www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নারীর পর্দা ও অধিকার

নারীরা স্বাধীনতা চায়। তারাও পুরুষদের মতো লেখাপড়া করে বড় কিছু হতে চায়। তারা শুধু রন্ধন তদারকি করতে রাজি নয়।নারীরা সমান অধিকার চায়। আমরা নারীদের স্বাধীনতা দিতে পারি,বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারি কিন্তু সমান অধিকার দিতে পারি না। নারীরা বাহির জগৎ দেখতে চায়, পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় পেতে চায়। আমি এর সাথে একমত,কেননা ইসলাম ধর্ম মতে 'প্রত্যেক নর নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ'। নারীরা পৃথিবী দেখতে চায় ভালো কথা,তাই বলে তাদেরকে সমান অধিকার দেয়া চলে না। কারণ,তারা সমান অধিকার পেয়ে গেলে নিজের ইচ্ছে মতো চলতে চাইবে। কোনো পর্দা মানবে না,কারও বাধা মানবে না।পরিবেশ হয়ে যাবে পাপের তীর্থস্থান। তখন তারা গলা উচিয়ে বলবে "আমরাই সর্বেসর্বা, আমরা কোনো সংসার মানবো না, আমরা কারো আদেশ। পালন করতে প্রস্তুত নই।।

উপরের অংশটুকু লিখেছিলাম ২০০৮ সালের দিকে। আর এখন তো এ সবই চলছে অহরহ।দুঃখ রাখার জায়গা কোথায় পাই।
যাই হোক,আরো কিছু বলার আছে-

ইসলামে নর নারীকে জ্ঞান অর্জন করতে বলা হয়েছে,এই কথা নিশ্চয় বলা হয় নি যে 'বিদ্যালয়ে গিয়েই জ্ঞান শিক্ষা করতে হবে'! জ্ঞান অর্জন বলতে শুধু সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করা বুঝায় না।মনুষ্যত্ব বোধ কেই জ্ঞান বলে যা স্রষ্টার মহা দান।

বর্তমান সমাজে তো সবকিছুই নারীদের আওতায় এসে গেছে,সব দোষ ধরা হয় পুরুষ দের।পর্দা না মানা কে-ই এর মূল কারণ হিসেবে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,বাকি টা আপনার ইচ্ছা।আমরা নারী শাসনের দেশে থাকি বলে নারীদের সব কথা মানতে হবে এমন টা তো উচিত নয়!
৮০ ভাগ নারী রাস্তায় বেপর্দা বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে।তাদের রূপ যৌবন দেখে পুরুষেরা আকৃষ্ট হয়ে পরে। আর তখনই শুরু হয়ে যায় ইভটিজিং,যার দায়ে অনেকেই জেল হাজতে পর্যন্ত যায়। দুঃখের বিষয় হলো কেউ পিছনে ফিরে দেখতে চায় না যে, কেন এই ইভটিজিং?

একটা উদাহরণ না দিলেই নয়-
বাজারে যেসব জিনিস নতুন আমদানি হয়,সে সব জিনিস কেনার জন্য কেউ পরিকল্পনা করে বাজারে যায় না।বাজারে যাবার পর নতুন জিনিসটা যখন সবার আগে চোখে পড়ে তখন অন্য একটি খরচ তালিকা থেকে বাদ দিয়ে হলেও সেইটা ক্রয় করে।

ঠিক একই রকম- পুরুষেরা পরিকল্পনা করে থাকে না যে,ইভটিজিং করবে।কিন্তু যখন সে নতুন জিনিস টার মতন ঝকঝকে বেপর্দা এক নারীকে দেখতে পায় তখন তার মন ঐদিকে আকৃষ্ট হয়ে পরে এবং ভীষণ ভাবেই আকৃষ্ট হয়।তাই সে নারী টিকে উতক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। আর তখনই দোষী সাব্যস্ত করা হয় পুরুষদেরকে।
তাই সমাজকে কলুষতা মুক্ত রাখতে চাইলে নারীদের পর্দা করা আবশ্যক। আমি কিন্তু বিদ্যালয়ে যাবার বিরোধিতা করছি না।

নারীরা অর্ধাঙ্গিনী থাকতে চায় না,তারা পুরুষদেরকেই অর্ধাঙ্গ বানাতে চায়।অথচ ধর্ম বলছে যে, দুইজন নারী একজন পুরুষের সমান।
তবে নারীরা অর্ধাঙ্গিনী নয় তো কি?

হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কন্যাকুলের রক্ষক সরূপ পৃথিবীতে এসেছিলেন, তিনি নিজেও কন্যা সন্তান পালন করে আদর্শ দেখিয়েছেন। তাই বলে তিনি তো তার সন্তানদেরকে স্বাধীনতা দেন নি,সমান অধিকার দেন নি! তবে বর্তমান নারী সমাজ কিসের ভিত্তিতে স্বাধীনতার দাবি করে?
আমি শুধু নারী জাতিদের দোষী করতে চাই না,তাদের এই অবাদ্ধতার জন্য পুরুষজাতিও সমভাবে দায়ী। আমরা পুরুষেরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখি,অর্ধাঙ্গী বলি তবু অর্ধেক ভাগ দিতে রাজি নই।তাই পুরুষদেরকে নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

নারী জাতির মর্যাদা অনেক,তারাই তো পুরুষ দের শক্তির উৎস।
কবির ভাষায় - 'পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর'।

নারী আমার মা,নারী আমার বোন।তাই নারীদের কাছে একটাই অনুরোধ রাখছি- তোমরা যা কিছুই করো না কেনো,তা অবশ্যই পর্দার ভেতর থেকে করো।

জানিনা কতটুকু বোঝাতে পারলাম,আমার এই লেখার উদ্দেশ্য যদি কেউ বুঝতে না পারেন তাহলে বুঝে নেব তিনি মনোযোগী নন।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৪৭৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/০২/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • একনিষ্ঠ অনুগত ০৯/০৩/২০২০
    বুঝতে পারছি বিষয়টি আপনি খুব আন্তরিকতার সাথেই স্পষ্ট করতে চেয়েছেন, এবং পর্দার স্বপক্ষে আপনি এবং আমিও। তবে কিছু কিছু ব্যাখ্যা দুর্বল ও ভুল মনে হয়েছে। যেমন অর্ধাঙ্গী বলতে দু'জন নারী সমান একজন বুঝায় না, এটা স্ত্রী অর্থে ব্যবহৃত তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে (যেমন উত্তরাধিকার সম্পত্তি) নারীরা অর্ধেক পাওনা হন, এর ব্যাখ্যা ভিন্ন আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা অগ্রাধিকার পান যেমন মায়ের অধিকার অন্য যে কারও চেয়ে বেশী, স্ত্রীর খোরপোষের দায়িত্ব স্বামীর, অথচ স্ত্রীকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে ইত্যাদি।

    তাছাড়া এখানে পর্দার ব্যাপারে পুরুষের দৃষ্টির ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি, অথচ আল্লাহ নারী এবং পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি অবনত রাখতে বলেছেন।। আশাকরি বিষয়গুলো একটু সম্পাদনা করে দিবেন।।

    সর্বোপরি সুন্দর এ লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।।
  • রচনাটি ভালো
  • শাপলা ২৭/০২/২০২০
    the problem is our niyat or intention is not good.if our intention is right,everything will be easier
  • বড় সমস্যা হলো আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী
    তারপর বুঝার- তারপর জানার-----------
 
Quantcast