ্যে বিশেষ জোর দিলাম না । গল্প করতে লাগলাম, হঠাত্ আমার স্বরণে এল আমি আমার water bottle টা প্ল্যাটফর্মেই ফেলে এসেছি । যেই মনে হওয়া সেই ছোটা 4 নং প্ল্যাটফর্মের দিকে । ঠিক 2 নং প্ল্যাটফর্মের লাইনে পা রেখেছি ঠিক এমন সময় বামদিকে চোখ যেতেই লক্ষ করলাম 2 নং প্ল্যাটফর্মের ট্রেনটা চলমান হয়ে গেছে । আর এই মুহূর্তে তার সাথে আমর দূরত্ব 1/2 হাতের থেকেও কম । অতি পরিচিত এই বিপদের সম্মুখীন হওয়ামাত্র আমার সারা শরীরে এমন ভাবে এক প্রকার শিহরণ খেলে গেল যার জন্য আমার সারা শরীর এক মূহূর্তে অবশ হয়ে গেল । ছুটে পালানোর শক্তি তো থাকলই না, উপরন্তু সেই মুহূর্তেই পড়ে গেলাম একদম ট্রেনের সামনে । এবার একটু চেতনা ফিরেছে বটে, কিন্তু তখন আমার হাতে উঠে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে ছুটে পালানোর মতো সময় ছিল না। তাই ট্রেনের সামনে শুয়েই লাইন বরাবর গড়িয়ে গড়িয়ে পিছনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলাম । ট্রেনের গতি তখনও বেস কম ছিল । ট্রেন এই গতিতে সামনের দিকে এগোচ্ছে আমি আমি পিছোচ্ছি গড়িয়ে গড়িয়ে । এই মৃত্যু সংকটের সময়েও আমার মনে আমায় নিয়ে একটি হাস্যকর অনুভূতির উৎপত্তি হল । নিজেকে মনে হল সার্কাসের খেলা দেখানো অসহায় ঘোড়া । ট্রেনটি ছিল আমার রিং-মাস্টার ।আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলি ছিল, সব কিছু দেখেও সার্কাসের চারিপাশে চুপচাপ বসে মজা নিতে থাকা প্রকৃত স্বার্থপর জানোয়ারের দল । যাই হোক এইভাবে বেস কিছু পথ গেলাম । তারপর দেখলাম ট্রেনটি হঠাত্ দাঁড়িয়ে গেল । কারণটা বোঝার প্রয়াস করলাম না । দ্রুত সেখান থেকে উঠে ছুটে গিয়ে উঠলাম 4 নং প্ল্যাটফর্মে । সেখানে একটু বসব ভাবলাম, কিন্তু কিন্তু কিছু জ্ঞানিগুনি ব্যক্তির জ্ঞান প্রদর্শনীর জন্য বিরক্ত হয়ে সেখান থেকে উঠে আসতে হল । আসার আগে তাদের একজনের গালে সশব্দে জোরে একটা চড় লাগিয়ে অতি ভদ্র ভাষায় তাদের জানিয়ে দিয়ে এলাম যে তারা বিপদের সম্মুখীন হওয়া মানুষকে নিজের জ্ঞান বিলিয়ে না বেরিয়ে যেন তাদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ।
সেদিন কোনও ভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পেরে নিজেকে একটু শান্ত করলাম । পরের দিন বাজারে গিয়ে জানতে পারলাম আমার গতকালের বীরত্বের কারণে আমি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছি । তবে আমার জনপ্রিয়তার আসল কারনটা জানতে পারলাম বাবুদার সেলুনে বসে । আমার জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ ছিল এই, আমি গতকাল যে জ্ঞানী ব্যক্তিটির গালে থাপ্পড় লাগিয়েছিলাম, তার এক পরিচিত ব্যক্তি ছিল সেই ট্রেনটিতে । আমার এই করুন অবস্থা দেখে এই জ্ঞানি ব্যক্তিটি তাঁকে ফোন করে গাড়ির চেন টানতে বলেন । আর সেই কারণেই ট্রেনটি তখন থেমে যায়, আর আমি উদ্ধার হই মৃত্যুর হাত থেকে ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অঙ্কুর মজুমদার ০৫/১০/২০১৬
-
কালপুরুষ ০২/১০/২০১৬ওই ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তো যদি এটা সত্যি ঘটনা হয় আর আপনি এখনো ক্ষমা না চেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কৃতজ্ঞতা সীকার করে নিন ওঁর কাছে।
-
রোজারিও ০২/১০/২০১৬একটা বাজে মুহুর্ত থেকে বেড়িয়ে এসে মুর্খের মত আচরণ হয়ে গেছে ।নার্ভ প্রচন্ড দুর্বল থাকে এরকম ব্যাপারে ।যা ঘটে তা সব মেনে নিতে হয় ।